Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলায় রামবোকামির মরশুম
হারাধন চৌধুরী 

আমার মামার বাড়ি ভারত-বাংলাদেশের একটি সীমান্ত গ্রামে। বলা বাহুল্য, আমার মায়ের জন্ম দেশভাগের অনেক আগে। স্বভাবতই তাঁর স্মৃতির অনেকখানি জুড়ে ছিল অখণ্ড ভারতীয় গ্রামদেশ ও তার সংস্কৃতি। ১৯৪৭-এ মায়ের শৈশবের গ্রামের উপর দিয়েই ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের ভূগোল এবং ইতিহাস খুলেছিল এক নতুন অধ্যায়। সেই অধ্যায় আমার মায়ের মনে যে কিছুমাত্র সুখানুভূতি রেখে যেতে পারেনি তা আমি তাঁর শেষদিনেও অনুভব করেছি। ছোটবেলা মামার বাড়ি যেতে কিছুটা নৌকা চড়তে হতো। সরু সোনাই নদী। তার পুব দিকে বাংলাদেশের গ্রামগুলি আর পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলি পশ্চিম দিকে। নৌকা কিছুটা এগনোর পরই মায়ের মনটা কেমন যেন চঞ্চল হয়ে উঠত। আমার মুখটা ধরে পুব দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বলত, ‘‘ওই দেখ, কেঁড়াগাছি গ্রাম। ওখানে একসময় রাম-সীতার মন্দির ছিল। খুব বড় করে রামনবমীর মেলা বসত। খুব প্রাচীন মেলা। সে ছিল আমাদের খুব আনন্দের দিন। সব ভাইবোনকে নিয়ে বাবা-মা মেলায় আসতেন। মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য গোরুর গাড়ি ভাড়া করা হতো, এখন যেমন লোকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে!’’
রামনবমী উদযাপন আর রাম-সীতার মেলার অনেক স্মৃতি রোমন্থন করতে শুনেছি মাকে, কিন্তু সৌভাগ্য যে, তার ভিতর অস্ত্রের ঝনঝনানি আর হিংসার তিলার্ধও ছিল না। এসবের ছিটেফোঁটাও থাকলে একটিবার উল্লেখ না-করার মতো দুর্বল স্মৃতি আমার মায়ের ছিল না। আমার দাদামশাই ছিলেন অতি শান্ত প্রকৃতির একজন মানুষ। একে বয়োজ্যেষ্ঠ, তার উপর কিছুটা লেখাপড়াও জানতেন। তাই গ্রামে তাঁর বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ছিল। গ্রামের মানুষ সারাদিন খাটাখাটনির পর সন্ধ্যায় তাঁর কাছে এসে ভিড় জমাত। দাদামশাই কৃত্তিবাসী রামায়ণ খুলে বসতেন। সুর করে পড়তেন। ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেত রাম-সীতার মাহাত্ম্যকেন্দ্রিক গল্পগুলি। দাদামশাই মানুষটি আমার স্মৃতিতে খুব উজ্জ্বল নন। এসব দীর্ঘদিন শুনেছি তাঁর প্রতিবেশীদের শ্রদ্ধামিশ্রিত স্মৃতিরোমন্থনে। রামচন্দ্র তাঁদের কাছে যত-না ভগবান তার থেকে বেশি ছিলেন লোকশিক্ষা আর বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র।
আমার ছোটবেলা কেটেছে মফস্‌সল এলাকায়। পুজোর সময় আধুনিক গান বাজনার সারারাত্রিব্যাপী বিচিত্রানুষ্ঠানের পাশাপাশি রামযাত্রাও হতো। বেশ মনে আছে, বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেশি রাতে দরজা খুলে বেরিয়ে যেতাম। বসে পড়তাম পাড়ায় রামযাত্রার আসরে দর্শক আসনের এক কোণে। খুব মজা পেতাম হনুমানের লম্ফঝম্প দেখে। অবাক হতাম রাম, সীতা, ভরত, লক্ষ্মণ প্রভৃতির সংলাপ শুনে বড়রা হাপুসনয়নে কাঁদছেন দেখে। অনেক পরে জেনেছি সেসব ছিল রাম-সীতাভক্তি। শ্রীরামচন্দ্রের পিতৃসত্যপালন ও প্রজাবাৎসল্য, সীতার পতিভক্তি, লক্ষ্ণণের রাম-সীতার ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠাই ছিল তাঁদের ভক্তিপ্রাবল্যের হেতু।
এসব থেকে পরিষ্কার হয়, ভগবান রামচন্দ্র বাঙালি-সংস্কৃতিরও অঙ্গ। রামচন্দ্র হালফিল উত্তর ভারত থেকে আমদানি কোনও দেবতা নন। দেখুন, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষটি একজন বঙ্গসন্তান। তাঁর নাম রামমোহন। অষ্টাদশ শতকে বাংলা গদ্য সাহিত্যের আদি লেখকদের একজনের নামের সঙ্গে আবার রাম দু’বার এসেছেন—রামরাম বসু। খ্রিস্টান মিশনারিদের তিনি বাংলা ও সংস্কৃত শেখাতেন। বাংলা ভাষায় বাইবেল অনুবাদে উইলিয়াম কেরিকে তিনিই সাহায্য করেছিলেন। রামরাম বসু রামায়ণ, মহাভারতও সম্পাদনা করেছিলেন।
রামচন্দ্র নামটি বাঙালি-সংস্কৃতির অস্থিমজ্জায় কেমন, আরও দেখুন—এ-যুগে ধর্ম আন্দোলনের দু’জন বিস্ময়কর পুরুষ হলেন সাধক রামপ্রসাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। রামদুলাল দে, রামতনু লাহিড়ী, রামকুমার চট্টোপাধ্যায় যথাক্রমে বাণিজ্য, শিক্ষা, সঙ্গীত জগতের তিনটি পরিচিত নাম। স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগের অন্যতম প্রধান নেতা রামমনোহর লোহিয়া থেকে হালফিল মার্কসবাদী কমিউনিস্ট নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কেন্দ্রের বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রত্যেকেই কোনও-না-কোনোভাবে রামাশ্রয়ী।
‘রাম’ আমাদের সংস্কৃতিতে শুভসূচক। তাই একদা মানুষ গণনা করতেন এইভাবে—‘‘রাম, ২, ৩, ৪, ...।’’ অর্থাৎ ‘১’ সংখ্যার বদলে তাঁরা ‘রাম’ নাম নিতেন। তাহলে গণনাটি একটি সুখকর জায়গায় পৌঁছাবে—এই ছিল তাঁদের বিশ্বাস। একটি জনপ্রিয় ছড়াতেও এই চিন্তার প্রতিফলন রয়েছে—‘‘রাম দুই সাতে তিন অমাবস্যা ঘোড়ার ডিম।’’ রাম আমাদের সংস্কৃতিতে বৃহৎ, পবিত্র, মহান এবং সর্বশক্তিমান অর্থবোধকও হয়ে উঠেছেন। খুব বড় এবং ধারালো দা হল ‘রামদা’। বড় সাইজের ছাগল হল ‘রামছাগল’। গুছিয়ে মার দিলে লোকে বলে ‘রামধোলাই’ হয়েছে। বড়সড় ধাক্কাকে বলা হয় ‘রামধাক্কা’। খুব ভিতু ছেলে বা মেয়েকে আমরা বলি ‘রামভিতু’। নিন্দা, ঘৃণা, ব্যঙ্গ প্রভৃতিতেও তিনি—‘রামঃ রামো’ অথবা ‘রামগড়ুরের ছানা’ ...। আকাশে জলকণা আর আলোর ধনুকাকৃতি যে বহুবর্ণ নৈসর্গিক শোভা—সেটাকে আমরা চিনি ‘রামধনু’ নামে। ভূতের ভয় অনুভব করলে বা অদৃশ্য বিপদকালে আজও অনেকে রাম নাম নিয়ে থাকেন।
রামায়ণের রচয়িতা, মহাকবি বাল্মীকি হওয়ার আগে দস্যু রত্নাকর হিসেবে এতটাই পাপী ছিলেন যে, প্রচারিত আছে, তাঁর জিহ্বা রাম নাম উচ্চারণে অক্ষম ছিল। অবশেষে ‘মরা মরা ...’ বলতে বলতে ‘রাম রাম ...’-এ উত্তীর্ণ হন এবং এই জীবনের মতো পবিত্রতম হয়ে ওঠেন। রাজা হিসেবেও রামচন্দ্রকে আদর্শ বলে মনে করা হয়। তাই সবচেয়ে সুশাসিত রাজ্যপাটই রামরাজ্য বলে কীর্তিত হয়। স্বয়ং জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর আমৃত্যু রামভক্তির পরিচয় আমাদের অজানা নয়।
মানুষ এতদিন রামনাম নিয়েছে নিভৃতে অথবা রামনমবীর মতো বিশেষ অনুষ্ঠানের সময়গুলিতে। কোনোদিন তাঁর নাম কলুষিত করা হয়নি অস্ত্রের ঝনঝনানির মধ্য দিয়ে। রামনবমী পালন কোনোদিন টাগ-অফ-ওয়ারের সাবজেক্ট হয়ে উঠতে পারে—এ ছিল আমাদের কল্পনাতীত। গত দু’-তিন বছর যাবৎ বাংলা এই বিপদে পতিত হয়েছে। সদ্য-সমাপ্ত নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকে যুক্ত হয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। কিছু লোক এটাকে তাদের অপছন্দের মানুষদের উত্ত্যক্ত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারিত হচ্ছে পরিষ্কার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। এই উচ্চারণ কোনোভাবেই ভগবান শ্রীরামচেন্দ্রর প্রতি ‌জয়সূচক বা তাঁর মহিমাকীর্তনের অঙ্গ নয়। তাঁর নামটি সংকীর্ণ রাজনীতির চোরাগলি ধরে হাসি-মশকরার রোয়াকে এনে ফেলা হচ্ছে।
তার ফলে কেউ কেউ স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তখন আমরা বিচার করতে বসছি, কার প্রতিক্রিয়া কতটা সংগত অথবা অসংগত হচ্ছে! সবচেয়ে দুর্ভাগ্য, এই ছ্যাবলামি যাঁরা করছেন তাঁদের হয়ে সাফাই গাওয়ার লোকেরও অভাব হচ্ছে না রাজনীতির উচ্চাসন থেকে। ভেবে দেখা হচ্ছে না, রামনাম কতটা কলুষিত হচ্ছে! বিশ্বাসীর কাছে রামনাম যদি একটি মহৌষধ কিংবা অস্ত্র হয়ে থাকে, তবে প্রাসঙ্গিক সত্যটিও মনে রাখা ভালো—ওষুধ এবং অস্ত্রের ভুল প্রয়োগের বোকামিটা যাঁরা করেন সেটা তাঁদেরই পক্ষে ব্যুমেরাং হয়ে ওঠে।
আমাদের বৃহত্তম গণতন্ত্র। কেন্দ্রে এবং রাজ্যে রাজ্যে সরকার তৈরি করতে পাঁচ বছর অন্তর আমাদের অন্তত দু’বার বিরাট নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া থাকে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মতো লোকাল গভর্নমেন্ট তৈরির প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। একদিকে উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য ভোট, আবার অন্যদিকে, ভোটগ্রহণেরই জন্য উন্নয়ন সাময়িকভাবে লাটে তুলে দেওয়া। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত তিনবার উন্নয়ন লাটে তুলে থাকি আমরা। এর মাঝে কেন্দ্রে বা রাজ্যে সরকার পড়ে গেলে এবং কোনও ধরনের উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠলে উন্নয়নের পাঠ আরও এক বা একাধিকবার গোল্লায় যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাকি সময়টাতে কাজ কতটা হয় তা নিয়ে তর্কের অবকাশ রয়ে যায়। কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং চুরি, দুর্নীতি, কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ, দলাদলি, উপদলীয় কোন্দল আর ল্যাং মারামারি আমাদের অবিচ্ছেদ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তাই, সুশাসনের প্রতিশ্রুতি বিলিয়ে ক্ষমতা দখল করা রাজনৈতিক দলগুলির উচিত অবিলম্বে এই কুনাট্যে ইতি টেনে দেওয়া, যাতে করে উন্নয়নের ছিটেফোঁটা সমাজ পেতে পারে। নরেন্দ্র মোদি পুনর্নির্বাচিত হয়ে এলেও দেশের বিপুল বেকারত্ব আর রুগ্‌ণ অর্থনীতি কিন্তু রাতারাতি মিথ্যে হয়ে যাবে না। মানুষ বিজেপিকে ভাবমূর্তি মেরামতের এক বিরাট সুযোগ দিয়েছে, এ কিন্তু অভূতপূর্ব। বিজেপির উচিত, রামবোকামি ছেড়ে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা। বিশেষ নজর দাবি করে বাংলা। বাংলার দাবির ন্যায্যতা হল—বহুদিন পর বাংলা কেন্দ্রীয় শাসকদের এতটা উদ্বাহু সমর্থন জানিয়েছে।
শুধু রাজ্য সরকার আর রাজ্যের শাসক দলকে টাইট দিয়েই কিন্তু ২০২১-এ পার পাবেন না মোদিজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখাতে হবে, কেন্দ্রের সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গে যত বিরোধ বৈরিতা থাক না কেন, উন্নয়নের প্রশ্নে আজও তিনি আপসহীন। বাংলায় ২০২১-এর লড়াইটা উন্নয়ন বনাম উন্নয়নের হয়ে উঠবে কি? রামনাম নিয়ে এই অবাঞ্ছিত ছেলেখেলা ছেড়ে যে-দল বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিকতা সবার আগে প্রমাণ করতে পারবে, আগাম বলে দেওয়া যায়, ২০২১ শুধু তার। লোকসভা ভোটের এই ফল এবং এর প্রভাব ততক্ষণে অনেকটাই ফিকে হয়ে আসবে কিন্তু যুযুধান সব পক্ষেরই জন্যে। 
04th  June, 2019
বারুদের স্তূপের উপর পশ্চিমবঙ্গ
হিমাংশু সিংহ

সংসদীয় রাজনীতিতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কারও মৌরসিপাট্টাই গণতন্ত্রে বেশিদিন টেকে না। সব সাজানো বাগানই একদিন শুকিয়ে যায় কালের নিয়মে। ইতিহাস কয়েক বছর অন্তর ফিরে ফিরে আসে আর ধুরন্ধর শাসককে চরম শিক্ষা দিয়ে তাঁকে, তাঁর ক্ষমতাকে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়ে আবার ফকির করে দিয়ে যায়। সব ক্ষমতা এক ভোটে বিলীন। ধূলিসাৎ। আর এখানেই মহান গণতন্ত্রের জিত আর চমৎকারিত্ব। আর সেই দিক দিয়ে ২৩ মে-র ফল এই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকেও আবার এক মহান সন্ধিক্ষণের দিকেই যেন ঠেলে দিয়েছে। ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’ হয়নি, ‘২০১৯ বিজেপি ফিনিশ’—তাও হয়নি। উল্টে সারাদেশে বিজেপি থ্রি-নট-থ্রি (অর্থাৎ ৩০৩টি) আসন জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভোট-পণ্ডিতদের।
বিশদ

11th  June, 2019
মোদিজি কি ‘সবকা বিশ্বাস’ অর্জন করতে পারবেন?
পি চিদম্বরম

 নরেন্দ্র মোদি এবার যে জনাদেশ পেয়েছেন তা অনস্বীকার্যভাবে বিপুল। যদিও, অতীতে লোকসভা নির্বাচনে একটি পার্টি ৩০৩-এর বেশি আসন জেতার একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। যেমন ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী ৩৫৩ এবং ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধী ৪১৫ পেয়েছিলেন।
বিশদ

10th  June, 2019
 বিজেপি এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে
কঠিন চ্যালেঞ্জ মনে করছে কেন?
শুভা দত্ত

 কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটে গেল রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। তাই আজও একই প্রসঙ্গ দিয়ে এই নিবন্ধ শুরু করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেই লিখেছিলাম, ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যেন একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
বিশদ

09th  June, 2019
ইচ্ছে-ডানায় নাচের তালে
অতনু বিশ্বাস

এ বছরের সিবিএসই পরীক্ষার ফল বেরতে দেখা গেল, প্রথম হয়েছে দু’টি মেয়ে। একসঙ্গে। ৫০০-র মধ্যে তারা পেয়েছে ৪৯৯ করে। দু’জনেই আবার আর্টসের ছাত্রী। না, পরীক্ষায় আজকাল এত এত নম্বর উঠছে, কিংবা আর্টস বিষয় নিয়েও প্রচুর নম্বর তুলে বোর্ডের পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক করা যায় আজকাল—এগুলোর কোনওটাই আমার আলোচনার বিষয়বস্তু নয়।
বিশদ

08th  June, 2019
ভারতের রাজনীতিতে ‘গেম মেকার’
মৃণালকান্তি দাস

মেধাবী হলেই যে পড়ুয়ার জন্য মোটা বেতনের চাকরি নিশ্চিত, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। শুধু প্রতিভা থাকলে আর পরিশ্রমী হলেই হবে না, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ঠিকঠাক ‘গাইড’ না পাওয়ায় পড়ুয়ারা আজ আর সরকারি চাকরির লক্ষ্যভেদ করতে পারেন না।
বিশদ

07th  June, 2019
অবিজেপি ভোটে বাজিমাত
বিজেপির, এবং তারপর...
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আলোড়ন! নিঃসন্দেহে একটা জবরদস্ত আলোড়ন উঠেছে। লোকসভা ভোটফল প্রকাশ হওয়া ইস্তক সেই আলোড়নের দাপটে রাজ্য-রাজনীতি থেকে সাধারণের অন্দরমহল জল্পনা-কল্পনা, বিবাদ-বিতর্ক, আশা-আশঙ্কায় যাকে বলে রীতিমতো সরগরম! পথেঘাটে আকাশে বাতাসে যেখানে সেখানে ছিটকে উঠছে উৎকণ্ঠা নানান জিজ্ঞাসা।
বিশদ

06th  June, 2019
কর্ণাটক পুরনির্বাচন: আবার উল্টালো ভোটফল
শুভময় মৈত্র 

নির্বাচনে ভোটফল নিয়ে কখন যে কী ঘটছে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না মোটেই। মানুষ অবশ্যই মত বদলাবেন। সে স্বাধীনতা তাঁদের আছে। সে জন্যেই তো ভোটফল বদলায়। নাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের কোনও অর্থই থাকে না।  
বিশদ

04th  June, 2019
বিভাজনের ঘোলা জলে হারিয়ে যাচ্ছে বিকাশ
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

এক জার্মান দার্শনিক হিটলারের আমলে আমাদের সচেতন করেছিলেন এই বলে—তোমরা সবাই ছোট মানুষ (লিটল ম্যান) তোমাদের কোনও প্রশ্নের অধিকার আছে কি? বৃহৎ রাষ্ট্রযন্ত্রে তোমাদের অস্তিত্বটা কোথায়! তা কী অনুধাবন করতে পেরেছ? নাটবল্টুদের কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত নয়।
বিশদ

03rd  June, 2019
সবকা বিকাশ কীভাবে হতে পারে
পি চিদম্বরম

 বিপুল জনসমর্থন সবসময় আশীর্বাদ হয় না, একটি দুর্বলতর বিরোধী শাসনকার্যকে আরও দুঃসহ করে তোলে এবং উপর্যুপরি দু’দফায় ক্ষমতালাভ শাসকের অজুহাত খাড়া করার সুযোগ কেড়ে নেয়। আমি নিশ্চিত যে মানুষের বিরাট প্রত্যাশা আর তাঁর মন্ত্রিসভার উপর কতখানি বোঝা চাপল সেই কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো করেই জানেন।
বিশদ

03rd  June, 2019
ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যে এত হিংসা কেন!
শুভা দত্ত

ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যেন একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এ ওকে মারছে, সে তাকে মারছে, পার্টি অফিস দখল করে নিচ্ছে, না হয় ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছে, দল বেঁধে বাড়িতে বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি দিচ্ছে, আসবাবপত্র, টাকাকড়ি, গয়নাগাটি লুটে নিয়ে যাচ্ছে, ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ ঘরসংসার ফেলে আত্মরক্ষার তাগিদে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, আবার কোথাও কোথাও তো রক্ত ঝরছে, খুনখারাপির ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে!
বিশদ

02nd  June, 2019
নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় ইনিংস: ভারতের
বিদেশ নীতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ভাবনা
গৌরীশংকর নাগ

 অবশেষে মাসাধিক কালব্যাপী প্রতীক্ষার অবসান। নির্বাচন অতিক্রান্ত ও ফল ঘোষণার পর মোদির দ্বিতীয় ইনিংসে চমকের প্রত্যাশায় জল্পনা তুঙ্গে। আর সেই ভাবনা থেকেই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভারতীয় বিদেশনীতি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে যে কথাটি এসে পড়ে তা হল পপুলিজম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বিশদ

01st  June, 2019
ইমেজ বদল
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছু কিছু ফলাফল বড় গোলমেলে হয়। এই যেমন এবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বহু আসনে এভাবে হেরে গেলেন সেটা নিয়ে বিস্তর ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, ময়নাতদন্ত চলছে। হওয়াই সঙ্গত। এইসব ব্যাখ্যা থেকে যেটা স্পষ্ট বোঝা গেল যে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে না।
বিশদ

31st  May, 2019
একনজরে
গ্রেম স্মিথ : অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে মন্থর, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অজিদের এই অস্ত্র কাজ করেনি। অন্য ম্যাচে ভয়ঙ্কর মূর্তিতে আবির্ভূত হলেও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর বিন্দুমাত্র ত্রাসের সঞ্চার করতে ...

সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মৎস্য চাষিদের তেলাপিয়া মাছের চাষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কেন বিজ্ঞানীরা এই মাছের চাষ থেকে চাষিদের বিরত থাকতে বলছেন?  ...

  নয়াদিল্লি, ১১ জুন (পিটিআই): নিজের কেন্দ্রে ‘জল সঙ্কট’ নিয়ে সরব বিজেপি এমপি মীনাক্ষী লেখি। মঙ্গলবার দিল্লির জল বোর্ডের বাইরে রীতিমতো ধর্নায় বসেন তিনি। যদিও দিল্লি সরকারের আওতায় থাকা জল বোর্ডের দাবি, ক্ষমতা অনুযায়ী জল সরবরাহ করা হচ্ছে। বিজেপি মানুষকে ...

বিএনএ, বাঁকুড়া: এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে কর্মবিরতি শুরু করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন সকাল থেকে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM