Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ আর সেই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ ডেকে বলেছিলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আপনি মৌলবাদী বলতে কাকে মিন করতে চান? কে মৌলবাদী? হিন্দু মৌলবাদী, খ্রিস্টান মৌলবাদী, বৌদ্ধ মৌলবাদী? না মুসলিম মৌলবাদী?’ তারপরই ফয়জুল করিম ভয়ঙ্কর আওয়াজ তুলে বলেছিলেন, ‘ইসলামি মৌলবাদ জিন্দাবাদ। আমরা ইসলামি মৌলবাদে বিশ্বাসী। ইসলামি মৌলবাদকে বাদ দিয়ে কেউ কোনও দিন রাজনীতি করতে পারেনি, পারবে না ইনশাআল্লা।’
সেদিন জামাতে ইসলামিকে উদ্দেশ্য করে ফয়জুল করিম প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘আজ আমি জামাতকে বলব, আপনাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ আসছে। হক্কানি ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আপনাদের যে মতানৈক্য আছে, বসে সমাধান করুন। বিএনপির সঙ্গে আপনাদের চরম দোস্তি ছিল। একইসঙ্গে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু আদর্শের মিল না থাকার কারণে উভয়ের প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। লোক দেখানো কোনও ঐক্য আমরা চাই না। ইনশাআল্লা আগামী রাষ্ট্র হবে ইসলামি রাষ্ট্র।’ ইউনুস সরকারের জমানায় এটাই বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা। দিকে দিকে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার। মৌলবাদীদের সমাবেশগুলিতে নেতাদের ভাষণ শুনলে মনে হতেই পারে— তালিবানি শাসন বুঝি এসেই গিয়েছে! উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদ বাংলাদেশকে এখন গিলে খেতে চাইছে...।
প্রশ্ন হল, কীভাবে বাড়ছে মৌলবাদী চিন্তাভাবনা?
ওয়াজ মাহফিলের কথাই ধরুন। বাংলাদেশে ইসলামি সম্মেলন বা ইসলামি জনসভার রমরমা আগেও ছিল। এখন তো পোয়াবারো! বৃহস্পতিবার, শুক্রবার রাত নামলেই ছোট ছোট জেলা সদরের চারদিকে শুরু হয় ওয়াজ মাহফিল। শুরু হয় ‘আল্লার নামে শুরু করিলাম’ দিয়ে। এরপরে ধীরে ধীরে আল্লা বিদায় নেয়, ঢুকে পড়ে টাকা পয়সার আলোচনা। একটা কমিটি তৈরি করা হয়। একটা খাতায় ‘আল্লার নামে শুরু করিলাম’ লিখে শুরু হয় আয়োজন। বাজেট কত, কত টাকা আছে, মানুষের কাছ থেকে কত টাকা তুলতে হবে তা নিয়েই আলোচনা। কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়। কেউ চাঁদা তোলার দায়িত্ব নেয়। সেই চাঁদা তুলতে নামানো হয় মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। আর কর্তা ব্যক্তিরা ছোটে বক্তা ধরতে! কনসার্টের শিল্পীদের মতো বক্তাকে ধরতে হয়। হুজুর অমুক দিন সময় দিতে হবে! হুজুরের সেদিন সময় নেই। টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব, যাতায়াতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা ইত্যাদির পরেও যদি না আসে, তখন অন্য বক্তার পিছনে ছোটা শুরু। মাহফিলে দুই একজন সুপার স্টার মানের বক্তা লাগবেই। সুপার স্টার বক্তা কারা? যাদের ইউটিউবে ভিউ বেশি! কাদের ভিউ বেশি? যে বেশি প্রলাপ বকতে পারে! সার্চ করে দেখুন, ধর্মের নামে তাদের মিথ্যাচার শুনে তাজ্জব হয়ে যাবেন। অথচ, মানুষ হা করে শোনে। কোনও প্রতিবাদ নেই। কোনও প্রতিক্রিয়াই নেই। সবাই মুগ্ধ হয়ে শোনে কাঁচা মিথ্যে কথাগুলি। আর এক পেট মোটা বক্তা, যিনি ইচ্ছে মতো মিথ্যে কথা বলবেন, বিধর্মীদের গালিগালাজ করবেন, চরম অসম্মান করে যাবেন দেশকে, ইতিহাসকে! এটাই দস্তুর...।
ইসলামি বক্তার পাশাপশি রাজনৈতিক নেতাদেরও দাওয়াত দেওয়া হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা আসেন, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দেন। সব মিলিয়ে যা হয় তা হল, মিথ্যার এক ধারাবাহিক বিবরণী! মাইক লাগিয়ে রাতের বেলা উচ্চস্বরে মিথ্যাচার করা! এসব নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই তথাকথিত ‘বিপ্লবী’ ছাত্রনেতাদের। ধর্মীয় মৌলবাদ বিস্তারের এমন সুযোগ মৌলবাদীরা হাতছাড়া করতে চাইবে কেন? ওয়াজ মাহফিলে বক্তা মানেই বিরাট গরম বক্তা! দফায় দফায় ভারতকে হুঁশিয়ারি। আমেরিকা, ট্রাম্প সবাইকে চোখ রাঙানো। বারবার বলেন, ‘কারো দরকার নাই, আল্লা সাথে থাকলেই চলবে!’ হুমকির সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ইতিহাসও পড়ান। আদ্যপ্রান্ত মিথ্যাচার। বলেন, ভারতের ইতিহাস নাকি মুসলিমরা আসার পরেই শুরু। হিন্দু হচ্ছে নুহ নবীর ছেলে হিন্দের বংশ। হিন্দ থেকে হিন্দু! বক্তা হয়তো সিন্ধু নদীর নামটাই জানেন না। এরপরে সব বাদ দিয়ে মুসলিমদের আগমনের গল্প। মাঝে সব বাদ। মুসলিমদের পরে ইংরেজ শাসনের গল্প শুরু। সেই ইতিহাসের কোনও মা-বাপ নেই! ওয়াজ যাঁরা করেন তাঁরা একটা অদ্ভুত সুরে কথা বলেন। মঞ্চে উঠেই সেই সুরে কথা বলা শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন না। কিছু একটা বলার পরেই বলে ওঠেন, ‘চিল্লায় কন ঠিক কি না! কথা বলেন, ঠিক কি না!’
বাংলাদেশে জাকির নায়েকের প্রভাব বিস্তারের পরে একটা ধারা তৈরি হয়েছে, ইংরেজি বলা! বক্তারা স্মার্ট ভাব আনার জন্য মাঝে মধ্যেই ভুলভাল ইংরেজি বলেন। ইংরেজি বলে একটা শব্দ পরে ওটাকে আবার বাংলা বলেন! এই চলতে থাকে, মানুষ ভাবে, বাপরে, কত্ত জানে হুজুর! এদিকে হুজুর গল্প বলছেন, ‘নীল আমস্ট্রং চাঁদে গিয়ে আজান শুনে এসেছিলেন! পৃথিবীতে এসে এক মসজিদে আজান শুনে মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এইটা কোন গান? ইমাম কইছে এইটা গান না, এইটা আজান! নীল বেচারা আর থাকতে পারে নাই, তখনই কলেমা 
পরে মুসলিম হয়ে গিয়েছে!’ এমন ডাহা মিথ্যাচার শুনতেই এইসব বক্তাকে ভাড়া করে নিয়ে যায় মানুষ! আর সরকার? 
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জের মানুষ জেনে গিয়েছে, আওয়ামি লিগকে গালি দিতে হবে এখন। ভারতকে গালি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। আর বলতে হবে, চিল্লায় কন ঠিক কি না! একটু পরে পরে বলতে হবে কোরান শরিফে সব আছে না নাই? অমুকটা আছে না নাই? আল্লা ব্যবসাকে করেছে হালাল 
আর মানুষ সবচেয়ে বড় ব্যবসা বানিয়েছে ধর্মকে! কোনও লস নাই, লাভই লাভ শুধু!  চটপটে মিথ্যা 
কথা বলতে পারলেই হল! চোখ খুলে না পারলে 
বন্ধ করে সংখ্যালঘুদের গালি দিয়ে যেতে পারলেই চলবে এই ব্যবসা। আর এটাই ইউনুস সরকারের জমানা— যে জমানায় শুধু শেখ হাসিনা, আওয়ামি লিগ আর ভারতকে গালি দিলে সাত খুন মাফ। 
তা সে চরম মৌলবাদী হোক কিংবা হাড়হিম করা 
জঙ্গি হোক। ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রাথমিক শর্তগুলি কখন যে ইউনুস সরকারের রক্তে মিশে যাচ্ছে তা হয়তো টেরও পাচ্ছেন না সোহরাব হাসান, আলি রিয়াজ, সারফুদ্দিন আহমেদের মতো বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা।
একসময় ডিসেম্বর মাস এলে আগে রাজাকারদের শরীরে জ্বালা ধরে যেত। আর এবার দেখা গিয়েছে, খোদ ইউনুস সরকারের শরীরে জ্বালা ধরে গিয়েছে। যত ভাবে পেরেছে চেষ্টা করেছে মুক্তিযুদ্ধকে সরিয়ে ২৪-এর জুলাই আন্দোলনকে সামনে আনার। সংসদ ভবনে ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন কেমন হয়েছে জানেন? সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঠাঁই হয়নি, ২০২৪ সালের আন্দোলনের স্লোগান, গ্রাফিতি প্রদর্শনীতে ভরা! এখন ‘জয় বাংলা’ বললে যে কেউ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আটকে পড়তে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে ‘ভারতের দালাল’ বলে ট্যাগ আটকে দেওয়া হয়। সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার কথা বললে আপনার গায়ে হিন্দুত্ববাদের সমর্থক, বিধর্মী, নাস্তিক ট্যাগ লেগে যাবে।
বাংলাদেশের প্রবীণ লেখক-গবেষক বদরুদ্দীন উমর ঠিকই বলেছেন, ‘আজ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, জ্ঞানের চর্চা বলে কিছু নেই।’ সহজেই মানুষকে ধর্ম দিয়ে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে। সঙ্গে ভারত বিরোধিতার প্রবল ঝড়। হিন্দুরাই সব ঝামেলার উৎস, আওয়ামি লিগের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে— এমন সব কথা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে সব ব্যর্থতা। এদিকে আরাকান আর্মি মায়ানমার বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাফ নদীতে নৌকা চলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে! কেউ এটা নিয়ে লং মার্চও করে না, কেউ গরম গরম কথাও বলে না। কোনও প্রাক্তন আর্মি অফিসারকেও দেখা যায়নি রাস্তায় মিছিল করতে, যিনি চারদিনেই আরাকান আর্মির ঘর দখল করে ফেলার হুঙ্কার দিতে পারেন! অথচ, এটাই এখন বাংলাদেশের বাস্তব সমস্যা, ভয়ঙ্কর সমস্যা। এদিকে কলকাতা চারদিনে দখল করে ফেলতে রোজ ফেসবুকজুড়ে মৌলবাদী নেতা মুফতি কাজি ইব্রাহিমদের পোস্ট। হিপোক্রেসিরও তো একটা সীমা থাকা দরকার!
সম্প্রতি ভারতের ১১ পাতার অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্টে (‘উত্তেজনা থেকে সন্ত্রাস— বাংলাদেশে মৌলবাদের ঢেউ’) বলা হয়েছে, ‘যেভাবে বাংলাদেশে ঘটনার গতি এগোচ্ছে, তাতে খুব বেশি সংশয় থাকার কথা নয় যে, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন চরমপন্থী মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনের প্রভাব বাড়ছে। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবয়সিরা যেভাবে হিংসার চরমপন্থা নিয়ে চলছে, তা দেখছে গোটা বিশ্ব।’ রিপোর্টের বক্তব্য, লুটপাটের প্রবণতা, শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ভাবে কলকাঠি নাড়া, সমাজমাধ্যমকে চরমপন্থী করে তোলা এবং জঙ্গি সংগঠনগুলির উত্থানের কারণে একদিকে যেমন দেশের বহুত্ববাদী পরিচয়কে চাপের মধ্যে ফেলেছে, তেমনই আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক সুস্থিতিকে ভিতর থেকে ক্ষয় করছে। ক্ষমতার হাত বদলের পর মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনগুলি বাংলাদেশের সমাজ এবং প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব কায়েম করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রাথমিক অস্ত্র হল ধর্ম। আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় থাকার সময়ও সে দেশের বহুত্ববাদী পরিচয় এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রবল প্রভাব থাকা মোল্লাতন্ত্রের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। সেই মোল্লাতন্ত্রই এখন চোখ রাঙাচ্ছে...।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, ইউনুসের সরকার বাংলাদেশকে আসলে কোথায় নিয়ে যেতে চায়? 
02nd  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
একনজরে
অগ্নিকাণ্ডের পর সিউড়ি বড়চাতুরী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল ভবনে তালা পড়েছে। অন্য একটি ভবনে চালু রয়েছে শুধু জরুরি বিভাগ ও আউটডোর পরিষেবা। প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারিও এই হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে। ...

ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ভোপাল সেন্ট্রাল জেল। তারপরও জেল চত্বরে উড়ল ‘মেড ইন চায়না’ ড্রোন। নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে কীভাবে ঢুকল সেই ড্রোন? সেই প্রশ্নই এখন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।  ...

কোচবিহার মেডিক্যালে চলছে হবু ডাক্তারদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। নকলের অভিনব পথ খুঁজছেন তাঁদের একাংশ! নকলের জন্য এসির ডাক্ট পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার আগে মহারাজ জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের একটি ঘরের এসির ডাক্ট পাইপের ভিতর থেকে নকল বের করা হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM