Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। মাসিক ভাড়া ৮০ টাকা।  পঞ্জিকা দেখে আগেই সবকিছু স্থির করা হল। শ্যামপুকুর থেকে শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ঘোড়ার গাড়ি করে কাশীপুরের  উদ্দেশে যাত্রা শুরু হল। শুক্লা পঞ্চমী তিথি, শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর অসুস্থ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তজন সহ কাশীপুরে ভাড়া বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। প্রশস্ত বাগানের মাঝে ছোট্ট দোতলা বাড়ি, চারিদিকে নানা ফুল ফলের গাছ। সঙ্গে ছোট্ট দুটি পুকুর। শ্যামপুকুরের ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে কাশীপুরের ভাড়া বাড়িতে এসে শ্রীরামকৃষ্ণ খুশি হলেন। শ্রীমা সারদা দেবী সঙ্গে সেবক লাটু, বুড়োগোপাল, কালীপ্রসাদ, নরেন্দ্রনাথ ও রামচন্দ্রও সেদিন রামকৃষ্ণের সঙ্গে এসে পৌঁছলেন কাশীপুরের বাটিতে।
গলরোগে আক্রান্ত শ্রীরামকৃষ্ণের চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে দক্ষিণেশ্বর থেকে শ্যামপুকুরের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ৭০ দিন চিকিৎসা করেও তার আশানুরূপ উপকার না হওয়ায় ডঃ মহেন্দ্র সরকার রোগীকে শহরের ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে খোলামেলা জায়গায় রাখার পরামর্শ দেন।  সেইমতো কাশীপুরের খোলামেলা পরিবেশে এসে এবং ডাক্তার মহেন্দ্র সরকার ও রাজেন্দ্র মিত্রের চিকিৎসায় প্রথম এক সপ্তাহের ভেতর অনেকটা ভালো বোধ করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তবে তারপরেই ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁর সেবার জন্য কাশীপুরে একে একে  উপস্থিত হলেন যুবকবৃন্দ। চলতে থাকল দিনরাত এককরে সেবা করা। কলকাতার শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যান্য গৃহী ভক্তরাও নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করেন। শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত প্রেম আকর্ষণে ও তাঁর পূতসঙ্গ লাভের জন্য  তাঁরা কাশীপুরে উপস্থিত থাকেন। ছুটির দিনগুলিতে বাড়তে থাকে  ভক্তের সংখ্যা। অসুস্থতার মধ্যেও শ্রীরামকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত কথা শোনার জন্য ভক্তদের ছিল নিত্য আনাগোনা। সকাল থেকেই নানা জন আসেন তাঁর  সান্নিধ্যে লাভ করে কৃপা প্রার্থনা করতে। 
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শ্রীরামকৃষ্ণের শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পেলে তিনি বাড়ির নীচে নামতে পারেননি। তবু ভক্তদের আসার বিরাম নেই।  ইংরেজি নববর্ষের দিন সকাল থেকেই অনেক গৃহী ভক্ত উপস্থিত হলেন কাশীপুরে শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভের আশায়। দুপুরে আহারের শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রোদ ঝলমলের দুপুরে শ্রীরামকৃষ্ণ নীচে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। ভক্তরা বাগানের চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে তখন গল্পে ব্যস্ত। ভাইপো রামলালের সঙ্গে দোতলা থেকে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে এলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তখন বেলা তিনটে, দুপুরের রোদ্দুরে সামান্য হাঁটাহাঁটি করার জন্য তাঁর নেমে আসা। ‘সেই দিনকার রূপের কথা স্মরণ হলে আমরা এখনো আশ্চর্য হয়ে থাকি। তাঁর সর্ব শরীর বস্ত্রাবৃত এবং মস্তকে সবুজ বানাতের কান ঢাকা টুপি ছিল। কেবল মুখমণ্ডলের জ্যোতিতে দিগমণ্ডল আলোকিত হইয়াছিল’ সেদিন উপস্থিত রামচন্দ্র দত্ত তাঁর স্মৃতি কথায় এইরকম সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন। শ্রীরামকৃষ্ণকে রাস্তা দিয়ে আসতে দেখে গিরিশচন্দ্র ঘোষ জুতো খুলে সেখানেই  সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করেন। ভক্ত গিরিশের কাণ্ড দেখে প্রসন্ন বদনে শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি যে সকলকে এত কথা বলে বেড়াও (নিজেকে দেখিয়ে), তুমি কি দেখেছ? কি বুঝেছো?
হাঁটু মুড়ে বসে জোরহাত করে গিরিশ বলতে থাকেন, ‘ব্যাস বাল্মীকি যার ইয়াত্তা  করতে পারেনি আমি তাঁর সম্বন্ধে বেশি কি আর বলতে পারি।’ ভক্ত গিরিশের মুখে এই সরল উপলব্ধির কথা শুনে শ্রীরামকৃষ্ণের মুখে ফুটে ওঠে এক অদ্ভুত হাসি। দিব্য হাসি মাখা সেই রূপ দেখে ভক্তরা বাগানের গাছ থেকে ফুল তুলে এনে তাঁর চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। মুহূর্তে অসুস্থ  শ্রীরামকৃষ্ণের চোখে মুখে ফুটে ওঠে এক দিব্য কান্তি। সহাস্যে  তিনি বলে ওঠেন, ‘তোমাদের আজ কি বলিব, আশীর্বাদ করি তোমাদের চৈতন্য হোক।’
এক অপূর্ব দিব্য ভাবে আবিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণ এরপর উপস্থিত সকল গৃহী ভক্তকে স্পর্শ দিয়ে কৃপা আশীর্বাদ করতে থাকেন। তাঁর পূত স্পর্শের প্রভাবে উপস্থিত সকলের মনে এক অদ্ভুত ভাবান্তর অনুভব হতে থাকে। কোনও ভক্ত হাসতে থাকেন, কারও চোখ থেকে ক্রমাগত আনন্দের অশ্রু বিসর্জন হতে থাকে। উপস্থিত হরিশ মোস্তাফি চোখের জলে আনন্দে রামচন্দ্র দত্তকে বলে ওঠেন, ‘ভাইরে! আমার আনন্দ আর ধরে না।’ 
এই ভাবাবেশ কিছুটা সংবরণ করার পর উপস্থিত অক্ষয় কুমার সেন, নবগোপাল ঘোষ, উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, রামলাল চট্টোপাধ্যায় উপেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতুল কৃষ্ণ ঘোষ সহ অনেককে একে একে কৃপা করতে থাকেন। কৃপায় উচ্ছ্বসিত ভক্তরা চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘তোরা কে কোথায় আছিস আয় প্রভু আজ কল্পতরু হয়েছেন।’ বেশ কিছু সময় ধরে শ্রীরামকৃষ্ণ দিব্য ভাব অবস্থায় ভক্তদেরকে অকাতরে কৃপা করতে থাকেন। ভক্তদের মনে থাকা বাসনা পূরণের আশীর্বাদ পেতে থাকে সকলে। এই দিন শ্রীরামকৃষ্ণ যেন তাঁর কৃপার ডালি উজার করে দিয়েছিলেন উপস্থিত সব গৃহী ভক্তদের মাঝে। ভক্তদের কাছে তিনি সেদিন হয়ে উঠেছিলেন শাস্ত্রে বর্ণিত কল্পতরুর জীবন্ত বিগ্রহ। রাত জেগে সেবা করার কারণে ত্যাগী ভক্তরা তখন অধিকাংশই ছিলেন বিশ্রামে। শ্রীরামকৃষ্ণ নীচে নেমে আসায় তাঁর বিছানার লেপতোষক রৌদ্রে দেওয়ার সময় দোতলা থেকেই  লাটু নজর করেন এই ঘটনা। 
দক্ষিণেশ্বরে থাকাকালীন শ্রীরামকৃষ্ণ একদিন বলেছিলেন, যাওয়ার আগে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়ে যাব। ইংরেজি নববর্ষের সূচনার দিনের গৃহী ভক্তদের অকাতরে কৃপা বিতরণকে শ্রীরামকৃষ্ণ পুঁথিকার অক্ষয় কুমার সেন এইভাবে উল্লেখ করেছেন,
প্রভুর প্রতিজ্ঞা ছিল শুন বিবরণ।/ হাটেতে ভাঙ্গিব হাঁড়ি যাইব যখন।।/ সেই হাঁড়ি-ভাঙ্গা রঙ্গ আজিকার দিনে।/ কীভাবে ভাঙ্গিলা হাঁড়ি শুন এক মনে।।
শ্রীরামকৃষ্ণ আধুনিক যুগের আধুনিকতম অবতার। তাঁর ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে  ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত কলকাতার মানুষজন দলে দলে  জড়ো হয়েছিলেন। তৎকালীন ইংরেজ শাসনের রাজধানী কলকাতায়, শ্রীরামকৃষ্ণ নিজেকে মেলে ধরার জন্য তাই যেন ইংরেজি নতুন বছরের দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। ভক্তদের কাছে এই দিনটিতেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন কল্পতরু। রামকৃষ্ণের অবতার লীলায় আমরা দেখি বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন সময় তিনি কৃপা করেছেন। তাই ভক্তদের কাছে তিনি ছিলেন নিত্য কল্পতরু। স্বামী শিবানন্দ বলতেন, ‘তিনি (রামকৃষ্ণ) সদাই তো কল্পতরু। জীবকে কৃপা করাই তাঁর একমাত্র কাজ ছিল। আমরা তো চোখের সামনে দেখেছি, তিনি নিত্যই কত জীবকে কত ভাবে কৃপা করতেন। হ্যাঁ কাশীপুর বাগানে এই দিনে তিনি একসঙ্গে অনেক ভক্তকে কৃপা করেছিলেন। সে হিসেবে এই দিনটির একটা বিশেষত্ব আছে। তিনি যে কৃপাসিন্ধু তা সেদিনকার ঘটনায় ভক্তরা বিশেষ করে বুঝতে পেরেছিলেন।’ ইংরেজি বছর শুরুর দিনটিতেই নতুন বছরের সূচনায় তাঁর এই কৃপাবিতরণে ধন্য অনেকেই পরবর্তীকালে তাঁদের অভিজ্ঞতা লিখে গিয়েছেন। দেবেন্দ্রনাথ মজুমদার লিখছেন, ‘বৈকাল বেলায় আপনি কল্পতরু হয়ে বসলেন।... আপনি যাচিয়া যাচিয়া সকলকে কৃপা করিতে লাগলেন। আর বক্ষ কাহারো মস্তক স্পর্শ করিলেন, কাহারো কানে কানে কি বললেন।’ ১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কাশীপুরে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন গৃহী ভক্ত। ওইদিন উপস্থিত বৈকুণ্ঠ সান্যাল পরবর্তীকালে স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, কল্পতরু তুল্য করুণা-বিতরণ দর্শনে অল্পবুদ্ধি বৈকণ্ঠ মুগ্ধ হইয়া ‘কে কোথায় আছিস আয়’ বলিয়া রব তুলিলে প্রভু তাহাকে নিরস্ত হইতে ইঙ্গিত করায়, যেন আরো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় সম্মুখে দাঁড়াইলে স্মিত মুখে কহেন, ‘তোর তো আগেই সব হয়ে গেছে।’ রামকৃষ্ণ তাঁর সরল সুন্দর উপমা দিয়ে কল্পতরু কী তা ভক্তদের বুঝিয়েছিলেন। কল্পতরুর কাছে কী আর কীভাবে চাইতে হয় তাও আগে থেকে ভক্তদের কথার ছলে শিখিয়ে রেখেছিলেন লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ। কাশীপুরে সেই দিনের এই ঘটনাকে, তাঁর আত্মপ্রকাশের অভয় প্রদান বলে বর্ণনা করেছেন স্বামী সারদানন্দ। শ্রীরামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গ বইটিতে তিনি রামকৃষ্ণের দুটি সত্তার কথা উল্লেখ করেছেন, ‘ঠাকুরের (শ্রীরামকৃষ্ণের) দুটি ভাব আছে। একটা মানুষ ভাব। অন্যটির দিব্য ভাব। মানুষ ভাবে তিনি সকলের উপর অত্যন্ত সহানুভূতিপূর্ণ। যারা তাঁর কাছে আসতো তাদের সকল দুঃখ দূর করতে সচেষ্ট।’ অসুস্থ অবস্থাতেও তাঁর এই দুটি ভাব বিদ্যমান ছিল। তাই তিনি সেদিন দিব্যভাবে বিভোর হয়ে জগৎবাসীকে অভয় প্রদান করেছিলেন। বলেছিলেন— ‘তোমাদের চৈতন্য হোক।’
01st  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
একনজরে
ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

অগ্নিকাণ্ডের পর সিউড়ি বড়চাতুরী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল ভবনে তালা পড়েছে। অন্য একটি ভবনে চালু রয়েছে শুধু জরুরি বিভাগ ও আউটডোর পরিষেবা। প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারিও এই হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে। ...

পায়ের পাতা বেশ ফোলা। অনুশীলনে নামা তো দূর অস্ত, বুট পরতেই পারছেন না আনোয়ার আলি। ডার্বিতে খেলা বেশ কঠিন। হাতে মাত্র দু’দিন। সম্ভাবনা ক্ষীণ বুঝেও ...

কোচবিহার মেডিক্যালে চলছে হবু ডাক্তারদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। নকলের অভিনব পথ খুঁজছেন তাঁদের একাংশ! নকলের জন্য এসির ডাক্ট পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার আগে মহারাজ জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের একটি ঘরের এসির ডাক্ট পাইপের ভিতর থেকে নকল বের করা হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM