কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটছে। পুলিসের হাতে ধরা পড়ছেন অনেকে। অনুপ্রবেশ আটকাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই ফেন্সিং দেওয়ার কাজ করছিলেন বিএসএফের জওয়ানরা। সেই কাজ চলাকালীন তাতে ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় সীমান্তে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমে কোদালিয়া নদীর একাংশ ‘দখল’ নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া বাগদা দিয়ে গিয়েছে কোদালিয়া নদী। নদীর একদিকে ভারতের রণঘাট। অন্যদিকে রয়েছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের মাটিলা গ্রাম। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের এক কর্তা কোদালিয়া নদীর পাঁচ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দাবি করেছেন বলে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম প্রচার হয়। এ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়।
স্পর্শকাতর পৃথক দুই ঘটনার পরই বৃহস্পতিবার বিএসএফ ও বিজিবির আইজি পর্যায়ের বৈঠক ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন সকাল ১১টার সময় পেট্রাপোল বর্ডারে আসেন বিএসএফের আইজি (সাউথ বেঙ্গল) মণিন্দর প্রতাপ সিং পাওয়ার। তিনি পৌঁছন বেনাপোল বিওপিতে। বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হুমায়ুন কবির। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠকে সীমান্তে সমন্বয়, শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় জোর দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিএসএফের আইজি (সাউথ বেঙ্গল) মণিন্দর প্রতাপ সিং পাওয়ার বলেন, এটি রুটিন বৈঠক। বর্ডার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোথাও সমস্যা নেই। ভারতীয় ভূখণ্ডের নিরাপত্তায় বিএসএফের জওয়ানরা সম্মানের সঙ্গে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ইউনিট, সেক্টর কমান্ডার, আইজি পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত ছিল। সুন্দর পরিবেশে এদিনের বৈঠক হয়েছে। বেনাপোল বিওপির সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বর্ডার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।