Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত বিজেপির জন্য ব্যুমেরাং হল। যাঁরা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর আশায় বুক বেঁধেছিলেন, তাঁরা হতাশ। তবে, তাঁদের আরও আশাহত করেছে বৈদ্যুতিন চ্যানেলের জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট। পূর্বাভাসে স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ফের সরকার গড়বে তৃণমূল। তাতে মুষড়ে পড়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। বিজেপির নেতারাও বুঝতে পারছেন, কোনও অক্সিজেনই আর হতোদ্যম কর্মীদের চাঙ্গা করতে পারবে না। উল্টে ‘বেসুরো’রাও পাল্টি খাবে। লোকলজ্জার ভয়ে যাঁরা তৃণমূলে ফিরতে পারবেন না, তাঁরা তলে তলে ‘সেটিং’য়ের চেষ্টা চালাবেন।
নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করা নেতাদের লক্ষ্য। ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগের কাজটা কর্মীরাই করেন। তাই ক্ষমতা দখলের ক্ষীণতম সম্ভাবনা না থাকলেও নেতারা হম্বি তম্বি চালিয়ে যান। তাঁরা জানেন, নির্বাচনী লড়াইয়ের আসল কারিগর দলের কর্মীরা। সেই কর্মীরা মনোবল হারালে জেতা তো দূরের কথা, নির্বাচন লড়াটাও কঠিন হয়ে যায়। তাই নেতারা যে কোনও মূল্যে কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে চান। তাঁরা যে ক্ষমতা দখলের দোরগোড়ায়, সেটা প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালান। সেই উদ্দেশ্যেই অমিত শাহ ২০০ আসনের দাবি করে বসেছেন। এটা রাজনীতির কৌশল। 
বিজেপির সেই কৌশলের আর এক অঙ্গ ছিল ৩৫৬ ধারা জারির দাবি। এরাজ্যের আইনশৃঙ্খলার কথা বলে বিজেপি নেতারা জরুরি অবস্থা জারির ধুয়ো তুলে দিল্লি ছুটেছিলেন। শুধু নেতারাই নন, আমাদের মহামহিমও নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর খারাপ। এমনকী, ৩৫৬ ধারা জারির মতো অবস্থাও তৈরি হয়েছে বলে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। তবে ইন্ধনটা এসেছিল অনেক আগেই, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে তিনি দাবি করেছিলেন, ৬০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু তারপর বছর ঘুরেছে, বিজেপি ২৫ জন বিধায়ককেও ভাঙাতে পারেনি। বোঝা যাচ্ছে, সেটাও ছিল দলের কর্মীদের তাতানোর কৌশল।
আর তাতে হাওয়া দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে এসে বারবার তিনি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারির দাবি ন্যায়সঙ্গত’। তাই বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের লম্ফ ঝম্ফ বেড়ে গিয়েছিল। তৃণমূল ভেঙে বেরিয়ে আসা বিধায়কদের লম্বা তালিকাও তাঁরা তৈরি করে ফেলেছিলেন। নেতাদের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই ভাঙল বলে! 
আগেই লিখেছি, ‘কর্মীদের চাঙ্গা করতেই ৩৫৬ ধারার ফাঁদ’। সেখানে বলেছিলাম, ‘এরাজ্যে কিছুতেই ৩৫৬ ধারা জারি হবে না। কারণ সেই পরিস্থিতি নেই। এটা ছিল বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটা কৌশল। বিধানসভার ভোট করাতে দিল্লি থেকে পুলিস আসবে বলে দিলীপ ঘোষ কর্মীদের আশ্বস্ত করছেন। তাতে কর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছেন। কিন্তু তা সাময়িক। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নেতৃত্বে ভোট হলে বিজেপি কর্মীরা হতাশ হবেন।’
এখন সকলেই বুঝতে পারছেন, বিজেপি নেতাদের এরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ ছিল সবৈব মিথ্যা। তাঁরাও জানতেন, একটা মণীশ শুক্লা খুন বা একজন বিধায়কের রহস্যজনক মৃত্যুর জন্য রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করা যায় না। আর সেটা হলে উত্তরপ্রদেশে অনেক আগেই সরকার পড়ে যেত। তবুও বিজেপি নেতারা বলেছিলেন। কারণ মমতার সরকারের বিরুদ্ধে কর্মীদের চাঙ্গা করার ইস্যু পাচ্ছিলেন না। জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট ভোটের ফলের সঙ্গে মিলতে পারে, আবার নাও পারে। তাই সাম্প্রতিক প্রকাশিত জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট কতটা মিলবে, সেটা সময় বলবে। তবে এই ধরনের সমীক্ষা রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ভীষণ প্রভাবিত করে। অনেকটা টনিকের কাজ করে। রিপোর্ট অনুকূলে গেলে কর্মীদের মনোবল বেড়ে যায়। আর উল্টোদিকের কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েন। তাই নেতারা মুখে যাই বলুন না কেন, তাঁরাও সমীক্ষার দিকে তাকিয়ে থাকেন। 
তবে সিপিএম যতদিন এরাজ্যের ক্ষমতায় ছিল, ততদিন জনমত সমীক্ষাকে গুরুত্ব দেয়নি। কারণ সাংগঠনিক দৃঢ়তা। সিপিএম রোড-শো, মিডিয়া হাইপের চেয়েও বুথ ভিত্তিক সংগঠনের দিকেই বেশি নজর দিত। সমীক্ষায় কোনও ফাঁকফোকর উঠে এলে সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরে মেরামত করত। সিপিএম সেটা করতে পারলেও বিজেপির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। কারণ এরাজ্যে বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। তাদের বাড়বাড়ন্ত সম্পূর্ণ হাওয়া নির্ভর। সাফল্য, ব্যর্থতা অনেকটাই নির্ভর করে মিডিয়ার হাইপের উপর। সেই কারণেই জনমত সমীক্ষার রিপোর্টে গেরুয়া শিবিরে নেমেছে হতাশার ছায়া। তবে নেতারা তা ঢাকার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে ‘টনিক’ দিচ্ছেন। কিন্তু, তাতে কতটা কাজ হবে বলা কঠিন। কারণ তাঁরাও অঙ্ক কষেন। সেই কারণে কখনও ‘দলবদলু’ আবার কখনও ‘ঘর ওয়াপসি’।
এতদিন যাঁরা দিলীপ ঘোষের ‘বদল হবে, বদলাও হবে’ মার্কা ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে ময়দান কাঁপাচ্ছিলেন, তাঁরাও অঙ্ক কষা শুরু করেছেন। সম্ভাবনা ও ঝুঁকির অঙ্ক। কারণ তৃণমূলের নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভোটের পর এবার আর শুধু রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজবে না।’ 
লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপির সাফল্য এসেছিল হাওয়া ও তৃণমূল কংগ্রেসের ‘নেগেটিভ’ ভোটের দৌলতে। কিন্তু বিজেপি বুঝেছে, তা দিয়ে বিধানসভা নির্বাচন জেতা যাবে না। কারণ বাম ভোট ফিরছে নিজের ঘরে। তাই তৃণমূলকে ভাঙার যথাসাধ্য চেষ্টা। সে কাজে বিজেপি কিছুটা সফলও। দলবদলুদের অনুপ্রেরণায় বাড়ছিল ‘বেসুরো’র সংখ্যা। জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশের পর তাঁরাও অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত। তবে, যাঁরা ‘মউ চুক্তি’তে সই করে ফেলেছেন, তাঁদের কোনও উপায় নেই। কারণ চুক্তিমতো কাজ না হলে ‘গুনগার’ দেওয়াটাই নিয়ম। কিন্তু, যাঁরা দোদুল্যমান? পাঁচিলে বসে হাওয়া মাপছিলেন। তাঁরা ধন্দে পড়েছেন। ঝাঁপটা কোন দিকে দেবেন, সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট ভিন্ন ভিন্ন হতেই পারে। পাল্টেও যেতে পারে। কিন্তু যেটা পাল্টাবে না, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচন লড়ার ঘোষণায় অনেকের অঙ্কই গুলিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে আচমকাই নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেদিনের ভাষণ যাঁরা শুনেছেন বা দেখেছেন, তাঁদের সেটা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি প্রথমে বলেছেন, ভাবছি নন্দীগ্রামে ভালো কাউকে প্রার্থী করব। তারপর বলেছেন, আমি দাঁড়ালে কেমন হয়? তারপর বলেছেন, আমিও দাঁড়াতে পারি। তারপর, সুব্রতদা(বক্সি) নন্দীগ্রামের জন্য আমার নামটা লিখে রাখবেন। 
যাঁরা ভাবছেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠকারী সিদ্ধান্ত, তাঁদের বিনয়ের সঙ্গে বলব, আপনারা ভুল ভাবছেন। তৃণমূল নেত্রীকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন তাঁরা জানেন, তাঁর সব কিছুর মধ্যেই থাকে একটা পরিকল্পনা। কিন্তু সেটা তিনি কাউকে বুঝতে দেন না। কারণ তিনি চান, তাঁকে প্রতিপক্ষ ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করুক। আর সেই সুযোগে তিনি গোল করে বেরিয়ে যাবেন। এটাই তাঁর কৌশল। সিপিএমও সেই ফাঁদে পা দিয়েছিল। ৩৪ বছরের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডের মালিক সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী’ মনে করেনি। ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করেছিল। প্রতিপক্ষকে ছোট ভাবার খেসারত সিপিএমকে দিতে হয়েছিল।
নন্দীগ্রামের ভাষণটা খুঁটিয়ে শুনলে বোঝা যাবে, তৃণমূলনেত্রী একটি করে কথা বলেছেন, আর জনতার পালস বোঝার চেষ্টা করেছেন। প্রতিটি ধাপে জনতার উচ্ছ্বাস মেপেছেন। মানুষের উন্মাদনার পারদ যখন আকাশ ছুঁয়েছে, তখন তিনি ঘোষণা করেছেন নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা। আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে মমতা ওঠেননি, বরং তিনি একের পর এক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর রক্তে রয়েছে চ্যালেঞ্জ। তাই নিজে দল গড়ার চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছিলেন। তাঁর তৈরি দল তৃণমূল সরকার গড়ার হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে। এমনই এক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে নিয়েছেন ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’। জমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামেই লড়বেন তিনি। এও এক চ্যালেঞ্জ। আর সেটা নিয়েছেন অনেক ভেবেচিন্তে। তাই ‘সেফ সিটের সন্ধানে নন্দীগ্রামে’ বলে এখন যাঁরা তাঁকে কটাক্ষ করছেন, হয়তো একদিন তাঁরাই বলবেন, এটা ছিল ‘মমতার আর এক মাস্টার স্ট্রোক’।
23rd  January, 2021
এবারের ২৩ জানুয়ারির শিক্ষা
হিমাংশু সিংহ 

পরাক্রমতার সঙ্গে অনন্ত দেশপ্রেম আর তার বিশ্বজোড়া ব্যাপ্তি মিশলে তবেই নেতাজির নাগাল পাওয়া যায়। এই সার সত্যটা বুঝতেই পারলেন না অমিত শাহরা। বাংলার মনন ও সংস্কৃতির আসল সুরটাকে ধরতে না পারার সমস্যাটা এখানেই। দেশপ্রেম দিবস কিংবা দেশনায়ক দিবসই নেতাজিকে সম্মান জানানোর পক্ষে যথার্থ। বিশদ

অপরাজেয় সুভাষ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পরদিন গোমো থেকে ফ্রন্টিয়ার মেলে চড়ে পৌঁছে গেলেন পেশোয়ার। সম্পূর্ণ একা। ওখানে দেখা হল আবিদ হাসান ও অন্যান্যদের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভগৎরাম তলোয়ারের সঙ্গে। বিশদ

23rd  January, 2021
সুভাষচন্দ্র: বাঙালি, ভারতীয়
ও আন্তর্জাতিক নেতা
অমিত শাহ

সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে বাস করেন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা নেতাজিকে সেই আমলেও সম্মান দেয়নি, আজও দেয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিজি সুভাষবাবুর স্বপ্ন এবং বিচার দিয়ে গড়া এক আত্মনির্ভর ও  শক্তিশালী ভারত নির্মাণের সঙ্কল্প নিয়েছেন। বাংলা ও সারা ভারতের লোক তাঁকে সমর্থন করছেন। বিশদ

23rd  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

22nd  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
একনজরে
প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণেই রাজ্যে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। শনিবার আইসিএমআর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যকে জানিয়ে দিলেন দ্রুত ...

শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...

সিডনি টেস্টে হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জুটি ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল টিম ইন্ডিয়াকে। চোট নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে যেভাবে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তা এক ...

প্রত্যর্পণ এড়াতে নানারকম ছল করছেন প্রায় ন’হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলার মূল অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। গত অক্টোবরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, একটি গোপন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM