Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। চলে যাও! ওই মোরাদের কবন্ধ আমায় ডাকছে। দারার মুণ্ড আমার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছে। সুজা হাসছে— এ কী সব— ওঃ!’
এভাবেই বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, জীবিত মানুষের থেকে মৃত মানুষের শক্তি অনেক বেশি। বহু মৃত ব্যক্তি অনেকেরই ঘুম কেড়ে নেয়। বর্তমান মোদি সরকারকে দেখলে সেটা আরও ভালো করে নজরে পড়ে। মোদি বা অমিত শাহের সব থেকে ভয় কাকে? মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, আম্বেদকর, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে। প্রত্যেকেই মৃত, কিন্তু তাঁদের ছায়া দেখলে আতঙ্কে নিন্দামুখর হয়ে ওঠেন তিনি। বারবার সেই মৃত ব্যক্তিদের সমালোচনায় বিদ্ধ করেন। তাই দশ বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসনের পরেও বিজেপির মুখে বারবার এই নামগুলিই ঘুরে ফিরে আসে। মৃত মানুষদের চাঁদমারি করে অনর্গল সমালোচনার কাদা ছেটান। আসলে তাঁদের কৃতিত্বগুলিকে নস্যাৎ করে নিজেকে বিশাল করে দেখানোর এটা একটা চেষ্টা মাত্র। ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও তিনি নিজের কোনও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তুলে ধরতে অক্ষম। কেননা তাঁর ক্ষমতায় থাকার দশটি বছর ব্যর্থতার এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সেই কলঙ্ক মুছতে তাঁর দরকার নেহরু, আম্বেদকরের মতো কিছু মৃত মানুষের নাম। এভাবেই চলছে চালুনির ছুঁচের বিচার। 
পূর্বসূরিদের কীর্তি মুছে ফেলে নিজেকে ‘বিশ্বগুরু’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে নানা অসত্য তথ্যের প্রচার করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে যতই তিনি নিজেকে বিশাল আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করুন না কেন, তাঁর বিদায়ের অপস্রিয়মাণ সময়টা যেন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। হয়তো তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরো টার্ম নাও থাকতে পারেন। কোনও এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে রদবদল হতে পারে। আরএসএস এ ব্যাপারে নীরবে আড়াই ঘরের চাল দিচ্ছে। সেই বার্তা দলের মধ্যে পরিষ্কার হতেই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদ দখল নিয়ে টাগ অব ওয়ার। দুইদিকে দুই পুরুষ। গুজরাতি পুরুষ অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের পুরুষ যোগী আদিত্যনাথ। একটু দূরে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে ছোঁ মারার চেষ্টায় আছেন নীতিন গাদকারি। তবে মূলত দুই দাবিদার হলেন অমিত এবং যোগী। 
আপাতত এজেন্ডা ঘর গোছানো, রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয়। এই কাজে তাঁদের অস্ত্র হিন্দুত্ব। তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদির পথেই হিন্দুত্বের ঝান্ডা হাতে তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছেন। তাই যোগী যখন মন্দির মন্দির করে ছুটছেন, সব মসজিদের নীচে মন্দির খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তখন অমিত শাহ আম্বেদকরের দিকে কাদা ছেটানোর কাজে বেশি সময় ব্যয় করছেন। বিজেপি এই সংবিধানকে যে মনপ্রাণ দিয়ে মানে না, সেটা গত দশ বছরে বারবার বোঝা গিয়েছে। মনুবাদী শাসন ব্যবস্থার প্রতি তাঁরা যে বেশি আস্থাশীল, সেটা অবশ্য গেরুয়াবাবুরা গোপন করেন না। মনুবাদই তাঁদের কাছে সংবিধান। যে মনুবাদের আইন কখনওই সভ্য সমাজে. কার্যকর হতে পারে না।  
সুতরাং এই লড়াইয়ের মাঝে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত নার্ভের লড়াইয়ে কে জিতবেন? মোদি বা মোহন ভাগবত কোন পক্ষে রয়েছেন? সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে কার অবস্থান কোথায়?
এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই যে, মোদি সবসময় অমিত শাহকেই পছন্দ করে এসেছেন। গুজরাত কী মজবুত জোড়ি হ্যায়, টুটেগা নেহি। সেই গোধরা যুগ থেকেই তাঁদের বন্ধন অটুটু। একে অন্যের দোসর। তাই মোদি সবসময় চান, তাঁর পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন অমিত শাহ। সেই প্রক্রিয়া মোদি শুরু করে দিয়েছেন। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, আগামী দিনে সম্ভবত জোট রাজনীতির ‘বড় দাদা’ হয়েই বিজেপিকে থাকতে হবে। 
সেক্ষেত্রে শরিক দলগুলি যাতে অমিত শাহকেই সমর্থন করেন, তার জন্যও খেলাও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র্রে জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী করতে প্রয়াসী হয়ে উঠেছেন অমিত। 
তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে যোগী আদিত্যনাথ। সুযোগ পেতেই মোদি-শাহ জুটি যোগীকে জাতীয় রাজনীতির আঙিনা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বস্তুত জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে যোগী আদিত্যনাথের আসন ততটা শক্তিশালী নয়। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নিজের আসন শক্তিশালী করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রামমন্দির বিজেপিকে প্রচুর ডিভিডেন্ট দিয়েছে। সেই রামমন্দির নির্মাণ হয়ে গেলেও টেম্পল পলিটিক্সের রাস্তা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি নন আদিত্যনাথ। গোরু এবং মন্দিরের গুরুত্ব তাঁর কাছে অনেক বেশি। সেটাকেই তিনি জাতীয় রাজনীতিতে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের হাইওয়ে বলে মনে করছেন।   
অমিত শাহ এবং যোগী তাই তাঁদের নিজেদের মতো করে খেলতে শুরু করেছেন। পর্দার আড়ালেও চলছে শক্তি সংগ্রহের নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা। অমিত শাহের দিকে আছে বিজেপি দলটি। যোগীর দিকে আছে আরএসএস। অমিত শাহ ইতিমধ্যেই ‘চাণক্য’ হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন। আদিত্যনাথ আবার ‘ঠোক দো’, বুলডোজার পলিটিক্সের মাধ্যমে ‘ঝুঁকেগা নেহি’ ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ তিনিও ভালোই বোঝেন। 
অমিত শাহ কয়েকদিন আগেই আম্বেদকরকে তেড়ে সমালোচনা করেছেন। কোন প্রসঙ্গে করলেন? সংবিধানের ৭৫তম বর্ষে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে আম্বেদকরের নিন্দার অর্থ সংবিধানকেই অস্বীকার করা। অমিতের সুরেই বলা যেতে পারে, মোদিজি যেভাবে বারবার জওহরলালের নাম নিয়ে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেন, সেটা না করে নিজের রাজধর্মটুকু পালন করলেই হতো। তাহলে আর তাঁকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মন্দির মন্দির বা হিন্দুত্বের উস্কানি দিতে হতো না। রাজধর্ম পালনের ব্যর্থতাই মোদি এবং অমিত শাহকে অন্যের নিন্দা করায় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। ব্যর্থ শাসককে নিজেদের ভাবমূর্তির মোমবাতি জ্বালাতে জওহরলাল, আম্বেদকরদের কাছ থেকে দেশলাই ধার করতে হয়। 
আমাদের সংবিধানের প্রাণপুরুষ হলেন আম্বেদকর। সংবিধান প্রণেতা হিসাবে গান্ধীজিই চেয়েছিলেন আম্বেদকর হোন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান। জওহরলাল কিন্তু প্রথমে রাজি ছিলেন না। নেহরু মনে করেছিলেন ভারতের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি হলেন ইংরেজ বিশেষজ্ঞ আইভর জেনিংস। গান্ধীজির চাপে জওহরলাল সংবিধান রচনার খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মেনে নেন আম্বেদকরকে। পরে অবশ্য জওহরলাল বুঝেছিলেন, গান্ধীজি লোক চিনতে ভুল করেননি। সংবিধান রচনা করতে বসে আম্বেদকরের মূল লক্ষ্য ছিল, বিবিধের মাঝে একটা অখণ্ড চেতনার প্রকাশ ঘটানো। অসাম্যের হাওয়া দূর করে একটা সাম্যের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 
আমাদের সংবিধানের শক্তি হল বিবিধের মাঝে মহামিলনের ঐতিহ্যকে দৃঢ় রাখা। ঠিক এইখানটাতেই আম্বেদকরের ওপর আরএসএসের রাগ। আসলে আরএসএস কোনওদিনই চায়নি ইংরেজরা এদেশ থেকে চলে যাক। বরং চেয়েছিল ইংরেজদের সেবা করে তাদের করুণা আদায়ের মাধ্যমে একটা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। 
সংবিধান রচনার খসড়া কমিটি গড়া হল ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর। এর ঠিক চারদিন পর ৩০ নভেম্বর আরএসএসের মুখপত্র ‘মাউথপিস’-এর সম্পাদকীয়তে তেড়ে গাল পাড়া হল এই প্রচেষ্টাকে। তারা সংবিধানকে ‘মনুস্মৃতি’ অনুকরণে গড়ে তোলার দাবি জানাল। নিন্দা করা হল আম্বেদকরের। আজ অমিত শাহের কণ্ঠে সেই ধিক্কারেরই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এরপর ১৯৪৯-এর ১২ ডিসেম্বর আরএসএসের পক্ষ থেকে নেহরু ও আম্বেদকরের কুশপুতুল পুড়িয়ে দুই নেতা ‘নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেওয়া হল। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হল শেখ আবদুল্লার গাড়ি। সেদিন সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বামী করপত্রিজি। তিনি ছিলেন একজন পণ্ডিত এবং কট্টর হিন্দুবাদী সাধু।বোঝা যাচ্ছে সেই ক্রোধ, সেই বিদ্বেষ এখনও মেটেনি। মেটার কথাও নয়। মহাত্মা গান্ধী, নেহরু এবং আম্বেদকরের উপর বিজেপির আজন্মের রাগ। তাদের বহু উদ্দেশ্যকে এই তিন নেতা সফল হতে দেননি। এই ত্রিফলা শক্তির কাছে বারবার আরএসএসের পরাজয় ঘটেছে। সেই রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে সঙ্ঘসখা নাথুরাম গডসে হাতে তুলে নিয়েছিলেন আগ্নেয়াস্ত্র। ‘হে রাম’ বলে লুটিয়ে পড়েছিলেন গান্ধীজি। মনে রাখা দরকার, গান্ধীর সেই ‘রাম’ এবং মোদির ‘রামচন্দ্র’ এক ব্যক্তি নন। 
অমিত-যোগীর লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবেন, তা সময় বলবে। মোদির পর হিন্দুত্বের পোস্টার বয় কে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এই লড়াই অতটা সহজ নয়। মোদির সরে দাঁড়ানোর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জারি থাকবে লড়াই। এই লড়াইয়ে ভারত এক কদমও এগবে না, দেশের অর্থনীতিরও বিশেষ হেরফের হবে না। দেশ যেমন ক্রমে পিছিয়ে যাচ্ছে, সেভাবেই পিছবে। পিছতে পিছতে আমরা একদিন সম্ভবত পুরাণকালে পৌঁছে যাব। তাতে সত্যিই কি বিজেপির কিছু যায় আসে? 
08th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
একনজরে
অগ্নিকাণ্ডের পর সিউড়ি বড়চাতুরী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল ভবনে তালা পড়েছে। অন্য একটি ভবনে চালু রয়েছে শুধু জরুরি বিভাগ ও আউটডোর পরিষেবা। প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারিও এই হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে। ...

কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ভোপাল সেন্ট্রাল জেল। তারপরও জেল চত্বরে উড়ল ‘মেড ইন চায়না’ ড্রোন। নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে কীভাবে ঢুকল সেই ড্রোন? সেই প্রশ্নই এখন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।  ...

ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরজা। আর সেই বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। অবশেষে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM