দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ
এক্ষেত্রে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি,তাঁরা আগে পুলিসকে জানালেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা সত্যনারায়ণ দাস বলেন, রাতে বহিরাগত যুবকরা স্কুলে এসে নেশার আসর বসায়। তারাই চুরি করে থাকতে পারে। স্কুলটি সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যে চলছে না। প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, রাতে দুষ্কৃতীরা হানা দেয় স্কুলে। স্কুলের অফিস ঘরের তালা ভেঙে তাণ্ডব চালায় তারা। অফিসের আলমারি খুলে নথি ওলটপালট করে। দেওয়াল ঘড়ি মেঝেতে ফেলে দেয়। পাশাপাশি অন্য একটি ঘরের তালা ভেঙে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চারটি বস্তায় প্রায় দুই কুইন্টাল চাল সহ বাসনপত্র নিয়ে চম্পট দেয়।
দুষ্কৃতীদের এই কর্মকাণ্ডের ফলে সোমবার ছাত্রছাত্রীদের জন্য রান্নাও হয়নি। খালি পেটে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে যেতে হয় পড়ুয়াদের। চুরির ঘটনার পর এদিন পঠনপাঠনও ব্যাহত হয় স্কুলে। মূলত ওই স্কুলটি গ্রামীণ সড়ক থেকে একটু দূরে কিছুটা নির্জন জায়গায়। সীমানা প্রাচীর না থাকায় প্রায় রোজই রাতে নেশার আসর বসে বলে অভিযোগ।
স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক বুলু মহম্মদের কথায়, গ্রামবাসীদের মুখ থেকে শুনেছি রাতে এখানে নেশার আসর বসে। বিষয়টি এর আগে মৌখিকভাবে পুলিসকে জানিয়েছি। তার মধ্যেই এত বড়ো চুরির ঘটনা ঘটে গেলে। আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ বাবুল আলি বলেন, চার বস্তা চাল ও বাসনপত্র চুরি হয়েছে। সোমবার রান্না করা সম্ভব হয়নি। থানায় চুরির অভিযোগ জানিয়েছি।
খরবা-১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবলীনা ধর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ওই স্কুলে ২২৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। পুলিস যাতে দুষ্কৃতীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে, সেই দাবি জানাচ্ছি।