Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই। ১৯৯১ সালের মন্দির আন্দোলনের ঢেউয়ে উত্তপ্ত অযোধ্যায় এক দুপুরে তিনি বিশ্বহিন্দু পরিষদের ফটোগ্রাফার হয়ে পুরনো ক্যামেরা দিয়েই নরেন্দ্র মোদির একটা ছবি তুলেছিলেন। তখনও মোদি আজকের মতো দলের সর্বেসর্বা হননি। গুজরাতের এক সাধারণ উঠতি নেতা মাত্র। সঙ্ঘের শৃঙ্খলা, আর বাজপেয়ি-আদবানির ছত্রছায়ায় ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছেন। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির অন্যতম স্থপতি মুরলীমনোহর যোশি। মন্দির আন্দোলন তখন তুঙ্গে। চারদিকে সাজ সাজ রব। সেই আবহেই দুই নেতা ঘুরছিলেন অযোধ্যায়, কথা বলছিলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সেদিন যোশিজি হালকা ছলে উপস্থিত সবার সঙ্গে মোদিজির পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, গুজরাতের এক সাহসী নেতা হিসেবে। মাত্র ওইটুকুই। তখনও কেউ আঁচ পর্যন্ত পাননি যে, এই মানুষটাই তিন তিনবার গুজরাতের প্রবল পরাক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীই শুধু হবেন না, একদিন বাজপেয়ি-আদবানি জমানার সাফল্যকে অতিক্রম করে পরপর দু’টো টার্ম একক ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রীর আসনেও বসবেন। এবং, বীরদর্পে এগিয়ে যাবেন তৃতীয়বারের দিকে। মোদিজিকে সেদিন মিডিয়া প্রশ্ন করেছিল, আবার কবে আসবেন অযোধ্যায়? উত্তর ছিল, ঘন ঘন আসব মন্দির নির্মাণ শুরু হলে। সম্প্রতি সেদিনের ক্যামেরাবন্দি ওই ঐতিহাসিক ছবিটিকেই পুনরায় পোস্ট করে সেই কথাটাকেই স্মরণ করেছেন ফটোগ্রাফার মহেন্দ্র। লিখেছেন, যোশিজির আড়ালে থাকা সেদিনের সেই সাধারণ উঠতি নেতার হাত ধরেই এ দেশের হিন্দুত্বের রাজনীতিতে নয়া অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে।
ঐতিহাসিক মন্দিরের শিল্যানাসের বাকি আর মাত্র ৭২ ঘণ্টা। গত নভেম্বরে বেরিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের রায়। তারপর কোথা দিয়ে যেন ন’মাস কেটে গিয়েছে। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্মেও সিলমোহর দেয় সরকার। কিন্তু তারপরই বৈশ্বিক মহামারীর ঠেলায় সব থমকে যায়। এখনও মহামারী পিছু ছাড়েনি। অযোধ্যাও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিস, এমনকী পুরোহিতরাও ওই ভয়ঙ্কর রোগের শিকার। কিন্তু হিন্দুত্ববাদীরাও যে নাছোড়বান্দা। আর সবার উপরে রয়েছে আর এসএস, বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদির জটিল ভোট অঙ্ক। পাখির চোখ, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। টানা তৃতীয়বার জিতে দিল্লি দখলের রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন। সেই কারণেই জন্ম-মৃত্যু, মহামারী, প্রলয় কোনও কিছুই আপাতত ভোটের সেই অঙ্ক কষা থেকে মোদি-অমিত শাহদের নিরস্ত করতে পারে না। কারণ ওই আপাত সরল অঙ্কটাই আজ গেরুয়া শিবিরের রাজনীতির একমাত্র ধ্রুবপদ। আপাতত তাই ৫ আগস্টের অপেক্ষা। মোদিজির হাত ধরে ওইদিন থেকে শুরু হবে মন্দির আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বের ইতিহাস লেখার কাজ। ভার্চুয়াল নয়, করোনা পর্বেও গোটা অনুষ্ঠানটি হবে ষোলোআনা রিয়াল। ভূমিপূজনের শুভ মুহূর্ত দুপুর সাড়ে বারোটা। গলওয়ান কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী লাদাখ গিয়েছিলেন জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে। এবার অযোধ্যা সফর। করোনার মধ্যেও এই দুটোই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রিয়াল কর্মসূচি তাঁর। অটলবিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদবানিরা যে স্বপ্ন ফেরি করেও শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত করতে পারেননি, এবার তাই করে দেখাতে চলেছেন তিনি। স্বাধীন ভারতের ৭৩ বছরের ইতিহাসে কোনও অকংগ্রেসি রাজনীতিকের কেরিয়ারে যা নিঃসন্দেহে গৌরবের মাইলফলক হয়েই থাকবে চিরদিন।
ভুললে চলবে না, মন্দিরের স্বপ্ন দেখিয়েই চার দশক আগে বিজেপি দলটার জন্ম। তারপর শান্ত সরযূ দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। অনেক উত্থান পতনের সাক্ষী থেকেছে এই প্রাচীনতম জনপদ। অযোধ্যা ইস্যুকে সামনে রেখেই ধীরে ধীরে ভারতীয় রাজনীতির সেন্টার স্টেজ দখল সঙ্ঘ পরিবার তথা হিন্দুত্ববাদীদের। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বিতর্কিত বাবরি সৌধ ধ্বংস জাতীয় রাজনীতিকেই নতুন খাতে প্রবাহিত করতে শুরু করে। সেই ঘটনার পরও বহু বছর অতিক্রান্ত। বিজেপির পুরনো প্রজন্ম অনেক স্বপ্ন ফেরি করেও শেষপর্যন্ত রামমন্দিরের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারেনি। কখনও রাজনৈতিক অঙ্ক মেলেনি, আবার কখনও বাদ সেধেছে আদালত। আজ ৯৩ বছর পেরনো মন্দির আন্দোলনের সবচেয়ে জনপ্রিয় জীবিত ব্যক্তিত্ব আদবানিজির সামনেই মোদি-অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরের দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে। নিঃসন্দেহে এদেশের কট্টর হিন্দুত্বের রাজনীতিতে এক বিরাট ঘটনা।
কিন্তু সে তো গেল হিন্দুত্ববাদীদের গৌরব আর আহ্লাদের কথা। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর করোনার আবহে মানুষ এর থেকে কী পাবে? সাধারণের সরাসরি কতটা উপকার হবে? এই বিতর্কও কিন্তু শুরু হয়েছে। খেয়ে পড়ে বাঁচলে তবে না মানুষ মন্দিরে ভজন পূজনে অংশ নেবে। সে ফুরসতই বা কোথায়। একই সঙ্গে শিলান্যাসের জন্য এই সময়টাকে বেছে নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। পবিত্র রাখি পূর্ণিমা (৩ আগস্ট) ও আসন্ন জন্মাষ্টমীর (১১ আগস্ট) মধ্যবর্তী সময়টাকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব ছাপিয়ে ৫ আগস্টের এই কর্মসূচি মনে করিয়ে দেয়, মানুষের শত বিপন্নতার মধ্যেও রাজনীতিকদের কূট খেলা কখনও থেমে থাকে না। থেমে থাকে না মানুষে মানুষে বিভাজনের সঙ্কীর্ণ কৌশলও। কারণ মানবিকতা কিংবা উন্নয়ন নয়, কোনও গঠনমূলক কাজও নয়, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভাজনই এদেশে ভোট যুদ্ধে সফল হওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। সেই সাফল্যের ফর্মুলাকে বেছে নিতে তাই কোনও কসুর করতে রাজি নয় মোদি ব্রিগেড।
এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের ঠেলায় মানুষ আজ বড় একা। এক অব্যক্ত অসহায়তা গ্রাস করেছে ধনী, দরিদ্র নির্বিশেষে গোটা জাতিকে। এককথায় বৈশ্বিক মহামারীতে গোটা পৃথিবীই বিধ্বস্ত। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে সবার। একান্ত পরিচিতজনের সঙ্গেও দেখা করতে, মুখোমুখি কথা বলতে মানুষ দু’বার ভাবছে। সেই পটভূমিতে দাঁড়িয়েও দিব্যি রমরমিয়ে মন্দির রাজনীতিতে শান দেওয়ার কাজ চলতে থাকে। এই একটা ঘটনাই বুঝিয়ে দেয়, করোনা আবহেও বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব তার কোর অ্যাজেন্ডা থেকে কিছুতেই সরতে রাজি নয়। গত বছর আগস্টে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে কাশ্মীরকে দু’ভাগ করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। অবলুপ্ত হয়েছিল সংবিধানের বিতর্কিত ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা। ওই পদক্ষেপের পিছনেও বিভাজনের নিপুণ রাজনৈতিক অঙ্ক ছিল। এবং, তা করতে গিয়ে মাসের পর মাস রাজ্যেরই প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি পর্যন্ত করে রাখতে হয়েছে। আজ একবছর পরও তারমধ্যে একজন এখনও অন্তরালে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির দিনেই ফের আর এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিতে নিজের নাম অক্ষয় করলেন তিনি।
বলা বাহুল্য, মোদিজির রাজনৈতিক জীবনটা আগাগোড়াই অঙ্ক কষে এগনো। যার শুরু ২০০২-এর ভয়ঙ্কর গুজরাত দাঙ্গা দিয়ে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপই হোক, রামমন্দিরের শিলান্যাসই হোক কিংবা তিন তালাকের অবসান, সবটাই দল ও সঙ্ঘপরিবারের দীর্ঘমেয়াদি ভোট জয়ের অ্যাজেন্ডাকে মেনেই। রামমন্দির নির্মাণ শুরু হলে বিজেপির কট্টর হিন্দুত্বের রাজনীতিও যে আরও চাঙ্গা হয়ে নতুন খাতে প্রবাহিত হবে, তা কারও অজানা নয়। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশকে কেন্দ্র করে সমগ্র হিন্দু বলয়ে দলের বিস্তারে একটা বড় ঝাঁকুনি তো লাগবেই। মেরুকরণ তীব্র হবে। বলা হচ্ছে, মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হতে লাগবে সাড়ে তিনবছর। অর্থাৎ মোদি অমিত শাহদের অঙ্ক হচ্ছে, পূর্ণ নির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন করা হবে আগামী ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিশেষভাবে লক্ষ করুন সময়টার দিকে। ঠিক তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। বেজে যাবে ভোটের দামামা। সেই সঙ্গে আবার উত্তরপ্রদেশ সহ হিন্দি বলয়ে ঝড় তুলে নরেন্দ্র মোদির বাজিমাত! আর উল্টোদিকে দুর্বল কংগ্রেস ও ছত্রভঙ্গ বিরোধীরা।
কিন্তু বিজেপির এই অভূতপূর্ব সাফল্যে মানুষের কী হবে? কতটা যাবে আসবে? বাংলার কী হবে? করোনা উত্তর পৃথিবীতে শুধু মন্দির মন্দির করে কি পেট ভরবে? না গোটা ব্যবস্থাটাই আমূল বদলে যাবে, আমরা কেউ জানি না। আপাতত এরাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট নয় আর একটা জিনিসও। বিজেপির অগ্রাধিকার ঠিক কোনটা? ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা ভোট নাকি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, বাংলা নয়, গেরুয়া সংগঠনের পাখির চোখ আবার কেন্দ্রে এককভাবে ক্ষমতায় আসাই। সেই দৌড়ে বাংলা একটা কমা কিংবা সেমিকোলন হতেও পারে, কিন্তু তার বেশি কিছু নয়। এরাজ্যে আপাতত প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেলেই সন্তুষ্টই থাকবে মোদি ব্রিগেড। কিন্তু লাখ টাকার প্রশ্নটা থেকেই যায়, এই কঠিন সময়েও মন্দির মসজিদ মাতামাতির আফিমে মজে আখেরে গরিব মানুষের কোন উপকারটা হবে? সবার হাতে কাজ না থাকলে, অর্থনীতি অন্ধকারে ডুবে গেলে ৮২৩ ফুটের সুউচ্চ রামমূর্তি অথবা ১৬১ ফুটের বিশাল মন্দির দিয়ে সাধারণের কোন উপকারটা হবে? 
02nd  August, 2020
দল বদলের জেরে কুশীলবরাই হয়ে যান পুতুল
তন্ময় মল্লিক

রাজনীতিতে দল বদল খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, যাঁরা দল বদলান, তাঁরা ‘ঘরের ছেলে’র মর্যাদা হারান। গায়ে লেগে যায় ‘সুবিধাবাদী’ তকমা। পরিস্থিতি বলছে, তাতে রাজনীতির কুশীলবরা‌ই হয়ে যান হাতের পুতুল। বিশদ

রামমন্দিরের পর হিন্দুত্ববাদী
রাজনীতি কোন পথে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই উচ্চারণ করেছেন একাধিকবার ‘জয় সিয়ারাম’ ধ্বনি? উগ্র হিন্দুত্ব থেকে এবার কি অন্য নতুন এক সমন্বয়ের হিন্দুত্বে ফিরতে চান তিনি? সনাতন ভারতবর্ষ আশা করবে, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে তিনি আগামীদিনে চালিত করবেন সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ আর ঐক্যের পথে।
বিশদ

07th  August, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

06th  August, 2020
সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

01st  August, 2020
বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
একনজরে
মাকে কটূক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হল ১৭ বছরের এক কিশোরকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহর সংলগ্ন আঁখিরাপাড়া এলাকায়।  ...

করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর খড়্গপুর রেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক ফের করোনায় আক্রান্ত হলেন।   ...

 অযোধ্যায় রামমন্দিরের জায়গায় যদি মসজিদ নির্মাণ করা হতো, তাহলে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতাম না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। ...

দেরিতে শুরু হলেও আফ্রিকা মহাদেশে করোনার সংক্রমণ দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে সংক্রমণ ১০ লক্ষ অতিক্রমণ করেছে বলে সরকারি হিসেব। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৩ জনের।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম
১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম
১৯৭৫: গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের মৃত্যু
১৯৭৭: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক আচার্য ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১- সুইস টেনিস খেলোয়ান রজার ফেডরারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৬ টাকা ৭৬.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৮৩ টাকা ১০০.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৪৮ টাকা ৯১.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৬,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৪,০৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৪,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৫,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৫,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী ৫৭/৪১ রাত্রি ৪/১৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র ২৭/২৩ অপঃ ৪/১২। সূর্যোদয় ৫/১৪/৩৫, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৪৫। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১৯ গতে ২/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।।
২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী রাত্রি ২/৩২। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র দিবা ৩/৪৯। সূর্যোদয় ৫/১৪, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/২০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৪ মধ্যে।
১৭ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: ব্যবসায় উন্নতি হবে। বৃষ: কাজে বিশেষ সাফল্য। মিথুন: কর্মে একাধিক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম১৯৭৫: গীতিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল। এ পর্যন্ত মোট ২০০৫ ...বিশদ

09:06:41 PM

কাজিরাঙ্গায় শিকারির গুলিতে মৃত গণ্ডার 
অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে আজ সকালে একটি মৃত গণ্ডার উদ্ধার করা ...বিশদ

04:35:00 PM

গুজরাতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন 
 গুজরাতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। আজ শনিবার ঘটনাটি ...বিশদ

03:59:00 PM

কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রী হাসপাতাল থেকে মুক্ত 
কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রীকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ...বিশদ

03:45:00 PM