Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। চলে যাও! ওই মোরাদের কবন্ধ আমায় ডাকছে। দারার মুণ্ড আমার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছে। সুজা হাসছে— এ কী সব— ওঃ!’
এভাবেই বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, জীবিত মানুষের থেকে মৃত মানুষের শক্তি অনেক বেশি। বহু মৃত ব্যক্তি অনেকেরই ঘুম কেড়ে নেয়। বর্তমান মোদি সরকারকে দেখলে সেটা আরও ভালো করে নজরে পড়ে। মোদি বা অমিত শাহের সব থেকে ভয় কাকে? মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, আম্বেদকর, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে। প্রত্যেকেই মৃত, কিন্তু তাঁদের ছায়া দেখলে আতঙ্কে নিন্দামুখর হয়ে ওঠেন তিনি। বারবার সেই মৃত ব্যক্তিদের সমালোচনায় বিদ্ধ করেন। তাই দশ বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসনের পরেও বিজেপির মুখে বারবার এই নামগুলিই ঘুরে ফিরে আসে। মৃত মানুষদের চাঁদমারি করে অনর্গল সমালোচনার কাদা ছেটান। আসলে তাঁদের কৃতিত্বগুলিকে নস্যাৎ করে নিজেকে বিশাল করে দেখানোর এটা একটা চেষ্টা মাত্র। ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও তিনি নিজের কোনও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তুলে ধরতে অক্ষম। কেননা তাঁর ক্ষমতায় থাকার দশটি বছর ব্যর্থতার এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সেই কলঙ্ক মুছতে তাঁর দরকার নেহরু, আম্বেদকরের মতো কিছু মৃত মানুষের নাম। এভাবেই চলছে চালুনির ছুঁচের বিচার। 
পূর্বসূরিদের কীর্তি মুছে ফেলে নিজেকে ‘বিশ্বগুরু’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে নানা অসত্য তথ্যের প্রচার করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে যতই তিনি নিজেকে বিশাল আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করুন না কেন, তাঁর বিদায়ের অপস্রিয়মাণ সময়টা যেন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। হয়তো তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরো টার্ম নাও থাকতে পারেন। কোনও এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে রদবদল হতে পারে। আরএসএস এ ব্যাপারে নীরবে আড়াই ঘরের চাল দিচ্ছে। সেই বার্তা দলের মধ্যে পরিষ্কার হতেই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদ দখল নিয়ে টাগ অব ওয়ার। দুইদিকে দুই পুরুষ। গুজরাতি পুরুষ অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের পুরুষ যোগী আদিত্যনাথ। একটু দূরে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে ছোঁ মারার চেষ্টায় আছেন নীতিন গাদকারি। তবে মূলত দুই দাবিদার হলেন অমিত এবং যোগী। 
আপাতত এজেন্ডা ঘর গোছানো, রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয়। এই কাজে তাঁদের অস্ত্র হিন্দুত্ব। তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদির পথেই হিন্দুত্বের ঝান্ডা হাতে তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছেন। তাই যোগী যখন মন্দির মন্দির করে ছুটছেন, সব মসজিদের নীচে মন্দির খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তখন অমিত শাহ আম্বেদকরের দিকে কাদা ছেটানোর কাজে বেশি সময় ব্যয় করছেন। বিজেপি এই সংবিধানকে যে মনপ্রাণ দিয়ে মানে না, সেটা গত দশ বছরে বারবার বোঝা গিয়েছে। মনুবাদী শাসন ব্যবস্থার প্রতি তাঁরা যে বেশি আস্থাশীল, সেটা অবশ্য গেরুয়াবাবুরা গোপন করেন না। মনুবাদই তাঁদের কাছে সংবিধান। যে মনুবাদের আইন কখনওই সভ্য সমাজে. কার্যকর হতে পারে না।  
সুতরাং এই লড়াইয়ের মাঝে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত নার্ভের লড়াইয়ে কে জিতবেন? মোদি বা মোহন ভাগবত কোন পক্ষে রয়েছেন? সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে কার অবস্থান কোথায়?
এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই যে, মোদি সবসময় অমিত শাহকেই পছন্দ করে এসেছেন। গুজরাত কী মজবুত জোড়ি হ্যায়, টুটেগা নেহি। সেই গোধরা যুগ থেকেই তাঁদের বন্ধন অটুটু। একে অন্যের দোসর। তাই মোদি সবসময় চান, তাঁর পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন অমিত শাহ। সেই প্রক্রিয়া মোদি শুরু করে দিয়েছেন। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, আগামী দিনে সম্ভবত জোট রাজনীতির ‘বড় দাদা’ হয়েই বিজেপিকে থাকতে হবে। 
সেক্ষেত্রে শরিক দলগুলি যাতে অমিত শাহকেই সমর্থন করেন, তার জন্যও খেলাও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র্রে জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী করতে প্রয়াসী হয়ে উঠেছেন অমিত। 
তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে যোগী আদিত্যনাথ। সুযোগ পেতেই মোদি-শাহ জুটি যোগীকে জাতীয় রাজনীতির আঙিনা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বস্তুত জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে যোগী আদিত্যনাথের আসন ততটা শক্তিশালী নয়। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নিজের আসন শক্তিশালী করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রামমন্দির বিজেপিকে প্রচুর ডিভিডেন্ট দিয়েছে। সেই রামমন্দির নির্মাণ হয়ে গেলেও টেম্পল পলিটিক্সের রাস্তা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি নন আদিত্যনাথ। গোরু এবং মন্দিরের গুরুত্ব তাঁর কাছে অনেক বেশি। সেটাকেই তিনি জাতীয় রাজনীতিতে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের হাইওয়ে বলে মনে করছেন।   
অমিত শাহ এবং যোগী তাই তাঁদের নিজেদের মতো করে খেলতে শুরু করেছেন। পর্দার আড়ালেও চলছে শক্তি সংগ্রহের নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা। অমিত শাহের দিকে আছে বিজেপি দলটি। যোগীর দিকে আছে আরএসএস। অমিত শাহ ইতিমধ্যেই ‘চাণক্য’ হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন। আদিত্যনাথ আবার ‘ঠোক দো’, বুলডোজার পলিটিক্সের মাধ্যমে ‘ঝুঁকেগা নেহি’ ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ তিনিও ভালোই বোঝেন। 
অমিত শাহ কয়েকদিন আগেই আম্বেদকরকে তেড়ে সমালোচনা করেছেন। কোন প্রসঙ্গে করলেন? সংবিধানের ৭৫তম বর্ষে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে আম্বেদকরের নিন্দার অর্থ সংবিধানকেই অস্বীকার করা। অমিতের সুরেই বলা যেতে পারে, মোদিজি যেভাবে বারবার জওহরলালের নাম নিয়ে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেন, সেটা না করে নিজের রাজধর্মটুকু পালন করলেই হতো। তাহলে আর তাঁকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মন্দির মন্দির বা হিন্দুত্বের উস্কানি দিতে হতো না। রাজধর্ম পালনের ব্যর্থতাই মোদি এবং অমিত শাহকে অন্যের নিন্দা করায় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। ব্যর্থ শাসককে নিজেদের ভাবমূর্তির মোমবাতি জ্বালাতে জওহরলাল, আম্বেদকরদের কাছ থেকে দেশলাই ধার করতে হয়। 
আমাদের সংবিধানের প্রাণপুরুষ হলেন আম্বেদকর। সংবিধান প্রণেতা হিসাবে গান্ধীজিই চেয়েছিলেন আম্বেদকর হোন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান। জওহরলাল কিন্তু প্রথমে রাজি ছিলেন না। নেহরু মনে করেছিলেন ভারতের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি হলেন ইংরেজ বিশেষজ্ঞ আইভর জেনিংস। গান্ধীজির চাপে জওহরলাল সংবিধান রচনার খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মেনে নেন আম্বেদকরকে। পরে অবশ্য জওহরলাল বুঝেছিলেন, গান্ধীজি লোক চিনতে ভুল করেননি। সংবিধান রচনা করতে বসে আম্বেদকরের মূল লক্ষ্য ছিল, বিবিধের মাঝে একটা অখণ্ড চেতনার প্রকাশ ঘটানো। অসাম্যের হাওয়া দূর করে একটা সাম্যের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 
আমাদের সংবিধানের শক্তি হল বিবিধের মাঝে মহামিলনের ঐতিহ্যকে দৃঢ় রাখা। ঠিক এইখানটাতেই আম্বেদকরের ওপর আরএসএসের রাগ। আসলে আরএসএস কোনওদিনই চায়নি ইংরেজরা এদেশ থেকে চলে যাক। বরং চেয়েছিল ইংরেজদের সেবা করে তাদের করুণা আদায়ের মাধ্যমে একটা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। 
সংবিধান রচনার খসড়া কমিটি গড়া হল ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর। এর ঠিক চারদিন পর ৩০ নভেম্বর আরএসএসের মুখপত্র ‘মাউথপিস’-এর সম্পাদকীয়তে তেড়ে গাল পাড়া হল এই প্রচেষ্টাকে। তারা সংবিধানকে ‘মনুস্মৃতি’ অনুকরণে গড়ে তোলার দাবি জানাল। নিন্দা করা হল আম্বেদকরের। আজ অমিত শাহের কণ্ঠে সেই ধিক্কারেরই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এরপর ১৯৪৯-এর ১২ ডিসেম্বর আরএসএসের পক্ষ থেকে নেহরু ও আম্বেদকরের কুশপুতুল পুড়িয়ে দুই নেতা ‘নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেওয়া হল। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হল শেখ আবদুল্লার গাড়ি। সেদিন সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বামী করপত্রিজি। তিনি ছিলেন একজন পণ্ডিত এবং কট্টর হিন্দুবাদী সাধু।বোঝা যাচ্ছে সেই ক্রোধ, সেই বিদ্বেষ এখনও মেটেনি। মেটার কথাও নয়। মহাত্মা গান্ধী, নেহরু এবং আম্বেদকরের উপর বিজেপির আজন্মের রাগ। তাদের বহু উদ্দেশ্যকে এই তিন নেতা সফল হতে দেননি। এই ত্রিফলা শক্তির কাছে বারবার আরএসএসের পরাজয় ঘটেছে। সেই রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে সঙ্ঘসখা নাথুরাম গডসে হাতে তুলে নিয়েছিলেন আগ্নেয়াস্ত্র। ‘হে রাম’ বলে লুটিয়ে পড়েছিলেন গান্ধীজি। মনে রাখা দরকার, গান্ধীর সেই ‘রাম’ এবং মোদির ‘রামচন্দ্র’ এক ব্যক্তি নন। 
অমিত-যোগীর লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবেন, তা সময় বলবে। মোদির পর হিন্দুত্বের পোস্টার বয় কে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এই লড়াই অতটা সহজ নয়। মোদির সরে দাঁড়ানোর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জারি থাকবে লড়াই। এই লড়াইয়ে ভারত এক কদমও এগবে না, দেশের অর্থনীতিরও বিশেষ হেরফের হবে না। দেশ যেমন ক্রমে পিছিয়ে যাচ্ছে, সেভাবেই পিছবে। পিছতে পিছতে আমরা একদিন সম্ভবত পুরাণকালে পৌঁছে যাব। তাতে সত্যিই কি বিজেপির কিছু যায় আসে? 
08th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
একনজরে
২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি নির্বাচন: চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছে ৫ জন প্রার্থীর নাম

11:56:00 PM

পাঞ্জিপাড়ায় পুলিস কর্মীদের গুলির ঘটনায়, অকুস্থলে এল স্নিফার ডগ
পুলিস কর্মীদের গুলি করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ...বিশদ

11:13:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: রাতে আলোয় সেজে উঠল প্রয়াগরাজ

10:55:00 PM

কটোয়ায় বাড়িতে চুরির ঘটনায় কালনা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা, উদ্ধার টাকা ও গয়না

10:44:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মেলায় এলেন কাঁটেওয়ালে বাবা

10:18:00 PM

কর্ণাটকের মুলকি এলাকা থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করল পুলিস

10:06:00 PM