বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি—এই দু’টি প্রকল্পের মধ্যে কোনটিতে কৃষকরা বেশি উপকৃত হবেন তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সব চাষি। বাংলার সরকার তাঁদের পাশে। প্রশ্ন হল, অনুদানের আশায় রাজ্যের যে চাষিরা প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন তাঁরা কি কেন্দ্রের টাকা পাচ্ছেন? কারণ এক্ষেত্রেও তো কেন্দ্র-রাজ্যের তরজাকে অজুহাত খাড়া করে শর্ত চাপিয়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র প্রান্তিক চাষিরাই ওই প্রকল্পের অনুদান পাওয়ার যোগ্য। আরও বলা হচ্ছে, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই নাকি চাষিরা পাবেন কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা। তবে সবাই নয়। অর্থাৎ খুড়োর কলটি ঝুলিয়ে রেখেই ‘কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষার’ কার্ড বাড়ি বাড়ি বিলি করছে গেরুয়া বাহিনী। তাই প্রশ্ন উঠছে, ভোটের আগে এভাবে টোপ দিয়ে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে চাইছে বিজেপি? আসলে ভোটের অঙ্কের হিসাব করতেই রাজ্যের কৃষকদের বাড়ি থেকে ‘চাল ভিক্ষাকে’ সামনে রেখে তথ্য সংগ্রহ করে ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি! রাজ্য প্রশাসনকে এড়িয়ে কৃষকের নাম, ঠিকানা, গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম, বিধানসভা কেন্দ্রসহ বহু তথ্য সুকৌশলে সংগ্রহ করছে মোদি বাহিনী। ঘুরপথে এভাবে তথ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টায় রয়েছে অভিসন্ধি। পাশাপাশি, এরজন্য বাংলার কৃষকদের ব্যক্তিগত তথ্য কতটা সুরক্ষিত থাকবে তাও স্পষ্ট নয়। কারণ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই তথ্য নেওয়া হয়নি, কেন্দ্রের তরফে সরকারিভাবেও এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘কৃষক সুরক্ষা কার্ড’ বিলির সময় তথ্য সংগ্রহ করছে গেরুয়া পার্টির লোকজন। তাঁরা নাকি দিল্লিতে প্রতিদিন সেই তথ্যই পাঠাচ্ছেন! আসলে কৃষক সুরক্ষা অভিযানের আড়ালেই রয়েছে ভোটের স্বার্থেই বাংলার কৃষকদের তথ্য হস্তগত করার নিখুঁত পরিকল্পনা।
বাংলায় ৭০ লক্ষের বেশি কৃষক পরিবার আছে। গত পাঁচ বছরে এই চাষি পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি গেরুয়া বাহিনীকে। কর্পোরেট স্বার্থবাহী মোদি সরকার নয়া আইন করে কৃষকের স্বার্থরক্ষার বদলে তাঁদের আন্দোলনের পথেই ঠেলে দিয়েছে। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এখন বাংলার ভোটের আগে প্রচার চলছে বিজেপি জিতে এলে কেন্দ্রীয় সমস্ত প্রকল্প চালু হবে এই রাজ্যে। যা ভবিষ্যতের কথা। তবে ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে চাষিদের মন জয়ের জন্য রাজ্য প্রশাসনকে এড়িয়ে তাঁরা যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অনুচিত কাজ বলেই গণ্য হতে পারে।