Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

কারও মাতৃভাষা যে ‘সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ হতে পারে তা বোধহয় বাঙালি হয়ে না জন্মালে টেরই পাওয়া যায় না। হিন্দি-ইংরেজি সেরা আর বাংলা ম্যাড়মেড়ে— এই হীনম্মন্যতাবোধে ভোগা কিছু বাঙালি আজ বিশুদ্ধ বাংলা বলতেও লজ্জা পান! অনেক বাঙালি তো মনে করেন, বাংলা ভাষার সঙ্গে ইচ্ছেমতো হিন্দি-ইংরেজি না মেশালে, ভাষাটা ঠিক ওজনদার ও অভিজাত হয়ে ওঠে না। আসলে কোন ভাষায় কথা বলব সেটা নিয়ে দোটানায় থাকি আমরা নিজেরাই। দু’একটা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করলে নাকি লোকে আমাদের শিক্ষিত মনে করবে না। 
হয়তো তাই, নাগরিকদের বিশেষত তরুণ প্রজন্মের 
একটা অংশ পারতপক্ষে বাংলা বলেনই না। এবং সেই 
অংশটা ক্রমশই বাড়ছে। যাঁরা বলেন, তাঁদের কথাতেও অর্ধেক হিন্দি বা ইংরেজি শব্দের ছয়লাপ। আর, যদি বা বাংলা বলে তবে বাক্যের ছিরি-ছাঁদে যা উচ্চারিত হচ্ছে তা ঠিক কোন ভাষা তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘোর দ্বন্দ্ব। অন্য ভাষা থেকে নকল করা ভাষাভঙ্গির উৎকট অপপ্রয়োগ চলছে অকাতরে। নির্ভুল বানান তো দূর অস্ত, অভিধানে শব্দের নমুনা খুঁজতে গেলেও হয়রান।
ভাষা চলমান নদীর মতো। সময়ের স্রোতে সে অনেক ভাঙাগড়া প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। সমৃদ্ধ হয়। 
আবার কখনও কখনও তার প্রতি ভালোবাসা, অন্তরের আবেগের টান শুকিয়ে গেলে তা ধাক্কাও খায়। প্রাণের 
ভাষা, নিজের মুখের ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে সংশ্লিষ্ট জাতির উদ্যোগও হেরিটেজ মর্যাদার থেকে বোধহয় বেশি দরকারি। সেই উদ্যোগ, কর্মসূচি কোথায়? বরং নেতিবাচক ছবিটাই প্রবল।
এ কথা ঠিক যে, প্রচলিত মূল ধারার বাংলা গদ্যরীতিতে ইংরেজি ছাঁচ অনেক দিনের আমদানি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের প্রবণতা বাংলা ভাষায় অন্য ভাষার ক্রিয়াপদের মিশ্র ব্যবহার। যেমন— ‘ফোন’ করব শব্দটির নতুন প্রয়োগ ‘ফোনাব’। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ‘ট্যাগানো’ (‘ট্যাগ’ করার বদলে)-র মতো শব্দ কথ্য বাংলায় অনায়াসে জায়গা করে নিচ্ছে। এ রকমই অজস্র উদাহরণ দেওয়া যায়, যা টেবিল-চেয়ারের মতোই এখন বাংলা শব্দভাণ্ডারে ঢুকে পড়ছে। বাঙালির তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। বহু অভিভাবক তো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ছেলেমেয়ে বাংলা ভালো না জানলে কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ, কেরিয়ারে তা নাকি কোনও কাজেই লাগে না। অথচ, এই বাংলারই ভূমিপুত্র রয়েছেন তিন তিনজন নোবেলজয়ী। রবীন্দ্রনাথ থেকে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গরিমা বাঙালি ছাড়া আর কোনও ভারতীয় জাতির নেই। বাংলা ভাষার সিনেমা সত্যজিৎ রায়কে দিয়েছে অস্কারজয়ীর সম্মান। এই বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জনের বিনিময়ে মিলেছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এর স্বীকৃতি।
তবু কেন আমাদের এই বিপন্নতা? ইংরেজি আর হিন্দির আগ্রাসনে কেন কোণঠাসা বাংলা? হিন্দি, ইংরেজি সুয়োরানি, বাংলা ঘরের কোণে পড়ে থাকা দুয়োরানি। আমাদের নতুন প্রজন্ম বড়ই হচ্ছে এমন পরিবেশে, যেখানে বাংলা ভাষার দর নেই। আত্মঘাতী বাঙালির ধারণা, রূপসী বাংলা ভাষার টানে আটকে থাকলে উপোসী হয়ে থাকতে হবে। নইলে চাকরির বাজারে আনফিট। ইংরেজি মানে বেশি মাইনে। ইংরেজি অর্থনৈতিক ভাষা— এই ধারণা বাঙালির মগজে সেই কবেই ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন ফিরিঙ্গি লর্ড মেকলে।
১৮৩৫ সাল। লর্ড মেকলে ঘোষণা করলেন ব্রিটিশ শাসনের শিক্ষানীতি। কী ছিল সেই শিক্ষানীতিতে? বলা হয়েছিল, ভারতীয়দের ‘একটি শ্রেণি’ তৈরি করা হবে যারা হবে রক্তে ভারতীয় কিন্তু চিন্তা-চেতনায় ইংরেজ। মেকলে মিনিটস- এর উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজি জানা কেরানি শ্রেণি তৈরি করা। তৈরি হল কিছু উঠতি বড়লোকও। যারা ইংরেজি ভাষাটা রপ্ত করে ঠাটে বহরে কলকাতার ভাগ্যবিধাতা হয়ে উঠলেন। সেই শুরু। তারপর নবজাগরণ, স্বাধীনতার লড়াই। কিন্তু ইংরেজি ভাষার প্রতি বাঙালির আনুগত্য কমেনি। কারণ, ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি ভাষা না জানলে উচ্চশিক্ষা, প্রশাসন এবং চাকরির সুযোগ সীমিত ছিল। ফলে সাধারণ মানুষ বাংলা শেখার চেয়ে ইংরেজির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়। পরাধীনতার গ্লানি মিটলেও চিহ্ন রয়ে গিয়েছে বাঙালির মনে। সেই ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বাংলা ভাষাকে হেয় করার প্রবণতা শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার পরও বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করে ইংরেজিকে উচ্চস্তরের ভাষা হিসেবে দেখা হয়, যা ভাষার অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
আমাদের কাছে বাহান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি কিংবা একষট্টির উনিশে মে তারিখগুলি শুধু ইতিহাস। হ্যাঁ, একুশে ফেব্রুয়ারি আর উনিশে মে— বাংলা ভাষাকে নিয়ে পুজো করার দিন। কিন্তু ভুলে যাই আমাদের ভূগোল, আমাদের ইতিহাস। বাংলা ভাষাকে রোজ লড়তে হয় এই ভারতেরই আরও সরকার স্বীকৃত ২১টি আঞ্চলিক ভাষা সহ অসংখ্য ভাষার সঙ্গে। ভাষাভাষীর সংখ্যার নিরিখে বাংলার তুলনায় হিন্দি বেশ খানিকটা এগিয়ে। তার উপর রয়েছে ইংরেজির প্রবল চাপ। বাস্তবে বাঙালির কাছে আজ পেটের টানে ইংরেজি আর বিনোদনে হিন্দি। ‘শাসকের ভাষা’, এই অভিমানটা ইংরেজি ভাষার সঙ্গে এখনও যেন ভীষণ ভাবে জড়িয়ে আছে। এর ফলে ইংরেজি জানা, লিখতে ও বলতে পারার একটা প্রবল স্পৃহা কাজ করে। আর তার সমান্তরালে জেগে ওঠে মাতৃভাষা বাংলাকে তাচ্ছিল্য করার একটা প্রবণতা।
বাঙালি বরাবর গ্লোবাল জাতি। তাই বাংলা বিজ্ঞাপনেও ব্যবহৃত ভাষা হিন্দি আর ইংরেজি শব্দের মিশেলে জগাখিচুড়ি। অবাঙালি ঢঙে বাংলা উচ্চারিত হচ্ছে। ব্যাকরণও অশুদ্ধ। কিন্তু শিশুরা তো সেটাই শুনছে, সেটাই শিখছে। শহর কলকাতার আনাচে কানাচে প্রায় রুগ্ন যে বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি চলছে, প্রায় সবগুলির দশাই করুণ। সেখানে এখন যায় সমাজের একেবারে প্রান্তিক অংশের নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরাই। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের দাপটে নাভিঃশ্বাস উঠেছে বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলির। অথচ, বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারত বুনিয়াদি স্কুলগুলি। বাংলাকে ভুলে ইংরেজি নয়, দু’টি ভাষাই সমান যত্নে শেখা ছিল শিক্ষার পরিচয়। কিন্তু সেই স্কুলগুলিকে যাবতীয় পরিকাঠামো দিয়ে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কোথায় সরকারি স্তরে? 
অভিভাবকদের একটা বড় অংশ ভাবছেন, সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য। হারিয়ে যাবে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়। তাই শাসকশ্রেণির উদ্দেশ্য থাকে, তাদের ভাষা ছাড়া অন্যান্য মাতৃভাষার উপর আক্রমণ হেনে সেই ভাষাগোষ্ঠীর মানুষদের সব দিক থেকে পঙ্গু করে দেওয়া। ভাষাবিদদের হিসেব বলছে, শুধুমাত্র ভারতেই রয়েছে ৬০০টির মতো বিপন্ন ভাষা। গত ৫০ বছরে ২৫০টির মতো ভারতীয় ভাষার মৃত্যু হয়েছে।
আমরা নিজেরাই যে বালির ঘর বানিয়েছি, তা আজ মাটিতে মেশার জোগাড়। কে না জানে শিকড় উপড়ে নিয়ে গাছকে অন্য মাটিতে বসানো কোনও কাজের কথা নয়। মাটিতে থেকে তুলে নিয়ে বটগাছকে টবে বসিয়ে যতই যত্ন করা হোক না কেন সে ঝুরি সহ বামন গাছ হবে। বটগাছ নয়। তেমনই মাতৃভাষা থেকে মুখ সরিয়ে থাকলে বাইরে সব স্বাভাবিক কিন্তু অন্তরে ক্ষয়ক্ষতি প্রকট হবে। ১৯১৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পের জন্য লিডস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাইকেল স্যাডলারকে বলেছিলেন, ‘শিক্ষার উন্নতি করতে হলে সর্বাগ্রে চাই প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মাতৃভাষা আর দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে শেখাতে হবে ইংরাজী।’
ভাষা— যার সেতুবন্ধ হওয়ার কথা ছিল, তাকে আমরা করে তুললাম পাঁচিল। সাতচল্লিশ, বাহান্ন, একাত্তর... একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসপর্ব আমাদের সুযোগ দিয়েছিল বাংলা ভাষাকে তার আঞ্চলিক ও প্রামাণ্য-সহ সকল রূপকে মেলানোর, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির বহুস্তরী অন্তররূপটিকে দেখার, বোঝার। আমরা সে সুযোগ নিতে পারিনি। বরং ‘এক ভাষা, এক প্রাণ’ বলে প্রত্যেক একুশে ফেব্রুয়ারিতে শুধু উৎসবেই মেতে থাকি। আজ আমাদেরও আত্মসমীক্ষা করার সময় এসেছে।
 
21st  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
একনজরে
আর দিন ছয়েক সময়। তার মধ্যে স্কুলের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর পোর্টালে জমা না দিলে পড়ুয়া পিছু ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে স্কুলকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ...

শুক্রবার দুপুর থেকেই মোহন বাগান তাঁবুতে ভিড়। ওড়িশা ম্যাচের টিকিট যেন হটকেক। কয়েক মাইল দূরের যুবভারতীতে তখন অন্য ছবি। প্র্যাকটিসের পর বিশাল কাইথ, কামিংস আর ...

বাংলা আবাস যোজনায় এবার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল মালদহের বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ২০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ...

মদমে মধ্যরাতে গলায় ছুরি ধরে বৃদ্ধ দম্পতির সর্বস্য লুটের ঘটনার কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিস। ঘটনার চারদিন পরও একজন দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে এলাকাবাসীরা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩২: গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চীফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৮৫৩: এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৭:  চারণকবি মুকুন্দ দাসের জন্ম
১৮৮৮: ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট বেহালাবদক ভি. জি. জোগ-এর জন্ম
১৯২২: রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী দীপালি নাগের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
১৯৭৪: বিশিষ্ট গিটারবাদক তথা কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী ১৮/০ দিবা ১/২০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ২৮/৫০ সন্ধ্যা ৫/৪০। সূর্যোদয় ৬/৭/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ ম঩ধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে উদয়াবধি। 
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৯/৪৩। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ২/৪২। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫২ মধ্যে ও ৪/৩৬ গতে ৬/১০ মধ্যে। 
২৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার পেনসেলভানিয়াতে একটি হাসপাতালে বন্দুকবাজের তাণ্ডব

11:49:00 PM

ফ্রান্সে ছুরি দিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী, মৃত ১, জখম ৩

11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ৩৩ রানে হারাল উত্তরপ্রদেশ

10:58:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন জশ ইংলিশ

10:47:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: সেঞ্চুরি করলেন জশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়া ৩১৬/৫ (৪৪.৩ ওভার), টার্গেট ৩৫২

10:11:00 PM