Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

‘আরও বিভ্রান্ত!’ চিৎকার করে উঠেছিল অ্যালিস (এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিল যে, মুহূর্তকালের জন্য সে পুরো বিস্মৃত হয়েছিল কীভাবে ঠিকঠাক ইংরেজি বলতে হয়।)
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন খসড়া বাজেট তৈরি করবেন এবং এই প্রসঙ্গে তাঁর বিবৃতি ‘এমন বাজেট কখনওই হয়নি’ পড়ার পর আমি বস্তুত এমনটাই বলেছিলাম। 
ত্রুটিপূর্ণ আইনগুলোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন সকলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির চার সদস্যের নাম (যাঁদের সকলেই কৃষি আইনের সমর্থক) পড়ার পরেও অনেকে এই কথাটা উচ্চারণ করেছিলেন। 
উদ্ধত ভঙ্গি
যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? এটা অদ্ভুত নয় কি একদিকে মন্ত্রী এবং পার্টির নেতারা প্রতিবাদী কৃষকদের খালিস্তানি (অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতাবাদী) বলে বিঁধছেন আর অন্যদিকে সরকার তাঁদেরকেই আলোচনার টেবিলে ডাকছে?
বিস্ময়কর ব্যাপারগুলো নিভৃত জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছে। তথ্যের অধিকার (আরটিআই) বিষয়ে এক উৎসাহী কর্মী হলেন অঞ্জলি ভরদ্বাজ। কৃষি আইনগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দাবি করে তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আরটিআই অনুসারে আবেদন করেছিলেন। তিনি বিশেষ করে জানতে চেয়েছিলেন ‘প্রস্তাবিত আইনের জন্য পরামর্শ গ্রহণের আলোচনার তারিখগুলো’ এবং ‘ওই সমস্ত বৈঠক/ আলোচনার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী’। সমস্ত সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (সিপিআইও) রিপোর্ট দিলেন যে ‘এই বিষয়ে এই সিপিআইও-র কাছে কোনও রেকর্ড বা তথ্যাদি থাকে না।’ ফলে অঞ্জলি দেবী একের পর এক দপ্তরে তাঁর প্রশ্নমালা পাঠিয়ে গেলেন। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সরকার দাবি করল যে ‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং সংসদ কোনও ইস্যুতে কখনওই পরামর্শ গ্রহণ কিংবা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যায়নি—প্রতিবাদীরা এই যে ভুল ধারণা ফেরি করেছেন, তা দূর করার জন্যই’ এই হলফনামা দেওয়া হচ্ছে। খেয়াল করুন—‘প্রতিবাদীরা ফেরি করেছেন’ শব্দগুলো হলফনামার মতো একটা বিধিসম্মত গুরুগম্ভীর জিনিসের ভিতরে তাচ্ছিল্যভরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। 
আরটিআই থেকে  কোনও উত্তরই মেলেনি, এটা সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর কৃষিমন্ত্রক তড়িঘড়ি  ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছে যে, বিষয়টা অনেকগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই দেওয়া যাবে না! অ্যালিসের মতোই বলা যায়, এটা আরও বিভ্রান্তিকর ঠেকছে। 
কোনও পরামর্শ করা হয়নি 
সত্যিটা এই যে, ২০২০ সালের ৫ জুন অর্ডিন্যান্সগুলো জারি করার আগে প্রস্তাবিত কৃষি বিলগুলো নিয়ে না কৃষক, না কৃষি অর্থনীতিবিদ কারও সঙ্গেই পরামর্শ/আলোচনা করা হয়নি।  এমনকী, বিস্তারিত আলোচনা (অথবা সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো) ‘এবং’ ভোটাভুটির মাধ্যমে ‘ডিভিশন’-এর দাবি এড়িয়ে গিয়েই বিলগুলো তথাকথিত ধ্বনি ভোটে পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। কৃষকদের একটা বড় অংশই এই ক্ষতিকর আইনগুলো চান না। তাঁরা বিহারের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেখানে নীতীশ কুমার সরকার কয়েক বছর আগে এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটি (এপিএমসি) আইন বাতিল করেছে। পরিণাম এটাই হয়েছে: যখন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ১৮৫০ টাকা তখন সেখানকার কৃষকরা এক কুইন্টল ধান বিক্রি করেন মাত্র ৮০০ টাকায়। 
কৃষকরা চান আইনগুলো প্রত্যাহার করা হোক, আর সরকার আইনের পক্ষে সাফাই গেয়েছে এবং কৃষক প্রতিনিধিদের বলেছে, আইনগুলোর ধারা ধরে ধরে আলোচনা করতে! অদৃষ্টের পরিহাসটাও  দেখুন: যে সরকার ধারা ধরে ধরে আলোচনা কিংবা ভোটাভুটি ছাড়াই বিলগুলো রাজ্যসভার মাধ্যমে গছিয়ে দিল, সেই সরকারের উচিত হচ্ছে কি সিংঘুরের রাস্তায় ‘ক্লজ বাই ক্লজ’ ডিসকাশনের জন্য অফার করা! 
অবশ্যকর্তব্য, কিন্তু করবেন না
এর মধ্যে আমরা পেলাম অর্থমন্ত্রীর কৌতূহলোদ্দীপক ঘোষণা। তিনি কী করতে পারেন এবং করবেন, সেটার থেকে তাঁর অবশ্যকর্তব্যটা ভীষণ আলাদা। প্রত্যেক নামী অর্থনীতিবিদ একমত যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অনেক কিছুই করা উচিত ছিল, কিন্তু ভয়, দুর্বলতা অথবা অজ্ঞতার কারণে সেসব করা হয়নি:
১. সবচেয়ে গরিব মানুষগুলোর অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা ট্রান্সফার করা হয়নি। 
২. পরোক্ষ করগুলো, বিশেষত জিএসটির হার, কমানো হয়নি।
৩. সরকারের মূলধনী ব্যয় বাড়ানো হয়নি। 
৪. অতি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) পুনরুজ্জীবন প্রকল্পটাকে—সংস্থাগুলো এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি বাঁচাবার মতো করে সাজানো হয়নি।
ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া, ডঃ সি রঙ্গরাজন এবং ডঃ জাহাঙ্গির আজিজ-সহ অনেক অর্থনীতিবিদ উপর্যুক্ত  ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা উচিত বলে বারবার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, বৃদ্ধি ফিরিয়ে আনার জন্য অন্তত এখনকার মতো এই পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। মহামারীর আগের তিন বছরের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) দিকে তাকানো যাক, যা নিত্যমূল্যে (কনস্ট্যান্ট প্রাইস) নির্ধারিত: ২০১৭-১৮ সালে ছিল ১৩১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ সালে ১৩৯.৮১ লক্ষ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ সালে ১৪৫.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। ফার্স্ট অ্যাডভান্সড এস্টিমেটস অনুসারে, ২০২০-২১ সালের জিডিপি হবে ১৩৪.৪০ লক্ষ কোটি টাকা। তার মানে এই দাঁড়াচ্ছে যে, ২০১৯-২০ সালের জিডিপির স্তরে পৌঁছতেও ২০২১-২২ সালের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারকে ৮.৩৭ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। বৃদ্ধির হার এর চেয়ে যে-কোনও পরিমাণ কম হওয়ার অর্থ ২০২০-২১ সালে অর্থনীতি ১১ লক্ষ কোটি টাকা (কনস্ট্যান্ট প্রাইসে) হারাবে, যার জেরে ২০২১-২২ সালেও নতুনভাবে আর্থিক ক্ষতির সমস্যায় পড়তে হবে। আর বর্তমান মূল্যে (কারেন্ট প্রাইস), সাধারণ মানুষের পক্ষে যা সহজে বোধগম্য, ২০২০-২১ সালে ক্ষতির পরিমাণটা দাঁড়াবে ৯ লক্ষ কোটি টাকা বা ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 
২০২১-২২ সালে বৃদ্ধির হারটাকে ৮.৩৭ শতাংশে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী কী করতে পারেন? রাজস্ব নিয়ে চাপের ভিতরে (কারণ অর্থনীতির অবনমন ঠেকানোর জন্য যতটা করা জরুরি ছিল তা করা হয়নি) থাকাকালে ক্যাশ ট্রান্সফার বা করের হার কমানোর পথে তিনি যাবেন কি না তা নিয়ে আমার সংশয় আছে। সমস্ত সরকারি ব্যয় তিনি বাড়াতে পারতেন এবং (১) এমএসএমই-র জন্য ‘রেসকিউ প্ল্যান’ কার্যকর ও (২) পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ করতে পারতেন। অন্যদিকে, (৩) প্রতিরক্ষা এবং (৪) স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতেও ব্যয় বৃদ্ধির জন্য উচ্চকণ্ঠে দাবি উঠবে। কিছু দিতে হবে এবং আমার মনে হয় সেটা হবে এমএসএমই রেসকিউ প্ল্যান এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। 
যদি পরোক্ষে ২০২১-২২ সালের বাজেটের ‘কনটেক্সট’-এ অর্থমন্ত্রী ওই কথাটা বলে থাকেন তবে তিনি ঠিক। আশা করি, ‘কনটেন্ট’-এর প্রশ্নেও তিনি দেশবাসীকে হতাশ করবেন না, যেমনটা তিনি মহামারী মোকাবিলার বছরে করে ফেলেছেন।  
লেখক সংসদ সদস্য এবং ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
18th  January, 2021
এবারের ২৩ জানুয়ারির শিক্ষা
হিমাংশু সিংহ 

পরাক্রমতার সঙ্গে অনন্ত দেশপ্রেম আর তার বিশ্বজোড়া ব্যাপ্তি মিশলে তবেই নেতাজির নাগাল পাওয়া যায়। এই সার সত্যটা বুঝতেই পারলেন না অমিত শাহরা। বাংলার মনন ও সংস্কৃতির আসল সুরটাকে ধরতে না পারার সমস্যাটা এখানেই। দেশপ্রেম দিবস কিংবা দেশনায়ক দিবসই নেতাজিকে সম্মান জানানোর পক্ষে যথার্থ। বিশদ

অপরাজেয় সুভাষ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পরদিন গোমো থেকে ফ্রন্টিয়ার মেলে চড়ে পৌঁছে গেলেন পেশোয়ার। সম্পূর্ণ একা। ওখানে দেখা হল আবিদ হাসান ও অন্যান্যদের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভগৎরাম তলোয়ারের সঙ্গে। বিশদ

23rd  January, 2021
ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। বিশদ

23rd  January, 2021
সুভাষচন্দ্র: বাঙালি, ভারতীয়
ও আন্তর্জাতিক নেতা
অমিত শাহ

সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে বাস করেন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা নেতাজিকে সেই আমলেও সম্মান দেয়নি, আজও দেয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিজি সুভাষবাবুর স্বপ্ন এবং বিচার দিয়ে গড়া এক আত্মনির্ভর ও  শক্তিশালী ভারত নির্মাণের সঙ্কল্প নিয়েছেন। বাংলা ও সারা ভারতের লোক তাঁকে সমর্থন করছেন। বিশদ

23rd  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

22nd  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
একনজরে
কালনা ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারের ভাড়ার (পারানি) রসিদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মহকুমা শাসক। এছাড়াও ভাড়ার অতিরিক্ত মাঝিদের বকশিসের বিষয়টি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দেখার নির্দেশ দেন। ...

প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণেই রাজ্যে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। শনিবার আইসিএমআর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যকে জানিয়ে দিলেন দ্রুত ...

শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...

শারীরিক অবস্থার অবনতি হল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। তাঁকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাঁচির হাসপাতালে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM