Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি। তারা নেমে এসেছে ২৪০-এ। কিন্তু এই শক্তি হ্রাসও বিজেপিকে সংযত করতে পারেনি। কারণ ১৬ আসনের তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং ১২ আসনের জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) সমর্থন জোগাড় করেছেন নরেন্দ্র মোদি। অন্য মিত্র দলগুলির সমর্থনের জোরে এনডিএর মোট সংখ্যা বা শক্তি ২৯৩। খেয়াল করুন, সংখ্যার তফাত ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের চেয়ে খুব বেশি আলাদা নয়। ২০১৪ সালে এনডিএর এমপি সংখ্যা ছিল ২৮২ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৩০৩। এবার লোকসভায় কেবল বিজেপি একাই অনেক কমে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর দলের সদস্যদের এবং সহযোগীদের একটা জিনিস চটপট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতোই জনসমর্থন নিয়ে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর এই আশ্বাসেই এনডিএ সাংসদদের নার্ভাসনেসের প্রাথমিক ধাক্কাটি দূর হয়ে গিয়েছে।
ফিরে এসেছে ঔদ্ধত্য
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করেছিলেন যে, বিজেপির নেতৃত্বে এই যে সরকার তৈরি হল সেটি ‘সংখ্যালঘু’। অতএব মোদিজি এবার আরও সতর্ক এবং সংযত হতে বাধ্য হবেন। এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করিনি। তাঁরা ভেবেছিলেন যে মোদিজি সংসদের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল হবেন, কিন্তু শীতকালীন অধিবেশন দিল বিপরীত সাক্ষ্য। স্পষ্টতই, মোদিজির নির্দেশে মন্ত্রী এবং শাসক গোষ্ঠীর সাংসদদের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই সংসদে পাওয়া গেল। সংসদীয় নিয়ম এবং প্রথার প্রতি তাঁরা বিশেষ সম্মান দেখাননি। বস্তুত, সংসদে বিরোধীদের উপর রুক্ষ ব্যবহারই করেছে শাসক পক্ষ। রাজনাথ সিং সাধারণভাবে একজন ভদ্র বিনয়ী মানুষ। এস জয়শঙ্কর এবং কিরেন রিজিজুকেও সংযত মেজাজে পাওয়া যায়। কিন্তু বিরোধীদের দাবি খারিজ এবং দোষারোপ করার জন্য তাঁরা যেভাবে হস্তক্ষেপ করলেন তা ঔদ্ধত্য ফেরানোর নজির হিসেবেই থেকে যাবে। 
শীতকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহে, সরকার একযোগে নির্বাচনের জন্য সংবিধান (১২৯তম) সংশোধনী বিল উত্থাপন করে এবং বিলটিকে দ্রুত পাঠিয়ে দেয় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য না-থাকায় সরকার পক্ষ বিপাকে পড়েই এই নিয়ম লঙ্ঘনের কাজটি করেছে। বিলটি উত্থাপনের সময় তার পক্ষে ২৬৩ এবং বিপক্ষে ১৯৮ ভোট পড়েছিল। কিন্তু তার কাছে উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন এবং সংবিধান সংশোধনী বিল পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট ছিল, সরকার এটা দেখাতে পারেনি। বিলটিকে ‘পরাজিত’ করতে লোকসভায় বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮২ ভোট। সেখানে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের রয়েছে ২৩৪ আসন।
গুরুত্বপূর্ণ কারণ
বিলটির পরাজয় কেন জরুরি? এর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
• প্রথমত, সংবিধানে এই ব্যবস্থা রয়েছে যে লোকসভা (অনুচ্ছেদ ৮৩) এবং বিধানসভাগুলি (অনুচ্ছেদ ১৭২) নির্বাচিত হতে হবে পাঁচবছরের জন্য। এটি সংবিধানের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এই মৌলিক বৈশিষ্ট্য সংশোধন করার ক্ষমতা সংসদের নেই। ধরা যাক, বিধানসভাগুলি একবারে একবছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে বলে সংবিধান সংশোধনী বিল একটি উদ্ভট পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়েছে। সেটি অসাংবিধানিকই হবে। কারণ এমন পরিবর্তন নির্বাচনকে প্রহসন এবং আইনসভাকে একটি সার্কাসে পরিণত করবে। এই নিয়ম মানতে গিয়ে, একইভাবে, লোকসভার মেয়াদের সঙ্গেই সমাপ্ত হবে বিধানসভার মেয়াদ! তাতে হাস্যকর এবং প্রহসনে পরিণত করা হবে বিধানসভা এবং রাজ্য সরকারগুলিকে। একটি নির্বাচিত বিধানসভার আয়ু ছ’মাস থেকে পাঁচবছরের মধ্যে যেকোনও মেয়াদের হতে পারে। ১৯৯৬, ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনগুলির কথা একবার ভেবে দেখা যেতে পারে। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ প্রস্তাবটি গত শতকের নব্বইয়ের দশকে কার্যকর থাকলে তবে সমস্ত রাজ্য বিধানসভাকেও তিনবছরে তিনটি নির্বাচনের ঝক্কি পোহাতে হতো। আর এমনটা হলে স্থিতিশীল রাজ্য সরকারের ধারণাকে বিদায় জানাতে হতো না কি? 
• দ্বিতীয়ত, সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি সরকারের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের কোনও কনসেপ্ট নেই। 
কেন্দ্রীয় সরকারকে লোকসভার কাছে প্রতিদিন অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকতে হবে। তার মানে হল, সেই সরকার প্রতিদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিদের সমর্থন 
নিয়ে চলবে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারিয়েছে বলেই কেন দেশের 
রাজ্য সরকারগুলিও তাদের স্থিতিশীলতা হারাবে? রাজ্য সরকারগুলি তো শুধু নিজ নিজ রাজ্যের আইনসভা বা বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। আরও ভেবে দেখুন, হয়তো একটি বিধানসভা নির্বাচনের একমাস পরই ভেঙে দেওয়া হল লোকসভা! লোকসভা ভেঙে যাওয়ার দায়ে কেন একটি সদ্যগঠিত বিধানসভা-সমেত দেশজুড়ে সমস্ত বিধানসভাকেই ভেঙে দেওয়া হবে?
• তৃতীয়ত, কোনও বিরোধী দল যারা একটি রাজ্য সরকার চালায় তারা প্রধানমন্ত্রীকে পরাজিত করতে ভোট দেবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর পতনের কারণে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হলে তখন সমস্ত বিধানসভাও যে ভেঙে যাবে! ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচাতে ছুটে যাবেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই! তাঁদের নিজেদের কার্যকাল ও বিধানসভার মেয়াদ বাঁচাতেই মরিয়া হয়ে এই কাণ্ড ঘটাতে বাধ্য হবেন তাঁরা! 
• চতুর্থত, সংসদীয় গণতন্ত্রে এই অলিখিত নিয়ম আছে যে, যে-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লোকসভার সমর্থন রয়েছে তিনি যেকোনও সময় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতিকে সেই পরামর্শ মেনে নিয়ে অবশ্যই নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। একজন ধূর্ত প্রধানমন্ত্রী যদি নিশ্চিত হন যে তাঁর দল কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচিত হবে, তাহলে বিরোধী দলগুলির তরফে গঠিত রাজ্য সরকারগুলি ফেলে দিতে তিনি লোকসভার অকাল বিলুপ্তিই চাইবেন এবং সেইমতো রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন। তখন রাজ্য সরকারগুলির ভাগ্য আর রাজ্য বিধানসভার হাতে থাকবে না, চলে যাবে প্রধানমন্ত্রীর কব্জায়। এটি সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী একটি মতবাদ।
• পঞ্চমত, এই প্রশ্নও উঠবে যে, একজন প্রার্থীর মেয়াদ অনিশ্চিত হয়ে গেলে তিনি নির্বাচনে লড়তে যাবেন কেন? একইভাবে জনগণও ভাবতে পারে, কেন একজন প্রার্থীকে ভোট দেবে যখন তারা নিশ্চিতই হতে পারছে না যে সেই ব্যক্তিটি কতদিন তাদের বিধায়ক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন?
• ষষ্ঠত, বিলটির পিছনে আসল উদ্দেশ্য হল 
সেই বিরোধী দলগুলিকে ক্ষীণবল বা দুর্বল করা, যাদের জন্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে বিজেপি কোনোভাবেই ভোটে জিততে পারছে না। এই দাপুটে বিরোধী দলগুলির থেকে বিজেপি সবরকমে পরিত্রাণ চাইছে। 
সংসদে বর্তমান যে সংখ্যার ফের, বিলটি তাতেই ‘পরাজিত’ হবে। তবুও সেটি পেশ করা হল কেন? বিলটি পাস করার জন্য বিজেপি কোনও ‘ম্যাকিয়াভেলিয়ান স্কিম’ নিয়েছে কি? এর উত্তর শুধু সময়ই দেবে।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
30th  December, 2024
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
একনজরে
পায়ের পাতা বেশ ফোলা। অনুশীলনে নামা তো দূর অস্ত, বুট পরতেই পারছেন না আনোয়ার আলি। ডার্বিতে খেলা বেশ কঠিন। হাতে মাত্র দু’দিন। সম্ভাবনা ক্ষীণ বুঝেও ...

কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ভোপাল সেন্ট্রাল জেল। তারপরও জেল চত্বরে উড়ল ‘মেড ইন চায়না’ ড্রোন। নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে কীভাবে ঢুকল সেই ড্রোন? সেই প্রশ্নই এখন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।  ...

আলো কম। আবার বিদ্যুৎ বিলের খরচও বেশি। এবার ভিআইপি রোডের দৃশ্যমানতা বাড়াতে উদ্যোগ নিল পিডব্লুডি (ইলেকট্রিক্যাল)। কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’দিকেই পুরনো ...

ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরজা। আর সেই বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। অবশেষে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM