Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে। যা বিস্ময়কর এবং অকল্পনীয় ছিল কয়েক বছর আগেও। কিন্তু ভারতবাসীর চোখের সামনে অতি দক্ষিণপন্থী, উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতিকে আপাত নিরীহ একটি ফ্যাক্টর পরাস্ত করে দেওয়ার প্রবল আভাস দেখাতে শুরু করেছে। কী সেই ফ্যাক্টর? আর্থিক অনুদান। কোথাও তার নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কন্যাশ্রী। কোথাও নাম লাডলি লক্ষ্মী যোজনা। কোনও রাজ্যে বলা হয় মাঈয়া সম্মান যোজনা। কেউ বা বলে থাকে লাডলি বহেনা প্রকল্প।  আর তার বাস যাত্রা ফ্রি। কোথাও বলা হচ্ছে ফ্রি বিদ্যুৎ। ফ্রি ল্যাপটপ।  রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফ্রি কিংবা অধের্ক দামে। বেকার ভাতা। বয়স্ক ভাতা। চাকরি না পেলে স্টাইপেন্ড। ২০২৫ সালের শুরুতেই দিল্লির ভোট এসে চোখে আঙুল দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাচ্ছে যে, ভারতীয় রাজনীতিতে ফের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বামপন্থা, দক্ষিণপন্থা, সোশ্যালিজম, কমিউনিজম, জাতিসত্তা এবং ধর্মীয় মেরুকরণ, তাবৎ নীতি আদর্শকে হারিয়ে দিয়ে রমরম করে রাজ্যে রাজ্যে অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাচ্ছে এখন একটিই আদর্শ। পপুলিজম! অর্থাৎ মানুষকে সরাসরি আর্থিক অনুদানসহ নানাবিধ প্রত্যক্ষ সুযোগ সুবিধা প্রদান। এই প্রতিশ্রুতির সামনে হিন্দুরাষ্ট্র অথবা কাস্ট সেন্সাস সব ইস্যু ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং ২০২৫ সালে ভারতকে নতুন দিশায় চালিত করছে একমাত্র পপুলিজম। যে দল যত বেশি অর্থ ও পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিষ্ঠা দিতে পারছে, তাদেরই মানুষ ভোট দিচ্ছে। জয় পরাজয়ের নির্ণায়ক আর বামপন্থা, দক্ষিণপন্থা, জাতীয়তাবাদ কিংবা হিন্দু মুসলিম হচ্ছে না। হঠাৎ করে সব দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব ছাপিয়ে জনতার ব্যাঙ্কে ডাইরেক্ট ক্যাশ ট্র্যান্সফার এবং জীবনের নানাবিধ পরিষেবা ফ্রিতে প্রদান করার ঝুলি নিয়ে। কাজ হচ্ছে হাতে হাতে। 
বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের হিন্দুত্ব প্রজেক্ট ভোটে জেতার ক্ষেত্রে আচমকা বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে। কোনও রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে না যে, বিজেপি এই আর্থিক খয়রাতির সামনে নিজেকে শক্ত করে ধরে রেখে হিন্দুত্বকেই একমাত্র প্রচার এবং ভোটের ইস্যুতে কায়েম থাকতে সমর্থ হয়েছে কিংবা হচ্ছে। পারছে না বিজেপি। বরং আত্মসমর্পণ করছে এই ফ্রি অনুদান দেওয়ার নীতির কাছে। হওয়ার কথা ছিল বিরোধীরা যদি আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের ময়দানে নামে, তাহলে বিজেপি ততোধিক উচ্চগ্রামে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরেই ধর্মের ভিত্তিতে ভোটের রাজনীতি করবে। কিন্তু কই! সেটা তো হচ্ছে না! মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারকে ভোটের কয়েক মাস আগে ১৫০০ টাকার আর্থিক অনুদান চালু করতে হয়েছে। ঝাড়খণ্ড গরিব রাজ্য। সেখানে বিজেপি এক্সপেরিমেন্ট করেছে। হিন্দুত্বকেই চড়া সুরে প্রচারে ব্যবহার করেছে। কিন্তু হেমন্ত সোরেন তাঁর আর্থিক অনুদানের প্রকল্পকেই জোর দিয়েছেন। এবং বিজেপি পরাস্ত হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। অর্থাৎ হেমন্ত সোরেনের মাঈয়া সম্মান যোজনার কাছে হেরে গিয়েছে বিজেপির হিন্দুত্ব। আর তারপরই দেখা যাচ্ছে বিজেপি হিন্দুত্বকে ব্যাকসিটে পাঠিয়ে দিয়েছে। অতএব ঝাড়খণ্ডের তুলনায় অনেক ধনী রাজ্য দেশের রাজধানী দিল্লির আসন্ন ভোটেও আম আদমি পার্টির দেখানো পথেই হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়পক্ষই। কেজরিওয়াল বলেছেন মহিলা সম্মান যোজনায় তিনি ক্ষমতায় এসে ২১০০ টাকা করে দেবেন মহিলাদের। কংগ্রেস ও বিজেপি নিলাম ডাকার মতো করে বলেছে, আমরা সরকারে এসে ২৫০০ টাকা করে দেব।  এরকম ফ্রি পরিষেবা এবং সরাসরি আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তাঁর বিরোধিতা ভেসে গিয়ে এখন বিজেপিও এই স্রোতে গা ভাসাতে বাধ্য হয়েছে। অর্থাৎ প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে বিজেপির একান্ত নিজস্ব হিন্দুত্ব এজেন্ডাও পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছে এই নতুন পপুলিজমের রাজনীতিতে।
প্রবল লড়াই শুরু হয়েছে। সকলের চোখের সামনে। অথচ আসলে যেন আড়ালে। একদিকে মনে হচ্ছে ভারত নামক দেশে হিন্দুরাষ্ট্র নামক একটি প্রজেক্ট চলছে। উত্তরাখণ্ডের ন্যায়াসু নামক একটি গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল একটি ঘোষণা। ক্রমেই সেই ঘোষণা ছড়িয়েছে অন্য গ্রামে। গ্রামের প্রবেশদ্বারে একটি  বোর্ড লাগিয়ে বলা হয়েছে হিন্দু ছাড়া এই গ্রামে কেউ যেন না প্রবেশ করে। এই একই বোর্ড একে একে রুদ্রপ্রয়াগ জেলার অন্য গ্রামেও লাগানো হয়েছে। গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় বহু গ্রামের প্রবেশপথে লেখা রয়েছে হিন্দুরাষ্ট্রে আপনাকে স্বাগত জানাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক মসজিদের নীচে মন্দির আছে বলে রাজ্যে রাজ্যে চলছে প্রবল উত্তেজনা। হিন্দুত্বের আগ্রাসী প্রচার। রাজনীতির সাম্প্রতিক চলন প্রত্যক্ষ করে ধরেই নেওয়া হয়েছে যে, বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার বাকি রাজনৈতিক দলগুলিকে হারিয়ে দিয়েছে নীতি ও আদর্শে। কারণ,  বামপন্থা পিছিয়ে পড়েছে আগেই। জওহরলাল নেহরুর সমাজতন্ত্র ঘেঁষা অর্থনীতি কিংবা রাজনীতিও ক্রমেই হয়ে গিয়েছিল অতীত। নয়ের দশকে এসেছিল আইডেন্টিটি পলিটিক্স। অর্থাৎ জাতপাতের আইডেন্টিটি রাজনীতির হাত ধরে একে একে আবির্ভূত হয়েছিল নানাবিধ নতুন আঞ্চলিক দল। বিশেষ করে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে। অর্থাৎ হিন্দি হার্টল্যান্ডে। গোটা নয়ের দশক ধরেই চলেছিল যুযুধান দুই ধারা। একদিকে জাতপাতের আঞ্চলিক পলিটিক্স শক্তিশালী হয়েছে। আবার অন্যদিকে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর আগ্রাসীভাবে অগ্রসর হয়েছে ধর্মের রাজনীতি। সোজা কথায় হিন্দুত্ব পলিটিক্স। সুফলও পেয়েছে সেই রাজনীতি। বহু বছর ধরে চেষ্টা করার পর অবশেষে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতাসীন হয় বিজেপি জোটের সরকার। টিকে যায় পাঁচ বছর। এই গোটা পর্বে সবথেকে ক্ষতি হয়েছে কংগ্রেসের। তাদের ভোটব্যাঙ্ক চারদিক থেকে লুট হয়ে গিয়েছে। দলিত ভোট ছিনতাই করেছেন কাঁসিরাম, মায়াবতী। যাদব ভোট ছিনিয়ে নিয়েছেন মুলায়ম সিং যাদব, লালু প্রসাদ যাদবরা। উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোট বিজেপির কাছে। মুসলিম ভোটেও যাদব কুলপতিরা ভাগ বসিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে কোনও নির্দিষ্ট ভোটব্যাঙ্ক আর অবশিষ্ট ছিল না। 
এভাবেই আগমন নরেন্দ্র মোদির। ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপির জনপ্রিয়তা এবং হিন্দুত্ব রাজনীতির আকাশছোঁয়া অগ্রগমন ঘটেছে। যখন মনে করা হচ্ছিল মোদি অপ্রতিরোধ্য। ঠিক তখনই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মোদি ধাক্কা খেলেন। যে বছর রামমন্দির উদ্বোধন হল, ঠিক কয়েকমাসের মধ্যেই বিজেপির জয়যাত্রা থমকে গেল। হয়তো সেটাই ছিল পূর্বাভাস। অর্থাৎ বিজেপির শীর্ষস্তর ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। 
প্রতি ২৫ বছর অন্তর পাল্টে যাচ্ছে ভারত। ১৯৫০ সালে ভারত নিজস্ব সংবিধান গ্রহণ করেছিল। অগ্রসর হয়েছিল এক নতুন ভারত নির্মাণের পথে।  যার চালিকাশক্তি এবং প্রধান শক্তি ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু ঠিক ২৫ বছর পর সেই ভারতে সবথেকে বড় আঘাত এসেছিল গণতন্ত্রেই। সংবিধান সংশোধন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় ১৯৭৫ সালে। তার আবার ২৫ বছরের মাথায় ১৯৯৮-৯৯ সালে হিন্দুত্ব রাজনীতি প্রথম সিংহাসন দখল করে বুঝিয়ে দিল যে, এবার কংগ্রেসের আকার আয়তন কমবে। বাড়বে বিজেপি। তাই হল। কিন্তু আবার ম্যাজিক ভারতীয় গণতন্ত্রের। কারণ আবার ২৫ বছর পর ২০২৫ সালে এসে দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব রাজনীতির প্রোপাগান্ডা পলিটিক্স আচমকা ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু কোনও বিকল্প রাজনীতির কাছে নয়। পপুলিস্ট পলিটিক্সের কাছে। অর্থাৎ এখন আর কোনও দলকে নির্দিষ্ট কোনও ইজমের হওয়ার দরকার নেই। কোনও দলের পৃথক কোনও অস্তিত্ব আর দেখা যাচ্ছে না। সকলেই ভোটে জেতার জন্য একটিই অস্ত্র হাতে নিচ্ছে। বেশি বেশি আর্থিক অনুদান ও নানারকম ফ্রি পরিষেবা। এসবের মধ্যে বিজেপি হিন্দুত্বকেও মিশিয়ে দিচ্ছে বটে, কিন্তু তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে হিন্দুত্ব যথেষ্ট নয় আর। যথেষ্ট হলে তো অন্যদের নকল করে এইসব ফ্রি সার্ভিস কিংবা টাকা দেওয়ার প্রকল্প  বিজেপিকেও নিতে হতো না!  সোশ্যালিজম, কমিউনিজম, কাস্ট পলিটিক্স এবং ধর্মীয় মেরুকরণ ক্রমেই পিছনের সারিতে। ভারতের নতুন রাজনীতির নাম ডিবিটি। ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার! 
24th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
একনজরে
বহু প্রতীক্ষিত সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের কাজ শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল। শনিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়া এলাকায় ওই খাল খননের সময় দক্ষিণ পাড়ে ধস নামে। খালপাড়ে অবস্থিত কংক্রিটের টয়লেট, গাছপালা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। ...

শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা। বিমানে নেই জলের ব্যবস্থা। চলছিল না এসি। শুক্রবার এই অবস্থাতেই আমেরিকা থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হল ব্রাজিলীয় অনুপ্রবেশকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্মম ব্যবহারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ...

তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘জেলবন্দি’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পিজি থেকে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। তাঁর কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী এই ...

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব যেভাবে চলছে তাতে দলের নিচুতলার কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। রবীন্দ্রভবনে দলের বর্ধিত সভায় বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে না ডাকার অভিযোগ দিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা  কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু
১৮৩১: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশিত
১৮৩৫: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
১৮৬৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রাইয়ের জন্ম
১৮৮২: কলকাতা-বোম্বাই টেলিফোন (দুরালাপনি) চালু হয়। কলকাতার প্রথম এক্সচেন্জ সেন্ট্রাল এক্সচেন্জ উদ্বোধন করেন ই বারিং
১৮৯৮: ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ভগিনী নিবেদিতা
১৯১১: বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্তর জন্ম
১৯২৫: সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষের জন্ম
১৯২৫: বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী যশরাজের জন্ম
১৯৩৩: বলিউড অভিনেতা মনমোহনের জন্ম
১৯৩৭: সঙ্গীতশিল্পী সুমন কল্যাণপুরের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৫ টাকা ১০৯.৪৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৯ টাকা ৯২.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৩৩/২০ রাত্রি ৭/৩৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র ৬/৩৫ দিবা ৮/৫৯। সূর্যোদয় ৬/২১/৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭/৩১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/১। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২০ মধ্যে ও ৮/৫২ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ১/৫৬ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ২৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড

11:39:25 PM

তৃতীয় টি২০: ২ রানে আউট জুরেল, ভারত ১৪০/৯ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:24:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৭ রানে আউট সামি, ভারত ১৪০/৮ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:23:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৪০ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৩১/৭ (১৮.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৬ রানে আউট ওয়াশিংটন, ভারত ৮৫/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

09:48:00 PM

মুম্বইতে মাদকসহ পাকড়াও উগান্ডার ৩ নাগরিক

09:45:00 PM