কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, এসডিওদের মাথায় রেখে প্রতিটি মহকুমায় বিশেষ কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। সেচদপ্তরের জায়গা দখল করে নির্মাণের তালিকা তৈরি হবে। তারপর আমরা ব্যবস্থা নেব। ফি-বছর এভাবে কয়েক মাস ধরে জলযন্ত্রণা নিয়ে থাকা যায় না। এর সমাধান হওয়া দরকার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরার মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে বিশেষ টিম গঠন করা হবে। সেই টিমে বিডিও, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার, সেচদপ্তর, পুলিস, সব গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও পুরসভার প্রতিনিধিরা থাকবেন। ঠিক হয়েছে, সেচদপ্তর প্রতিটি মহকুমা এলাকায় নদী, খাল ও ক্যানেলের পাড়ে নিজেদের জায়গায় গজিয়ে ওঠা দোকানপাট, বসতবাড়ি, ইটভাটা ও মাছের ভেড়ি চিহ্নিত করতে একটি সার্ভে করবে। সেই রিপোর্ট মহকুমা শাসকদের কাছে জমা পড়বে। এভাবেই চার মহকুমা থেকে এনিয়ে রিপোর্ট আসবে জেলায়। এরপরই পুলিস, সেচদপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হবে।প্রতি বছর বর্ষার শুরু থেকেই চার-পাঁচ মাস পাঁশকুড়া, ময়না, শহিদ মাতঙ্গিনী ও কোলাঘাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন থাকে। ফি-বছর হাজার হাজার মানুষের এই দুর্ভোগ লেগেই থাকে। এবছর নিম্নচাপের জেরে বেশ কয়েকবার ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ওই চার ব্লকের প্রচুর গ্রামীণ রাস্তা, নিচু এলাকায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট জলমগ্ন। শহিদ মাতঙ্গিনী বিডিও অফিসও জলমগ্ন। বিডিও নিজের অফিস ছেড়ে ওই প্রেমিসেসে পুরাতন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসে বসছেন।গত ১৭সেপ্টেম্বর পটাশপুরের তালছিটকিনি গ্রামের কেলেঘাই নদীবাঁধ ভেঙে পটাশপুর ও ভগবানপুর প্লাবিত করে। ৬অক্টোবর রাতে সেই নদীবাঁধ মেরামত হলেও আজও ভগবানপুর-১ ব্লকের কোটবাড়, বিভীষণপুর, কাকড়া, কাজলাগড় প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আজও কয়েক হাজার দুর্গত স্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছেন। নদীতে জলস্তর কমলেও কেন প্লাবিত এলাকা থেকে জল গড়াচ্ছে না, তা নিয়ে এলাকা ভিজিট করে প্রশাসন ও সেচদপ্তরের পর্যবেক্ষণ, নিকাশি খাল জবরদখল হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভগবানপুর-১ ব্লকের নিকাশির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল কলাবেড়িয়া খাল। কলাবেড়িয়া বাজারে অন্তত দু’শো দোকান খালের দু’পাড় দখল করে নিয়েছে। ভগবানপুর ও পটাশপুরে বেশকিছু জায়গায় কেলেঘাই নদীর চর জবরদখল করে ইটভাটা তৈরি হয়েছে। নদীর স্বাভাবিক গতিপথ অবরুদ্ধ হওয়ায় বর্ষার সময় জলস্ফীতি হলে নদীবাঁধের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। যেকারণে তালছিটকিনি গ্রামে কেলেঘাই নদীবাঁধ ভেঙে কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে দিয়েছে। এবারের বন্যায় জেলায় মোট ন’জনের প্রাণ গিয়েছে।