Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। প্রশ্নটি হল, বাংলাকে এভাবে এগারো বছর ধরে ১৩ টি বাজেটে ক্রমাগত নিয়ম করে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে বঞ্চনার ইতিহাসের রেকর্ড সৃষ্টি করে যাওয়া কীভাবে সম্ভব হল? আমাদের সিরিয়াসলি জানতে ইচ্ছা করছে যে, এই সুপরিকল্পিত উপেক্ষা ও বঞ্চনার পিছনে প্রকৃত রহস্য ঠিক কী? কেন করা হচ্ছে? বাংলা এগারো বছর ধরে বারংবার প্রত্যাখ্যান করছে রাজনৈতিকভাবে, সেই কারণে বাঙালিকে কিছু না দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, এটা তো সরলীকৃত একটি বিশ্লেষণ! এই মনোভাব  কমবেশি সকলের মনে এসেছে। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে এটাই একমাত্র নয়। আরও যেন বৃহত্তর কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। পরিকল্পনা? নাকি চক্রান্ত? এটা কি স্লো পয়জনিং ফর্মুলা? অর্থাৎ আর্থিকভাবে বঞ্চিত করে করে সম্পূর্ণ পঙ্গু করে দাও এই রাজ্যকে? তারপর আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে? অথবা যতদিন না আমাদের ভোটে জয়ী করে সরকার গঠন করতে দিচ্ছে, ততদিন এই রাজ্যকে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও সহায়তা করা হবে না? 
২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি বাজেট তথা ভোট অন অ্যাকাউন্ট হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে। পৃথকভাবে বাংলার নাম উচ্চারণ করে, বাংলার জন্য বিশেষ এক অথবা একাধিক প্রকল্প, কারখানা, স্কিম, পরিকাঠামো, এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন এয়ারপোর্ট, নতুন বন্দর, কর্মসংস্থানমুখী কোনও একটি প্রোজেক্ট, বড়সড় লগ্নি, শিল্প করিডর, শিল্পতালুক…কিছুই হয়নি। কোনও বছরের বাজেটে বাংলা আজ পর্যন্ত এই তালিকাভুক্ত স্কিমের একটিও পায়নি। অথচ বাকি সব রাজ্য পেয়েছে। কিছু না কিছু জুটেছে বিরোধী শাসিত অন্য রাজ্যে। অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ব্যতিক্রম বাংলা। 
মোদি সরকারের বাজেটে সম্পূর্ণ নিয়ম করে এভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করে চলাকে রহস্য বলছি কেন? সত্যিই এই আচরণের কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তের পিছনে মোদি সরকারের মনস্তত্ত্ব কী? সেটার কোনও আঁচ পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপি মহাশক্তিশালী একটি জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক দল। তার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদিও অবশ্যই মহাশক্তিধর। তিনি অত্যন্ত অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দশ বছর ধরে লক্ষ্য করার পর তিনি অনেক আগেই বুঝে গিয়েছেন বঙ্গবিজেপির সংগঠন দুর্বল। সর্বজনগ্রাহ্য নেতা ও সেনাপতি হয়ে ওঠার মতো ব্যক্তিত্ব একজনও নেই। বরং একাধিক নেতা নিজেদের মধ্যেই ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে চরম মতান্তরে জড়িয়ে। বিজেপির সাধারণ কর্মীরা যে প্রবল হতাশ বঙ্গবিজেপির রকমসকম দেখে, সেটা নিয়েও সংশয় নেই। এই রাজ্য নেতৃত্বকে দিয়ে যে বাংলা দখল করা যাবে না এটা সকলেই কমবেশি বুঝে নিয়েছে। 
কিন্তু রহস্যটা এই কারণেই আরও বেশি। সেটি হল, বিজেপি গোটা দেশের প্রতিটি রাজ্য দখল করতে চায়। যা স্বাভাবিক। যে কোনও জাতীয় দলই সেটা চাইবে। কিন্তু বিস্ময়কর হল, দশ বছর ক্ষমতাসীন থাকা বিজেপির পক্ষে বাংলা দখল করা রাজনৈতিক তথা সাংগঠনিক ভাবে কঠিন জেনেও উন্নয়ন অথবা আর্থিক সহায়তা কিংবা সরাসরি প্রভূত বাজেট পরিকল্পনা দিয়ে বাংলাকে খুশি করার চেষ্টা করতেই পারত! অথচ সেরকম করল না। কোনও উদ্যোগই দেখা গেল না কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে, কোনও একটি ভোটের আগে বাংলার জন্য কল্পতরু হয়ে গিয়ে বাজেটে অথবা বাজেট ছাড়াই প্রচুর উপহার দিয়ে বঙ্গবাসীর মন জয় করি! সেই চেষ্টায় কাজ হয় কি না সে তো পরের ব্যাপার। কিন্তু সেই প্রয়াস কিংবা সদিচ্ছাই দেখা গেল না মোদি সরকারের পক্ষ থেকে? কেন? কারণ কী? ওটাই তো সহজ পথ হওয়ার কথা ছিল। এই তো বিহারে ভোট ২০২৫ সালের শেষার্ধে। বিহারকে দু তিন বছর ধরেই অঢেল উপহার দেওয়া হচ্ছে। এরকম উপহার প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই দেওয়া হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলা। 
বাংলাকে কেন এভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে? এই অভিযোগ তুলে সংসদে তৃণমূলের এমপিরা আক্রমণ করছিলেন সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। অর্থমন্ত্রী সেই আক্রমণের মোকাবিলা করে বাংলাকে এগারো বছর ধরে কেন্দ্র কী কী দিয়েছে, তার যে তালিকা বললেন, সেটা আরও বেশি করে যেন প্রমাণ করে দিল বিপুল বঞ্চনার অভিযোগের সত্যতাকে। বললেন, এইমস দেওয়া হয়েছে (যা ইউপিএ আমলেই অনুমোদিত হয়েছিল। রায়গঞ্জের বদলে কল্যাণীতে স্থানান্তর হয়েছে শুধু)। একটি কার্গো টার্মিনাল। একটি রাস্তাকে ফোর লেন করা হয়েছে। ১০১ রেলস্টেশনকে সংস্কার করা হয়েছে। ৯টি বন্দেভারত দেওয়া হয়েছে। এরকমই আরও কিছু। 
১০ কোটি জনসংখ্যার একটি রাজ্য, যে রাজ্য জিএসটি প্রদানে প্রথম সারিতে। ধান সব্জি আলু ক্ষুদ্রশিল্প উৎপাদনে প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়, পণ্য রপ্তানিতে যথেষ্ট অগ্রগণ্য, কেন্দ্রকে বিপুল পরিমাণ ট্যাক্স তুলে দেয়, সেই রাজ্যের জন্য দশ বছরে কেন্দ্রীয় উন্নয়নের এই তালিকা? পাশাপাশি কর্ণাটক থেকে উত্তরপ্রদেশ। গুজরাত থেকে বিহার। অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা রাজস্থানের দিকে তাকিয়ে দেখলে পার্থক্যটা চোখে পড়বে। নিছক বিরোধী শাসিত রাজ্য বলে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে, এরকম হলে তো বিরোধী শাসিত অন্য রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও একই কৌশল প্রযুক্ত হবে? সেটা তো হল না! আজ পর্যন্ত সব বাজেটেই বাংলার নামোল্লেখ অনুচ্চারিত। বাকি সব না হয় বাদ দেওয়া যাক। অন্তত মেট্রো রেল সম্প্রসারণকে তো বৈপ্লবিক গতিতে ত্বরান্বিত করা যেত? 
নরেন্দ্র মোদি জানেন যে, তাঁর দলের বর্তমান রাজ্য শাখা এখনও যেভাবে রাজনীতি করে, সেটা দিয়ে বাংলাজয় সম্ভব নয়। শেষ চেষ্টা হিসেবে তাঁর তো উচিত ছিল বিপুল উন্নয়নে বাংলাকে ভাসিয়ে দেওয়া? তাঁর নামে বঙ্গবাসী ধন্য ধন্য করবে এটা তিনি চান না? অথচ কই তিনি তো সেরকম উদ্যোগ নিলেন না! বরং বাংলাকে বঞ্চনার রেকর্ড করেই চললেন। গোটা শাসনকালে। কেন? মোদি কি চান না বাংলা দখল করতে? তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই কিন্তু নিজের দলকে ডুবিয়ে চলেছেন। কেন? 
বঙ্গবাসী এইসব অভিযোগে সঙ্গতভাবে সরব হবে। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে এই বঞ্চনার প্রশ্নগুলি তুলে অবশ্যই আক্রমণ করছে। সেসব স্বাভাবিক। তবে এখন এগারো বছর পর সময় এসেছে বঙ্গবিজেপির কাছে। বঙ্গবিজেপির নেতারা এবার চিন্তা করুন যে, তাঁদের এভাবে পথে বসাচ্ছেন কেন নরেন্দ্র মোদি? আগামী বছর ভোট। অথচ বাজেটে এগারো বছর ধরে বাংলাকে মোদি সরকার কিছুই প্রায় দিল না। আগামী বছরের বাজেটে না হয় তর্কের খাতিরে ধরা গেল কিছু উপহার দেওয়া হল। কিন্তু সেটা তো এগারো বছরের ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। বঙ্গবিজেপি তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বকে সাহস নিয়ে প্রশ্ন করুক যে, বাংলাকে এভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে কেন? তাদের তো বলার মতো মুখই থাকছে না! 
বাংলায় বিজেপির যথেষ্ট ভোটশেয়ার আছে। সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক যুক্ত হওয়ায় সেটি আরও জোরদার হয়েছে। সেইসব বিজেপি ভোটারের ভাগ্যেও বঞ্চনা, উপেক্ষা আর অবহেলাই জুটছে। তৃণমূল সমর্থকরা যেখানে রাজ্য সরকারের নানাবিধ প্রকল্প ও জনকল্যাণমুখী আর্থিক সাহায্যের কথা জোর গলায় বলে জয়ধ্বনি দিচ্ছে, তাদের পাল্টা বিজেপি সমর্থকদের মুখরক্ষার জন্য কিছু বলার মতো অস্ত্রই তো থাকছে না। যেন হারার লড়াই লড়ছেন বিজেপি সমর্থকরা। তাদের মুখ চেয়েও তো কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল। কেন সেরকম হল না? 
রহস্য টহস্য সম্ভবত কিছু নয়। রাজনীতি নয়। উপেক্ষা নয়। প্রতিহিংসাও নয়। প্রকৃতপক্ষে বাংলা ও বাঙালি জাতিকে সম্ভবত আর্থসামাজিকভাবে শায়েস্তা করার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কোনও টাকা দেব না। যাতে আর্থিক সঙ্কটে পঙ্গু হয়ে যায় উন্নয়ন। আর পাশাপাশি ধর্মীয় উন্মাদনায় মদত দিয়ে একটি লাগাতার সামাজিক অস্থিরতা জিইয়ে রাখব। দুয়ে মিলে ক্রমেই পিছিয়ে যাক বাংলা! কী সেই গোপন মিশন? মিশন হল, সবথেকে অনগ্রসর রাজ্য হিসেবে পিছিয়ে দেওয়া বাঙালিকে! নচেৎ এগারো বছরের বাজেট বঞ্চনার অন্য কোনও কারণ হতেই পারে না! 
14th  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
একনজরে
বাংলা আবাস যোজনায় এবার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল মালদহের বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ২০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ...

মদমে মধ্যরাতে গলায় ছুরি ধরে বৃদ্ধ দম্পতির সর্বস্য লুটের ঘটনার কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিস। ঘটনার চারদিন পরও একজন দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে এলাকাবাসীরা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ...

আর দিন ছয়েক সময়। তার মধ্যে স্কুলের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর পোর্টালে জমা না দিলে পড়ুয়া পিছু ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে স্কুলকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ...

আসানসোল শহরের দুই বৃহৎ সোসাইটির মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। আসানসোল পুলিস কমিশনার অফিসের কাছেই জেনেক্স এক্সোটিকা। একের পর এক গগনচুম্বি টাওয়ার।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩২: গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চীফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৮৫৩: এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৭:  চারণকবি মুকুন্দ দাসের জন্ম
১৮৮৮: ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট বেহালাবদক ভি. জি. জোগ-এর জন্ম
১৯২২: রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী দীপালি নাগের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
১৯৭৪: বিশিষ্ট গিটারবাদক তথা কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী ১৮/০ দিবা ১/২০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ২৮/৫০ সন্ধ্যা ৫/৪০। সূর্যোদয় ৬/৭/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ ম঩ধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে উদয়াবধি। 
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৯/৪৩। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ২/৪২। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫২ মধ্যে ও ৪/৩৬ গতে ৬/১০ মধ্যে। 
২৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার পেনসেলভানিয়াতে একটি হাসপাতালে বন্দুকবাজের তাণ্ডব

11:49:00 PM

ফ্রান্সে ছুরি দিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী, মৃত ১, জখম ৩

11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ৩৩ রানে হারাল উত্তরপ্রদেশ

10:58:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন জশ ইংলিশ

10:47:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: সেঞ্চুরি করলেন জশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়া ৩১৬/৫ (৪৪.৩ ওভার), টার্গেট ৩৫২

10:11:00 PM