Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি। অন্যদিকে সম্পূর্ণ নিজের টাকায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ নতুন আবাস নির্মাণে বরাদ্দ হল ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ একই রেখে ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে ১ হাজার ৫০০ কোটি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটির পাশাপাশি নদী তীরবর্তী মানুষদের উন্নয়নে ২০০ কোটি ও গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণে ৫০০ কোটি বরাদ্দ প্রমাণ করে যে, রাজ্য সরকার প্রকৃতই এবার পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে বিপন্ন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায়। আশাকর্মীদের মোবাইল দিতে ২০০ কোটি বরাদ্দ কার্যত তৃণমূল স্তরে প্রশাসনিক কাজে দ্রুততা আনার লক্ষ্যে। যাতে প্রত্যেকটি এলাকায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। রাজস্ব ব্যয়ে লাগাম টেনে পরিকাঠামো খাতে খরচের ভারসাম্য চোখে পড়ার মতো। তবে এই বাজেটে কর্মসংস্থান, কৃষি, শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে বরাদ্দ একই। তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে বেড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য। এই ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকে সহায়তা দিতেও বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে কৃষক বন্ধু স্কিমে বরাদ্দ সামান্য কমিয়ে বাংলার কৃষি-সেচ প্রকল্পের বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কৃষি পরিবহণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্ক পরিচালিত প্রকল্পগুলিতেও বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে দ্বিগুণ বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো গড়তে। এমনকী বরাদ্দ বেড়েছে পরিকল্পনা খাতেও। এইসব পদক্ষেপই প্রমাণ করে, রাজ্য সরকার পাইয়ে দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস না রেখে পরিকাঠামো গড়ার দিকে ঝুঁকেছে। আবার প্রকৃত প্রয়োজন বুঝে সেই সব খাতে বরাদ্দ একই রাখা হয়েছে, অথবা বাড়ানো হয়েছে।
সামাজিক কর্মসূচিই যখন রাজ্যের অন্যতম ফোকাস এবং অর্থনীতি মূলত জনকল্যাণের লক্ষ্যে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই রাজ্যের বাজেটও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভেবে তৈরি হয়। তার অন্যথা হল না এবারও। রাজ্যের মানুষের হাতে আরও টাকা ও নানা সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ভাবনায় রচিত হল ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট। বিরোধীরা এর সমালোচনা করে ঠিকই, কিন্তু তা স্রেফ রাজনৈতিক কারণে। মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা আর্থিক দায়বদ্ধতা ও আর্থিক সক্ষমতা গড়ে তোলার নামে জনগণকে কার্যত অর্থ না দিয়ে, সেই টাকায় বাজেট ঘাটতি কমিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে বলেন। তাতে লাভ হয় একচেটিয়া বৃহদ্‌পুঁজির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন আলাদা। মমতা চান নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে, যাতে রাজ্যের মানুষ ভালো থাকে। এবং তাদের হাতে টাকা থাকলে, রাজ্যে ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে চাহিদাও ঠিক থাকে। এই স্থিরতা বজায় থাকলে বেসরকারি বিনিয়োগও আসবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।  কৌশলগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচেতনভাবে বেছে নিয়েছেন দু’টি পথই। সেই লক্ষ্যে তিনি সাধারণের জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছেন এবং একই সঙ্গে বেঙ্গল বিজনেস সামিট করছেন মুকেশ আম্বানি, আদানিদের নিয়ে। আগামী দিনে শিল্প চিত্র তাই উজ্জ্বল, তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। মমতার সরকার তাই শুধুই রাজ্যবাসীকে ভাতাজীবী করে রাখছেন—বিরোধীদের এই অভিযোগ টেকে না। বরং এবারের বাজেট নিয়ে আলোচনার আগে প্রথম প্রয়োজন কেন্দ্রের প্রবল বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়ে কথা বলা। কারণ, এখনও কেন্দ্রের সরকারের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা। ন্যায্য প্রাপ্যটুকু পেলেই এ রাজ্যের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হতে পারত। সমালোচনার বদলে যদি এক স্বরে রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রাপ্য আদায়ের আন্দোলন হতো, তাহলে প্রকৃতই রাজ্যের উন্নয়নে গতি আসত। সেই দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে সংকীর্ণ সমালোচনা ও রাজনীতি চলতেই থাকছে।
প্রাপ্য না পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি মাথা ঝোঁকাবেন না। আর জনগণের পাশ থেকেও সরে যাবেন না। এবারের বাজেটে যেভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু সহ সমস্ত প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে, তাতে এরপর বিস্ময়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতেই পারে, ‘এত প্রস্তাব! টাকা কোথায়? তাহলে কি আরও ঋণ নেবে রাজ্য?’ বাজার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধীরা হয়তো বলবেন, এতে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল হচ্ছে। ঋণ শোধ না করে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি হচ্ছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে সব রাজ্যের মধ্যে এই রাজ্যের স্থান ষষ্ঠ। বৃহদ্‌পুঁজির বিকাশ ছাড়াই ঘরোয়া কাজকর্মে, অসংগঠিত  ক্ষেত্রে ও কৃষির মাধ্যমে দেশের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় এগিয়ে। সারা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই রাজ্য সপ্তম। কৃষি, শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প সহ ১৯টি ক্ষেত্রে এই রাজ্য দেশের মধ্যে প্রথম। স্বভাবতই উন্নয়ন আসছে এবং আসবে এই সব ক্ষেত্রের মাধ্যমে। তাই বাজেটে এই সব ক্ষেত্রেই আরও জোর দেওয়া হল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, এই সব কথার আড়ালে আরও একটা সত্য আছে, যেটা রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। রাজ্য সরকার যত টাকা নানা প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ করছে, যত ভাতা বা অনুদান দিচ্ছে, তার একটা অংশ ফিরছে রাজ্যের কোষাগারেই। প্রতিটি কেনাবেচা বা যে কোনও লেনদেনের উপর প্রাপ্য জিএসটি হিসেবে রাজস্ব আয় বাড়ে এবং তাতে রাজ্যের মানুষকে ভালো রেখেই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু এইখানেই   চরম আঘাত দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রাপ্য জিএসটি বাবদ অর্থ এবং ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা না দিয়ে বাংলার উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে তারা। তাই রাজ্যের উন্নয়নে বিকল্প পথে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও মাঝারি পুঁজির বিকাশ ঘটাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বাজেটের হিসেব জানাচ্ছে, এই রাজ্যের আয় আর ব্যয় প্রায় সমান। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি মাত্র ২ কোটি টাকা ছিল, অর্থাৎ অর্থনীতি পরিচালনায় রাজ্যের যথেষ্ট দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু রাজস্ব ঘাটতি ৩৬ হাজার কোটির বেশি, আর রাজকোষ ঘাটতি ৬৯ হাজার কোটির বেশি। এর সবটাই কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য অর্থ না পাওয়ার কারণে। যে মুহূর্তে বকেয়া অর্থ এসে যাবে, সেই সময় থেকেই রাজ্যের কোষাগারে উদ্বৃত্ত হবে এবং সুদ বাবদ যে ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে, সেটার ‘আসল’ও পরিশোধ করা যাবে। তাই ঋণ বাড়ছে বলে আতঙ্কের কিছু নেই। পাওনা টাকা পেলে রাজ্য তা শোধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ঠিক এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট বিচার করে দেখা দরকার। রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজকোষের ঘাটতি কমাতে নিজের রাজস্ব আয়ের সূত্র বাড়াতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কী করলেন? মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে ঋণ ও সুদের অনুপাত কমাতে বা নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এবং বাংলার মূল ক্ষেত্র বিশেষে বিনিয়োগ একই রেখে তিনি স্থিতবস্থার দিকেই হেঁটেছেন। কর বাবদ ও কর বহির্ভূত রাজস্ব সংগ্রহ বাড়িয়ে উন্নয়নের হার অপরিবর্তিত রেখে দীর্ঘমেয়াদে ঋণের বোঝা কমিয়ে আনতে  এই বাজেট সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বাজেট রাজ্যের উন্নয়নের গতি ধরে রাখবে। সঠিক পথেই এগিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
  লেখক: সাংবাদিক ও অর্থনীতির বিশ্লেষক
13th  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
একনজরে
ঋণের অর্থে কোনওরকমে চলছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিদেশি সংস্থাগুলিও সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে রীতিমতো ইতস্তত করছে। কারণ সে টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। ...

আসানসোল শহরের দুই বৃহৎ সোসাইটির মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। আসানসোল পুলিস কমিশনার অফিসের কাছেই জেনেক্স এক্সোটিকা। একের পর এক গগনচুম্বি টাওয়ার।   ...

মদমে মধ্যরাতে গলায় ছুরি ধরে বৃদ্ধ দম্পতির সর্বস্য লুটের ঘটনার কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিস। ঘটনার চারদিন পরও একজন দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে এলাকাবাসীরা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ...

দেশের অভ্যন্তরের সমস্ত বর্ডার চেকপোস্ট তুলে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকারগুলিকে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩২: গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চীফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৮৫৩: এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৭:  চারণকবি মুকুন্দ দাসের জন্ম
১৮৮৮: ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট বেহালাবদক ভি. জি. জোগ-এর জন্ম
১৯২২: রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী দীপালি নাগের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
১৯৭৪: বিশিষ্ট গিটারবাদক তথা কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী ১৮/০ দিবা ১/২০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ২৮/৫০ সন্ধ্যা ৫/৪০। সূর্যোদয় ৬/৭/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ ম঩ধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে উদয়াবধি। 
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৯/৪৩। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ২/৪২। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫২ মধ্যে ও ৪/৩৬ গতে ৬/১০ মধ্যে। 
২৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার পেনসেলভানিয়াতে একটি হাসপাতালে বন্দুকবাজের তাণ্ডব

11:49:00 PM

ফ্রান্সে ছুরি দিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী, মৃত ১, জখম ৩

11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ৩৩ রানে হারাল উত্তরপ্রদেশ

10:58:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন জশ ইংলিশ

10:47:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: সেঞ্চুরি করলেন জশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়া ৩১৬/৫ (৪৪.৩ ওভার), টার্গেট ৩৫২

10:11:00 PM