Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির হৃতগৌরব ফিরিয়ে দিতে রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি কিংবা শ্রীঅরবিন্দ ঘোষের নাম বারংবার উচ্চারণ করছে বিজেপি। বাঙালির আত্মশক্তি জাগ্রত করার আহ্বান করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বোলপুরে রোড শো করেছেন অমিত শাহ। কালকা মেলের নাম নেতাজি এক্সপ্রেস হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। অর্থাৎ বাঙালি যাতে অতীত গৌরবের কথা স্মরণ এবং উজ্জ্বল ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে আবার স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে ওঠে স্বজাত্যভিমানের আলোয়, এটাই চাইছে বিজেপি। যদি সত্যিই এটা বিজেপির লক্ষ্য হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য। বিজেপির এই আহ্বানে আশা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে দেখতে পাই বিজেপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক আচরণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো মনোভাব। বিজেপির রাজ্য ইউনিট নিজেই এখনও আত্মশক্তিতে বলীয়ান নয়। বিজেপির বাঙালি নেতারা নিজেরাই সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল দিল্লির উপর। লক্ষ্য করা গিয়েছে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা প্রায় প্রতিটি সভা সমাবেশে একটি আশ্চর্য বাক্য বলছেন। তিনি জনতাকে আহ্বান করে বলছেন, বাংলাকে নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিতে হবে। মোদিজিই পারবেন এই বাংলাকে আবার গৌরবময় এবং সম্পদশালী করে তুলতে। এটা বাঙালির কাছে কি খুব শ্রুতিমধুর? বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়, তাবৎ নেতানেত্রীর মুখেই একটা বিস্ময়কর কথা শোনা যায়। সেটি হল, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আবার হবে সোনার বাংলা। তাদের একটি স্লোগান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলা হয়ে উঠবে গুজরাত। অর্থাৎ গুজরাত হল ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট একটি আদর্শ। দেশের ফার্স্ট বয়। আদতে সেরকম কি না সেটা বিতর্কের বিষয়। ২০২১ সালে কেমন হবে বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক রণকৌশল? সেই সিদ্ধান্ত ও আলোচনা করার জন্য দিল্লিতে মাঝেমধ্যেই বৈঠক ডাকা হয়। সংবাদপত্রে হেডিং হয়, ভোটকৌশল নিয়ে অমিত শাহের বৈঠক, দিল্লি গেলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই যে ২৯৪টি আসনে ভোট হবে। এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? ঘনঘন বাংলায় আসে বিজেপির কয়েকজনের টিম। তাদের পরিভাষায় বলা হয় বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা। দেখা যায় ওড়িশা অথবা মধ্যপ্রদেশের নেতারা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটা বাংলা বিজেপির কাছে খুব সম্মানজনক? বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে হারানো সম্ভব সেই রণকৌশল নেবে দিল্লি ও অন্য রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক নেতা। বাংলায় প্রচারের অভিমুখ কী হবে সেটা ঠিক করবেন তাঁরা। ভোটে প্রার্থী হবেন কারা, সেটারও চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দেবেন তাঁরা। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বৈঠকে অমুক নেতা কিংবা অমুক নেত্রী কেন্দ্রীয় নেতার কাছে ধমক খেলেন। হয়তো বেফাঁস কিছু বলেছেন কেউ অথবা দলের নীতি বিরোধী কোনও কথা বলেছেন। তাই শৃঙ্খলা মেনে ওই তিরস্কার। স্বাভাবিক। কিন্তু ‘বাংলার বিজেপি নেতা ধমক দিলেন কেন্দ্রীয় নেতাকে’ এরকম হেডিং কখনও কেউ দেখেছি আমরা? সেই অধিকার কিংবা সাহস আজ পর্যন্ত কোনও বাঙালি বিজেপি নেতা দেখাতে পেরেছেন নাকি পারবেন? বাংলার বিজেপি কার্যত দিল্লির নির্দেশ পালনকারী একটি কোম্পানির রিজিওনাল অফিস। কর্পোরেট হেড যেমন তার রিজিওনাল অফিসকে টার্গেট ফিক্সড করে দেয়, সেরকমই দিল্লি বাংলা বিজেপিকে টার্গেট ফিক্স করে দিয়ে বলছে, আমরা ২০০ প্লাস আসনে জয়ী হব। বিজনেস বাড়াতে অন্য কোম্পানি থেকে এক্সিকিউটিভ নিয়ে এসে কর্পোরেট যেমন বসিয়ে দেয় মাঝেমধ্যে রিজিওনাল অফিসে, তেমনই  বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব অন্য দল থেকে নেতাদের নিয়ে এসে জয়েন করিয়ে বাংলার নেতাদের উপরে বসিয়ে দেয়। বাংলা বিজেপির মতামতের বিশেষ দাম নেই সেক্ষেত্রে। কখনও কেউ শুনেছে যে গুজরাতের ভোটে প্রার্থী কে হবে অথবা মহারাষ্ট্রে বিজেপির রণকৌশল কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাংলা থেকে যাওয়া কোনও বিজেপি নেতা? অথচ বাংলার বিজেপির পুরনো নেতারা যেমনভাবেই হোক গোটা রাজ্য চষে ফেলে, পরিশ্রম করে, সংগঠনকে চাঙ্গা করে একটা অন্তত নিজের মতো করে চেষ্টা করছেন। তাঁদের কথা মানুষ কতটা গ্রহণ করবেন অথবা প্রত্যাখ্যান করবেন সেটা তো পরীক্ষায় প্রমাণ হবে। অথচ তাঁরা মাঠে ময়দানে নিরন্তর ঘুরলেও তাঁদের অধিকার দলীয়ভাবে কিন্তু আজও সীমিত। বাংলায় এসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন গুজরাত, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশের নেতারাই। 
এই একই রোগ রয়েছে কংগ্রেসেরও। তাদের আবার একজন করে অবজার্ভার থাকে। তাঁরা এসে মিটিং করেন। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেন। সুপারিশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। এক্ষেত্রেও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয় দিল্লির ২৪ নং আকবর রোড থেকে। এবং সিপিএম। একটি বাক্যে সিপিএমের বাঙালি আত্মচেতনাই স্পষ্ট। সেটি হল, সিপিএমের পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটি নামক একটি কাঠামো বাঙালিকে প্রধানমন্ত্রী হতে দিল না। সিপিএম দলের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন জ্যোতি বসু। নব্বইয়ের দশকে যুক্তফ্রন্টের সময়ে সুযোগ এসেছিল জ্যোতিবাবুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। অথচ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো সেই সুযোগে জল ঢেলে দেয় নীতির অজুহাত দেখিয়ে। সেই নীতি মাত্র কিছু বছরের মধ্যে কোথায় গেল? কংগ্রেসের জোট সরকারকে সমর্থন করা হল ২০০৪ সালে। ২০০৮ সালে সেই সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা হল। আবার ২০১৬ সালে বাংলায় সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে।
ঠিক এমতাবস্থায় একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বাংলার দল বলা যায়। কারণ, মমতার কোনও হাইকমান্ড নেই, দিল্লির অবজার্ভার নেই, পলিটব্যুরো নেই যে বাংলার সিদ্ধান্ত তারা নেবে। অবশ্যই বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম বলতে পারে যে, আমাদের তো জাতীয় দল। তৃণমূল তো একটি আঞ্চলিক দল। সুতরাং জাতীয় দলের একটি কাঠামো থাকে। সর্বভারতীয় শৃঙ্খলা থাকে। নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, এটা তো স্বাভাবিক। একদম সঠিক যুক্তি। জাতীয় দল সেরকমই হবে। আঞ্চলিক দলের সঙ্গে তার পার্থক্যটাই তাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হল, বাংলার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ক্ষমতা বেশি কেন? কই বিধানচন্দ্র রায় তো পাত্তা দিতেন না দিল্লিকে বেশি! কেন বাংলার নেতারাই অনেক বেশি ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারছেন না? কেন এইসব দলের দিল্লি অথবা অন্য রাজ্য থেকে আসা মাঝারি মানের নেতারা বাংলার নীতি নির্ধারক হবেন? জাতীয় দলের বাংলা ইউনিটের সদস্য হ঩লেই নিছক অনুগামী আর নির্দেশ পালনকারী হতে হবে এটা কে বলল? আমরা সাধারণ বাঙালি দেখতে চাই বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, যেই হোক, আদতে রাজনৈতিক লড়াইয়ে বাংলার স্বার্থ, বাংলার কৌশল, বাংলার নেতাদের জনপ্রিয়তার লড়াই, পারস্পরিক বাগ্মিতার যুদ্ধ, উন্নয়ন বনাম পাল্টা উন্নয়নের বুদ্ধিদীপ্ত প্রকল্প প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। একদিকে চলছে ব্যক্তিগত কুৎসা আর আক্রমণের তরজা। আর অন্যদিকে দিল্লি থেকে বাংলার রাজনীতিকে কন্ট্রোল করার একটি প্রবণতা। আমরা চাই প্রতিটি দলের নীতি নির্ধারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের চাবিকাঠি যেন বাংলার হাতেই থাকে। বিজেপি তৃণমূলকে পরাস্ত করে সরকার গঠন করতে চাইতেই পারে। স্বাভাবিক। ২০২১ সালে তারা সফল হতে পারে। ব্যর্থও হতে পারে। সেটা ভোটের লড়াইয়ের ভিন্ন প্রশ্ন। বিজেপি বাঙালি আবেগকে জাগ্রত করতে বাংলার মনীষীদের বন্দনা করার কর্মসূচি নিয়েছে। সুখবর। কিন্তু সেই মনীষীরা তো আত্মশক্তিতে বলীয়ান ছিলেন। তাঁরা কখনও চেয়েছেন যে বাই঩রে থেকে আমাদের নীতি আদর্শ অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্ব আমদানি করা হোক? নেতাজি কংগ্রেসে থাকলেও সর্বদা নিজের পথে এগিয়েছেন। বিদ্রোহ করেছেন। 
দেখা যাবে, বাংলার তিন মনীষী রবীন্দ্রনাথ, স্বামীজি এবং নেতাজি, আত্মশক্তি এবং কর্মযজ্ঞের প্রমাণ হিসেবে তিনটি উদাহরণ স্থাপন করে গিয়েছেন। তাঁদের বাকি সব পরিচয় বাদ দিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন সাংগঠনিক শক্তি এবং নেতৃত্বপ্রদান ক্ষমতার পরিচয়জ্ঞাপক তিনটি সাধনা। স্বামীজি গঠন করে গিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। যা কোটি কোটি মানুষের কাছে আজও শিক্ষা, চিকিৎসা, আধ্যাত্মিকতার প্রাণকেন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ তৈরি করে গিয়েছেন বিশ্বভারতী। যা মানবসম্পদ উন্নয়নের এক উৎকৃষ্ট তপোবন। আর নেতাজি স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য আবেদন নিবেদনের পথ ছেড়ে সরাসরি আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়ে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ আত্মবিশ্বাসের ভিত। ভারতের অন্তরে প্রোথিত করে গিয়েছেন মানুষের ইচ্ছা আর লক্ষ্যপূরণের শক্তিকে। অর্থাৎ তাঁরা তিনজনই একটি করে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে গিয়েছেন। যা ভারতে নজিরবিহীন। বাংলার এই তিন মনীষী আছেন। বাঙালি অন্ধ অনুসরণকারী নয়, দিশানির্দেশকারী জাতি। আত্মমর্যাদা চায়। এটা বুঝতে হবে তো! আমাদের আবার নতুন করে নীতি আদর্শ শিখতে হবে কেন? 
22nd  January, 2021
এবারের ২৩ জানুয়ারির শিক্ষা
হিমাংশু সিংহ 

পরাক্রমতার সঙ্গে অনন্ত দেশপ্রেম আর তার বিশ্বজোড়া ব্যাপ্তি মিশলে তবেই নেতাজির নাগাল পাওয়া যায়। এই সার সত্যটা বুঝতেই পারলেন না অমিত শাহরা। বাংলার মনন ও সংস্কৃতির আসল সুরটাকে ধরতে না পারার সমস্যাটা এখানেই। দেশপ্রেম দিবস কিংবা দেশনায়ক দিবসই নেতাজিকে সম্মান জানানোর পক্ষে যথার্থ। বিশদ

অপরাজেয় সুভাষ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পরদিন গোমো থেকে ফ্রন্টিয়ার মেলে চড়ে পৌঁছে গেলেন পেশোয়ার। সম্পূর্ণ একা। ওখানে দেখা হল আবিদ হাসান ও অন্যান্যদের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভগৎরাম তলোয়ারের সঙ্গে। বিশদ

23rd  January, 2021
ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। বিশদ

23rd  January, 2021
সুভাষচন্দ্র: বাঙালি, ভারতীয়
ও আন্তর্জাতিক নেতা
অমিত শাহ

সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে বাস করেন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা নেতাজিকে সেই আমলেও সম্মান দেয়নি, আজও দেয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিজি সুভাষবাবুর স্বপ্ন এবং বিচার দিয়ে গড়া এক আত্মনির্ভর ও  শক্তিশালী ভারত নির্মাণের সঙ্কল্প নিয়েছেন। বাংলা ও সারা ভারতের লোক তাঁকে সমর্থন করছেন। বিশদ

23rd  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
একনজরে
শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...

সিডনি টেস্টে হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জুটি ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল টিম ইন্ডিয়াকে। চোট নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে যেভাবে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তা এক ...

প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণেই রাজ্যে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। শনিবার আইসিএমআর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যকে জানিয়ে দিলেন দ্রুত ...

প্রত্যর্পণ এড়াতে নানারকম ছল করছেন প্রায় ন’হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলার মূল অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। গত অক্টোবরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, একটি গোপন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM