Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

দাড়ি কাটছেন না তিনি। বহুদিন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রঙ্গ-ব্যঙ্গের অন্ত নেই। অনেকেই বলছেন, সামনে বাংলায় ভোট। অতএব, একটু রবি ঠাকুর সাজার ইচ্ছে...
তবে ভোট প্রচারে যে তাঁর দল এবার রবীন্দ্রনাথকে আঁকড়ে ধরতে চাইবে, তার ইঙ্গিত মিলেছে দফায় দফায়। আর তিনি? বঙ্গ নিয়ে স্বপ্ন ফেরি করা শুরু করেছেন সংগঠিতভাবেই। অঙ্ক কষে। সম্প্রতি কলকাতার বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) বার্ষিক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ওরে, নূতন যুগের ভোরে’ আবৃত্তি করেছেন। হিন্দি টানে বাংলায়। ভয়ঙ্কর উচ্চারণে বলেছেন, ‘চোলায় চোলায় বাজবে জয়ের বেরি...।’ এই আবৃত্তি পাঠে আপনি হাসি চাপতে না পারলেও, তাঁর ‘হিপনোসিস’-এর ক্ষমতা টের পায় এই বাংলাও। অন্তত তাঁর ভক্তদের প্রচার দেখে তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এটা নাকি ছিল, রবীন্দ্রচর্চার নিদর্শন! কিন্তু ভাষা নিয়ে আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোটকে পাখির চোখ করলে তা আমবাঙালির কাছে সহজেই ধরা পড়ে! আজ রবীন্দ্রনাথের মতো দাড়ি রাখছেন, তাঁর সাকরেদরা বিশ্বভারতীকে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বলছেন, রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বড়দা বানাচ্ছেন—এরকম আরও কত কী! ভোট বড় বালাই।
তিনি নরেন্দ্র মোদি। কখন কোথায় কাকে ফুল দিতে হয়, এটা তাঁর নখদর্পণে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গুজরাতের কত নিবিড় সম্পর্ক ছিল তা প্রমাণে প্রাণপাত করে চলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্বপ্ন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নাকি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির-ই অনুসারী! বিস্ময়ের সীমানাটা আদতে পলকা নয়, তবে এইসব কথাবার্তা শুনে তা অচিরেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে। 
কিছুতেই তাকে ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না! তবু তিনি থামছেন না। পরম বিজ্ঞের মতো তিনি বলেই চলেছেন, রবীন্দ্রনাথের মধ্যে নাকি ‘বেদ থেকে বিবেকানন্দ’ সবই পাওয়া যায়! অর্থাৎ একের ভিতর সব! তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে এবার বিজেপি বাংলায় ভোটে নেমেছে। মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। ভোটের প্রথম রাউন্ডেই বিজেপির মধ্যে ‘বাঙালি’ হয়ে ওঠার এক তীব্র তাড়না নজরে পড়ছে। যেটাকে বলা যেতে পারে, বাঙালি তাস খেলা! বাঙালি-অবাঙালি রাজনীতি। সোজা কথায়, এই রাজ্যে বাঙালির বেশে বিজেপি নিজেকে দ্রুত গ্রহণীয় ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চাইছে।
আর তা করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। কাটোয়ার জগদানন্দপুরে চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। রাধাগোবিন্দের যে মন্দিরে তিনি গিয়েছিলেন, সেখানেই চৈতন্যদেব দীক্ষা নিয়েছিলেন বলে দাবি করে বসেন তিনি। অথচ মন্দিরটি তৈরি হয়েছে চৈতন্যদেবের প্রয়াণের প্রায় তিনশো বছর পরে। এসব দেখে এরাজ্যের মানুষ বলছেন, বহিরাগতরা বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি জানে না। তারই প্রকাশ ঘটছে পদে পদে। 
গত লোকসভা ভোটের শিক্ষা বলছে, অমিত শাহের রোড-শো থেকে তাণ্ডবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের পরে শহরে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছিল। সেই ঘটনা বাঙালির আবেগের বারুদে অনেকটাই ঘৃতাহুতি দিয়েছিল। অতএব, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ থেকে সুভাষচন্দ্র—সবাইকে দলে টানতে হবে। নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থে তাঁরা ওঁদের কখনও মাথায় তোলেন, কখনও পায়ে ঠেলেন। আজ বিজেপি যে ‘বাঙালি’র কথা বলছে, এই বাঙালি অবশ্য আমাদের মতো আমজনতা নয়। এ হল ভোটের বাঙালি। এর জন্য হাত-পা-মুখের অবয়ব লাগে না। দরকার আবেগ সৃষ্টির। রাজ্যের রাজনীতিতে এখন সেই পর্ব শুরু হয়েছে। বাঙালির মন জয়ে দিল্লির নেতা অবতারদের রকমারি বাংলা উপস্থাপনায় আপাতত ফাঁক থাকছে না।
ছুটি পেলে সাত দিনের জন্য শান্তিনিকেতনে এসে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে কাটাতে চান। ভোটের দামামা বাজতেই বলে গিয়েছেন অমিত শাহ। বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেদিন বলেছিলেন, ‘আজ অত্যন্ত সৌভাগ্যের দিন। বিশ্বভারতীতে এসে সেই মহামানবকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেলাম, যিনি গোটা বিশ্বে ভারতীয় জ্ঞান, দর্শন, কলা, সাহিত্যকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্যের সামঞ্জস্য স্থাপনের কাজ করেছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষে আবারও ভারতীয় ভাবধারাকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।’ হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ নিয়ে অমিতভাইয়ের বক্তব্যটা মনে আছে? বললেন, রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে নোবেল পুরস্কারই তার মহত্ত্ব বাড়িয়েছে। আহ্‌, এত বড় আর একেবারে ঠিকঠাক কথাটা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আগে কে কবে বলেছে বলুন? অথচ, সেদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বীকৃত ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’-এর প্রধান দীননাথ বাত্রা কিংবা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর কথা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললেন না। কী বলেছেন স্বামী? বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীতটি অর্থের দিক থেকে সঙ্কীর্ণ, ভারতের নবীন প্রজন্মের ইচ্ছে এটি পাল্টানো হোক। হ্যাঁ, উনি তো তাঁরই পার্টির সাংসদ।
মোদি-শাহ জুটির খুবই নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত দীননাথ বাত্রার কথাই ভাবুন। উনি প্রস্তাব দিয়েছেন এনসিইআরটি-কে। দেশের স্কুল কলেজের টেক্সট বইগুলির অনেক কিছুই পাল্টাতে হবে। অনেক কিছুই মানে, যা কিছু ‘বেসলেস অ্যান্ড বায়াস্‌ড’। বাত্রা সাহেবের মতে, ‘বিপ্লবী কবি’ পাশ-এর কাব্য থেকে সব ইংরেজি, উর্দু, আরবি শব্দ বাদ দিতে হবে। বাদ দিতে হবে মির্জা গালিবের দু’টি কবিতা, বাদ দিতে হবে শিল্পী এমএফ হুসেনের আত্মজীবনীর নির্বাচিত অংশ। আর বাদ দিতে হবে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনার গোটাটাই। হ্যাঁ, গোটাটাই। কারণ একটাই, রবীন্দ্রনাথের লেখাগুলি বিশেষ দলটির স্বার্থের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উগ্র জাতীয়তাবাদের সাথে মানবতার প্রভেদটা কোথায়, সেই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের বৈপ্লবিক চিন্তাধারা তাঁর সমকালীন সময়ে শুধু এদেশেই নয়, প্রাচ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা পাশ্চাত্যের তরুণ সমাজেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। কী অদ্ভুত ঐতিহাসিক পুনরাবৃত্তি! একশো বছর আগেও (‘ন্যাশনালিজম’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৭ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন) ঠিক ওই একই কারণে রবীন্দ্রনাথকে একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। আর আজ, তাঁরই দেশের একটি বিশেষ দল তাঁর লেখা ছেঁটে ফেলার প্রস্তাব তোলে। একইসঙ্গে বাদ নজরুলও। ফলে বাদ, সব বাঙালি বাদ। এঁদের একসময়ের ডাকসাইটে নেতা তো রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং নজরুল ইসলামের সংস্কৃতিকে ‘রসুন সংস্কৃতি’ বলে আখ্যা দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তাঁদের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গির স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন। না, এখন অবশ্য এসব বলা যাবে না কিছু। সামনে ২০২১-এর নির্বাচন।
গেরুয়া বাহিনী নিশ্চিত জানে, সাম্প্রদায়িক পরিচিতিকে খণ্ডন করে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের নজির গড়েছে এই বাঙালিরাই। গো-বলয়ের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী বিকল্পের জন্ম দিয়েছে বাঙালির সংস্কৃতি। এবং সেটা আর্যাবর্তের একদম পাশেই। বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের জাতক্রোধ তাই স্বাভাবিক। এই বাংলায় বাঙালি মুসলিম হোক আর হিন্দু বা বৌদ্ধ, সকলেরই মাতৃভাষা বাংলা। তা নিয়েই হিন্দিওয়ালাদের খুব ভয়। তাই বাঙালি আর বাংলার বিরুদ্ধে বিষ না ছড়িয়ে তাদের উপায় নেই। বিজেপি নেতারা ভালো করেই জানেন, তাঁদের চালচলন, রীতি-শিষ্টাচার, ভাষা প্রয়োগ ইত্যাদি অনেক কিছুই চেনা বাঙালি-সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।
তাই, বাংলা দখল করতে গেলে আগে ‘বাঙালি’ হতে হবে। বিলকুল জানেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাই, বাংলার মাটি দখল করার লক্ষ্যে বিজেপি এখন ‘বাঙালি’ হয়ে উঠতে মরিয়া। ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ভোট করাতে আসা নেতাদেরও তারা ‘বাঙালিয়ানা’ শেখাচ্ছে বলে খবর। লক্ষ্য একটাই, চিন্তাভাবনার উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা জ্ঞানচর্চার শেষ দূর্গ পশ্চিমবঙ্গের দখলদারী আগে নিতে হবে। তারপর..। হ্যাঁ, এই বাঙালিদেরই, একেবারে গলা টিপে মারা হবে। তারই মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বিদ্যাসাগর কলেজেই বিদ্যাসাগরকে ভাঙা, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনেই রবীন্দ্রনাথের উপরে অমিত দাদার ছবি ছাপানো— যাতে দাদার তুলনায় কবির তুচ্ছতা স্পষ্ট হয়। এসবের জন্য রয়েছে দলবদলু, কিছু পথ-হারানো বাঙালি। এরাই বিজেপির অস্ত্র। কিছু অর্থ, কিছু পদ। ব্যস! শাহরা জানেন, রাজাকাররা সব যুগে, সব দেশে একেবারে তৈরিই থাকে। শুধু সময়ের অপেক্ষা!
15th  January, 2021
এবারের ২৩ জানুয়ারির শিক্ষা
হিমাংশু সিংহ 

পরাক্রমতার সঙ্গে অনন্ত দেশপ্রেম আর তার বিশ্বজোড়া ব্যাপ্তি মিশলে তবেই নেতাজির নাগাল পাওয়া যায়। এই সার সত্যটা বুঝতেই পারলেন না অমিত শাহরা। বাংলার মনন ও সংস্কৃতির আসল সুরটাকে ধরতে না পারার সমস্যাটা এখানেই। দেশপ্রেম দিবস কিংবা দেশনায়ক দিবসই নেতাজিকে সম্মান জানানোর পক্ষে যথার্থ। বিশদ

অপরাজেয় সুভাষ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পরদিন গোমো থেকে ফ্রন্টিয়ার মেলে চড়ে পৌঁছে গেলেন পেশোয়ার। সম্পূর্ণ একা। ওখানে দেখা হল আবিদ হাসান ও অন্যান্যদের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভগৎরাম তলোয়ারের সঙ্গে। বিশদ

23rd  January, 2021
ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। বিশদ

23rd  January, 2021
সুভাষচন্দ্র: বাঙালি, ভারতীয়
ও আন্তর্জাতিক নেতা
অমিত শাহ

সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে বাস করেন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা নেতাজিকে সেই আমলেও সম্মান দেয়নি, আজও দেয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিজি সুভাষবাবুর স্বপ্ন এবং বিচার দিয়ে গড়া এক আত্মনির্ভর ও  শক্তিশালী ভারত নির্মাণের সঙ্কল্প নিয়েছেন। বাংলা ও সারা ভারতের লোক তাঁকে সমর্থন করছেন। বিশদ

23rd  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

22nd  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
একনজরে
কালনা ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারের ভাড়ার (পারানি) রসিদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মহকুমা শাসক। এছাড়াও ভাড়ার অতিরিক্ত মাঝিদের বকশিসের বিষয়টি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দেখার নির্দেশ দেন। ...

সিডনি টেস্টে হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জুটি ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল টিম ইন্ডিয়াকে। চোট নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে যেভাবে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তা এক ...

গ্রামের অর্থনীতিকে উন্নত করতে মুক্তিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের হাটগাছা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাইপুর গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ...

শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM