Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন। সেই চারাগাছ আজ আপনতালে ডালপালা ছড়িয়ে বৃক্ষে পরিণত। সেইসময় ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সুসম্পর্কই কিসিঞ্জারকে ভাবিয়ে তুলেছিল।
তিনি ভেবেছিলেন এর ফলে উপমহাদেশে
সোভিয়েত প্রভাব মারাত্মক বেড়ে যাবে। তাই এই সমস্যা সমাধানে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা শুরু করে আমেরিকা।
চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক উন্নয়নের ঘটনাটি ছিল ‘রিয়েল পলিটিক্স’-এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। রিয়েল পলিটিক্স হচ্ছে এমন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, যেখানে কাগজ-কলমের তত্ত্বের চেয়ে রাজনীতির বাস্তবিক প্রয়োগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ‘পিংপং ডিপ্লোম্যাসি’ খ্যাত এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পিছনে মূল কলকাঠি নাড়েন কিসিঞ্জার।
কোরিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চীন পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল বটে, কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্কের এতটাই অবনতি ঘটেছিল যে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার কোনও প্রতিনিধি চীনের মাটিতে পা রাখেনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের এই দূরত্ব ঘুচে যেতে থাকে। ১৯৭১ সালে বিশ্ব রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসে। ততদিনে চীনের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। সীমান্তে বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফলে দুই সমাজতান্ত্রিক দেশ ক্রমশই একে অপরের শত্রুতে পরিণত হচ্ছে। এমন এক অবস্থায় চীনের চেয়ারম্যান মাও ভাবতে শুরু করেন, আমেরিকার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করলে বোধহয় রাশিয়ানদের উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে।
অপরদিকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের মনেও অভিন্ন চিন্তা খেলা করছিল। তিনিও তাঁর প্রশাসনে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নকে এক হাত নিতে চীনের সঙ্গে জোট গঠনের মতো ভালো উপায় যে আর কিছুই হতে পারে না! ফলে আমেরিকা ও চীন দুই তরফ থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে শুরুর তাগিদ অনুভব করেছিল। দুই দেশের কূটনীতিকরা গোপনে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
১৯৭১ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাওয়ের
আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চীন সফর করে মার্কিন পিংপং বা টেবিল টেনিস দল। পরের বছর ফিরতি আমন্ত্রণে আমেরিকা যায় চীনা পিংপং দল। এর মাধ্যমে অবসান ঘটে ২০ বছর ধরে চলা মার্কিন-চীন কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের। এবং নতুন করে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। পিংপং বা টেবিল টেনিস খেলাকে কেন্দ্র করে দুই রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছিল বলে একে ‘পিংপং ডিপ্লোম্যাসি’ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় চিহ্নিত।
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সহযোগিতায় হেনরি কিসিঞ্জার গোপনে চীন সফর করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন চীন সফর করেন ১৯৭২ সালে। চীন-আমেরিকার এই সম্পর্ক দুই দেশের নেতারাই অনেকদিন থেকে মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন। এর পিছনে ছিল পাকিস্তানের হাত। আর শুধুমাত্র এই কারণে নিক্সন-কিসিঞ্জার জুটি বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের বর্বর গণহত্যার বিষয়টিকে নীরবে সমর্থন করে গিয়েছিলেন। এমনকী বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিক আর্চার কে ব্লাড যখন ২৫ মার্চের ধ্বংসযজ্ঞকে সরাসরি গণহত্যা বলে অভিযোগ তুলেছিলেন, নিক্সন-কিসিঞ্জার জুটি তা শুধু এড়িয়ে গিয়েই ক্ষান্ত হননি। ব্লাডকে তাঁর ঢাকা অফিস থেকে তুলে এনে ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করা হয়। কিসিঞ্জার সেদিন বলেছিলেন, ‘...বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের পলিসি ছিল, যাতে ভারতীয়রা পূর্ব পাকিস্তানে ঢুকে না পড়ে।’ এই কিসিঞ্জারই যুদ্ধের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ পাঠানোর সরাসরি নির্দেশ দেন। সেদিন চীন ছিল আমেরিকারই পক্ষে। বেজিংয়ের কৌশল ছিল আমেরিকার বাজারে থাবা বসানো।
পাঁচ দশকে আমেরিকার বাজার ধরা এবং সেখান থেকে নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিজ্ঞান নতুন-চীনের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাম্প এবার সেই অধ্যায় শেষ করতে চান। তাঁর পাশে রয়েছেন চীন-অ্যালার্জিতে ভোগা তিন সহযোগী। বিদেশসচিব মাইক পম্পেও, জাতীয় উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাথিও পট্টিনজার এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নোভারো। ক্ষমতায় বসেই এই প্রশাসন কিসিঞ্জারের লাগানো বৃক্ষের ডালপালা কাটতে শুরু করে। একের পর এক আঘাতে বন্ধুত্বের বাঁধন ঢিলেঢালা হতে হতে এখন শুধু ছিঁড়তে বাকি। ফলে ঠান্ডাযুদ্ধ আর ঠান্ডা নেই। পরিস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়ানোর তাগিদ রয়েছে সব পক্ষ থেকেই।
সমস্যায় পড়েছে ছোট দেশগুলো। এই উত্তেজনায় তাদের কারও না কারও পক্ষ নিতে হচ্ছে বা হবে। কাজটা সহজ নয়। আমদানি-রপ্তানি মিলে ওয়াশিংটন-বেজিং উভয়কে দরকার। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্যের পিঠে ছুরি বসিয়েই ট্রাম্প এবং জি জিনপিং শুরু করলেন ‘যুদ্ধ’। তথ্য বলছে, ২০১৯-এর শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের ক্ষতি প্রায় একশো বিলিয়ন ডলার। প্রতিপক্ষের মতো বিপুল না হলেও আমেরিকার ক্ষতি কিন্তু কম নয়। যুদ্ধের ফল হিসেবে ইতিমধ্যে সেখানে ৩-৪ লক্ষ মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। এই বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেই আবার মন্দার শঙ্কা তাড়া করছে গোটা দুনিয়াকে। তবে আক্রমণ এক ফ্রন্টেই সীমিত রাখতে চাইছেন না ট্রাম্প। প্রতিপক্ষকে সব উপায়ে কোয়ারেন্টাইন করতে চান তিনি। চীনকে ঘিরে ফেলতে চারদিকে একের পর এক যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভয়ঙ্কর কিছুর শঙ্কায় দক্ষিণ চীন সাগরে নেমেছে চীনের রণতরির ঝাঁকও। উভয়ের মিসাইলের ব্যবধান ক্রমশ কাছাকাছি। যেকোনও ‘দুর্ঘটনা’ বড় যুদ্ধের আকার নিতে পারে। বিশ্ব যেন মানসিকভাবে সেই যুদ্ধের জন্য খানিকটা প্রস্তুতও!
রণাঙ্গণে ইতিমধ্যে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানকেও শামিল করতে পেরেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রাথমিক ফল হিসেবে দেশে দেশে ব্যবসা হারাচ্ছে চীনের কোম্পানিগুলো। ফাইভ-জি প্রযুক্তির জন্য চীনা মোবাইল ফোন কোম্পানি হুয়াওয়ের বিশ্বজুড়ে দাপট ছিল। রাতারাতি তারা এখন দেশে দেশে অচ্ছুৎ হয়ে যাচ্ছে। যারাই হুয়াওয়েকে প্রকল্প দেবে তাদেরই দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে আমেরিকা থেকে। নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ে শুধু আমেরিকাতেই কোম্পানিটির ক্ষতির পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে চীনের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ তো আছেই। সঙ্গে হংকংয়ে চীনের দমনপীড়ন এবং তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়ার নিয়মিত প্রতিবাদ করে চলেছে ওয়াশিংটন। জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের জন্য সংহতির কথাও প্রচার হচ্ছে হোয়াইট হাউস থেকে। এই সংঘাত একদিকে যেমন বাজার দখলের খেলা, তেমনই সংঘাতটা যে কোনওদিন সামরিক দিকেও মোড় নিতে পারে। সম্প্রতি ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে আমেরিকার এই ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছে। ৪০ বছর ধরে আমরা মুখ ঘুরিয়ে রেখেছিলাম এবং চীন আমাদের পদদলিত করার সুযোগ পেয়ে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আর নয়, এখন থেকে ন্যায়ভিত্তিক ও পরিপূরক বাণিজ্য সম্পর্ক হতে হবে।’
আমেরিকা ও চীনের বর্তমান দ্বন্দ্ব সোভিয়েত-আমেরিকা সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মস্কো বিশ্বজুড়ে সাম্যবাদের জ্বালানি জোগাচ্ছিল। ওয়াশিংটন চেয়েছিল সেটা রুখতে। সেই ঠান্ডাযুদ্ধের ধরন ছিল আদর্শগত এবং রাজনৈতিক। বাণিজ্যে তার প্রভাব ছিল কম। পণ্য-বাজারে চীনের মতো আগ্রাসী কোনও শক্তি ছিল না রাশিয়ার। উভয়ের উৎপাদন, বিপণনের বাজার ও পরিসর ছিল আলাদা। ফলে ইতিহাসের সেই ঠান্ডাযুদ্ধে বিশ্ববাণিজ্য ছিল নিরাপদ। কিন্তু এবার সবটাই বাজারকেন্দ্রিক।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, ট্রাম্পের আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকার আপ্রাণ চেষ্টা। তাঁর দেশ এখন ভাইরাসযুদ্ধে কাহিল। তাতে ঘা খেয়েছে তাঁর ইমেজও। সেই কারণেই চীনবিরোধী ঠান্ডাযুদ্ধ দ্রুত গরম করে তুলতে চাইছেন। আমেরিকার নির্বাচনী প্রচারেও চীনই প্রধান ইস্যু। ট্রাম্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট জো বিডেনও বেজিংকে দেখে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প বা বিডেন যিনিই জিতুন, ঠান্ডাযুদ্ধ চলবেই।
মোদ্দা কথা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর যাঁরা সংঘাত আর উত্তেজনাময় ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ দেখেছিলেন, ২০২০ সালের বিশ্ব দেখছে সেই দূরদৃষ্টির অবসান। হেনরি কিসিঞ্জার আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে বর্তমানে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তার আশু সমাধান না করতে পারলে আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে, আর তা মোড় নিতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে! রণাঙ্গন প্রস্তুত। শুধু সময়ের অপেক্ষা! 
31st  July, 2020
দল বদলের জেরে কুশীলবরাই হয়ে যান পুতুল
তন্ময় মল্লিক

রাজনীতিতে দল বদল খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, যাঁরা দল বদলান, তাঁরা ‘ঘরের ছেলে’র মর্যাদা হারান। গায়ে লেগে যায় ‘সুবিধাবাদী’ তকমা। পরিস্থিতি বলছে, তাতে রাজনীতির কুশীলবরা‌ই হয়ে যান হাতের পুতুল। বিশদ

রামমন্দিরের পর হিন্দুত্ববাদী
রাজনীতি কোন পথে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই উচ্চারণ করেছেন একাধিকবার ‘জয় সিয়ারাম’ ধ্বনি? উগ্র হিন্দুত্ব থেকে এবার কি অন্য নতুন এক সমন্বয়ের হিন্দুত্বে ফিরতে চান তিনি? সনাতন ভারতবর্ষ আশা করবে, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে তিনি আগামীদিনে চালিত করবেন সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ আর ঐক্যের পথে।
বিশদ

07th  August, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

06th  August, 2020
সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই।   বিশদ

02nd  August, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

01st  August, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
একনজরে
 অযোধ্যায় রামমন্দিরের জায়গায় যদি মসজিদ নির্মাণ করা হতো, তাহলে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতাম না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। ...

মাকে কটূক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হল ১৭ বছরের এক কিশোরকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহর সংলগ্ন আঁখিরাপাড়া এলাকায়।  ...

করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর খড়্গপুর রেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক ফের করোনায় আক্রান্ত হলেন।   ...

 করোনার আগ্রাসন এখন নবান্নের মূল প্রবেশদ্বার থেকে ১৪তলা পর্যন্ত। একের পর এক আধিকারিক, পুলিস অফিসার, হাউসকিপিং স্টাফ এবং গাড়ির চালক ঘায়েল হচ্ছেন এই ভাইরাসের ছোবলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম
১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম
১৯৭৫: গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের মৃত্যু
১৯৭৭: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক আচার্য ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১- সুইস টেনিস খেলোয়ান রজার ফেডরারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৬ টাকা ৭৬.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৮৩ টাকা ১০০.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৪৮ টাকা ৯১.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৬,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৪,০৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৪,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৫,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৫,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী ৫৭/৪১ রাত্রি ৪/১৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র ২৭/২৩ অপঃ ৪/১২। সূর্যোদয় ৫/১৪/৩৫, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৪৫। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১৯ গতে ২/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।।
২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী রাত্রি ২/৩২। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র দিবা ৩/৪৯। সূর্যোদয় ৫/১৪, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/২০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৪ মধ্যে।
১৭ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: ব্যবসায় উন্নতি হবে। বৃষ: কাজে বিশেষ সাফল্য। মিথুন: কর্মে একাধিক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম১৯৭৫: গীতিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল। এ পর্যন্ত মোট ২০০৫ ...বিশদ

09:06:41 PM

কাজিরাঙ্গায় শিকারির গুলিতে মৃত গণ্ডার 
অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে আজ সকালে একটি মৃত গণ্ডার উদ্ধার করা ...বিশদ

04:35:00 PM

গুজরাতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন 
 গুজরাতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। আজ শনিবার ঘটনাটি ...বিশদ

03:59:00 PM

কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রী হাসপাতাল থেকে মুক্ত 
কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রীকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ...বিশদ

03:45:00 PM