সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। যদিও দলীয় নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছে না। অন্যদিকে, রাজনৈতিক হাতিয়ার পেয়ে বুকের ছাতি চওড়া হয়েছে তৃণমূলের। রাজ্যের শাসক শিবির এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে পরিদর্শন করতে নিজেও হুগলিতে আসছেন রচনা। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, আমাদের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় গঙ্গা ভাঙন নিয়ে লাগাতার লোকসভায় দরবার করেছিলেন। তার সুফল এখন হুগলির মানুষ পাচ্ছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব কাঠখড় না পুড়িয়েই সেই কৃতিত্ব দাবি করতে চাইছে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, পদ্মপার্টির সাংসদ জীবনে গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কথা বলেননি। সেকারণেই বলাগড়, চন্দননগর সহ হুগলি লোকসভার মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। মানুষের বিচার যে সঠিক ছিল, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সামান্য কয়েক মাসেই তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। এটা বর্তমান সাংসদ ও তৃণমূলের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফসল। কেন্দ্রীয় দলের ভাঙন পরিদর্শনের সংবাদে উচ্ছ্বসিত বলাগড়ের মানুষ। গুপ্তিপাড়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কাজ কতটা করবে জানি না। কিন্তু কেন্দ্রীয় টিমের সফরে এটা প্রমাণিত যে, বলাগড়ে ভাঙনের বাস্তবতা তারা স্বীকার করেছে। গত ছ’বছরে সেই সুযোগ বলাগড়ের মানুষ পাননি। বর্তমান সাংসদকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা নেই।
গঙ্গার বন্যা প্রতিরোধ কমিশনের তরফে সম্প্রতি চিঠি দিয়ে এই সফরের কথা জানানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে, সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙন নিয়ে সওয়াল করেছিলেন। তার জেরেই পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চিঠিতে এও লেখা রয়েছে যে, গঙ্গা ভাঙনের গতিপ্রকৃতি ও তার বাস্তব চেহারা দেখে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় দল চুঁচুড়ার সার্কিট হাউস থেকে সরাসরি গুপ্তিপাড়া জেটিঘাটে যাবে। সেখান থেকে চান্দরা, মিলনগড় হয়ে দলটি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের গঙ্গাপাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।