Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। আমেদাবাদের বাপুনগরে সাউথ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে এহেন এক উৎসব পরিবেশ ব্যাহত হল। কেন? কারণ আচমকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল সদস্য স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকা এবং দিদিমণিদের ধমক, হুমকি দিয়ে বলল, এসব বিদেশি কালচার চলবে না। সব ডেকোরেশন খুলে ফেলতে হবে। বাচ্চারাও ভয় পেল। দিদিমণিরা তো বটেই। এরপর তাদের বাধ্য করা হয় সমস্ত দেওয়াল ফাঁকা করে দিতে। বাচ্চাদের আঁকা সব ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এই শেষ ওয়ার্নিং। আগামী বছর থেকে যেন এসব ক্রিসমাস পালন করতে না দেখি! এই হুঁশিয়ারি দিয়ে চলে যায় তারা। বিহ্বল এবং আতঙ্কিত দিদিমণি এবং বাচ্চারা সম্ভবত আগামী জীবনে আর কখনও এই আতঙ্ক ভুলবে না।
জোমাটো অথবা সুইগির ইউনিফর্ম আছে। সেইসব কোম্পানির নাম লেখা টি শার্ট পরেই ডেলিভারি পার্সনদের দেখা যায় শহরে শহরে বাইক অথবা স্কুটিতে চেপে অর্ডার করা খাবার পৌঁছে দেয় কাস্টমারের কাছে। ইন্দোরে ২৫ ডিসেম্বর অর্জুন কোম্পানির দেওয়া স্যান্টাক্লজের পোশাক ও টুপি পরে বাইকে চেপে খাবার ডেলিভারি করছিল একজন। হঠাৎ পথে তাকে আটকে দেওয়া হল। নামিয়ে প্রশ্ন করা হল, স্যান্টাক্লজের পোশাক পরেছো কেন? সে বলেছে, আজ ক্রিসমাস। কোম্পানির ক্রিসমাস ড্রাইভ চলছে। তাই..। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক সুমিত হারদিয়া তাঁকে বলেছে, এখনই খুলে ফেলতে হবে এই পোশাক। দিওয়ালির দিন যখন খাবার ডেলিভারি করিস, তখন কি রামচন্দ্র সেজে করিস? অর্জুন কাকুতি মিনতি করে বলে, স্যার আমি এই ড্রেস খুলে ফেললে কাজ হারাব। কারণ, আজ বলে দিয়েছে এটা পরেই খাবার ডেলিভারি করতে হবে। হিন্দু জাগরণ সেনা তাকে বলে, ওসব জানি না। তোর কাজ খাবার দেওয়া। এই পোশাক খুলতে হবে। অর্জুন বাধ্য হয় স্যান্টাক্লজের পোশাক খুলে ফেলতে।
ইস্ট খাসি হিলস জেলার মালিনং ভিলেজ চার্চের শান্ত আবহে আচমকা আকাশ সাগর ঢুকে পড়ল। এবং চার্চ অফ এফিমেনির অন্দরে যেখানে পাদ্রী  ও যাজকরা প্রার্থনা করেন ও বাইবেল পাঠ করেন, সেই অল্টারে দাঁড়িয়ে মা‌ই঩ক্রোফোন অন করে গাইতে শুরু করে রাম সিয়ারাম...সিয়ারাম জয় জয় রাম...। প্রার্থনা করতে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে সে অল্টারে দাঁড়িয়ে ইশারা করে তার সঙ্গে গাইতে। জয় শ্রীরাম বলে সে তার কর্মসূচি সম্পন্ন করে।
এটা তো মেঘালয়ের প্রত্যন্ত কোনও জেলার একটি নির্জন চার্চের ঘটনা। হতেই পারে। মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ তো নির্জন এবং প্রত্যন্ত কোনও স্থান নয়। কলকাতার যেমন ধর্মতলা, দিল্লির যেমন কনট প্লেস, বেঙ্গালুরুর যেমন এম জি রোড তেমনই লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ। এহেন হজরৎগঞ্জের চার্চের সামনে জড়ো হয়ে লখনউয়ের এক বিরাট জনতা শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তন করতে শুরু করলেন ক্রিসমাসের রাতে। 
চার্চের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেল। আনন্দ ও উচ্ছ্বলতা দেখে মনে হয়েছিল জন্মাষ্টমীর রাত পালন করা হচ্ছে। ক্রিসমাস পালনের আবহ ঢেকে গিয়েছিল ওই উচ্চকিত হিন্দুত্ব ফেস্টিভ্যালে।
মধ্যপ্রদেশের দামো জেলা শহরে আয়োজিত করা হয়েছে স্বদেশি মেলার। আয়োজক স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। গত নভেম্বর মাসে। যারা অংশগ্রহণ করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করবে, তাদের স্টল ভাড়া দিতে হবে। যারা ভিনরাজ্য থেকে আসবে তাদের নিজেদের আসা, থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। সেইমতো কাশ্মীরের কোনও বিক্রেতা ৩০ হাজার টাকা খরচ করে কার্পেট নিয়ে এসেছে এবং স্টল দিয়েছে। আগ্রার কোনও বিক্রেতা ৮ হাজার টাকা খরচ করে এসেছে এবং আগ্রার হস্তশিল্প নিয়ে বসবে বলে স্টল নিয়েছে। কিন্তু ১০ জন দোকানিকে বলা হল তোমরা স্টল ছেড়ে দিয়ে চলে যাও। এই মেলায় তোমাদের স্থান হবে না। বাছাই করা ওই ১০ জনই মুসলিম সম্প্রদায়ের। তারা বাইরে থেকে এসেছে। স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে তো আর ঝগড়া করতে পারবে না। অতএব সকলেই মুখ বুজে ফিরে গিয়েছে স্বদেশি মেলা থেকে।
কুম্ভ মেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। নাসের পাঠান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করল। সাংঘাতিক ঘটনা। এ তো দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে, এরকম ঘোষণায়! পুলিস তদন্তে নেমে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিককে গ্রেপ্তার করে হতবাক। নাসের পাঠান নাম দিয়ে যে ওই হুমকি দিয়েছে, সে আসলে আয়ুশ জয়সওয়াল। হিন্দু তরুণ। 
এসব ঘটনা কীসের ইঙ্গিত করে? তার থেকে বড় প্রশ্ন হল, এসব থেকে হিন্দুত্ব কতটা উপকৃত হল? বরং এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট, অর্থনীতি, জিডিপি, উন্নয়ন, বাজেট, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ বিল, জি টুয়েন্টি, চন্দ্রযান, ১০০ দিনের কাজ এসব নিত্যদিনের হাজারো সিরিয়াস ইস্যুর আড়ালে একটি সুনির্দিষ্ট প্রজেক্ট চলছে। প্রজেক্টের নাম হিন্দুরাষ্ট্র। না, আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এমন একটি পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় আবহ নির্মাণ করা হচ্ছে, যেটা কার্যত প্রমাণ করে দেয় যে, আদতে কিন্তু ভারত এখন হিন্দুরাষ্ট্রই। হিন্দুত্বই চালিকাশক্তি। সুতরাং মেজরিটির কথাই শেষ কথা।
নীতি নিয়ম বিধি এবং সামাজিক প্রথাকে নিয়ন্ত্রণ করবে ধর্মীয় মেজরিটি সংখ্যা। অন্যদের মেনে নিতে হবে। যা হওয়ার কথা ছিল পারস্পরিক সহাবস্থান, সেটি বদলে এখন করার চেষ্টা হচ্ছে একটি  বিভাজিত পরিবেশ নির্মাণের প্রকল্প। শাসক ও শাসিত। অর্থাৎ মেজরিটি শাসন করবে। মাইনরিটি মান্য করবে। ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি। রাষ্ট্রের চারটি প্রধান স্তম্ভকে প্রভাবিত করবে সংখ্যাগুরু শ্রেণি। সেটা চিরকালই হয়ে এসেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। এখন যেন সেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনেক বেশি প্রকট করার একটি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। 
একজন হিন্দু কি অখুশি হয় হিন্দুত্বের বজ্রনির্ঘোষে? মোটেই নয়। মেজরিটেরিয়ান ডমিনেশনের অনুভূতি সর্বদা সব দেশেই সকল সম্প্রদায়ের কাছেই গোপন একটি তৃপ্তি। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে উপায়ে সেটি প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, সেটি হিন্দুধর্মীয়দের কাছে বেশ কিছুটা লজ্জার। কারণ এসব ঘটনা থেকে দেশি-বিদেশি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মনে হতেই পারে যে, হিন্দুরা এত ধর্মীয়ভাবে অসুরক্ষিত বোধ করে কেন? কে ক্রিসমাস পালন করল, কে নমাজ কবুল করল, কে বুদ্ধজয়ন্তীতে প্রার্থনা করল, সেটা হিন্দুধর্মকে আঘাত করবে কেন? হিন্দুধর্ম এতই ভঙ্গুর কে বলল? 
হিন্দু ধর্মের বয়স, ব্যাপ্তি, সভ্যতা, গভীরতা, অধ্যাত্মের সমুদ্র নিজেই এক মহাজগৎ! সেখানে অন্য কোনও ধর্ম পালিত হলে হিন্দুধর্ম ভয় পাবে কিংবা আশঙ্কা হবে ‘গেল গেল বলে’, এটা তো চূড়ান্ত ছেলেমানুষি এবং অশিক্ষার লক্ষণ। হিন্দুধর্ম স্বমহিমায় শ্রেষ্ঠ। তার কোনও প্রতিযোগিতায় নামার দরকারই নেই। সনাতন ধর্মচর্চার আরও উন্নতি করা হোক। সেটাই কাম্য। তাই বলে অন্য ধর্মকে কেন দমন পীড়নের দরকার বোঝা গেল না! 
প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্সে যোগ দিয়ে শান্তি ও সমন্বয়ের বার্তা দিচ্ছেন। অথচ তারপরেও ক্রিসমাসে চার্চে হামলা হয়! রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান ধমক দিয়ে বলেন, যত্রতত্র রামমন্দিরের মতো মন্দির মসজিদ ইস্যু তৈরি করা বরদাস্ত করা হবে না। এই দেশ সকলের। অথচ ঠিক বিপরীত কাজই করে সঙ্ঘ সদস্য সংগঠনগুলি রাজ্যে রাজ্যে। তাহলে কথাগুলো সত্যি? নাকি লোকদেখানো? আমাদের আড়ালে আসলে ঠিক কী খেলা চলছে? 
কারা চা‌ইছে এই দেশকে পাকিস্তানের মতো ধর্মোন্মাদী করে তুলতে? কারা চাইছে বাংলাদেশের মতো খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে? কারা চাইছে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া করে দিতে? এসব অস্থিরতাকে প্রশ্রয় দেওয়া আসলে কাদের প্রজেক্ট? 
সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।। প্রাচীনতম গণতন্ত্র। সফলতম সংসদীয় সাধারণতন্ত্র। পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ পর্যন্ত সামরিক শাসনে না আসা। বিশ্বের বৃহত্তম বাজার। এবং ৭৮ বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ! ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’ নামক এই ব্র্যান্ডের তুলনা হয় নাকি? অথচ এই ব্র্যান্ড ধ্বংস করতে উদ্যত কোন আত্মঘাতীরা?
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
একনজরে
ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরজা। আর সেই বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। অবশেষে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন।  ...

ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

কোচবিহার মেডিক্যালে চলছে হবু ডাক্তারদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। নকলের অভিনব পথ খুঁজছেন তাঁদের একাংশ! নকলের জন্য এসির ডাক্ট পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার আগে মহারাজ জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের একটি ঘরের এসির ডাক্ট পাইপের ভিতর থেকে নকল বের করা হয়। ...

পায়ের পাতা বেশ ফোলা। অনুশীলনে নামা তো দূর অস্ত, বুট পরতেই পারছেন না আনোয়ার আলি। ডার্বিতে খেলা বেশ কঠিন। হাতে মাত্র দু’দিন। সম্ভাবনা ক্ষীণ বুঝেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM