Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। এই প্রবণতাটি জোট রাজনীতির ভারতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গবেষণারও বিষয়। কারণ পক্ষান্তরে, যে আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপির সংস্পর্শে আসেনি তারা টিকে রয়েছে স্বমহিমায়। কেউ কেউ হয়তো ক্ষমতাসীন নেই সরকারে, কিন্তু রাজ্যে তারাই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ এখনও। অথচ যারা বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিল কিংবা মৈত্রী স্থাপন করেছে, তাদের ভোটব্যাঙ্ক এবং রাজনৈতিক প্রভাবে বিপুল ধস নেমেছে। এবং একক অস্তিত্বের গৌরব হারিয়ে তারা ক্রমেই বিজেপির উপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। 
এই মুহূর্তে ৭টি আঞ্চলিক দল একক ক্ষমতায় বেঁচে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে। এই ৭টি আঞ্চলিক দল এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির সঙ্গে কোনওরকম জোটে যুক্ত হয়নি কিংবা পরোক্ষ সখ্য স্থাপন করেনি। লক্ষণীয় যে, ঠিক এই ৭টি দলই এখনও পর্যন্ত নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব, ঩ভোটব্যাঙ্ক, গুরুত্ব  এবং নিজেদের রাজ্যে তথা জাতীয় স্তরেও প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। 
আর বিজেপির সঙ্গে জোট করে কিংবা সরাসরি এনডিএ জোটের শরিক না হলেও বিজেপির সঙ্গে গোপন অথবা প্রকাশ্য বন্ধুত্ব রেখে গিয়েছে যারা, তাদের মধ্যে একঝাঁক দলের এখন অস্তিত্ব রক্ষাই সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, সুখবীর সিং বাদলের শিরোমণি অকালি দল, জয়ললিতার রেখে যাওয়া দল এআইএডিএমকে, নীতীশকুমারের সংযুক্ত জনতা দল, মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি, উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা, দেবেগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার)। 
এই দলগুলি এখনও রয়েছে। কিন্তু কারও প্রভাব সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ। আবার কেউ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ক্রমেই পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছে। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশকুমাররা নিজেদের মোদি সরকারের ভাগ্যনিয়ন্তা ভাবলেও আদতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির উপর তাঁরা অনেক বেশি নির্ভরশীল। তাঁরা দুজনেই নিজেদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র থেকে অগাধ টাকা দিয়ে তাদের সরকার চালানোয় পরোক্ষ সাহায্য করছেন মোদি। সুতরাং বিজেপির থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে তাঁরা কী করবেন? লাভ কী হবে? তাঁরাও জানেন যে, এই শেষ টার্ম। এরপর তাঁদের রাজ্যে চালকের আসনে আসছে বিজেপি।
ওড়িশা, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক সময় বিজেপি ছিল ছোট শরিক। আজ তারাই সেইসব রাজ্যে সরকারের প্রধান। যাদের মাধ্যমে বিজেপির উত্থান হয়েছিল, তারা আজ গুরুত্বহীন। অর্থাৎ বিজু জনতা দল অথবা শিবসেনা। বিহারে নীতীশকুমারের এটাই শেষ শাসন। ২০২৫ সালে এনডিএ জোট ক্ষমতাসীন যদি হয়, তাহলেও নীতীশকুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। হবেন বিজেপির কোনও নেতা। এটাই মোদির ফর্মুলা। আগে বন্ধুত্ব করো। তারপর গ্রাস করে নাও। তারপর ছুড়ে ফেলে দাও। একনাথ সিন্ধে নবতম উদাহরণ। 
সমুদ্র অথবা নদীতে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে নেবে। বৃহৎ বৃক্ষ ক্রমেই ক্ষুদ্র উদ্ভিদদের জমি দখল করে নিয়ে শিকড় ও ডালপালা বিস্তার করে দেয়। জঙ্গলে বাঘ কখনও চায় না তার চারণভূমিতে আরও একাধিক বাঘ ঘুরে বেড়াক। তারা চায় তার একটি এলাকা নির্দিষ্ট থাকবে এবং সেখানে সেই রাজা। আফ্রিকায় সিংহদের মধ্যে সংঘাত লেগেই থাকে পরিবার কিংবা গোষ্ঠীর দখল নিয়ে। 
অতএব নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি প্রকৃতি ও রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই চাইছে, যে রাজ্যে বিজেপি দুর্বল, সেখানে কোনওভাবে একবার প্রবেশ করে ক্ষুদ্র শিকড় প্রোথিত করার সুযোগ পেতে। সেটা সম্ভব হয় ওইসব রাজ্যে শক্তিশালী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করা, বন্ধুত্ব স্থাপন করলে। অর্থাৎ কোনওমতে একবার রা঩জ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে পা রাখা। তারপর ক্রমেই সেইসব দলের ভোটব্যাঙ্কে বিজেপি থাবা বসায়। জোটের ফলে ওইসব দলের ভোটারদের কাছে টেনে নেওয়া হয়। এবং ক্রমে বিজেপিই হয়ে ওঠে সেইসব জোটের প্রধান চালিকাশক্তি। ধীরে ধীরে ওই আঞ্চলিক দল দুর্বল হয়ে যায়। বিজেপির আর্থিক ও প্রভাবের ক্ষমতার অধীনস্থ থেকে সেইসব দলের রাজনৈতিক ঝাঁঝ কমে যায়। এভাবেই তারা হীনবল হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত প্রভাব হারায়। শেষ পর্যন্ত বিজেপির ছোটভাই হয়ে থাকতে হয়। 
সর্বশেষ উদাহরণ মহারাষ্ট্রে একনাথ সিন্ধের শিবসেনা। উদ্ধব থ্যাকারের দলকে ভেঙে তিনি বিজেপির কাছে চলে এসেছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মাত্র এক বছরের মধ্যেই সেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে গেল। যিনি নভেম্বর মাসেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি ডিসেম্বর মাস থেকে উপ মুখ্যমন্ত্রী। যে পদের কোনও গুরুত্বই নেই। 
নবীন পট্টনায়ক, মায়াবতী, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং জগনমোহন রেড্ডিরা কোনওদিন প্রকাশ্যে এনডিএ জোটে যুক্ত হননি। তাঁরা মুখে বলতেন কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব নীতি। কিন্তু সংসদের অভ্যন্তরে তাঁরা লাগাতার মোদি সরকারকে সমর্থন পাইয়ে দিয়েছেন। অন্যতম কারণ কেন্দ্রীয় এজেন্সির জুজু। সেই কারণে আজ পর্যন্ত এই চারজনকে এখনও পর্যন্ত হাজারো দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও সিবিআই কিংবা ইডি গ্রেপ্তারও করেনি। বিরক্তও করেনি। 
কিন্তু তার জেরে তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষতি নিজেদের অজান্তে চরম হয়েছে। মাটি সরে গিয়েছে পায়ের তলা থেকে। আর তারই পরিণতি মায়াবতীর এখন আর উত্তরপ্রদেশে কোনও গুরুত্বই নেই। এবং নবীন পট্টনায়ক, জগনমোহন রেড্ডি এবং কে চন্দ্রশেখর রাওদের তিনজনই ভোটে পরাস্ত হয়ে সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত। 
অর্থাৎ তাদের বিজেপির সংস্পর্শে আসা কিংবা বিজেপিকে পরোক্ষ সমর্থন জোগানোর কারণে বিজেপি কিংবা মোদি সরকারের অনেক লাভ হয়েছে। কিন্তু এইসব দলের কোনও বৃহত্তর লাভ হলই না। ববং লোকসান হয়েছে অনেক বেশি। ওড়িশায় বিজেপি এককভাবে বিপুল সংখ্যায় আসন জিতে সরকার গড়েছে। তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস জয়ী হয়েছে এবং সেখানে বিজেপি অন্যতম প্রধান শক্তি। অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুকে সামনে রেখে বিজেপি জোট সরকার। শিরোমণি অকালি দল পাঞ্জাবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে তারা এনডিএ জোটে থাকার পর থেকেই পাঞ্জাবে তাদের রাজনৈতিক মাটি সরে যায়। বিশেষ করে কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে তাদের অনিশ্চিত অবস্থান রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করে তাদের। 
বাংলা একটি আশ্চর্য ব্যতিক্রম। সিপিএম একটি অভিযোগ করে থাকে। তারা বলে এ রাজ্যে 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে ধরে বিজেপিকে 
নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ এভাবে তারা মমতাকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাংলায় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের সামান্যতম ক্ষতিও করতে পারেনি। বরং বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের ৮০ ভাগই সিপিএমের ভোটার। অর্থাৎ সিপিএম ২০১১ সালে ভোটে পরাজিত হওয়ার পর নিজেদের বেঁচে থাকা ভোটারও আর ধরে রাখতে পারেনি। সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক দলে দলে বিজেপিতে ভোট দেয় এখন। পক্ষান্তরে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ভোটশেয়ার ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে। ২০১৯ সালে বিজেপি সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করেছিল লোকসভা ভোটে ১৮ আসন পেয়ে। কিন্তু ২০২৪ সালে তারা সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি।
২০২৫ সালে দিল্লি এবং বিহারে বিধানসভা ভোট। এই দুই রাজ্যে বিজেপির প্রত্যক্ষ ভোটযুদ্ধ দুই আঞ্চলিক দলের সঙ্গে। দিল্লিতে আম আদমি পার্টি এবং বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। রাজ্যের ভোট এখন আর জাতীয় ইস্যুতে জয় করা যায় না। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস কাস্ট সেন্সাস কিংবা সংবিধান বাঁচাওয়ের মতো জাতীয় স্তরের ইস্যু নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু আদতে সেসব কাজে দেয়নি। প্রধানত বিজেপি জোটের জয় এসেছে লাডলি বহেনা যোজনার কারণে। অর্থাৎ সরাসরি মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া। একইভাবে ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ওই একই প্রকল্প এবং অন্য সরকারি সহায়তায় আকৃষ্ট হয়েই মানুষ হেমন্ত সোরেনকেই জিতিয়েছে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফর্মুলা বরাবরই গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ বাংলার উন্নয়ন, হিন্দি বনাম বাঙালিয়ানা, বিভিন্ন আর্থিক অনুদান প্রকল্প ইত্যাদি ইস্যুতে জোর দিয়ে একের পর নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। 
নিজস্ব একটি রাজনৈতিক জোরদার অভিমুখ না থাকলে এখন আর ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখা কিংবা নতুন ভোটারকে আকর্ষণ করা সম্ভব নয়। বিজেপির একটি নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী ইস্যু আছে। হিন্দুত্ব। আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, আম আদমি পার্টির প্রধান ভরসা হল, স্থানীয় ইস্যু, আর্থিক অনুদান ও সামাজিক উন্নয়ন, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক এবং বিজেপির রাজনীতি বিরোধী সুস্পষ্ট জোরালো অবস্থান। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কাছে আদিবাসী অস্মিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। সেই তুলনায় উদ্ধব থ্যাকারে এবং শারদ পাওয়ারের ক্ষমতা ক্রমহ্রাসমান। কারণ তাঁদের নিজেদের একচ্ছত্র ভোটব্যাঙ্ক স্থায়ী হতে পারছে না। উদ্ধব থ্যাকারের দলের অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক মারাঠি অস্মিতা এবং হিন্দুত্বের সম্মিলিত একটি সংযোগ। সেটি হারিয়ে গিয়েছে উদ্ধব কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করায়। 
বঙ্গ সিপিএম, সংযুক্ত জনতা দল, বহুজন সমাজ পার্টি, জনতা দল (সেকুলার), এআইএডিএমকে, ওয়াই এস আর কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতিদের কাছে নতুন করে কোনও অভিনব রাজনীতি উপহার দেওয়ার মতো অস্ত্র নেই। তাই তাদের প্রতি আগ্রহ কমে গিয়েছে মানুষের। ঠিক এই ফর্মুলায় বিজেপির জনপ্রিয়তায় একসময় ভাটা পড়বে। কারণ নরেন্দ্র মোদির গ্ল্যামার ও ক্যারিশমা এখন আর আগের মতো নেই। বিজেপিরও নতুন কিছু রাজনীতি উপহার দেওয়ার নেই। জাতীয়স্তরের দল হিসেবে নয়, বিজেপিকে আগামী দিনে ‘আঞ্চলিক বিজেপি’ হয়েই ভোটে লড়াই করতে হবে। অর্থাৎ স্থানীয় ইস্যু কিংবা রাজ্যের স্বার্থ অথবা আর্থিক সাহায্য ইত্যাদি ইস্যুতে ফোকাস করতে হবে। সুতরাং ভবিষ্যতের লড়াই হবে আঞ্চলিক দল বনাম আঞ্চলিক বিজেপি বনাম আঞ্চলিক কংগ্রেস। ন্যাশনাল পার্টিগুলি থাকবে। যুদ্ধ ছাড়া ন্যাশনাল ইস্যু আর থাকবে না। অতি ব্যবহারে সব ন্যাশনাল ইস্যুর কার্যকারিতা হারিয়েছে। ভবিষ্যতে মানুষ ভোট দেওয়ার আগে দেখবে ‘আমার কী লাভ হবে’? ওটাই ম্যাচিওরড ডেমোক্রেসি! 
13th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
একনজরে
ভুয়ো ডাক্তার বাবা ও ছেলের নকল নার্সিংহোমে এসে সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু রোগীর পরিবার। লক্ষ্মীপুরমাঠে তৈরি করেছে প্রাসাদসম তিনতলা দু’টি বাড়ি। রয়েছে একাধিক গাড়ি। রোগীদের টাকা ...

শারদ পাওয়ারের কনভয়ের গাড়ির সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায়। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার জেরে একের পর এক গাড়ি একে অন্যকে ধাক্কা মারতে থাকে। ...

কঙ্গোয় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বুসিরা নদীতে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই ফেরি। শুক্রবার রাতের এই দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ শতাধিক। শেষ খবর অনুযায়ী, ২০ জন যাত্রীকে ...

এক বছরে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ল আলতাপুর-২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই এলাকায় যক্ষ্মা (টিবি) রোগীদের বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, যক্ষ্মা মুক্ত গ্ৰাম পঞ্চায়েত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত এক বছর ধরে এই উদ্যোগ নেওয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স দিবস
আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস              
জাতীয় কিষাণ দিবস
০৯৩০- পৃথিবীর প্রাচীনতম সংসদ আইনল্যান্ড সংসদ যাত্রা শুরু করে
১৫১১ - ৫২ বছর শাসনের পর গুজরাতের শাসক মাহমুদ শাহ্র মৃত্যু
১৭৫৭- পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট কাইভের কাছে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটলে বাংলায় ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত হয়
১৮৪৫- ভারতীয় রাজনীতিবিদ তথা আইনজীবী রাসবিহারী ঘোষের জন্ম
১৯০২- ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংয়ের জন্ম
১৯১৮- বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯২১- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু
১৯২২ - রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তাঁর বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে
১৯২৬ - নাট্যকার শিশিরকুমার ভাদুড়ী নাট্যমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৫৪- বিশ্বের প্রথম সফল কিডনি প্রতিস্থাপন হয় বস্টনে
১৯৬৪ - ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু
১৯৭৮ - অতীশ দীপঙ্করের দেহভস্ম চীন থেকে ঢাকায় আনা হয়।
২০০৪- ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের জীবনাবসান
২০১৩ - একে-৪৭-এর উদ্ভাবক মিখাইল কালাশনিকভের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৮ টাকা ৮৫.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৫ টাকা ১০৮.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

৮ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ২৭/৮ সন্ধ্যা ৫/৮। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৭/১০ দিবা ৯/৯। সূর্যোদয় ৬/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৪/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ৯/৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৫ গতে ১১/৩৬ মধ্যে। 
৭ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪। অষ্টমী সন্ধ্যা ৫/২৯। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ১০/২৩। সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৩ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে ও ২/১৫ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৬ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এলন মাস্ক ঘনিষ্ঠ ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণণকে এআই পলিসি উপদেষ্টা পদে বসালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

07:56:09 PM

পদপিষ্টের ঘটনায় আগামীকাল অল্লু অর্জুনকে হায়দরাবাদে হাজিরার নির্দেশ পুলিসের

11:30:15 PM

ওড়িশার ভুবনেশ্বরে একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন

11:21:00 PM

কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগালের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

11:01:00 PM

জলপাইগুড়ির বেলাকোবা ও আমবাড়ির মাঝে বিকল মালগাড়ির ইঞ্জিন, আটকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন

10:58:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবন থেকে বেরিয়ে গেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

10:50:00 PM