সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
আরএম বলেন, জেলার মেদিনীপুর, খড়্গপুর, বেলদা ও ঘাটাল চার বিভাগেই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। এমনকী বড় বড় বাড়িতেও বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে। বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে হুকিং করে সংযোগ নেওয়া হচ্ছে। তেমনই বহু বাড়িতে মিটার বাইপাস করে বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে। হুকিং প্রকাশ্যে দেখা যায়। কিন্তু মিটার বাইপাস করে বিদ্যুৎ চুরি বাইরে থেকে বোঝা যায় না। অনেক গ্রাহকের যতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করার কথা দেখা যাচ্ছে তারা ততটা করছে না। তখনই সেইসব গ্রাহকদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ চুরি ধরা হয়। দেখা যায় বেশিরভাগ বড় বাড়িতে এভাবে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়াররা খতিয়ে দেখে এসব গ্রাহকদের একটা বিল ধার্য্য করে। সেটাই জরিমানা হিসেবে ধরা হয়। যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করার কথা তার ডবল বিল করা হয়।
খড়্গপুরের এক আধিকারিক বলেন, এই বিভাগের সবং, পিংলা, ডেবরা, মাদপুর, খড়্গপুর-১ ব্লকে বিদ্যুৎ চুরি হয়। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে অভিযান চালিয়ে খড়্গপুর শহরেও বিদ্যুৎ চুরি ধরা পড়েছে। শহরের সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তারা মিটার বাইপাস করে বিদ্যুৎ চুরি করেছে বলে অভিযোগ। ফলে যা বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা তার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়।
সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, জেলার কেশপুর, পিংলা, ডেবরা, মাদপুর সহ বেশকিছু এলাকায় ব্যাপক হারে হুকিং হচ্ছে। অনেক এলাকায় বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে। যার সবটাই হুকিং। ফলে সংস্থার লোকসান বাড়ছে। আবার এর ফলে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। হুকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে বাসিন্দারা। ওই আধিকারিক বলেন, হুকিং খুলতে গিয়ে অনেক সময় বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। বাধা পেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে হুকিং খুলে দিয়ে চলে আসার পর ফের হুকিং করা হচ্ছে।