Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন। গানটি বাংলাদেশেরই এক তরুণের। ওই গায়কের আগুন ঝরানো প্রতিটি গান বাঙালির হৃদয়কে আলোড়িত করছে। সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরালও হচ্ছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, তদারকি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের লেলিহান শিখা দিন-দিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বাঘের পিঠে সওয়ার মহম্মদ ইউনুসও সেটা টের পাচ্ছেন। তাই যুদ্ধের জিগির তুলে বাঁচাতে চাইছেন গদি। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, এভাবে কতদিন?
বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে কাল হল এঁড়ে গোরু কিনে।’ মহম্মদ ইউনুসের হয়েছে সেই অবস্থা। নোবেল লরিয়েট হিসেবে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সম্মানও পাচ্ছিলেন। মাইক্রোফিন্যান্সের নতুন দিশারী হিসেবেও বেশ নামডাক রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দু’চারখানা জালিয়াতি টালিয়াতির অভিযোগ উঠলেও তা মঞ্চে বসে হাততালি কুড়ানোর পথে বাধা হচ্ছিল না। কিন্তু তাঁর ‘কাল’ হল বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায়। শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়া মানুষটাকেই এখন অনেকে যত অশান্তির মূল বলে মনে করছেন।
ইউনুস সাহেব রাজনীতির লোক ছিলেন না। তিনি যে বয়সে দাঁড়িয়ে আছেন, তাতে সাধারণ মানুষ ঝামেলা এড়িয়ে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানোর কথাই ভাবে। ইউনুস সাহেবেরও বাকি জীবনটা শান্তিতে এবং আয়েশ করে কাটানোয় কোনও সমস্যা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলেন কেন? অনেকে মনে করছেন, এর পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে। এক, ক্ষমতার লোভ, যেটা মানুষের আমৃত্যু থাকে। দুই, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সাফ করে ‘ক্লিনচিট’ সার্টিফিকেট হাতিয়ে নেওয়ার বাসনা। তিন, নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তির ‘ঋণ’ পরিশোধের প্রবল চাপ।
ইউনুস সাহেব খুব ভালো করেই জানেন, ভারতের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাঁর দেশের নেই। যুদ্ধ লাগলে দেড় দিনও টিকতে পারবে না। তা সত্ত্বেও যুদ্ধের জিগির তুলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের সীমান্ত এলাকায় সাঁজোয়া গাড়ি দৌড়াদৌড়ি করছে। সেনাবাহিনীর সুরক্ষার জন্য বাঙ্কার বানানো হচ্ছে। কামানের গোলা নিক্ষেপে যেমন ধোঁয়া ওড়ে ঠিক তেমনটাই হচ্ছে। বেশ একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। উদ্দেশ্য? ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত, সেই বার্তা দেওয়া। সেটা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকেও দেওয়া হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায়।
অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে ভারত নিজের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। কিন্তু বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা। তাদের পাশে থাকছে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশী জঙ্গিরা। মাছ ধরতে ধরতে কোনও ভারতীয় মৎস্যজীবী সীমানা অতিক্রম করলে তাঁদের জেলে ভরে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। অথচ কয়েক মাস আগেও এমন ঘটনা ঘটলে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ করেই বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হতো।
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে চোরাকারবারিদের পিছু ধাওয়া করতে করতে দু’জন বিএসএফ জওয়ান বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে যান। আর তখনই বাংলাদেশের পাচারকারীরা জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যে পাচারকারীরা এতদিন প্রাণ বাঁচানোর জন্য আত্মগোপন করাই শ্রেয় মনে করত এখন তারাই বিএসএফ জওয়ানদের মারতে যাচ্ছে। তারা এই সাহস পাচ্ছে মৌলবাদীদের গরম গরম হুমকি ও ইউনুস সরকারের  পদক্ষেপে। পাচারকারীরা বুঝে গিয়েছে, বাংলাদেশ এখন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। তদারকি সরকার যখন দাগি জঙ্গিদের জেল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে তখন পাচারকারীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে, এটা ভাবা চরম মূর্খামি। তাই বাংলাদেশের পাচারকারীরাও বেপরোয়া।
১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতবর্ষ। মেধা ও সম্পদের কারণে বিশ্বের বহু শক্তিধর দেশ ভারতকে হিংসা করে। বিভিন্নভাবে আমাদের দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তারজন্য অতীতে অনেক চক্রান্তও হয়েছে। কিন্তু সরাসরি আক্রমণের সাহস খুব একটা দেখায়নি। তাই প্রতিবেশী দেশগুলিকে নানাভাবে ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, ভারতের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যা করছে, সেটা সেই চক্রান্তেরই অঙ্গ। এতদিন যে কাজটা পাকিস্তানকে দিয়ে করানো হচ্ছিল এখন সেটাই তারা বাংলাদেশকে দিয়ে করাতে চাইছে। তদারকি সরকার গঠন এবং তারপরই দাগি আসামি ও জঙ্গিদের ছেড়ে দেওয়া, সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ। উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের। উদ্দেশ্য, ভারতে নাশকতা চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি।
বাংলাদেশের ইউনুস সরকার পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইছে যাতে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আর গুলি চালালেই তাকে ইস্যু বানাবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এত হম্বিতম্বির পরেও ভারত সরকার চুপ কেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানে একটা কথা ভুললে চলবে না, ‘রাজনীতি’ আর ‘পররাষ্ট্র’ নীতি এক নয়। দু’টিকে একই আতসকাচের নীচে রেখে বিশ্লেষণ করতে যাওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ ইউনুস সরকার ভারত বিরোধী জিগিরের মুখ। কিন্তু আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে বড় কোনও শক্তি। বাংলাদেশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কে ‘ফায়ার’ করতে চাইছে, সেটা খুঁজে বের করাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। 
মৌলবাদীদের খুশি করতে তদারকি সরকার যা করছে, তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। সেটা মহম্মদ ইউনুস খুব ভালো করেই জানেন। নির্বাচন হলে যে গোহারা হারবেন, সেটাও তিনি বুঝে গিয়েছেন। তারজন্যই তিনি নির্বাচনে না গিয়ে যুদ্ধের জিগির তুলে কোনওরকমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন।
ভারতবর্ষ থেকে পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল ১৯৪৭ সালেই। ১৯৭১ সালে আলাদা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর দুই বাংলার মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠছিল। সেই সম্পর্কের আবেগ এতটা তীব্র ছিল যে অনেকেই কাঁটাতারের বেড়া মুছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতেন। অত্যাচারের ভয়ে ফেলে আসা পৈতৃক ভিটে একটিবারের মতো দেখার আশায় অনেকেই আকুলি বিকুলি করতেন। কিন্তু ইউনুস সরকারের কর্মকাণ্ডে সেই আবেগ কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে। দেশ ছাড়ালেও বহু মানুষ ‘আমাগো দ্যাশ’ বলে গর্বিত হতেন। ইউনুস সরকার তাঁদের সেই আবেগে জোর ধাক্কা দিয়েছে। এখন তাঁদেরই মুখ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বেরিয়ে আসছে এক রাশ ক্ষোভ। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতবর্ষকে নয়, পাকিস্তানকে তাদের বন্ধু বলে মনে করছে।
অথচ একদিন এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছিল পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার প্রতিবাদে এককাট্টা হয়েছিল বাংলা ভাষাভাষী সমস্ত মানুষ। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাস্তায় নেমেছিলেন। তারজন্য পুলিসের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, আব্দুল জব্বারের মতো আরও অনেকে। ভাষার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আত্মবলিদানের এক অনন্য নজির গড়েছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। সৃষ্টি হয়েছিল ইতিহাস। রফিক, সালাম, বরকতের বলিদান বৃথা যায়নি। উর্দুপ্রেমী পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাকেও দিতে বাধ্য হয়েছিল রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। মিলেছিল লড়াইয়ের আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি। সমগ্র বাঙালির কাছে একুশে ফেব্রুয়ারির এখন একটাই পরিচয়, ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই সেই তরুণ গায়ক গেয়েছেন, ‘ওরা পিতার মাথায় প্রস্রাব করে জুতোর মালা পরিয়ে/ ঘরে বসে তুমি দেখেছ অশ্রু পড়েছে দু’গাল গড়িয়ে/ ওরা কবিগুরুকে রাজাকার বলে তার গান আর চায় না/ সোনার বাংলা মুছে দেবে বলে ধরেছে এবার বায়না।’ বাংলাদেশের তদারকি সরকার মেতেছে ইতিহাস মুছে দেওয়ার খেলায়। ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে গর্বের সমস্ত স্মৃতিসৌধ। অস্বীকার করতে চাইছে বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। ফলে উঠছে প্রশ্ন, ভাষা শহিদদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকেও কি পদদলিত করবেন বাংলাদেশের ‘মেধাবী’রা? এবারেও কি একুশে ফেব্রুয়ারি সমগ্র বাংলাদেশ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলতে পারি’ গানে আলোড়িত হবে! নাকি রফিক, সালাম, বরকতদের জন্যও অপেক্ষা করছে ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবের মতোই নিদারুণ কোনও ‘স্বীকৃতি’!
11th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
একনজরে
পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি নির্বাচন: চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছে ৫ জন প্রার্থীর নাম

11:56:00 PM

পাঞ্জিপাড়ায় পুলিস কর্মীদের গুলির ঘটনায়, অকুস্থলে এল স্নিফার ডগ
পুলিস কর্মীদের গুলি করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ...বিশদ

11:13:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: রাতে আলোয় সেজে উঠল প্রয়াগরাজ

10:55:00 PM

কটোয়ায় বাড়িতে চুরির ঘটনায় কালনা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা, উদ্ধার টাকা ও গয়না

10:44:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মেলায় এলেন কাঁটেওয়ালে বাবা

10:18:00 PM

কর্ণাটকের মুলকি এলাকা থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করল পুলিস

10:06:00 PM