কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) পর্যবেক্ষণ অনুসারে, ভোজ্য তেলে মেশানো হয় ট্রাই-অর্থো-ক্রেসল -ফসফেট (টিওসিপি)। এটা বাস্তবে একধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। এ থেকে ধীরে ধীরে পেটে ব্যথা, পেশির দুর্বলতা ও কিডনির অসুখ হয়। সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা না-হলে প্যারালিসিস পর্যন্ত হতে পারে। কৃত্রিম গন্ধ ও ঝাঁঝ আনার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক সাধারণত কার্সিনোজেনিক। তাই এর থেকে ক্যান্সার হওয়ারও ভয় থাকে। এই সমস্যা, ভয় বহুদিনের এবং বারোমাসের। তবে সেটা এখন আরও বেড়েছে। কারণ, পেট্রল-ডিজেলের পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সর্ষের তেলের দাম। আপাতত সর্ষের তেলের লিটার প্রতি দর ২০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। তবে পিছিয়ে নেই অন্য ভোজ্য তেলগুলিও। দামের দৌড়ে সয়াবিন, পাম, সূর্যমুখী, তুষ প্রভৃতির তেলও সমানে পাল্লা দিচ্ছে।
এই সময় যত ভেজাল মেশানো যাবে তত বেশি লাভ। অতএব অসাধু কারবারিবা এমন মুহূর্তে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, বিশ্বাস করা কঠিন। তাদের দাঁত নখ বের করার এটাই সেরা মওকা। সত্যিই সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছি আমরা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে তাই এখনই বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। সর্ষের তেলে যে-কোনও ধরনের ভেজাল মেশানো রুখতে এফএসএসএআই আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল—ভেজাল দূরে থাক, ‘সর্ষের তেল’ নামে যা বিক্রি হবে তাতে পাম, সয়াবিন বা অন্যকোনও তেলও মেলানো যাবে না। নির্দেশিকাটি ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে বলবৎ রয়েছে। এই নির্দেশ কঠোরভাবে মান্য করা হচ্ছে কি না তাদের খোঁজ নিতে হবে। ভেজাল রুখতে এফএসএসএআই সারা দেশ থেকে মাঝেমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করে, পরে সেগুলি পরীক্ষিত হয় ল্যাবে। তার ভিত্তিতেই হাইপারমার্কেট, সুপারমার্কেট থেকে সাধারণ মুদি দোকান সর্বত্র তেল বিক্রির অনুমতি পায়। তাদের এমন নজরদারি এই সময় আরও বাড়াতে হবে। কিছু অন্যায় মুনাফালোভীর কারণে উৎসবের আনন্দ যেন কোনওভাবেই মাটি না-হয়। শুধু আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলে হবে না, ভোজ্য তেলের দাম দ্রুত কমানোর ব্যাপারেও আন্তরিক উদ্যোগ নিতে হবে মোদি সরকারকে।