বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালায় জেল থেকে আদালতে যাওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানে একটি হামলার ঘটনা ঘটে। দু’দেশেরই গোয়েন্দা নথিতে রয়েছে, ওই ঘটনায় পুলিস খুন করে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মাস্টার মাইন্ড এই রাহাত। হাসিনা প্রশাসন তাকে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার সামনে ‘ত্রাস’ বলেই জানত। ময়মনসিংহের অপারেশন সারতে সে ১.৩০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। তার মদতে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সালাউদ্দিন সালেহান, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান এবং রাকিবুল হাসান নামক ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিদের। তারা প্রত্যেকেই দুই বাংলার গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ বলে আজও বিবেচিত। উল্লেখ্য, পরে র্যাবের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হাসান নিহত হয়। তবে সালেহান এবং বোমা মিজান যোগ দেয় জেএমবির পশ্চিমবঙ্গের মডিউলে। সুখবর এই যে, পরে বোমা মিজানকে এনআইএ দক্ষিণ ভারত থেকে পাকড়াও করে। কিন্তু ছদ্মবেশ ধারণে ওস্তাদ সালেহান এখনও নিপাত্তা। সালেহান এবং বোমা মিজানের এপারে অনুপ্রবেশ থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গিদের ‘উত্থান’ শুরু হয়। ময়মনসিংহের অপারেশনে রাহাতের নির্দেশেই কাজ করেছিল নারায়ণগঞ্জের মাসুম মিয়াঁ। খাগড়াগড় পর্বে সে এদেশে ‘শেখ সাজিদ’ নাম ব্যবহার করত। এনআইএ তার নামে ১০ লক্ষ টাকার ইনাম ঘোষণা করেছিল। সাজিদ ওরফে মাসুম পরে বিধাননগর পুলিসের জালে আটকা পড়ে।
‘নিরীহ নির্যাতিত নাগরিক’ সেজে যে রাহাত হাসিনার জমানার আদ্যশ্রাদ্ধ করছে সে কিন্তু সাতজনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। অভিযোগ অনুসারে, একের পর এক নরহত্যার ওই নৃশংসতা সে ঘটিয়েছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার গোপীবাগ রামকৃষ্ণ মিশন রোডে একটি আবাসনে এক ‘হুজুর’, তাঁর ছেলে এবং চার অনুগামীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার আগে চট্টগ্রামে গলা কেটে খুন করা হয় এক ‘ব্লগার’কে। প্রতিটি নারকীয় কীর্তিতে নাম জড়িয়ে রয়েছে এই রাহাতের। মোট ৪৩ মাস কারাবাসও করেছে সে। হাসিনার আমলে রাহাতের উপর নাকি লাগাতার ‘সাতদিন’ অকথ্য অত্যাচার চলেছিল। জেএমবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের কাছ থেকে তার রোমহর্ষক বিবরণ শুনে ইউনুস সাহেবের ‘দরদি’ প্রতিক্রিয়া মিলেছে, ‘আপনার মতো এরকম হাজার হাজার মানুষ অত্যাচারিত। সব দেখা হবে।’ একটি বাংলা প্রবাদ আক্ষরিক অর্থেই সত্য হয়েছে মহম্মদ ইউনুসের ‘মানবিক’ প্রশাসনের বদান্যতায়—সাত সাতটি খুনের আসামিকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে—অর্থাৎ রাহাতের সাত খুন মাফ! কাকতালীয় হলেও তা সত্যি। এরপর বুঝতে বাকি থাকে না, এই ক্ষমতালোভী অনির্বাচিত প্রশাসন বাংলাদেশকে কোন নরকে টেনে নামাতে তৎপর। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতা বৃদ্ধির নীতিতেই যে তারা শান দেবে, তাও খোলসা করে দিচ্ছেন নোবেলজয়ী ‘পণ্ডিত’। উগ্র মুসলিম মৌলবাদীদের মারাত্মক খপ্পরে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ কীভাবে উদ্ধার পাবে, তা সেদেশের নাগরিকরাই ঠিক করবেন। তবে এপার বাংলাসহ সারা ভারতের সুরক্ষার স্বার্থে আমাদের সদাসতর্কই থাকতে হবে।