সংবাদদাতা, শীতলকুচি: শুক্রবার সকালে শীতলকুচি ব্লকের আক্রারহাট বাজারে দু’টি সোনার দোকান সহ চারটি দোকানে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনার তদন্তে নেমে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই চুরির কিনারা করল শীতলকুচি থানার পুলিস। চুরি যাওয়া সোনা ও রূপোর গয়না উদ্ধার করেছে পুলিস। পাশাপাশি এক যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই। এতে উপস্থিত ছিলেন শীতলকুচি থানার ওসি অ্যান্থনি হোরো। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সঞ্জু বর্মন। তার বাড়ি ছোট শালবাড়ি পঞ্চায়েতের বড় গদাইখোড়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ব্যবসায়ীরা বাজারে এলে চুরির ঘটনা সামনে আসে। দু’টি সোনার দোকান, একটি মিষ্টির দোকান ও একটি প্রসাধনীর দোকানে চুরি হয়েছে। যদিও পুলিস জানিয়েছে, একটি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শীতলকুচি থানার পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক যুবককে শনাক্ত করে। বড় গদাইখোড়া গ্রামের ওই যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সামগ্রী। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চুরি যাওয়া সোনার দোকানের মালিক মিঠুন বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। এদিন সকালে পাশের এক ব্যবসায়ী ফোনে চুরির বিষয়টি জানান। দোকান থেকে বেশকিছু সোনা ও রূপোর গয়না চুরি হয়েছে। এবিষয়ে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস চোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস ছ’ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় সঞ্জু বর্মন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ গ্রাম রূপোর ও ৩০ গ্রাম সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।