Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ ছিল নির্যাতিতার পরিবারের ও আন্দোনলকারীদের। তাই অপরাধীর সংখ্যা এক নাকি একাধিক, তা নিয়ে বির্তক উঠেছিল চরমে। কিন্তু তাঁদেরই পছন্দের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, অপরাধী একজনই। সঞ্জয় রায়। তাতে স্পষ্ট, অভয়ার প্রতি মানুষের সীমাহীন আবেগকে বিপথগামী করার একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত হয়েছিল বাংলায়। ‘সূত্রে’র দোহাই দিয়ে গল্পের গোরুকে চড়ানো হয়েছিল গাছে। কিন্তু, এসব করে হাওয়া গরম করা গেলেও বিচারকে প্রভাবিত করা যায় না। কারণ আদালত প্রমাণ ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না। আজই হবে সেই সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা। 
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গভীর রাতে আর জি করে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তিই কাম্য। নানান তথ্যপ্রমাণ ও রিপোর্ট দাখিল করে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ শাস্তির দাবির সঙ্গে সহমত। কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই তদন্ত নিয়ে। তাঁদের বিশ্বাস, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। সেদিন রাতে অভয়ার সঙ্গে ডিউটিতে থাকা চারজনের কাউকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাট মামলার তদন্ত নিয়েও তাঁদের প্রশ্ন আছে।
অভয়ার বাবা-মায়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ও সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। কারণ প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে তাঁদের দিশেহারা অবস্থা। ঘটনার পর ‘সিবিআই সূত্রে’র বলে যে সমস্ত খবর সামনে আনা হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসীর মতো তাঁরাও তাকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিন্তু আদালত তো ‘সূত্রের খবরে’র ভিত্তিতে রায় দেয় না। আদালত চলে তথ্য, প্রমাণ এবং সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে। এখানে আবেগের কোনও স্থান নেই।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। প্রতিটি পর্বে তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ মহামান্য আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দু’বার বদল হয়েছে। তারমধ্যে একটি আইনি সংস্থা জানিয়েছিল, ‘তারা আদালতে লড়াই করে আইনের বলে, প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং পেশাগত নীতি মেনে।’ তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে যে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রে’র কথা বলা হচ্ছে, তার কি কোনও প্রমাণ নেই! আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয় বুঝেই কি এমন হাইভোল্টেজ মামলা থেকে সংস্থাটি নিজেদের সরিয়ে নিল?
সিবিআইয়ের চার্জশিটেই বোঝা গিয়েছে, খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ তোলা 
হয়েছিল, তার সারবত্তা এখনও তারা খুঁজে পায়নি। তবে, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণ কলকাতা পুলিসের তদন্তকেই মান্যতা 
দিয়েছে সিবিআই। আর জি কর নিয়ে জনস্বার্থে করা মামলার এক আইনজীবীর কথায়, ‘সিবিআই 
৯০দিন ধরে তদন্ত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা কলকাতা পুলিসের তদন্তেই সিলমোহর দিয়েছে।’ সিবিআই এক এক করে ‘মাথা’দের 
ধরে জেলে ভরে দিলে এই তদন্তকারী সংস্থাই তাঁদের মতে হতো বিশ্বসেরা।
‘মিডিয়া ট্রায়ালে’র জেরে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কলকাতার বুকে গণআন্দোলনের চেহারা নিয়েছিল। প্রচার করা হয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির অনেক কিছুই নাকি অভয়া জেনে গিয়েছিলেন। তিনি সব ফাঁস করে দিতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরজন্য অভয়ার নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র’ বলে অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন। তাতেই বেড়েছিল আন্দোলনের তীব্রতা। চিকিৎসকরাও টানা ৪২দিন কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে চিকিৎসা না পেয়ে অকালমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাও মানুষ সব সহ্য করেছে।
তবে, আন্দোলন পর্বে একটি তথ্য মানুষকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। কী সেই তথ্য? সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেও জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ বেসরকারি হাসপাতালে ও নার্সিংহোমে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ৯ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দোলনরত ৫৬৩ জন সরকারি সিনিয়র রেসিডেন্ট নার্সিংহোমে গিয়ে অপারেশন করেছেন এবং রোগী দেখেছেন। সেই সময় কেবল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই সরকারের খরচ হয়েছিল ৫৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। 
আন্দোলনের জেরে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়লেও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মালিকরা ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন। কর্মবিরতির ৪২দিনে তাঁরা যে পরিমাণ রোজগার করেছেন তা বহু নার্সিংহোমে একবছরেও হয় না। তাই তাঁদের একাংশ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে খাবার পাঠিয়ে, অর্থ দিয়ে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। 
অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে মানুষ সমস্ত দুর্ভোগ মুখ বুজে মেনে নিয়েছিল। দাঁড়িয়েছিল আন্দোনলকারী চিকিৎসকদের পাশেই। কিন্তু সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পর মানুষ বুঝেছে, এই খুন কোনও পরিকল্পিত ঘটনার পরিণতি নয়, একজনের কুৎসিত পাশবিক লালসার শিকার। তাতে মানুষ এও বুঝেছে, সন্দেশখালির মতোই আর জি করের আন্দোলন ছিল বাংলাকে কালিমালিপ্ত ও হেয় করার ঘৃণ্য চক্রান্ত।
একথা মানতেই হবে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ সরকারি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। বহু মানুষ মারা যাচ্ছিলেন। এটা শুধু সরকারকে নয়, সমাজের বিশিষ্টজন থেকে বিচারপতি, প্রায় সকলকেই বিচলিত করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে কর্মবিরতি তোলার জন্য হাতজোড় করে মিনতি করেছিলেন। ব্যক্তিগত ইগো, মুখ্যমন্ত্রীর পদের গরিমা কোনও কিছুকেই তিনি আমল দেননি। তাঁর কাছে সাধারণ মানুষের স্বার্থই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার। 
গরিব সাধারণ মানুষের স্বার্থে চিকিৎসা পরিষেবাকে স্বাভাবিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নমনীয়তাকে আন্দোলনকারীরা ‘দুর্বলতা’ ভেবে ভুল করেছেন। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন, কর্মবিরতির অস্ত্রেই সরকারকে বারবার নতজানু করা যাবে। তাই মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরকার কড়া অবস্থান নিতেই ফের তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দেন। আর জি করে অভয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ড আবেগতাড়িত করেছিল গোটা দেশকে। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যালে মারা গিয়েছেন প্রসূতি। কাঠগড়ায় কয়েকজন চিকিৎসক। তাই দু’টোকে এক করে ফেললে ভুল হবে।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কথায় কথায় বলেন, তাঁরা মানুষের স্বার্থে লড়াই করছেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কর্মবিরতি করলে সাধারণ মানুষের কি উপকার হয়। উল্টে তারা চরম দুর্ভোগে পড়ে। অসুস্থদের হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে ছুটতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে অথবা নার্সিংহোমে। আসলে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ বাম আমলের ‘চলছে না, চলবে না’ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কিন্তু হাসপাতাল আর কারখানা তো এক নয়। তাই কথায় কথায় কর্মবিরতি কেন? 
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার সিআইডি তদন্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরও তদন্ত করেছে। তার উপর ভিত্তি করেই ১২জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারমধ্যে ছ’জন সিনিয়র ডাক্তারবাবুও আছেন। এমনকী হাসপাতালের সুপারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সকলে সহমত হবেন, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যেত। এর আগে সরকারের বহু সিদ্ধান্তই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রেও ভুল হলে সেটাই হতো। কিন্তু সে রাস্তায় না হেঁটে কেন কর্মবিরতির ডাক? তাও আবার মানুষের স্বার্থে?
কথায় কথায় কর্মবিরতির ডাক দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলাটা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন, চিকিৎসক ভুল করলেও কি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই কেন উঠবে ‘বদলা’ নেওয়ার অভিযোগ? তবে স্বস্তির কথা, জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্টের ডাকা কর্মবিরতিতে সাড়া দেননি অধিকাংশ চিকিৎসক। তাঁরাও কি বুঝতে পারছেন, আর জি করের প্রেক্ষিত আর মেদিনীপুর মেডিক্যালের ঘটনা এক নয়। তাই কি কর্মবিরতি করে সরকার ও সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলার চক্রান্তে তাঁরা জল ঢেলে দিলেন?
18th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
একনজরে
সরকারি একাধিক পরিবহণ নিগমকে এক ছাতার তলায় আনার ঘোষণাই সার। গত ১৩ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্ন কার্যত অধরাই থেকে গিয়েছে। ...

দল সাফল্য পেলে ক্যাপ্টেনের অনেক ভুলত্রুটি ধামাচাপা পড়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব সেরকমই ভাগ্যবান ক্যাপ্টেন। টি-২০ ফরম্যাটে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে টিম ...

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব যেভাবে চলছে তাতে দলের নিচুতলার কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। রবীন্দ্রভবনে দলের বর্ধিত সভায় বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে না ডাকার অভিযোগ দিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। ...

বহু প্রতীক্ষিত সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের কাজ শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল। শনিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়া এলাকায় ওই খাল খননের সময় দক্ষিণ পাড়ে ধস নামে। খালপাড়ে অবস্থিত কংক্রিটের টয়লেট, গাছপালা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা  কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু
১৮৩১: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশিত
১৮৩৫: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
১৮৬৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রাইয়ের জন্ম
১৮৮২: কলকাতা-বোম্বাই টেলিফোন (দুরালাপনি) চালু হয়। কলকাতার প্রথম এক্সচেন্জ সেন্ট্রাল এক্সচেন্জ উদ্বোধন করেন ই বারিং
১৮৯৮: ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ভগিনী নিবেদিতা
১৯১১: বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্তর জন্ম
১৯২৫: সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষের জন্ম
১৯২৫: বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী যশরাজের জন্ম
১৯৩৩: বলিউড অভিনেতা মনমোহনের জন্ম
১৯৩৭: সঙ্গীতশিল্পী সুমন কল্যাণপুরের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৫ টাকা ১০৯.৪৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৯ টাকা ৯২.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৩৩/২০ রাত্রি ৭/৩৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র ৬/৩৫ দিবা ৮/৫৯। সূর্যোদয় ৬/২১/৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭/৩১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/১। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২০ মধ্যে ও ৮/৫২ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ১/৫৬ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ২৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড

11:39:25 PM

তৃতীয় টি২০: ২ রানে আউট জুরেল, ভারত ১৪০/৯ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:24:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৭ রানে আউট সামি, ভারত ১৪০/৮ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:23:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৪০ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৩১/৭ (১৮.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৬ রানে আউট ওয়াশিংটন, ভারত ৮৫/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

09:48:00 PM

মুম্বইতে মাদকসহ পাকড়াও উগান্ডার ৩ নাগরিক

09:45:00 PM