Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের আড়াই হাজার টাকা। বার্ধক্যভাতাও প্রথমে ২৫০০ টাকা। সত্তর পেরলেই বেড়ে হবে তিন হাজার। দেওয়ালে পিঠ না ঠেকে গেলে হোলি আর দেওয়ালিতে বিনা পয়সায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হয়! 
দিল্লির বিধানসভা ভোটের আড়াই সপ্তাহ আগে ‘রেউড়ি’ রাজনীতির কট্টর সমালোচক মোদির দলের এমন কাছা খুলে উপুড়হস্ত হওয়ার কারণ কেজরিওয়ালের মোকাবিলায় তারা এবারও দিশাহারা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে আপের উপরই আস্থা রাখছে দিল্লির মানুষ। বিজেপির ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া যে কঠিন তা মানছেন নির্বাচনী পণ্ডিতরাও। ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় দস্তুর এটাই। ক্ষমতায় ফেরার জন্য দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আর উন্নয়নের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় প্রতিশ্রুতি আর উপঢৌকন।  ২০১৫ সালে আপের স্লোগান ছিল ‘বিজলি হাফ, পানি মাফ’। পরের বার অর্থাৎ কুড়ি সালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাসে মেয়েদের বিনা পয়সায় যাতায়াত, পাড়ায় পাড়ায় ক্লিনিক এবং সরকারি স্কুলের মানোন্নয়ন। এবার মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নকল করে মাসে মাসে মহিলাদের মাসোহারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। লোকসভায় গেরুয়া দলের পক্ষে সাতে সাত হলেও সেই পরিণাম উল্টে যায় বিধানসভায়। গত শুক্রবার আপের মোকাবিলায় বিজেপির রেউড়ি-সর্বস্ব নির্বাচনী ইস্তাহার একটা কথাই প্রমাণ করে কর্পোরেট বিপণন দুনিয়ার মতো ভোটেও ডোল আর ফ্রি-গিফ্টই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। একদা লোকপালের জন্য গলা ফাটানো নেতাও ভোট জেতার চেয়ে ভোট কিনতেই বেশি আগ্রহী। কেজরিওয়ালের সেই চালেই আপাতত মোদি মাত!
সেদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জেলে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিশোদিয়া। আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে চারিদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সকাল সন্ধে তল্লাশি। দলের মুখ কেজরিওয়াল ৪৫ কোটি টাকায় নিজের জন্য ‘শিসমহল’ বানিয়েছেন বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছেন প্রকাশ্যে। বাথরুমের কমোডেও বসেছে সোনার জল, চোখ ধাঁধানো বহুমূল্য পাথর, কোটি টাকার পর্দা, জাকুজি, সুইমিং পুল, সবমিলিয়ে পাঁচতারা বন্দোবস্ত! সরকারি অর্থের ব্যাপক নয়ছয়, স্বজনপোষণের অভিযোগ। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পর দিল্লিতেও কংগ্রেস আলাদা লড়ছে। তৃণমূল ও অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি আপকে সমর্থনও জানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই চড়া দাগের হিন্দুত্ব নিয়ে আসরে সঙ্ঘ। তবু বিজেপির দিল্লি জয়ের আশা এবারও দূরঅস্ত! মোদিজি বেশ বুঝতে পারছেন, লোকসভা ভোটে দু’হাত ভরে সমর্থন দিলেও দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিহাস গড়ে তিনি তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেজরিওয়াল বাহিনীর হ্যাটট্রিক পাকা। ঠিক যেন মোদিজির সাফল্যকে সোচ্চারে দুয়ো দিতে তৎপর দিল্লিবাসী। লোকসভা ও বিধানসভায় দিল্লির ভোটারদের এই দু’রকম চরিত্র নিঃসন্দেহে নির্বাচনী পণ্ডিতদের গবেষণার বিষয়। কিন্তু খালি চোখে কারণ একটাই, দশ বছরেও দিল্লিতে নেতা (পড়ুন, মুখ) তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা বিজেপির। 
গেরুয়া শিবির যতই বলুক এই সময়টা এক ঐতিহাসিক কালখণ্ড। বাস্তবে প্রদীপের তলাতেই নিকষ অন্ধকার বাসা বাঁধে। ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪, যদি বলি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরও বিশ্বগুরু থেকে সাধারণ মানুষ হতে চাওয়া নরেন্দ্র মোদির জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কী? বিগত লোকসভা ভোটে বারবার চারশো আসন জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে মাত্র ২৪০ আসনে মুখ থুবড়ে পড়া! নাকি দলের ভরা বসন্তেও দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বারবার ব্যর্থ হওয়ার অশ্রুভরা কিস্‌স্যা? তামিলনাড়ু ও কেরল চষেও পায়ের তলার শক্ত মাটির সন্ধান না পাওয়া? শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় কোনওকালেই গেরুয়া রাজনীতির তেমন কদর ছিল না। আজও নেই। ছাব্বিশেও হবে এমন ইঙ্গিত নেই। কারণ কোনও মুখই নেই, সব মুখোশ! তার উপর ১৫ আগস্ট নয়, ২২ জানুয়ারি নাকি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস, নাগপুরের তিলক-কাটাদের এই সঙ্কীর্ণ হিন্দুত্ব তত্ত্ব এবং নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার অপচেষ্টা বাংলার মানুষ সদর্পে প্রত্যাখ্যান করছে। ভবিষ্যতেও করবে। হিন্দু-মুসলিম আদায় কাঁচকলার সম্পর্ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল, এই বঙ্গে নৈব নৈব চ। সেই হিসেবে বিজেপি এখনও এই বাংলায় ষোলোআনা বহিরাগত দল। ওদের ভিনদেশি সংস্কৃতিটাই গড় বাঙালির চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। সেই কারণেই মেরুকরণের গনগনে আঁচে সেঁকেও ভোটবাক্সে ঢেউ তোলাও হয় না। 
বাংলার কথা থাক। কিন্তু খোদ রাজধানী দিল্লিতে? সেখানেও সংগঠন ধরে রাখার মতো ব্যক্তিত্ব কোথায়? মদনলাল খুরানা, সাহিব সিং ভার্মা এবং সুষমা স্বরাজের পর আজও কোনও নতুন মুখ খুঁজে পেল না গেরুয়া শিবির। আসন্ন ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটেও দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও নাম প্রজেক্ট করতে তারা ব্যর্থ। যেমন বাংলায় মমতার সঙ্গে ধারেভারে এঁটে উঠতে পারার মতো কেউ নেই। যেমন তামিলনাড়ুতে এখনও স্ট্যালিনই রাজ্যের মুখ। আর যে রাজ্যে মুখ নেই সেখানে মোদি-অমিত শাহের কারিকুরিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনকে জেলে পুরে, দল ভেঙেও গেরুয়া রাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কখনও বন্ধুত্ব কখনও শত্রুতার রকমারি গোল্লাছুট চলতেই থাকে। বিচ্ছেদ আর হানিমুনের টানাপোড়েনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ অধরাই থেকে যায়। দল ভাঙানো সহজ কিন্তু মুখ তৈরি করা ততটাই কঠিন।
আম আদমি পার্টি দিল্লিতে দীর্ঘ দশ বছর ক্ষমতায়। তার আগে ছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। দিল্লিতে সোনিয়ার দলের শেষ হেভিওয়েট নেত্রী। স্বভাবতই এবার চড়া অ্যান্টি ইনকামবেন্সির মোকাবিলা করতে হচ্ছে আপকে। তার উপর শেষ প্রহরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে কমবয়সি আতিশীর উপর। তাঁকে অশালীন আক্রমণ করে কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন কালকাজির বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরি। একবার বলা হচ্ছিল স্মৃতি ইরানিকে এই লড়াইয়ে সামনে আনবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণ দিল্লির জনসংখ্যার ৮১ শতাংশই হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য উঁকি মেরে পালিয়ে যায়। মুসলিম মাত্র ১৩ শতাংশ। শিখ ৪ শতাংশের মতো। তবু দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বিগত সাতাশ বছরের শাপমুক্তি এবারও কঠিন। বাজপেয়ি জমানা শেষ হওয়ার অনেক আগেই দিল্লি চলে যায় কংগ্রেসের দখলে। ১৯৯৮ সালে। তারপর উপর্যুপ঩রি কংগ্রেস ও আপ জমানা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন কিছু কমলেও এবারও দিল্লি থাকবে কেজরিওয়াল বাহিনীরই হাতে। সত্তরটি আসনের মধ্যে ৬৭ (২০১৫ সাল) কিংবা ৬২ (২০২০ সাল) আসন না হলেও এবারও ৫৫ থেকে ৬০ আসনে জয় পাকা কেজরিওয়াল বাহিনীর।
মহারাষ্ট্র ভোটের পর থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভাঙছে। কংগ্রেস, আপ এবং এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী, একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। দিল্লির ভোটের পর তা ছত্রখান হয়ে যাবে। পরের বছর অর্থাৎ ছাব্বিশে বাংলার লড়াই। লড়াই তামিলনাড়ু ও কেরলে এর কোনওটিতেই বিজেপি তেমন কোনও ফ্যাক্টর নয়। বাংলায় জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মুসলিম। নরেন্দ্র মোদির অতিবড় সমর্থকও বিশ্বাস করেন না যে তামিলনাড়ু কিংবা কেরলে অচিরেই দলের পায়ের তলার মাটি শক্ত হবে, বঙ্গ দখল সম্ভব হবে। ক্ষমতা দখল না হোক, অন্তত বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটবে এটুকু সম্ভাবনা নিয়েই আপাতত নাড়াচাড়া। কারণ যে সততার বড়াই করে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে এসেছিল আন্না হাজারেকে সামনে রেখে সেই দুর্নীতির অভিযোগ আজ উল্টে কেজরিওয়াল বাহিনীর দিকেই নিবদ্ধ। জেল খেটেছেন কেজরিওয়াল থেকে সিশোদিয়া। সঞ্জয় সিং থেকে সত্যেন্দ্র যাদব। প্রথমে মাত্র ৪৯ দিনের জন্য কেজরিওয়ালজি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সমর্থনে। তারপর দু’টো ফুল টার্মের সরকার চালাতে আর কারও সাহায্যের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু একদিন যে লোকপালের দাবিতে রাস্তায় নেমে কেজরিওয়ালরা আন্দোলন করেছিলেন তার কী হল। লোকপাল আইন পাশ হয়েছে প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের আমলে। কেউ বলতে পারবেন গত এক দশকে কারা লোকপাল হয়েছেন এবং ক’টা দুর্নীতির ফয়সালা হয়েছে, কিংবা কেজরিওয়ালের আবগারি দুর্নীতি নিয়েই-বা বর্তমান লোকপালের বক্তব্য কী? নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ক্ষমতা দখলের জন্যই! গদিতে বসলে সেই মুহূর্ত থেকেই বদলে যায় হিসেব। নেতানেত্রীদের অগ্রাধিকার—যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ভোগ। ডান-বাম  কেউ এই হিসেবে ভুল করেন না।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ফলে কে জিতবে, তা প্রায় জানা। কিন্তু এক্সিট পোলের পণ্ডিতরা এবারও ব্যর্থ হন কি না নজর থাকবে সেই দিকেও। কারণ ভোটের এক সপ্তাহ আগেই সাধারণ বাজেট। যদি আয়করে বড় ছাড়ের ঘোষণা হয়, মধ্যবিত্ত ঢালাও উপঢৌকন পান, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফলে কিছু প্রভাব পড়তেও পারে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ আপের জাদু এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে এমন ইঙ্গিত কিন্তু নেই। বঙ্গ বিজয়ের মতো দিল্লি দখলও তাই আপাতত দূরঅস্ত!
19th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
একনজরে
তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘জেলবন্দি’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পিজি থেকে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। তাঁর কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী এই ...

বহু প্রতীক্ষিত সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের কাজ শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল। শনিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়া এলাকায় ওই খাল খননের সময় দক্ষিণ পাড়ে ধস নামে। খালপাড়ে অবস্থিত কংক্রিটের টয়লেট, গাছপালা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। ...

শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা। বিমানে নেই জলের ব্যবস্থা। চলছিল না এসি। শুক্রবার এই অবস্থাতেই আমেরিকা থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হল ব্রাজিলীয় অনুপ্রবেশকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্মম ব্যবহারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ...

বাঁদরের ধাক্কায় ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির ছাত্রীর। বিহারের সিওয়ান জেলার ঘটনা। মৃত কিশোরীর নাম প্রিয়া কুমারী।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা  কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু
১৮৩১: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশিত
১৮৩৫: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
১৮৬৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রাইয়ের জন্ম
১৮৮২: কলকাতা-বোম্বাই টেলিফোন (দুরালাপনি) চালু হয়। কলকাতার প্রথম এক্সচেন্জ সেন্ট্রাল এক্সচেন্জ উদ্বোধন করেন ই বারিং
১৮৯৮: ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ভগিনী নিবেদিতা
১৯১১: বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্তর জন্ম
১৯২৫: সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষের জন্ম
১৯২৫: বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী যশরাজের জন্ম
১৯৩৩: বলিউড অভিনেতা মনমোহনের জন্ম
১৯৩৭: সঙ্গীতশিল্পী সুমন কল্যাণপুরের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৫ টাকা ১০৯.৪৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৯ টাকা ৯২.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৩৩/২০ রাত্রি ৭/৩৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র ৬/৩৫ দিবা ৮/৫৯। সূর্যোদয় ৬/২১/৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭/৩১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/১। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২০ মধ্যে ও ৮/৫২ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ১/৫৬ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ২৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড

11:39:25 PM

তৃতীয় টি২০: ২ রানে আউট জুরেল, ভারত ১৪০/৯ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:24:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৭ রানে আউট সামি, ভারত ১৪০/৮ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:23:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৪০ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৩১/৭ (১৮.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৬ রানে আউট ওয়াশিংটন, ভারত ৮৫/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

09:48:00 PM

মুম্বইতে মাদকসহ পাকড়াও উগান্ডার ৩ নাগরিক

09:45:00 PM