Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 কারা ব্যবহার করে পেট্রল-ডিজেল? সব্জি বাজারে তো আমরা সাইকেলে চেপে যেতেই পারি। যাই না কেন? সাইকেল চেপে বাজারে গেলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, তেমনি দূষণ কমবে। পেট্রল-ডিজেল আমাদের স্বাস্থ্যের কী কাজে লাগে? আর যে টাকা ইনকাম হচ্ছে, তা তো আর বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীর ঘরে যাচ্ছে না! বরং গরিব মানুষের দরকারে লাগছে।—প্রদ্যুম্ন সিং তোমার (বিদ্যুৎমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশ)

 সাধারণ মানুষ বাসে চড়ে... ক’জনের নিজের গাড়ি আছে? সবাই দেখতে দেখতে এই দামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।—নারায়ণ প্রসাদ (বিহারের মন্ত্রী)

 কোভিডে ত্রাণের জন্য অনেক খরচ হচ্ছে। তেলের শুল্কের টাকা সামাজিক প্রকল্পের জন্য বাঁচাচ্ছে কেন্দ্র।—ধর্মেন্দ্র প্রধান (প্রাক্তন পেট্রলিয়ামমন্ত্রী)

পেট্রল অনেক আগেই শতরান সম্পূর্ণ করেছিল। এবার ষোলো কলা পূর্ণ করেছে ডিজেল। দাম বাড়ছে... প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। আর বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা যুক্তি সাজাচ্ছেন। তাও একেবারে পোলাপানের মতো যুক্তি। তা সে সাইকেলে চেপে বাজারে যাওয়াই হোক, কিংবা গাড়ির বদলে বাসে চড়া... তাতে জ্বালানির দাম কমছে না। আর সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের কষ্টও লাঘব হচ্ছে না। নেতাদের কথাতেই আসা যাক... প্রথমেই প্রদ্যুম্ন সিং তোমার। সাহেব, আপনি শেষ কবে বাজারে গিয়েছিলেন বলতে পারেন? জানেন, কলকাতার বাজারে গত সপ্তাহেও পটল ছিল ৬০-৬৫ টাকা কেজি। আর এ সপ্তাহে সেটাই ৯০ টাকা! বিনস ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। তার দাম এখন প্রায় ২৫০ টাকা কেজি। ক্যাপসিকামেরও এক দশা! তা ছাড়া টম্যাটো ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা হয়েছে, গাজরও এখন ৮০ থেকে ১০০। অথচ গত সপ্তাহেই বাজারে গিয়ে ৫০ টাকা দেখেছিলাম। সাইকেল চেপে বাজারে গিয়ে না 
হয় তেলের টাকা বাঁচানো গেল। কিন্তু কাঁড়ি কাঁড়ি 
টাকা খরচ করে কিনতে হবে তো ওই সব্জিই! 
তাও সবাইকে... কত শতাংশ দেশবাসীর গাড়ি 
বা বাইক-স্কুটি চড়ার ক্ষমতা আছে জানেন? ১ শতাংশ? দু’শতাংশ? এর বেশি নয়। বাকিরা হেঁটেই বাজারে যান... দর করেন... পকেট হাতড়ে দেখেন... আর তারপর ভাবেন, বাকি মাস চলবে কীভাবে! 
কেন বেড়েছে দাম? জিজ্ঞেস করলেই খেঁকিয়ে 
উঠছেন সব্জিওয়ালা। বলছেন, ‘মাল আনানোর 
খরচ কত বেড়েছে জানেন? আগে এক লরি মাল 
কত টাকায় আসত... আর এখন কত টাকা লাগে, খোঁজ নিয়ে দেখুন।’
সব্জিওয়ালা ভুল বলেননি। এই ক’বছর আগেই তো ডিজেল ছিল ৫০ টাকা লিটার। তেলের দাম বেড়েছে। লরিওয়ালাও ভাড়া বাড়িয়েছে। তাঁকেও তো সংসার চালাতে হবে! কেউ তো আর লোকসান করে ব্যবসা করবে না! সব্জিওয়ালা না, লরিওয়ালাও না। ডিজেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্য পরিবহনের খরচ বাড়ছে চড়চড়িয়ে। তাই দাম বাড়ছে পণ্যের। আর আপনি গাড়ির তেল বাঁচানোর কথা বলছেন? নারায়ণ প্রসাদ মশাই তো আবার আশ্বাস দিয়েছেন, সবাই ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। কীসে অভ্যস্ত হয়ে যাবে? পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দামে? নাকি রোজকার এই সংসার-যন্ত্রণায়? আপনাদের জমানায় মধ্যবিত্ত আজ নিম্নবিত্ত হয়েছে। আর নিম্নবিত্ত নেমে গিয়েছে দারিদ্র্যসীমার নীচে। এটাই তো আপনারা চেয়েছিলেন! সমাজের একটা অংশের হাতে থাকবে টাকা। বাকিরা চুলোয় যাক। আপনাদের আখেরটা গুছিয়ে নেওয়া গেলেই হল। এই তো সেদিন উত্তরপ্রদেশের আর এক বিজেপি-মন্ত্রী উপেন্দ্র তেওয়ারি বললেন, পেট্রল-ডিজেল নাকি দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের কাজেই লাগে না। ঠিক বলেছেন, প্রত্যক্ষভাবে কাজে সত্যিই লাগে না। কিন্তু পরোক্ষে? জ্বালানিই তো নিয়ন্ত্রণ করে দৈনন্দিন অর্থনীতি! বাসে চড়েছেন কখনও? রাস্তায় বেরিয়ে ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে... বাসের অপেক্ষায়। কেন বাস নেই? মালিকরা চালাতে পারছে না। দাবি একটাই, ভাড়া বাড়াতে হবে। ডিজেলের দাম যখন ৭০ টাকা ছিল, তখন ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা। এখন তেল বাস্তবেই অগ্নিমূল্য। তাহলে সেই একই ভাড়ায় বাস কীভাবে চলবে? তেলের খরচ রয়েছে, দেদার টাকা লাগে মেইনটেইনেন্সেও। তারপর রোড পারমিট, পলিউশন, রাস্তায় কেস খাওয়া তো রয়েইছে। আর রয়েছে ড্রাইভার-কন্ডাক্টরের মাইনে। কাজেই বাস চালানোর থেকে বসিয়ে রাখায় লোকসান কম। এবার তাহলে মানুষকে নতুন করে হাঁটা শিখতে হবে... মাইলের পর মাইল। উপায় কী? গত সাত বছরে ক’টা চাকরি দিয়েছেন? প্রতিশ্রুতি তো ছিল গালভরা! বছরেই নাকি কোটি কোটি কর্মসংস্থান? হয়েছে? উত্তর এক কথায়, না হয়নি! বরং কোভিডে আরও বেশি মাটিতে মিশে গিয়েছে সমাজের একটা বড় অংশ।  বলছেন, টাকা লাগছে মানুষের কাজে। সত্যিই কি? প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন না? কার কার কাজে লেগেছে সেই প্যাকেজ? কত টাকা রোজগার করেছে এক কামরার ঘরে ১০ জনের সংসার পেতে দিন গুজরান করা গোবিন্দ নস্কর বা শেখ সাহিবুলরা! দেশবাসীর মাথাপিছু আয় কমছে... প্রতিদিন। অভ্যস্ত কি এতেই হতে হবে নেতা মশাই?
আসলে আপনাদের এই দাদাগিরি কেন জানেন? একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভে। জোট সরকার আপনাদের চালাতে হয়নি। শুনতে হয়নি শরিকদের বায়না। তার উপর বিরোধীদের সিংহভাগই কাগুজে বাঘ হয়ে থেকে গিয়েছেন। গত সাত বছরে সংস্কারের নামে একের পর এক তুঘলকি সিদ্ধান্তের সাক্ষী থেকেছে দেশ। আরও কোণঠাসা হয়েছে সাধারণ মানুষ। বিরোধীরা তারপরও মিনমিন করে আওয়াজ তুলেই থেমে গিয়েছে। না তৈরি হয়েছে জনমত, না আন্দোলন। আর আপনাদের সব কিছুতেই লেজ নাড়তে নাড়তে সায় দিয়েছে দেশের অধিকাংশ মিডিয়া। সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত জনতার সামনে তুলে ধরা, সমালোচনা করা, দুর্নীতিকে বেআব্রু করাটাই আমাদের কাজ। সেই কর্তব্যে আমরাও তো ডাহা ফেল! ভয় পেয়েছি আমরা... প্রতিবাদের সুর চড়ালেই যে হানা দেবে এজেন্সি, ভুয়ো মামলায় ফাঁসবেন সাংবাদিকরা, রাষ্ট্রদ্রোহের বেত আছড়ে পড়বে আমাদের পিঠে। এই একটা ক্ষেত্রে তাই বলতেই হয়, মোদি সরকার সফল। আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরিতে... আর সঙ্গে একটা প্রোপাগান্ডা—বিকল্প বলে কিছু নেই। গল্পের গোরুকে গাছে তুলেই আপনারা থেমে যাচ্ছেন না, তাকে মহাকাশেও পাঠাচ্ছেন। মূর্খের মতো তর্ক করছেন, যুক্তি দিচ্ছেন। একটা লোকও দলে এমন খুঁজে পাওয়া ভার, যার সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়া যায়। সব যুক্তিই যে ছেঁদো। আর তাতেও না পারলে গা জোয়ারি। পেট্রলের যা দাম, তার ৫৮ শতাংশই কর। বেশিটাই কেন্দ্রীয় সরকারের পকেটে যায় (প্রায় ৩৩ টাকা), বাকিটা রাজ্যের। ডিজেলের দাম ১০০ টাকা প্রতি লিটার হলে, ৫২ টাকা যায় সরকারের পকেটে। তার উপর রয়েছে কেন্দ্রের সেস (তার ভাগ আবার রাজ্য সরকার পায় না, সবটাই কেন্দ্রীয় কোষাগারে), পরিবহণ খরচ। এই শুল্কে আপনারা ছাড় দেবেন না। কারণ, এটাই যে আপনাদের উপার্জনের সবচেয়ে বড় রাস্তা! লকডাউনের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এক্সাইজ ডিউটি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার আয় করেছে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। অথচ, গত বছরের অনেকটা সময়ই দেশের রাস্তায় গাড়িঘোড়া চলেনি... সৌজন্যে লকডাউন। তারপরও এত টাকা আয় কি চাট্টিখানি কথা? জহর রায় বলেছিলেন না, ‘শিল্ড আমি গ্রামের বাইরে যেতে দেব না!’ আপনাদের হাবভাবও ঠিক তেমন, ‘মানুষ মরে মরুক, রোজগার আমি কমাব না!’ আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। মানে, আপনারা দিতে চান না। দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেন না। কেন? ওই যে বললাম, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভ! আপনারা বরং রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসকে দোষারোপ করুন (‌ইউপিএ আমলে অবশ্য পেট্রলের উপর কেন্দ্রের কর ছিল ১০ টাকার আশপাশে)। আর ভোটে মন দিন। পাঁচ রাজ্যের ভোট আসছে। অনেক দায়িত্ব... অনেক প্রচার... অনেক প্রোপাগান্ডা। 
আর আম আদমি! আমরা না হয় শুধুই ভাবব, গোটা বছর কেন ভোট থাকে না। তাহলে তেল-গ্যাসের দামটা বাড়ত না!
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দাদার পুলিস’ করাবে। সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল।
বিশদ

23rd  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

22nd  October, 2021
এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো। বিশদ

20th  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
ক্ষুধার দেশে মোদিজিকে
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা...
হিমাংশু সিংহ

এই অবনমনের ব্যর্থতা শুধু অনাহার আর ক্ষুধার সূচকেই সীমাবদ্ধ নেই। আছে যুদ্ধক্ষেত্রেও। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির সেই দাপট যেন কোথায় স্তিমিত বিগত বেশ কিছুদিন ধরে। নাকি হিসেব তোলা থাকছে আগামী চব্বিশ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ফের কোনও বিতর্কিত ধামাকার জন্য।
বিশদ

17th  October, 2021
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া
স্কুল খোলা উচিত নয়
মৃন্ময় চন্দ

ভারতে স্কুল বন্ধ ১৭ মাস। লকডাউন পর্বে বেহাল শিক্ষার হালহকিকত জানতে বিহারের, ঔরাঙ্গাবাদের বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার সিং, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন লিখিত আকারে পেশ করেছেন। যেমন, করোনা অতিমারীর কারণে রাজ্যভিত্তিক স্কুলছুটের সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান সরকারের কাছে আছে কি না? বিশদ

17th  October, 2021
গণেশ জননী নবপত্রিকাবাসিনী দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত সপ্তশতী চণ্ডীতে দেবী দুর্গা শস্যদেবীরূপে যেন জগতে অবতীর্ণা এ বার্তা দৃপ্ত কণ্ঠে বিঘোষিত। সর্বজীবের প্রাণরক্ষার উপযোগী শাক-শস্যের দ্বারা তিনি পৃথিবীকে পালন করেন তাই মহাজননী শারদেশ্বরীর আর এক নাম শাকম্ভরী।  বিশদ

12th  October, 2021
একনজরে
‘বিক্রিই যদি হতে হয়, তাহলে খেলার কী প্রয়োজন? পাকিস্তানের থেকে কত টাকা খেয়েছেন বলতে পারেন?’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই কুরুচিকর সব তির্যক মন্তব্য ভেসে এসেছে মহম্মদ ...

ধনতেরাসে বিশেষ অফার আনল এমপি জুয়েলার্স। তারা জানিয়েছে, ক্রেতারা প্রতি গ্রাম সোনার দামে নগদ ১০০ টাকা ছাড় পাবেন। এছাড়াও সোনার গয়নার মজুরিতে ২৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। গ্রহরত্ন, হীরে এবং প্ল্যাটিনামের গয়নার দামে ১০ শতাংশ ছাড় মিলবে। ...

উপরের টালির চালার নীচে অপ্রশস্থ ঘর। অটো চালিয়ে হয় দিন গুজরান। বাইরে থেকে দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। যদিও সবটাই ছিল তার ‘ভেক’। নিজের বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা ...

জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালের প্রশংসা করল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। রাজ্যের দু’টি গ্রামীণ হাসপাতাল প্রশংসাপত্র পেয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে। তার মধ্যে একটি এই জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৫ টাকা ১০৫.১৪ টাকা
ইউরো ৮৫.৯৩ টাকা ৮৯.০৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ কার্তিক, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১। পঞ্চমী ৬/৪৭ দিবা ৮/২৫। আর্দ্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৪১/৩৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৪৬।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১২ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৩ গতে ৮/২৩ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫১ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ গতে ৮/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৭ গতে ৮/১১ মধ্যে। 
৮ কার্তিক, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১। ষষ্ঠী অহোরাত্র। আর্দ্রা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২৯। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০।  অমৃতযোগ  দিবা ৬/৩৭ মধ্যে ও ৭/২১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৯/১০ গতে ১১/৪৭ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৩/১৬ মধ্যে ও ৫/১ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৮ গতে ৮/৩২ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ গতে ৮/১১ মধ্যে। 
১৯ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি ২০ বিশ্বকাপ: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল পাকিস্তান

11:07:27 PM

টি ২০: পাকিস্তান ৯১/৫ (ওভার ১৫)

10:39:06 PM

টি ২০: পাকিস্তান ৫৮/২ (ওভার ১০)

10:11:38 PM

টি ২০: পাকিস্তানকে ১৩৫ রানের টার্গেট দিল নিউজিল্যান্ড

09:16:14 PM

টি ২০: নিউজিল্যান্ড ১০০/৪ (ওভার ১৫)

08:46:52 PM

টি ২০: নিউজিল্যান্ড ৫৬/২ (ওভার ৯)

08:16:01 PM