Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ। তারপরও উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছে, কয়েকজন আহত হয়েছে মাত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রায় একদিন পার করে যোগী সরকার ঘোষণা করল, ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা শ’খানেক হবে। এই লুকোছাপা কেন? ক্ষতিপূরণ কম দিতে হবে বলে? নাকি গায়ে রক্তের দাগ লাগলে আসন্ন কোনও এজেন্ডা ধাক্কা খাবে?
দিল্লি স্টেশন থেকে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে পড়ে আছেন এক মহিলা। তার পাশে এক যুবতীও। নিথর। তা সত্ত্বেও রেলের তরফ থেকে স্বীকার করা হচ্ছে না মৃত্যুর খবর। হাসপাতাল বলছে, ১৫ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন মহিলা, আর তিন শিশু। রাজনাথ সিং, এমনকী স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক জ্ঞাপন করছেন। আর তখন ‘স্বাভাবিক’ দিল্লি স্টেশনের ছবি দিয়ে রেলমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, ‘সব নিয়ন্ত্রণে’। এই দ্বিচারিতা কেন?
তথ্য জানার ‘অনধিকার’
ইদানীং আমাদের মহামান্য ভারত সরকার একটা দারুণ স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। ধরুন আপনি অনলাইনে আরটিআই করতে চাইছেন। পুরো প্রক্রিয়াটা ঠিকমতো মেনে চললেন। কিন্তু শেষে সাবমিশনের সময় ‘এরর’ দেখিয়ে দিল। কিংবা আপনাকে থমকে দেওয়া হল সেখানেই। অর্থাৎ, তথ্য জানার অধিকার আইনে আপনি আর তথ্য জানার আবেদনটুকুও করতে পারলেন না। সব ক্ষেত্রেই কি তা হচ্ছে? না, সব ক্ষেত্রে না হলেও বহু ক্ষেত্রে হচ্ছে তো বটেই। আর বেশ কিছু ক্ষেত্রে উত্তরে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ‘সরকার এই তথ্য দিতে পারছে না’, কিংবা ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়া যাবে না’। সোজা কথায়, তথ্য গোপন করে যাওয়া হচ্ছে। 
জনগণনা
২০২১ সালে সেন্সাস হওয়ার কথা ছিল। কোভিডের অজুহাতে তাকে হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেও শোনা গিয়েছিল, এবার সেন্সাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ। কিন্তু তাহলে সাধারণ বাজেটে সাধারণভাবে জনগণনার জন্য অর্থ বরাদ্দ হল না কেন? তাহলে কি সেন্সাস করানোয় সরকারের মন নেই? এদিকে আবার বলা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত মিটিং আছে। আসল ঘটনাটা তাহলে কি? পাবলিক কি মূর্খ নাকি? যা বোঝানো হবে, তাই বুঝতে সে বাধ্য? সেন্সাস না হলে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ঠিক কত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, তার কোনও ভিত্তি পাওয়া যায় না। এখনও বিনামূল্যে রেশন, সংখ্যালঘু ভাতার মতো বহু প্রকল্পের টাকাই দেওয়া হয় ১৪ বছর আগের জনগণনার উপর নির্ভর করে। কত মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে আছেন? সেই উত্তরও খুঁজতে হয় টাইম মেশিনে চেপে ওই ২০১১ সালে গিয়েই। রাজনীতির কারবারিদের তাতে কী? ভোট পেলেই হল। আর সে জন্য ধর্ম তো আছেই! কিন্তু সেন্সাস করালে অসুবিধা কোথায়? হিন্দু খতরে মে হ্যায়, কিংবা সংখ্যালঘুরা দেশটাকে লুটে নিচ্ছে বলে যে স্লোগান তোলা হচ্ছে, তা ঝাড় খেয়ে যাবে না তো? দেখা যাবে না তো, সংখ্যালঘুদের সংখ্যা এই দেড় দশকে অনেকটা কমে গিয়েছে? কারণ, নরেন্দ্র মোদি সরকার কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে জন্মহার সংক্রান্ত কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি!
করের হিসেব
ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ সংসদে রিপোর্ট পেশ করেছিল ক্যাগ। গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ, ওইদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বি আর আম্বেদকরের নামে। তাঁর ভাষণ-বিতর্কে চাপা পড়ে গিয়েছিল ক্যাগ রিপোর্ট, আর তার ছোট্ট একটা অংশ। ২০২০’র নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আয়কর বিভাগের কাজকর্মের অডিট করেছিল ক্যাগ। তাতে অদ্ভুত একটা তথ্য হাতে এসেছে তাদের—এই ক’বছরে অনাদায়ী আয়করের ৯৭ শতাংশই ‘ডিফিকাল্ট টু রিকভার’ বা আদায় করা মুশকিল বলে উল্লেখ করেছে দপ্তর। প্রশ্ন হল, কেন? কেউ যদি আয়কর না দিয়ে থাকে বা ভুল ফর্ম ভরে থাকে, তার নির্দিষ্ট তথ্য দপ্তরের কাছে থাকবে। সেইমতো তারা ডিমান্ড নোটিস পাঠাবে করদাতার কাছে। তিনি বকেয়া আয়কর না দিলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দপ্তরের কাছে আছে। তারপরও আদায় করাটা ‘ডিফিকাল্ট’ কেন? ক্যাগের বক্তব্য, অডিটে ঠিকমতো সাহায্যই করেনি আয়কর দপ্তর। অনাদায়ী ১৮ হাজার ৮৭০টি মামলার মধ্যে ১০ হাজার ৮৯৬টি নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরই তারা দেয়নি। এমনকী, ১১ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ী আয়করের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা জড়িত, সেটাও জানায়নি তারা। এর কারণ কী? এইসব ব্যক্তি বা সংস্থা কি অত্যন্ত প্রভাবশালী? তাদের অনাদায়ী করের টাকা কি তাহলে আড়ালে-আবডালে মকুব হয়ে যাবে? প্রশ্ন কিন্তু রয়েছে।
তথ্য গোপনের প্রাপ্তিযোগ
উত্তরটা এক কথায় হতেই পারে—রাজনীতি। বিজেপি জমানায় একটা বিষয়ে আমরা ভালোরকম গা-সওয়া হয়ে গিয়েছি। সেটা হল, প্রচার। সরকার কী করল না করল, তাতে কিছু আসে যায় না। প্রচারটা পুরোদস্তুর চালাতে হবে। রাজনীতির ভাষায় প্রোপাগান্ডা। ডেটা বা তথ্যের সঙ্গে যা মোটেও খাপ খায় না। জন্মহার যদি সরকার প্রকাশ করত, তাহলে কি আর ‘হিন্দু খতরে মে হ্যায়’ প্রচার দিনের আলো দেখত? মনে রাখতে হবে, ১৪০ কোটি জনসংখ্যা কিন্তু এখনও ভারত সরকারের সিলমোহর পায়নি। সেটা সম্ভব একমাত্র সেন্সাসের পর। মোদি সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা মুখে মুখেই দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কেন্দ্রীয় একটি সংস্থাই এর মধ্যে দাবি করে বসে আছে যে, ভারতে জন্মহার নিয়ে ভুল প্রচার চলছে। তারা বলেছে, ভারতের মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ২.১ নয়। বরং তার থেকে কম। সেক্ষেত্রে ১৪০ কোটির অঙ্কে জল মিশতে বাধ্য। এই সত্য সামনে এসে গেলে সংখ্যালঘু বাড়ছে, আপনারাও তিনটি করে সন্তানের জন্ম দিন—সঙ্ঘ ও বিজেপির এই প্রচার মাঠে মারা যাবে। গত ১১ বছরে এই একটি বিষয়েই তো গেরুয়া ব্রিগেড হাত পাকিয়েছে—ধর্মীয় রাজনীতি। সঠিক তথ্য আর শুধু গবেষক আর পরিসংখ্যানবিদের জন্য নয়! রাজনীতিকদের জন্যও বটে। আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে কতজন আছে? এর উত্তর যদি ২০১১ সালের জনগণনার নিরিখে হয়, তাহলে মোদি সরকার সাফল্যের চূড়ায় বসে আছে। তারা দাবি করছে, ৮১ কোটি এমন মানুষের কাছে সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। তাই দেশ থেকে গরিব কমছে। কিন্তু বেসরকারি তথ্য বলছে, অন্তত ১০ কোটি মানুষ এখনও এই তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছে। অর্থাৎ, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর মূল কারণ করোনা মহামারী। এর কারণ কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই লকডাউনের ঘোষণা। এর কারণ, নোট বাতিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সেই তালিকা কোথায়? কত মানুষ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত, আর নিম্নবিত্ত থেকে দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে গিয়েছেন, তাঁদের হিসেব কোথায় দেখানো হয়েছে?
আম জনতাও এখন ‘ডেটা’ বোঝে। অন্তত সাদা চোখে কম-বেশির তফাৎটা ধরতে পারে। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলে রাজনীতি হবে কীভাবে? ক্ষমতায় থাকতে গেলে রাজনীতি চাই। আর রাজনীতি কেউ কি আর নিজের পকেট খসিয়ে করে? তার জন্য বন্ধুরা আছেন। সেই বন্ধুরা নানাবিধ সুবিধা পেতেই পারেন। কিন্তু সবটাই ‘ব্যক্তিগত’ বলে মেনে নিতে হবে। অন্তত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটাই মনে করেন। নিজের দেশে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন না। কিন্তু মার্কিন মুলুকে সাংবাদিকদের সামনে আদানি ইস্যুকে ‘ব্যক্তিগত’ প্রসঙ্গ বলেই উড়িয়ে দেন। তাঁর জবাব শুনে প্রশ্ন জাগে, ভেবে বলেছেন তো? কারণ, এই একটি ইস্যুতেই গোটা বিশ্ব তোলপাড়। তাঁর বন্ধু কিন্তু ভারতের নাগরিক হিসেবেই বিশ্বের দরবারে পরিচিত। সেক্ষেত্রে বিষয়টা ব্যক্তিগত হয় কীভাবে? এমনই বন্ধু ও প্রভাবশালীদের নামই কি লুকিয়ে চলেছে আয়কর দপ্তর? এমন বন্ধুদের অনাদায়ী করই কি ‘ডিফিকাল্ট টু রিকভার’? ক্যাগ লাগাতার চেয়েও সেই তথ্য পাচ্ছে না। পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এটাও যে রাজনীতিরই অঙ্গ। এই তথ্য প্রকাশ্যে চলে এলে বন্ধুদের নামও আম জনতা জেনে যাবে। প্রশ্ন উঠবে, কেন তাদের কর অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে? কোন কোন সুবিধা তারা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে দিয়েছে? কীসের ‘বিনিময় মূল্য’ হিসেবে লক্ষ কোটি টাকা তারা দিতে স্রেফ ভুলে যাচ্ছে? মোট অঙ্কটা কত? ক্যাগ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের হিসেব দিয়েছে। ওই বছর মোট আয়কর আদায় হয়েছিল ১৪ লক্ষ কোটি টাকার। আর অনাদায়ী কর, ১৯ লক্ষ কোটির। 
ভারতের পাওনাগণ্ডা
গণতন্ত্র। এখনও এই একটি শব্দ নিয়েই আমরা গর্বিত। আশাবাদীও বটে। আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতা পেয়েছেন শুধু রাজনীতিবিদরা। তাঁরা নিজেদের সুবিধা মতো তথ্য বাজারে ছাড়ছেন। চাপছেনও। ওটাই যে অঙ্ক। টিকে থাকার। তাঁরা চাইলে দুয়ে দুয়ে চারের বদলে পাঁচ হতেই পারে। হচ্ছেও। আমরা সেটাই গিলছি। আর অপেক্ষা করছি... যাদের আমরা ভোট দিয়ে সরকার চালাতে পাঠিয়েছি, তাদের থেকে স্বচ্ছতা পাব। তারা সততার সঙ্গে আমাদের প্রাপ্যের ব্যবস্থা করবে। ‘দানধ্যানে’ বৈষম্য থাকবে না। বন্ধু এবং সাধারণ মানুষের ফারাকও ঘুচবে। আর হ্যাঁ, আচ্ছে দিন আসবে। 
18th  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
একনজরে
আসানসোল শহরের দুই বৃহৎ সোসাইটির মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। আসানসোল পুলিস কমিশনার অফিসের কাছেই জেনেক্স এক্সোটিকা। একের পর এক গগনচুম্বি টাওয়ার।   ...

বাংলা আবাস যোজনায় এবার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল মালদহের বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ২০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ...

ঋণের অর্থে কোনওরকমে চলছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিদেশি সংস্থাগুলিও সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে রীতিমতো ইতস্তত করছে। কারণ সে টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। ...

আর দিন ছয়েক সময়। তার মধ্যে স্কুলের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর পোর্টালে জমা না দিলে পড়ুয়া পিছু ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে স্কুলকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩২: গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চীফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৮৫৩: এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৭:  চারণকবি মুকুন্দ দাসের জন্ম
১৮৮৮: ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট বেহালাবদক ভি. জি. জোগ-এর জন্ম
১৯২২: রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী দীপালি নাগের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
১৯৭৪: বিশিষ্ট গিটারবাদক তথা কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী ১৮/০ দিবা ১/২০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ২৮/৫০ সন্ধ্যা ৫/৪০। সূর্যোদয় ৬/৭/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ ম঩ধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে উদয়াবধি। 
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৯/৪৩। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ২/৪২। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫২ মধ্যে ও ৪/৩৬ গতে ৬/১০ মধ্যে। 
২৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার পেনসেলভানিয়াতে একটি হাসপাতালে বন্দুকবাজের তাণ্ডব

11:49:00 PM

ফ্রান্সে ছুরি দিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী, মৃত ১, জখম ৩

11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ৩৩ রানে হারাল উত্তরপ্রদেশ

10:58:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন জশ ইংলিশ

10:47:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: সেঞ্চুরি করলেন জশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়া ৩১৬/৫ (৪৪.৩ ওভার), টার্গেট ৩৫২

10:11:00 PM