Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে লিখেছিলাম আদি আর নব্য বিজেপির মধ্যে জোর নরকগুলজার চলছে। কিন্তু যে কথাটা বলা হয়নি তা হচ্ছে, এই ভোটে তৃণমূলের আসল শত্রু বিজেপি নয়। দিলীপ ঘোষরা এখনও কয়েকটি হাতে গোনা জেলা ছাড়া একক ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো অবস্থাতেই নেই। যেটুকু লড়াই হচ্ছে তা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশের সঙ্গে। সোজা কথায়, যাদের বিশ্বাসঘাতক ‘দলবদলু’ বলা হচ্ছে। তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা এই নির্বাচনেও নবান্নের ১৪ তলা দখলের পক্ষে যথেষ্ট।  সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কাজে লাগিয়েও ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকেই পরিষ্কার ক্ষমতা দখল দূরে থাক, কাছাকাছি আসার ব্যাপারেও এখনও দিলীপ ঘোষরা খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন। আপাতত তাঁদের লক্ষ্য তাই একশো আসন পেরনো এবং ভোট কৌশলী পিকে-কে মিথ্যা প্রমাণ করা। 
তবে সেক্ষেত্রেও যাবতীয় হিসেব দাঁড়িয়ে আছে দু’টি অলীক ফ্যাক্টরের উপর। তৃণমূলে ক্রমাগত আরও বড় ভাঙন ধরানো, যা ভোটের দিন ঘোষণার পরও চলবে। আর ‘আমরাই এবার আসছি’, এই কথাটা বারবার প্রচার করে সিপিএমের হতাশ নিচুতলার সমর্থন টেনে আনা। কারণ ওই দু’টি ফ্যাক্টর বাদ দিলে এখনও এরাজ্যে বিজেপির নিজস্ব সংগঠনের জোর মোটেও উৎসাহব্যঞ্জক নয়। গত কয়েক মাসে সঙ্ঘ পরিবারের নীতি ও আদর্শহীন একতরফা দখলদারির রাজনীতি দেখে বাংলার মানুষ যদি ফের সিপিএমকে একটু বেশি আশীর্বাদ করে তাহলেই গেরুয়া পার্টির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন মাঠে মারা যাবে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে নিশ্চিতভাবেই এই ভোটে সিপিএমের হারানো ভোট বেশ কিছুটা ফিরবে। এবং তা হলেই গেরুয়া শক্তির যাবতীয় কৌশলও ব্যর্থ হবে। পাশাপাশি, দুর্নীতিকে খতম করতে ফুল, মালা, চন্দনে সেই দুর্নীতির কাণ্ডারীদেরই দলে আবাহন, আর যাই হোক সুস্থ রাজনীতি হতে পারে না। এই ধ্রুব সত্যটাকে বাংলার মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। এই একটা ফ্যাক্টরই কঠিন সময়ে শেষ দৌড়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
তৃণমূল ভেঙে অনেক আশা জাগিয়ে যেসব দলবদলুরা স্রোতের মতো গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষমতা নিয়েও সম্প্রতি একটু যেন সন্দিহান দেখাচ্ছে দিলীপ ঘোষদের। খোদ ভূমিপুত্রের খাসতালুক নন্দীগ্রামে গত ৮ জানুয়ারি সভা ঘিরে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হয়েছে, তারপরই ওই আশঙ্কা যথেষ্ট বেড়েছে। সভা ডেকে দলেরই একাংশের হাতে বেইজ্জত হওয়ার এমন ঘটনা মেনে নেওয়া বিজেপির মতো একটা সর্বভারতীয় দলের পক্ষে সহজ নয়। গেরুয়া শিবিরের ভিতরের হিসেবই বলছে, খুব বেশি হলে ৩৫টি আসনে ভূমিপুত্রের অল্পবিস্তর প্রভাব আছে। তার বেশি নয়। তাই অযথা লাফালাফির কোনও মানে হয় না। অনেক দরদস্তুরের পরও তাই দল ভেঙে আসা কোনও নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পাকা কথা দেননি অমিত শাহরা। দেওয়ার কথাও নয়। বাকি যাঁরা যোগ দিচ্ছেন তাঁদের নিজের আসন টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা আছে কি না, তা নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ভবিষ্যতে তাঁরা দলের কাছে সম্পদ হবেন, না অভিশাপ হয়ে দেখা দেবেন, তা সময়ই বলবে।
নির্বাচন যেহেতু একইসঙ্গে বিরাট মনস্তত্ত্বেরও খেলা, তাই অমিত শাহরা দলের কর্মীদের উৎসাহিত করতে মুখে বলছেন, এবার ২০০ আসন তাঁরা জিতবেই। তাঁরা জানেন, এই প্রচারে বিরোধী শিবিরে শঙ্কা বাড়ে, শত্রু দলের কর্মীরা হতাশ হয়। কিন্তু বাস্তবে কোনও অঙ্কেই তা হওয়ার নয়। উল্টে কোথায় যেন নৈতিকভাবে ভোটের আগেই হার হয়ে যাচ্ছে দিলীপবাবুদের। নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন করছেন, এভাবে শত্রু দল ভেঙে গেরুয়া সংসারে ঘটা করে কুমির ডেকে আনার পরিণাম ভালো হবে তো! এই ভোটে বাংলার উন্নয়ন নয়, কর্মসংস্থান নয়, শিল্প গড়ার স্বপ্ন দেখানো নয়, ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকেই প্রধান অস্ত্র করেছে বিজেপি। অথচ সংগঠন বাড়াতে সেই দুর্নীতির সঙ্গেই খোলাখুলি আপস করতে হচ্ছে। নিজেদের সুবিধাবাদী রাজনীতির প্রয়োজনে বারেবারে এই গোলপোস্ট বদলে দেওয়ার রাজনীতি কখনও নৈতিকভাবে জয়ী হতে পারে না। ঘনিষ্ঠ মহলে গেরুয়া দলেরই অনেকে স্বীকার করছেন, এত কুৎসা আর অভিযোগ সত্ত্বেও এখনও জননেত্রীর ভাবমূর্তির বিন্দুমাত্র ক্ষতি করা যায়নি। উন্নয়নের জোরে তিনি বাংলার ঘরে ঘরে এখনও অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। তাঁর স্বাস্থ্যসাথী থেকে কন্যাশ্রী গোটা দেশে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই এবারেও রাজ্যের ২৯৪ আসনে তিনিই প্রার্থী। তাঁর চেয়ে যোগ্যতর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মুখ পশ্চিমবঙ্গে নেই। আর যাঁরা আছেন তাঁরা কেউ মেদিনীপুরের, কেউ খড়্গপুরের নেতা। কিন্তু গোটা বাংলার গরিব নিপীড়িত মানুষের হৃদস্পন্দন এখনও রাজ্যের একজনের সঙ্গেই একতারে বাঁধা। সেই যোগ ছিন্ন করার মতো শক্তিশালী মুখ বিজেপিতে কোথায়? ক্ষমতা দখলের নেশায় দল ভেঙে যে বিষবৃক্ষ বঙ্গ বিজেপি বপন করছে তার দায় তাদেরই নিতে হবে! তৃণমূল ছেড়ে আসা  দলবদলুদের সবাইকে টিকিট নয়, বলে সেই অধ্যায়েরই সূচনা করেছেন দিলীপবাবু। এখন দেখার এই একটা ঘোষণায় ক’টি জেলা রক্তাক্ত হয়! আর কে কে টিকিট না পেয়ে পুরনো জায়গায় ফিরতে বাধ্য হন।
এটা ঠিক গত কয়েক বছরে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে। একই দিনে রাজ্যে একাধিক রোড শো, জেলায় জেলায় সভা, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিত্য আসা-যাওয়া, তিন চার বছর আগেও অত্যন্ত দূর কল্পনা ছিল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই দল ক্রমেই প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠার দৌড়ে শামিল হয়েছে। এবং বলাই বাহুল্য, সিপিএম সহ বাম নেতৃত্ব ও তার দোসর কংগ্রেসের ভোট কেটে ক্রমেই এগিয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের ভোট বিগত লোকসভায় কোন জাদুতে প্রায় পুরোটাই বিপরীত মেরুর বিজেপিতে পড়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা আজও মেলেনি। ভোট রাজনীতি পাটিগণিত নয়, চলে রসায়নের নিয়মে। সেখানে নদীর পাড় ভাঙাগড়ার তত্ত্ব খাটে না। সেখানে  দু’য়ে দু’য়ে সব সময় চারও হয় না। মাঝেমাঝে অজানা কারণে যোগফল শূন্যও হয়। গত বিধানসভা ভোটের কথা একবার মনে করুন। সেবার জোট করেও বামেদের ভোটব্যাঙ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। আবার দু’বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে বামেরা কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। সেই শূন্যস্থান দখল করেই বিজেপির ভোট এরাজ্যে অবিশ্বাস্য ৪০ শতাংশ পেরতে সক্ষম হয়েছে। ১৮টি আসন জিতে দিলীপবাবুরা তাক লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে ভোটের ফারাক মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি। যদিও লোকসভা আর বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ আলাদা। তবু একবার রক্তের স্বাদ পাওয়া গেরুয়া শক্তি তাই সেই থেকেই বাংলা দখলে মরিয়া। 
বিজেপি জানে, রাতারাতি পুরনো সিপিএম কিংবা তৃণমূলের মতো সংগঠন গড়ে তোলা অসম্ভব। তাই তৈরি জিনিস দখল করো। অনেকটা পরের তৈরি কারখানা কিনে নিয়ে রাতারাতি উৎপাদন শুরু করার মতো। সেই তাগিদ থেকেই এবার রাজ্যের ভোট কার্যত তৃণমূল বনাম তৃণমূলত্যাগীদের লড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে। সংগঠন নেই, লোক নেই, নেতা নেই, এমনকী অফিসওই নেই এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও আসন জেতার স্বপ্ন দেখছে শুধু ভাঙন ধরানোর কৌশলে। ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হল না, কোথায় কে প্রার্থী হবেন তার ঠিক নেই। কে শেষ পর্যন্ত কোথায় থাকবেন, তাও অমীমাংসিত। ক’দফায় ভোট, কবে শুরু তার ঠিকঠিকানাও নেই। কিন্তু রোজ পরিবেশ গরম হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মাস্ক ছাড়াই পাড়ার মোড়ে মোড়ে সভা। দূর পর্যন্ত মাইকের চোং। কদর্য পারস্পরিক আক্রমণে কান ঝালাপালা। এ ওকে চোর বলছে। অমনি যাকে চোর বলা সে তিনটে ছবি দেখিয়ে বলছে, দেখুন ও তো আরও বড় ডাকাতের সঙ্গে বসে আছে, তার বেলা! পাল্টা ছুটে আসছে বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার বিশেষণ। রাজনৈতিক আক্রমণ পর্যবসিত হচ্ছে স্রেফ ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে। সেই সঙ্গে মওকা বুঝে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার আদিম হিংস্রতা। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে যে পরিবারটি সেই পরিবারের সুসন্তানই বঞ্চনা আর দুর্নীতির কথা বলে দল ছেড়েছেন। বলছেন, উম-পুনের টাকা লুট হয়েছে। অথচ তাঁদেরই পরিবার নিয়ন্ত্রিত পুরসভা এলাকায় তাঁর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া কারা চাল ত্রিপল নিয়ে পালাল, তা বলছেন না। উল্টে অভয় দিচ্ছেন, ভোটের দিন ঘোষণা হলে বলব। আপনার পিছনে যদি এতই জনসমর্থনের ঢেউ, তাহলে এখনও ভয়টা কীসের?
পরিস্থিতি এমন যে কাউকে বিশ্বাস করাই এখন দায়। বিশ্বাস, অবিশ্বাস আর বিভ্রান্তির ত্র্যহস্পর্শ থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে আজ বেরিয়ে আসছে একটাই ধ্রুবপদ, আখের গোছাও। বহিরাগত বিত্তশালী দলের নেতাদের এই আগুন নিয়ে খেলায় তো মানুষের পেট ভরে না। দল ভাঙার মধ্যে চমক থাকলেও মানুষের মন জেতার জাদু নেই। এটা ঠিক, কোনও নেতা এদিক ওদিক করলে তাঁর সঙ্গে কিছু অনুগামীও রংবদল করে। কিন্তু তাতে মানুষের কী যায় আসে? সবাই নিজের নিজের স্বার্থ আর এজেন্ডার কথা ভাবছে। কেউ কি রাজ্যটার কথা ভাবছে? রাজ্যের উন্নয়ন, রাজ্যের মানুষের অগ্রগতি সবই কথার কথা। তাই সাধারণ মানুষেরও উচিত, এই ভোটে বেছে বেছে বিশ্বাসঘাতকদের শিক্ষা দেওয়ার শপথ নেওয়া। ভোটবাক্সে মধুর বদলা নেওয়া। একটা পতাকার জোরে দশ বছরে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর উল্টো দলে ঝাঁপ মারা, তাহলেই চিরতরে বন্ধ হবে। ভোটটা টাকা কামানোর উৎসব নয়, গণতন্ত্রের উৎসব, এই শিক্ষা একমাত্র দিতে পারেন সাধারণ মানুষই।
17th  January, 2021
এবারের ২৩ জানুয়ারির শিক্ষা
হিমাংশু সিংহ 

পরাক্রমতার সঙ্গে অনন্ত দেশপ্রেম আর তার বিশ্বজোড়া ব্যাপ্তি মিশলে তবেই নেতাজির নাগাল পাওয়া যায়। এই সার সত্যটা বুঝতেই পারলেন না অমিত শাহরা। বাংলার মনন ও সংস্কৃতির আসল সুরটাকে ধরতে না পারার সমস্যাটা এখানেই। দেশপ্রেম দিবস কিংবা দেশনায়ক দিবসই নেতাজিকে সম্মান জানানোর পক্ষে যথার্থ। বিশদ

অপরাজেয় সুভাষ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পরদিন গোমো থেকে ফ্রন্টিয়ার মেলে চড়ে পৌঁছে গেলেন পেশোয়ার। সম্পূর্ণ একা। ওখানে দেখা হল আবিদ হাসান ও অন্যান্যদের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভগৎরাম তলোয়ারের সঙ্গে। বিশদ

23rd  January, 2021
ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। বিশদ

23rd  January, 2021
সুভাষচন্দ্র: বাঙালি, ভারতীয়
ও আন্তর্জাতিক নেতা
অমিত শাহ

সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে বাস করেন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা নেতাজিকে সেই আমলেও সম্মান দেয়নি, আজও দেয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিজি সুভাষবাবুর স্বপ্ন এবং বিচার দিয়ে গড়া এক আত্মনির্ভর ও  শক্তিশালী ভারত নির্মাণের সঙ্কল্প নিয়েছেন। বাংলা ও সারা ভারতের লোক তাঁকে সমর্থন করছেন। বিশদ

23rd  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

22nd  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
একনজরে
প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণেই রাজ্যে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। শনিবার আইসিএমআর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যকে জানিয়ে দিলেন দ্রুত ...

কালনা ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারের ভাড়ার (পারানি) রসিদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মহকুমা শাসক। এছাড়াও ভাড়ার অতিরিক্ত মাঝিদের বকশিসের বিষয়টি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দেখার নির্দেশ দেন। ...

প্রত্যর্পণ এড়াতে নানারকম ছল করছেন প্রায় ন’হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলার মূল অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। গত অক্টোবরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, একটি গোপন ...

শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM