Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়। স্বীকার করা হচ্ছে যে, ২০২৫-২৬ সালের বাজেট দিল্লি নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং বিহার নির্বাচনের মাস কয়েক আগে পেশ করা হয়েছে। তবে, আমি এমন বাজেট খুব কমই দেখেছি যেখানে সরকার একবছরে তার দেয় সবকিছু অল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়, এই আশায় যে তার জোরেই শাসক দল ভোটে জিততে পারবে। এই বাজেটে মাননীয়া অর্থমন্ত্রী ঠিক সেটাই করেছেন।
অর্থমন্ত্রী হিসেব করে দেখেছেন তাঁর কাছে আছে—অথবা তাঁকে খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল—বিতরণের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি ভাণ্ডার। তিনি টাকা ‘খুঁজে’ পেলেন, এবং তার ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, ওই টাকার পুরোট‍াই তিনি উপহার দেবেন দেশের ১৪৩ কোটি জনসংখ্যার ভিতরে মাত্র ৩ কোটি ২০ লক্ষ আয়করদাতাকে। এটা খুবই সামান্য বিষয় যে, ৩ কোটি ২০ লক্ষ আয়করদাতার মধ্যে আছেন মধ্যবিত্ত, ধনী, অতি ধনী এবং ‘সুপার’ ধনী ব্যক্তিরাও। তামিল প্রবাদের অন্তর্গত দশটি গুণাবলির পাশাপাশি—সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার মতো আধুনিক শাসনব্যবস্থার মূল্যবোধগুলিও  জলাঞ্জলি গিয়েছে।
রাজনৈতিক মদতে বাজেট
রাজস্ব কমে যাচ্ছিল, এজন্য বাজেট প্রক্রিয়ার শুরুতেই অর্থমন্ত্রী চাপের মধ্যে ছিলেন। অর্থমন্ত্রক অনুমান করেছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের মোট আয় ২০২৪-২৫ সালের বাজেট এস্টিমেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা কম হবে। তাছাড়া, অর্থমন্ত্রী যদি ২০২৪-২৫ সালের রাজকোষ ঘাটতির (ফিসকাল ডেফিসিট) ‘উন্নতি’ ঘটাতে চান, তবে তাঁকে কমপক্ষে ৪৩ হাজার কোটি টাকা খুঁজে বের করতে হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করতে হয়েছিল। দিল্লির নির্বাচন তখন একেবারে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছে এবং ভোটের ‘উপহার’ দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে হলে ২০২৫-২৬ সালে অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন পড়বে।
খুব সম্ভবত, আয়কর হ্রাসের ‘উপহার’ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। করদাতাদের কোন অংশ এই সুবিধাটি পাবে?
হায় (যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন), প্রত্যেক আয়করদাতাকে সেটা পেতে তো দিন! অতএব, করযোগ্য আয়ের সীমা ৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এর জন্য সরকারকে যে দায় বহন করতে হবে তার মূল্য ১ লক্ষ কোটি টাকা! 
বাজেটে হাত দিন 
এই সিদ্ধান্তগুলি গ্রহণের পর, সরকারের সামনে দুটি ভিন্ন অন্যকোনও বিকল্প ছিল না: (এক) ২০২৪-২৫ সালের ব্যয় কমানো এবং (দুই) ২০২৫-২৬ সালে নাগরিকদের অন্যান্য অংশকে যেকোনও ধরনের সুরাহা থেকে বঞ্চিত করা। শেষোক্ত ক্ষেত্রে উপেক্ষিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—মনরেগা শ্রমিক (দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতম), দিনমজুর, আয়কর প্রদানের আওতাবহির্ভূত বেতনভোগী শ্রমিক/কর্মচারী, শিল্প শ্রমিক, ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই), গৃহবধূ, পেনশনভোগী এবং বেকার যুবক-যুবতী। অর্থমন্ত্রী একটি একবগ্গা সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতি বছর ও আগামী বছরগুলির জন্য মূলধনী ও রাজস্ব ব্যয় (ক্যাপিটাল অ্যান্ড রেভিনিউ এক্সপেন্ডিচার) নির্মমভাবে ছেঁটে দেওয়ার পথে নেমে পড়েছেন। এজন্য বিদেশ থেকে শুরু করে শিক্ষা, গ্রামোন্নয়ন, সমাজকল্যাণ এবং নগরোন্নয়ন পর্যন্ত অনেকগুলি মন্ত্রককে টার্গেট করা হয়েছে। তাছাড়া, ১ লক্ষ কোটি টাকা বাদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি সহজভাবেই ধরে নিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের নিট কর আদায় ২০২৪-২৫ সালের মতো ১১ শতাংশ হারে ২০২৫-২৬ সালেও বৃদ্ধি পাবে।
পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস) অনুসারে, যুব শ্রেণির মধ্যে বেকারত্ব ১০.২ শতাংশ এবং বেকারত্বের যন্ত্রণায় রয়েছে স্নাতকদের ভিতরে ১৩ শতাংশ ছেলেমেয়ে। বাজেট নথিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আটটি লাইন খরচ করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি লাইন রয়েছে বহুচর্চিত উৎপাদনশীলতা সংযুক্ত বিনিয়োগ (প্রোডাক্টিভিটি লিঙ্কড ইনভেস্টমেন্ট বা পিএলআই) প্রকল্প নিয়ে। ২০২৪-২৫ সালে ওই আট লাইনের জন্য বাজেট এস্টিমেট ছিল ২৮,৩১৮ কোটি টাকা কিন্তু রিভাইজড এস্টিমেটে সেটা কমে হয়ে গিয়েছে মাত্র ২০,০৩৫ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান সৃষ্টির কর্মসূচিটিকে মারাত্মক ব্যর্থতাই বলতে হবে।
নীচের অর্ধেক মানুষ পরিত্যক্ত
পিএলএফএস-এর মতে, গত সাতবছরে একজন বেতনভোগী পুরুষ শ্রমিকের মাসিক মজুরি ১২,৬৬৫ টাকা থেকে কমে ১১,৮৫৮ টাকা হয়ে গিয়েছে। এছাড়া একজন স্বনিযুক্ত পুরুষ শ্রমিকের মাসিক আয় ৯,৪৫৪ টাকা থেকে ৮,৫৯১ টাকায় নেমে এসেছে।
মহিলা শ্রমিকদের আয়ও কমে গিয়েছে একইরকমভাবে। হাউসহোল্ড কনসাম্পশন সার্ভে অনুসারে, গড় মাসিক মাথাপিছু ব্যয়ের (এমপিসিই) পরিমাণ ছিল গ্রামীণ ক্ষেত্রে ৪,২২৬ টাকা এবং ৬,৯৯৬ টাকা শহরাঞ্চলে। এই হিসেবটা কিন্তু 
সারা ভারতের পুরো জনসংখ্যার গড়। যদি কেউ নীচের দিকে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যার জন্য এমপিসিই গণনা করেন, তাহলে তা কম দেখাবে। বলা 
বাহুল্য যে, হিসেবটা নীচের দিকের ২৫ শতাংশ জনসংখ্যার জন্য নেওয়া হলে এই সংখ্যা কমে যাবে তারও চেয়ে। চারজনের একটি পরিবার কীভাবে মাথাপিছু মাসিক ৪০০০-৭০০০ টাকায়, অর্থাৎ মোট ১৬০০০-২৮০০০ টাকায় কিংবা তারও কমে বেঁচেবর্তে থাকতে পারে? মনে রাখতে হবে, এই টাকার মধ্যেই তাদের খাদ্য, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ঘরভাড়া, গাড়িভাড়া, ঋণ পরিশোধ, বিনোদন, সামাজিকতা রক্ষা এবং জরুরি প্রয়োজনের খরচখরচা সবই মেটাতে হবে! 
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত কৃষি ক্ষেত্রের বাইরে প্রতিবছর সারা দেশে ৭৮ লক্ষ ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। গত এক দশক যাবৎ ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের উৎপাদন নিম্নমুখী: ২০১৪ সালে এই সেক্টরের অবদান ছিল জিডিপির ১৫.০৭ শতাংশ। সেটি ২০২৩ সালে ১২.৯৩ শতাংশে (সূত্র: বিশ্ব ব্যাঙ্ক) নেমে এসেছে। ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে উৎপন্ন শিল্প-পণ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতের অংশ ছিল মাত্র ২.৮ শতাংশ। তারই পাশে চীনের ২৮.৮ শতাংশ অবদানের ছবিটা রেখে দুই নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শিল্পচিত্রের তুলনা করে নেওয়া যেতে পারে। বেকার, দিনমজুর, স্বনিযুক্ত শ্রমিক প্রভৃতির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে মোদির ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর। এই সরকারের আর একটি মারাত্মক ব্যর্থতার নাম—‘মেক ইন ইন্ডিয়া’।
ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার পর্যাপ্ত নয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সূত্রে বলা যায় যে, সরকারের এমন নীতির ফলে জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ খুব ধনী হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যারা জনসংখ্যার খুব বেশি হলে ৩০ শতাংশ, আরামদায়ক জীবনযাপনের সুযোগ মিলতে পারে তাদেরও। সব মিলিয়ে নীচের দিকের ৫০ শতাংশ ভারতবাসীকে নির্দয়ভাবে পরিত্যক্ত রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।
(চলবে)
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
17th  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
একনজরে
দেশের অভ্যন্তরের সমস্ত বর্ডার চেকপোস্ট তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকারগুলিকে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। ...

বাংলা আবাস যোজনায় এবার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল মালদহের বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ২০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ...

ঋণের অর্থে কোনওরকমে চলছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিদেশি সংস্থাগুলিও সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে রীতিমতো ইতস্তত করছে। কারণ সে টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। ...

মদমে মধ্যরাতে গলায় ছুরি ধরে বৃদ্ধ দম্পতির সর্বস্য লুটের ঘটনার কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিস। ঘটনার চারদিন পরও একজন দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে এলাকাবাসীরা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩২: গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চীফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৮৫৩: এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৭:  চারণকবি মুকুন্দ দাসের জন্ম
১৮৮৮: ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট বেহালাবদক ভি. জি. জোগ-এর জন্ম
১৯২২: রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী দীপালি নাগের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
১৯৭৪: বিশিষ্ট গিটারবাদক তথা কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী ১৮/০ দিবা ১/২০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ২৮/৫০ সন্ধ্যা ৫/৪০। সূর্যোদয় ৬/৭/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ ম঩ধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে উদয়াবধি। 
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৯/৪৩। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ২/৪২। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫২ মধ্যে ও ৪/৩৬ গতে ৬/১০ মধ্যে। 
২৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার পেনসেলভানিয়াতে একটি হাসপাতালে বন্দুকবাজের তাণ্ডব

11:49:00 PM

ফ্রান্সে ছুরি দিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী, মৃত ১, জখম ৩

11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ৩৩ রানে হারাল উত্তরপ্রদেশ

10:58:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন জশ ইংলিশ

10:47:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: সেঞ্চুরি করলেন জশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়া ৩১৬/৫ (৪৪.৩ ওভার), টার্গেট ৩৫২

10:11:00 PM