Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। একটি ইউটিউব ভিডিওতে গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণও দিয়েছিলেন তিনি। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুগে ভূত নিয়ে চর্চা করা ওই বিজ্ঞানীর নাম লক্ষ্মীধর বেহেরা। এখন হিমাচল প্রদেশের আইআইটি মান্ডির অধিকর্তা।
যে সে ব্যক্তি নন অধ্যাপক বেহেরা! আইআইটি কানপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পুনম এবং প্রভু গোয়েল চেয়ার প্রফেসর হিসেবে কাজ করেছেন। আইআইটি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, অধ্যাপক বেহেরা রোবট বিশেষজ্ঞ। এমনকী স্মার্ট প্রযুক্তিতে যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হয়, সে বিষয়েও তাঁর বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। পড়াশোনা করেছেন আইআইটি দিল্লি থেকে। পরে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন জার্মানির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজিতে। যে ভিডিওটি ঘিরে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক, সেটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছিলেন লক্ষ্মীধর। তবে সেটি প্রকাশ্যে আসে বা তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে তিনি আইআইটি-র অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর।
পাঁচ মিনিটের ভিডিও ক্লিপ। তবু তার মধ্যেই সেদিনের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন আইআইটির প্রফেসর, কী করে স্রেফ ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’-র মতো পবিত্র মন্ত্র তাঁকে ভূত তাড়াতে সাহায্য করেছিল। কীভাবে বন্ধুর চলচ্ছক্তিহীন বাবা হঠাৎই হাঁটতে শুরু করেছিলেন। সবই জানিয়েছিলেন লক্ষ্মীধর ওই ভিডিওতে। এমনকী ওই ‘সত্যকাহিনি’-র এক জায়গায় তাঁকে এও বলতে শোনা যায় যে, ‘বন্ধুর বাবা, যিনি একজন ছোটখাটো চেহারার মানুষ, তাঁর মাথা হঠাৎই ঘরের ছাদ স্পর্শ করে!’ লক্ষ্মীধর বলেছিলেন, এ সবই ছিল ওই অশুভ আত্মার কাজ। যাকে টানা ৪৫ মিনিট মন্ত্রোচ্চারণ করে তবেই তাড়াতে পেরেছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে তাঁর নিয়মিত গীতাপাঠের অভ্যাসও যে কাজে দিয়েছিল, সে কথাও ভিডিওতে বলতে ভোলেননি। তবে ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সেটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীধর বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভূত আছে।’ এহেন অধিকর্তার হাতে পড়লে আইআইটি মান্ডির পঠনপাঠনের অবস্থা যা হওয়ার তাই-ই হয়েছে!
আইআইটি মান্ডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘পুনর্জন্ম’, ‘মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে নিজের শরীরের বাইরে থাকার অভিজ্ঞতা’ এবং ‘সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শরীরের ধারণা’ প্রভৃতি বিষয়ে ৬ মাসের একটি আবশ্যিক কোর্স সকল পড়ুয়াকে পড়তে হবে। ‘প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা’র নামে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ তে নতুন যেসব বিষয় যুক্ত হয়েছে এটি তারই অন্তর্ভুক্ত। ২০২২ থেকে এইসব বিষয় পড়ানোর প্রবল প্রচেষ্টা চলছে সর্বত্র। সরকার থেকে প্রভূত অর্থ দেওয়া হচ্ছে এই ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেমস কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা আর তার গবেষণায়। ২০২৩ থেকে এসব পড়ানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থা (ইউজিসি) থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাও করে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতরের খবর, বিষয়টি ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহেরার পছন্দ করা। গত বছর বিষয় ছিল ‘মাংস খাওয়া আর ভূমিধসের সম্পর্ক’। লক্ষ্মীধর বেহেরা বলেছিলেন, ‘মানুষ মাংস খায় বলেই হিমাচলের মেঘ বিস্ফোরণ, ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটছে।’ আমরা জানি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন বিষয়কে যখন সম্পর্কযুক্ত দেখানোর চেষ্টা হয়, তখন সেটা অবশ্যই কুসংস্কার। তাই বিষয়টি শিক্ষার্থী মহলে প্রবল সমালোচিত হয়। ফলে এবার বিষয় বদল!
‘বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়’-এর কথাই ধরুন। ‘ভূতবিদ্যা’ বিষয়ে এবছর ছ’মাসের একটি সার্টিফিকেট কোর্স শুরু করেছে এই প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। কাদের জন্য জানেন? আয়ুর্বেদ ও অ্যালোপ্যাথ ডাক্তারদের জন্য। এই অলৌকিক বিষয়ে পড়ে ভাবী কালের ডাক্তাররা নাকি মনোচিকিৎসায় তার প্রয়োগ ঘটাবেন। ডাক্তারি পড়ানোর সঙ্গে যুক্ত ১৬টি বিভাগের প্রধানরা একমত হয়ে নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলে সাত হাজার বছর আগেকার ভারতীয় উড়োজাহাজ, সুদর্শন চক্র যে আদতে দূরনিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র, সঞ্জয় কর্তৃক কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সরাসরি সম্প্রচার, গণেশের মাথায় প্লাস্টিক সার্জারি, সুপ্রাচীন ভারতে টেস্টটিউব বেবি— এইসব এবং আরও অনেক হাস্যকর উদ্ভট অপবিজ্ঞানের ঢক্কানিনাদে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞানচর্চার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গৌরবময় গাথা। একসময় কুসংস্কারের মধ্যে সব সময় ব্যক্তিস্বার্থ জড়িয়ে থাকত না। এখন স্বার্থ থেকেই কুসংস্কারের উদ্ভব। অপবিজ্ঞান ও কুযুক্তির সমাহারে তাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হয় এবং মানুষ ঠকানোর কাজে লাগানো হয়।
ভাবুন একবার, গোবর এবং গোমূত্র থেকে কি টেকসই এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করে কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গবেষণায় মগ্ন আইআইটি (বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়)-এর গবেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, গবেষণা সফল হলে নাকি বদলে দেওয়া যাবে গ্রামীণ ভারতের অর্থনৈতিক চালচিত্র। সাম্প্রতিক গবেষণা, ‘সায়েন্টিফিক ক্যারাকটারাইজেশন মেথডস ফর বেটার ইউটিলাইজেশন অফ ক্যাটল ডাং অ্যান্ড ইউরিন: এ কনসাইস রিভিউ’-য়ে তেমনই দাবি করা হয়েছে। ভারত সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রক এই প্রকল্পে বিপুল আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গোরুর গোবর এবং গোমূত্রের ‘প্রোফাইলিং’-এর মাধ্যমে প্রাচীন তথা প্রচলিত গ্রামীণ ধ্যানধারণাকেও বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। যা আগামী দিনে গোবর এবং গোমূত্র থেকে তৈরি দাঁতের মাজন, কেশতৈল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার প্রভৃতির অর্থনৈতিক প্রগতির পথ প্রশস্ত করতে পারে।
দার্শনিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের ‘সায়েন্স অ্যান্ড ফিলোসফি ইন অ্যানসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ একটি আকর গ্রন্থ। ইউরোপীয় ইতিহাসবিদদের মতে প্রাচীন গ্রিসের থালেস (খ্রিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী) ছিলেন পৃথিবীতে বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক। সেই মত যুক্তির সাহায্যে খণ্ডন করে দেবীপ্রসাদ দেখিয়েছেন, সেই গৌরব প্রাপ্য ভারতীয় চিন্তক উদ্দালক-আরুণির। ছান্দোগ্য উপনিষদের সাহায্য নিয়ে দেবীপ্রসাদ প্রমাণ করেন, কণাদেরও আগে পরমাণুর প্রাথমিক ধারণাও উদ্দালক-আরুণিই দিয়েছিলেন। সৃষ্টির মূলে দেবতা, আত্মা ইত্যাদির ভূমিকা নস্যাৎ করে উদ্দালক ঘোষণা করেন মহাবিশ্বের সব কিছুই তাপ (তেজস), জল (অপ্) এবং অন্ন থেকে উদ্ভূত। তিনি এও বলেন, মানসের (মন) উৎস অন্ন। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগের এক দার্শনিকের এই বস্তুবাদী বিশ্লেষণই উদ্দালককে বিশ্বের প্রথম বিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তী যুগে ভাববাদী দর্শনের উত্থানে উদ্দালক-আরুণির অবদান হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অন্তরালে।
মোদি জমানায় ভারতকে সেই ভাববাদী নিগড়ের অন্ধকারময় অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। আর সেই কারণেই ২০২৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস বন্ধ করে দেওয়া। ১৯৮৯ সাল থেকে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ ও বৈজ্ঞানিক মনন গড়ার কাজ করত যে প্রতিষ্ঠান, সেই ‘বিজ্ঞান প্রসার’-ও বন্ধ হয়েছে ২০২৩-এ। এবার তুলে দেওয়া হল মৌলিক বিজ্ঞান গবেষকদের বার্ষিক পারস্পরিক মতবিনিময়ের জায়গা ‘ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস’। ১৯১৪ সালে কলকাতায় তৈরি হওয়া ভারতীয়  বিজ্ঞান কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন ছিল প্রতি বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই কংগ্রেসের আয়োজক। ৩০,০০০ এর বেশি বিজ্ঞানী এর সদস্য। প্রথম এই কংগ্রেস হয় ১৯১৪ সালের ১৫-১৭ জানুয়ারি, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির প্রাঙ্গণে। সভাপতি ছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। ২০১৫ সাল থেকে এই মঞ্চ ব্যবহার করে ক্রমাগত অবৈজ্ঞানিক প্রচার চালিয়ে আসছিল দেশের সরকার আর তার পেটোয়া বিজ্ঞানীরা। তাই যশস্বী বিজ্ঞানীরা এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। প্রতিবাদও করছিলেন। ফলে অ্যাসোসিয়েশন এই অপবৈজ্ঞানিকতা ছড়ানো বন্ধ করতে কংগ্রেসে বক্তারা কী বলবেন তা আগে থেকে জানানোর নিয়ম হয়। এতে প্রমাদ গোনে অপবিজ্ঞানের প্রচারকরা। তাই প্রথমে চেষ্টা হয় ‘ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন’-কে দখল করার। তাতে সফল না হওয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য বন্ধ করে এই শতাব্দী প্রাচীন সংগঠন ও তার ঐতিহ্যকে গলা টিপে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সরকার মৌলিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা যে চায় না এটা তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আরও একটা কারণ ‘বিজ্ঞানভারতী’ নামে দেশের শাসকদের মদতপুষ্ট বিজ্ঞান সংগঠনকে জনমানসে জায়গা করে দেওয়া। তাদের অন্যতম কাজ পাশ্চাত্য যুক্তিবাদী চিন্তা চেতনাকে নস্যাৎ ও প্রাচ্যের পরীক্ষা ও প্রমাণহীন বিশ্বাসভিত্তিক অপবিজ্ঞানকে মদত। তাদের নীতি হল ‘সায়েন্স উইথ স্পিরিচুয়ালিটি’। আধ্যাত্মবাদী বিজ্ঞান দর্শনগতভাবে বৈজ্ঞানিক চেতনার পরিপন্থী। ‘সায়েন্স উইথ স্বদেশি স্পিরিট’ তাদের মটো। অথচ, সেই বিজ্ঞানভারতীর নেতৃত্বেই প্রতি বছর দেশের সরকারি দপ্তরগুলির সরাসরি অংশগ্রহণে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভাল’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকার চাইছে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পরম্পরা ও ঐতিহ্যবাহী বিজ্ঞান কংগ্রেস নয়, বিজ্ঞান ভারতীর ফেস্টিভালই প্রতিষ্ঠিত হোক। যেখানে ঐতিহ্যের নামে ভ্রান্ত ইতিহাস, অপবিজ্ঞান— এই সব চর্চার উপর জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রের শাসকদলের নেতাদের কথা থেকেই তা পরিষ্কার। আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের পরিপন্থী বিষয়গুলিকে তাঁরা ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম বলে প্রচার করছেন। এসবই হিন্দু ধর্মভিত্তিক জাত্যভিমান গড়ে তুলে সংবিধানে ঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশটিকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টার এক একটি ধাপ। কে এদের বোঝাবে, ধর্মবিশ্বাস মানুষের তত দিনই মঙ্গলসাধন করে, যত দিন না তা অন্ধবিশ্বাসে পরিণত হয়। অন্ধভক্তি আজ সেই বোধটুকুও গ্রাস করে ফেলেছে।
কৃষিপ্রধান ভারতে গোরুর প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসীম। গোরুকে তাই দেবতার মতো পুজোও করা হতো। আজ গোরুর প্রয়োজনীয়তা কমেছে। অথচ, গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে। তাকেই দেবতা মানা হয়। তাই আজকের দিনে গোরুর রচনা লেখা বোধ হয় ছাত্রদের কাছে কঠিন কাজ। যে গতিতে এবং যে পরিমাণে আমাদের দেশে কুসংস্কার বাড়ছে এবং দেশ ক্রমশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে, মনে হয় খুব শীঘ্রই আমরা সবুজ বিপ্লব ও শ্বেত বিপ্লবের পরে কৃষ্ণ বিপ্লবেরও সাক্ষী থাকব!
12th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
একনজরে
একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রিব দোসর। গ্রেগ স্টুয়ার্টের পর চোটের খাতায় নাম লেখালেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কলকাতায় ফেরার পর রবিবার অজি তারকার এমআরআই হয়েছে। রিপোর্ট মিলবে ...

মুক্তাঙ্গন পদ্ধতিতে মুরগি পালন এবং বড় ছেড়ে ছোট প্রাণিপালন করে মিলল সাফল্য। ডিম ও মাংস উৎপাদনে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কিন্তু তারা শুধু ...

এক বছরে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ল আলতাপুর-২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই এলাকায় যক্ষ্মা (টিবি) রোগীদের বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, যক্ষ্মা মুক্ত গ্ৰাম পঞ্চায়েত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত এক বছর ধরে এই উদ্যোগ নেওয়া ...

শারদ পাওয়ারের কনভয়ের গাড়ির সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায়। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার জেরে একের পর এক গাড়ি একে অন্যকে ধাক্কা মারতে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স দিবস
আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস              
জাতীয় কিষাণ দিবস
০৯৩০- পৃথিবীর প্রাচীনতম সংসদ আইনল্যান্ড সংসদ যাত্রা শুরু করে
১৫১১ - ৫২ বছর শাসনের পর গুজরাতের শাসক মাহমুদ শাহ্র মৃত্যু
১৭৫৭- পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট কাইভের কাছে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটলে বাংলায় ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত হয়
১৮৪৫- ভারতীয় রাজনীতিবিদ তথা আইনজীবী রাসবিহারী ঘোষের জন্ম
১৯০২- ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংয়ের জন্ম
১৯১৮- বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯২১- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু
১৯২২ - রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন এবং সরকার তাঁর বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে
১৯২৬ - নাট্যকার শিশিরকুমার ভাদুড়ী নাট্যমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৫৪- বিশ্বের প্রথম সফল কিডনি প্রতিস্থাপন হয় বস্টনে
১৯৬৪ - ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু
১৯৭৮ - অতীশ দীপঙ্করের দেহভস্ম চীন থেকে ঢাকায় আনা হয়।
২০০৪- ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের জীবনাবসান
২০১৩ - একে-৪৭-এর উদ্ভাবক মিখাইল কালাশনিকভের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৮ টাকা ৮৫.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৫ টাকা ১০৮.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

৮ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ২৭/৮ সন্ধ্যা ৫/৮। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৭/১০ দিবা ৯/৯। সূর্যোদয় ৬/১৭/৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৪/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ৯/৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৫ গতে ১১/৩৬ মধ্যে। 
৭ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪। অষ্টমী সন্ধ্যা ৫/২৯। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ১০/২৩। সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৩ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে ও ২/১৫ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৬ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এলন মাস্ক ঘনিষ্ঠ ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণণকে এআই পলিসি উপদেষ্টা পদে বসালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

07:56:09 PM

পদপিষ্টের ঘটনায় আগামীকাল অল্লু অর্জুনকে হায়দরাবাদে হাজিরার নির্দেশ পুলিসের

11:30:15 PM

ওড়িশার ভুবনেশ্বরে একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন

11:21:00 PM

কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগালের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

11:01:00 PM

জলপাইগুড়ির বেলাকোবা ও আমবাড়ির মাঝে বিকল মালগাড়ির ইঞ্জিন, আটকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন

10:58:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবন থেকে বেরিয়ে গেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

10:50:00 PM