Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। তাই গঙ্গার মতো নদী ‘দুর্লভা’ গণ্য যে স্থানগুলিতে, সেইসব জায়গার প্রতিই যে পুণ্যলোভী নরনারী সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ অনুভব করবে তাতে সংশয় কী! বিশ্বাসী মানুষের ভক্তিভাবই এমন বহু স্থানকে তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করেছে। অবস্থানগত কারণে গঙ্গাসাগরের চেয়ে দুর্গম তীর্থ আর নেই। প্রাচীনকালে গঙ্গাসাগর তীর্থের দুর্গমতা প্রবাদে ঠাঁই পেয়েছে—‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার’! 
এমন প্রবাদের ভিত্তি এটাই যে, বহু বাধা বিপত্তি এবং দীর্ঘ উত্তাল নদীপথ পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে কোনোক্রমে পৌঁছনো গেলেও সেখান থেকে ঘরে ফেরার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রকৃতির বিরূপতার সঙ্গী জলদস্যু এবং হাঙর, কুমিরের মতো ভয়ানক জলজ প্রাণীরাও। এরপর সুন্দরবনের উপকণ্ঠে সাগরদ্বীপে বিষধর সাপ এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলাও অসম্ভব নয়। তবুও মানুষ যুগ যুগ ধরে সাগরসঙ্গমে যোগীশ্রেষ্ঠ কপিলমুনির আশ্রম অব্দি পৌঁছনোর টান অনুভব করে এসেছে। এই প্রসঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় প্রকাশিত (২১ জানুয়ারি, ১৮৫৩) একটি খবর পড়ে দেখা যেতে পারে, ‘‘সাগর হইতে কোন প্রত্যাগত ব্যক্তির দ্বারা অবগত হইলাম যে অন্যান্য বৎসর মকর-সংক্রান্তির মেলায় তথায় যেরূপ সমারোহ হইত এবার তদ্রূপই হইয়াছে। আমাদিগের টোন মেজর সাহেব চারিটি তোপ ও একদল সৈন্য সহিত তথায় উপস্থিত হইয়া অবিশ্রান্তরূপে তোপধ্বনি করাতে ব্যাঘ্রের ভয় বড় দৃষ্ট হয় নাই। কেবল তিনজন নাবিক বনমধ্যে কাষ্ঠ কাঁটিতে গিয়া উক্ত জন্তুর দ্বারা হত হইয়াছে। এবারে সংক্রান্তির সময়ে গগনমণ্ডল নীরদজালে আবৃত থাকাতে শীত অধিক হয় নাই। দোকানদারগণ বিস্তর গিয়াছিল, ডাব-নারিকেল পয়সায় দুইটি করিয়া বিক্রয় হইয়াছে। সাগরেরও দুই ব্যক্তি পরস্ব-অপহরণ অপরাধে ধৃত হইয়া মিলিটারী কারাগারে বদ্ধ হইয়াছে। ৫০ জন গঙ্গাসাগরযাত্রী বাঘের উদরস্থ হইয়াছে এবং নৌকাডুবিতে অনেকের প্রাণনাশ হইয়াছে।” 
অশোকচন্দ্র মিত্রের পশ্চিমবঙ্গের ‘মেলা ও উৎসব’ গ্রন্থে (১৯৫১ সালে লেখা) ১৫১৯টি মেলার বর্ণনা পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৩৩টিকে তিনি পৌষসক্রান্তির মেলা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলা বাহুল্য, বাংলার বৃহত্তম পৌষসংক্রান্তির মেলার নাম গঙ্গাসাগর মেলা। 
পুরাণের কাহিনি বাদেও এই মেলার প্রাচীনত্ব প্রশ্নাতীত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেবতার গ্রাস’ শীর্ষক কবিতায় এই মেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। এমনকী এর উল্লেখ রয়েছে মহাকবি কালিদাসের রচনাতেও। প্রাচীন সমাজে এই তীর্থকে ঘিরে যে ভয়াবহ কুসংস্কার ছিল তা মর্মান্তিক। পুণ্যলাভের আশায় কোনও কোনও দম্পতি সাগরে তাদের শিশুসন্তানকে বিসর্জন অথবা নিজেরাই আত্মাহুতি দিত। ১৮০২ সালে ইংরেজ শাসক লর্ড ওয়েলেসলি আইন করে এই কুপ্রথা বন্ধ করতে সফল হন। কিন্তু সাগরসঙ্গমে স্নান-তর্পণ এবং কপিলমুনি, সগর, গঙ্গা ও ভগীরথ বিগ্রহ দর্শন এবং অর্ঘ্য অঞ্জলি দেওয়ার আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে অবিকল। ভাগীরথী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে তারই মুখে সাগরদ্বীপ। বস্তুত সেটা সাগরের মাথায় যেন মাটির মুকুট! গঙ্গার বদ্বীপগুলির মধ্যে এটাই বৃহত্তম। এর অবস্থানগত গুরুত্ব অপরিসীম। 
এর পূর্বদিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা এবং পশ্চিমে ভাগীরথী। ভাগীরথীর নৌপথে সহজেই কলকাতায় পৌঁছানো যায়। ফিরিঙ্গি আমলে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দর থেকে বড় বড় জাহাজ বঙ্গদেশে প্রবেশের আগে এই সাগরদ্বীপে নোঙ্গর করত। পণ্যবাহী নৌকা বা বজরা নিয়ে ঢুকতে হতো ভিতরে। সমুদ্রের দিক নির্ণয় করা কঠিন ছিল, তাই সাগরদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ‘লাইট হাউস’ তৈরি করা হয়। ইংরেজরা দাবি করে, এই দ্বীপে বনজঙ্গল কেটে চাষাবাদ এবং জনবসতির পত্তন তাদেরই হাতে। হাল আমলের নথিপত্র তেমনই সাক্ষ্য দেয় বটে কিন্তু তাদের এই দাবি অর্ধসত্য। কারণ পরবর্তীকালে এই অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার অসংখ্য নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। সেই ইতিহাস আলোচনার পরিসর অবশ্য এটা নয়। 
পলাশির যুদ্ধজয়ের পর ইংরেজরা এদেশে পাকাপাকিভাবে ঘাঁটি গেড়ে বসে এবং তখন থেকেই সাগরদ্বীপসহ সুন্দরবন অঞ্চল নিয়ে একটি অর্থকরী ভাবনা এগিয়ে চলে। আর সেই সূত্রেই গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের ব্যবস্থা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গঙ্গাসাগর মেলার দখলদারি নিয়ে শুরু হয় বিবাদ-বিসম্বাদ। প্রাকৃতিক কারণে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটেছে বহুবার। প্রকৃতির রোষের শিকার গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরও। মন্দিরের স্থান পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক অতীতেই একাধিকবার। ১৮৬২ সালে উইলসন সাহেবের লেখা এক প্রবন্ধে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির সম্পর্কে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়: মন্দিরের সামনে ছিল একটি বটগাছ। নীচে থাকত রাম ও হনুমানের মূর্তি। পুণ্যার্থীরা মন্দিরের গায়ে তাঁদের নামধাম লিখে রাখতেন। মহর্ষির কাছে হাজারো প্রার্থনা লিখতেন তাঁরা খড়ি দিয়ে। কেউ কেউ বটের ডালে ইটপাথরের টুকরো ঝুলিয়ে দিতেন। মন্দিরের পিছনে অবস্থিত সীতাকুণ্ড সবসময় ভরা থাকত টাটকা জলে। পুণ্যার্থীরা গণ্ডূষ করে ওই জল পান করতেন। এজন্য পূজারিকে পয়সা দিতে হতো।
বলা বাহুল্য, গঙ্গাসাগরের এই ছবি বহুকাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে। তবু কৌলীন্য হারায়নি গঙ্গাসাগর মেলা। একসময় তো মেলা চলত একমাস যাবৎ—ডিসেম্বরে মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি, অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত। যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ থাকা সত্ত্বেও মানুষ ছুটে যেত। কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাট, আউটরাম ঘাট থেকে ছাড়ত যাত্রীবোঝাই স্টিমার। স্টিমারের দু’দিকে দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকত অনেকগুলি গাদাবোট ও নৌকা। বাঁশের কাঠামোর উপর কোনোরকমে তৈরি করা হতো ছাউনি। যাত্রীরা তার ভিতরে গাদাগাদি করে বসতেন, শুতেনও। মাঝি, সারেঙ্গাগুলোও থাকত আনাড়ি। ফলে দুর্ঘটনার অন্ত ছিল না। ওইভাবেই স্টিমার ও নৌকাগুলো একসময় মেলার কাছে গিয়ে ভিড়ত। সে এক অদ্ভুত শোভা—ফুলমালা, রঙিন কাপড় ও কাগজের শিকল দিয়ে সাজানো হতো পালতোলা নৌকা, মোটরলঞ্চ, স্টিমার প্রভৃতি। সেগুলি দুলত ঢেউয়ের তালে তালে। দূর থেকে দেখা যেত বহু রঙের নিশান সাঁটা জলযানগুলিকে। 
এই সম্পর্কে একটি প্রাচীন পত্রিকায় বর্ণনা পাওয়া যায়, “বর্তমান বৎসরের গত ডিসেম্বর মাসের শেষে উক্ত তীর্থ মেলারম্ভ হইয়া ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল। ওই যাত্রাতে যত পিনিস ও ভাউলিয়া ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাড় একত্র হইয়াছিল তৎসংখ্যা ন্যূন নহে এমত অনুমান হইয়াছে। এবং ভারতবর্ষের অতিদূর দেশ অর্থাৎ লাহোর দিল্লী অযোধ্যা ও শ্রীরামপটন ও বোম্বাই হইতে যে বহুতর যাত্রী সমাগত হইয়াছিল সংখ্যা ৫ লক্ষের ন্যূন নহে এবং এই তীর্থযাত্রাতে ব্রহ্মদেশ হইতেও অধিক লোক আসিয়াছিল।” 
গঙ্গাসাগর মেলার ছবি প্রতিবছর বদলে যাচ্ছে। প্রয়াগতীর্থ, হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী প্রভৃতি কুম্ভমেলার সঙ্গে এর সাদৃশ্য নিবিড় হচ্ছে ক্রমে। ভারতের কোনও মেলা বা উৎসবকেই আর নিছক ধর্মের গণ্ডিতে বেঁধে রাখার অবকাশ নেই। বহু মানুষ সমাগমের প্রতিটি ক্ষেত্রই আজ অর্থকরী বা বাণিজ্যিক ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেখানে কুম্ভমেলা থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও প্রভেদ নেই। যেমন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) এবং কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের ইউপি শাখার তরফে এক সমীক্ষা রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে যে, এবারের প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। এর কারণ হিসেবে যোগী সরকারের দাবি, পূর্ণকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষের সমাগম হচ্ছে এবং মেলাটাই চেহারা নিচ্ছে এক মহানগরের। 
পুরাণ থেকে ইতিহাসের সড়ক ধরে আধুনিকতাকে ছুঁয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। তাই বাণিজ্যিক সম্ভাবনার প্রশ্নে গঙ্গাসাগর মেলা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। তার সামনে মূল বাধা এখনও যাতায়াত। সড়ক, রেল, আকাশ তিনদিক থেকেই প্রয়াগ সংযুক্ত। ফলে পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ পর্যটক—যে কেউ সেখানে মন করলেই পৌঁছে যেতে পারেন। গঙ্গাসাগর যাত্রা অনেকটাই সহজ এখন, তবুও কুম্ভমেলার তুলনায় দুর্গম। মুড়িগঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে সাগরদ্বীপ বাংলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জুড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার কথা দিয়েও ব্রিজটি তৈরি করেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মতো রাজ্য সরকারই দেড় হাজার কোটি টাকায় ওই ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে। আকাশপথেও গঙ্গাসাগরের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি কাম্য। গঙ্গাসাগরের ‘জাতীয় মেলা’র স্বীকৃতি এবং পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় অনুদান প্রাপ্য। বাংলা এই প্রশ্নেও দিল্লির পক্ষপাতিত্বের শিকার। মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও মোদি সরকার মজে আছে কেবল কুম্ভমেলা নিয়ে। গ‍ঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি আদায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বহুদূর পর্যন্ত যাবেন এবার দিয়ে রেখেছেন সেই বার্তাও। দ্বীপভূমির পরিকাঠামো বৃদ্ধিসহ গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত এবং আমূল বদলে দিতে পারে। বাংলার সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিও যে তার সুফল পাবে তা এক সহজ অনুমান।
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
একনজরে
রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি নির্বাচন: চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছে ৫ জন প্রার্থীর নাম

11:56:00 PM

পাঞ্জিপাড়ায় পুলিস কর্মীদের গুলির ঘটনায়, অকুস্থলে এল স্নিফার ডগ
পুলিস কর্মীদের গুলি করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ...বিশদ

11:13:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: রাতে আলোয় সেজে উঠল প্রয়াগরাজ

10:55:00 PM

কটোয়ায় বাড়িতে চুরির ঘটনায় কালনা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা, উদ্ধার টাকা ও গয়না

10:44:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মেলায় এলেন কাঁটেওয়ালে বাবা

10:18:00 PM

কর্ণাটকের মুলকি এলাকা থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করল পুলিস

10:06:00 PM