কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গি নেতাকে মুক্তি দিচ্ছে ইউনুস সরকার। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত মৌলবাদীরা। নিত্যদিন চোরাগোপ্তা হামলার হচ্ছে হিন্দুদের উপরে। সরকারের রোষে পড়ার ভয়ে সেদেশের সংবাদমাধ্যম তা ‘সেন্সর’ করলেও ফাঁস হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত কয়েকদিনে পটুয়াখালি, যশোর সহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত পাঁচজন হিন্দু ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ঝালকাঠি জেলায় উদ্ধার হয় এক হিন্দু ব্যবসায়ীর দেহ।
বুধবার চট্টগ্রামের চৌধুরীহাটে মন্দিরে হামলা হয়। সেখানকার বিশ্বেশ্বরী কালীবাড়ি, জগবন্ধু আশ্রম মন্দির, সত্যনারায়ণ সেবাশ্রম মন্দির ও মগধেশ্বরী কালীবাড়িতে লুটপাটের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইসঙ্গে বাগেরহাট জেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াধর গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘর মৌলবাদীরা পুড়িয়ে দিয়েছে।
মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের থানাঘাট এলাকায়। শহরের কোতোয়ালি মডেল থানার উল্টোদিকে হজরত শাহ সুফী সৈয়দ কালু শাহর। ১৭৯তম বার্ষিক উরস উপলক্ষ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পারে বুধবার কাওয়ালি গানের আয়োজন করেন ভক্তরা। স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ গান শুরু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে সেখানে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। মঞ্চ ও চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়। হেনস্তার শিকার হন শিল্পীরা। হামলাকারীদের সাফ কথা, গান-বাজনা চলবে না। তাদের হুমকির জেরে পুলিস এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। সাময়িকভাবে উত্তেজনা প্রশমিত হলেও রাত তিনটে নাগাদ হামলাকারীরা ফের ফিরে আসে। এবার তাদের রোষে পড়ে মাজার। হাতুড়ি, শাবলের আঘাতে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই হামলার জন্য পাশের মসজিদের পড়ুয়াদের দিকে আঙুল তুলেছেন মাজারটির অর্থ সম্পাদক মহম্মদ খলিলুর রহমান। যা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মসজিদের প্রধান মুয়াজ্জিন।