Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সালটা ১৯৭৮। তখন তিনি আর কংগ্রেসের নন... জরুরি অবস্থার আঘাতে পরাজিত, রাজনৈতিক একাকিত্বের শিকার। তাও নিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জটা। আজমগড় সেই সময় চরণ সিংয়ের দুর্গ। জনতা সরকার তাই একটা নিশানাতেই স্থির ছিল, ইমেজে চোট লাগতে দেওয়া যাবে না। ইন্দিরা যেন এই লোকসভা উপনির্বাচনে কোনওভাবে মাথা তুলতে না পারেন। প্রিয়দর্শিনী শেষ... এটাই আরও একবার প্রমাণ করতে হবে। তেড়েফুঁড়ে নামলেন জর্জ ফার্নান্ডেজ, অটলবিহারী বাজপেয়ি, চন্দ্রশেখররা। ভোটারদের দরজায় দরজায় ঘুরলেন। জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে উস্কে দিলেন আজমগড়কে। বললেন, জনতা পার্টির হাতেই আপনাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ। ওঁকে একটাও ভোট দেবেন না। ‘ইন্দিরা কংগ্রেসে’র সুপ্রিমোও ততদিনে ঠিক করে ফেলেছেন তাঁর প্রার্থী—মহসিনা কিদোয়াই। সংখ্যালঘু, উত্তরপ্রদেশের আদি কংগ্রেসি পরিবার থেকে উঠে আসা। বেরিয়ে পড়লেন ইন্দিরা... হাতে-বোনা সুতির শাড়ি, লম্বা হাতা ব্লাউজ। আলতোভাবে মাথায় আঁচল টেনে ঘোমটা। হুডখোলা জিপে মহসিনাকে পাশে নিয়ে রওনা দিলেন ইন্দিরা... আজমগড় জয়ের লক্ষ্যে। ৩০ ঘণ্টারও কম সময়ে ২৪টা জনসভা করেছিলেন ইন্দিরা। তাঁর শিডিউলে কতগুলো ছিল? মাত্র ১৪টা। আপডেট করার মতো সময় বা সুযোগ, কোনওটাই পাচ্ছিলেন না দলের রেকর্ডধারীরা। ইন্দিরা ছুটছেন... প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা... আজমগড়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য কোণায়। সফরসঙ্গীদের সঙ্গেই বসে যাচ্ছেন রাতের খাবার নিয়ে... বাকিরা যা খাচ্ছে, সেটাই বরাদ্দ হচ্ছে তাঁর জন্য। তারপর ডাকবাংলোয় সামান্য বিশ্রাম। বা বলা ভালো, ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষা...। অঙ্ক পরিষ্কার ছিল ইন্দিরার... মুসলিম ও হরিজনদের ভোট নিশ্চিত করতে পারলেই আজমগড় তাঁর হবে। ইন্দিরার লড়াই শুধু জনতা পার্টির সঙ্গে ছিল না। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তাঁরই দল। কংগ্রেস। কেউ ছেড়ে যায়নি, কিন্তু তাঁকে বাধ্য করেছিল দল ছেড়ে যেতে। নতুন দল গড়তে। 
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইও কতকটা তেমন। বিজেপি অবশ্যই তাঁর প্রতিপক্ষ। কিন্তু প্রধান নয়। সেই আসন অলঙ্কৃত করে রেখেছেন মমতারই একদা বিশ্বস্ত, এখনকার দলবদলুরা। বাংলায় এখন দলবদলের সিজন। শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর সঙ্গে লাইন দিয়ে অনেকেই জামার রং বদলেছেন। বিজেপির দাবি, ভোটের আদর্শ আচরণবিধি চালু হলেই সংখ্যাটা হুড়মুড়িয়ে বাড়বে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো জনা পঞ্চাশেক বিধায়কের দাবিপত্র পেশ করে রেখেছেন। তাই আপাতত তাল ঠোকা চলছে। দরে না পোষালেই আসছে অন্য শিবিরে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি। দিলীপবাবুর দাবি যদি ঠিক হয়, তাহলে রাজ্য বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে কিন্তু বেশ সংশয় আছে। এমনিতেই ইদানীং গেরুয়া শিবিরের যে সব কর্মসূচি নজরে আসছে, তাতে দিলীপবাবু ছাড়া মার্কামারা বিজেপির নেতা চোখে পড়ে না। মূলত শুভেন্দু অধিকারী, আর দলবদলের প্রত্যাশী তৃণমূলের নেতা-কর্মীতেই বিজেপির মঞ্চ ভরে যাচ্ছে। মানুষের মনে খুব স্বাভাবিকভাবেই এখন চূড়ান্ত ধন্দ, ‘এটা কি বিজেপি? নাকি তৃণমূল।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে থাকলে না হয় একটা নিশ্চিন্ত ভাব আসে... এটাই তৃণমূল। না হলে দলের জার্সি বুঝতে পারাটাই সাধারণ মানুষের কাছে এই দলবদলের খেলায় বিপদ হয়ে যাচ্ছে। 
দলবদলুদের ঠেলায় রাজ্য বিজেপি এখন কার্যত তৃণমূল শাখা সংগঠনের রূপ নিয়েছে। আরও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ-বেসুরো যোগ দিলেই কেল্লাফতে... বিজেপি নাম বদলে তৃণমূল (বি) করে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তখন মানুষ ভাববে... ভোটটা কাকে দেব! তৃণমূলকে? নাকি তৃণমূলের বিজেপি শাখাকে? তার উপর ভাষণ বিভীষিকা তো রয়েইছে। ঠিক এক বছর আগেই কেশিয়াড়ির মঞ্চ থেকে এক নেতা বলছিলেন, ‘আমি যদি নেতাই থেকে লাশ কুড়োতে পারি, তাহলে চাইলে বিজেপিকে পিঁপড়ের মতো পিষেও দিতে পারি’। সেই নেতাই এখন গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বলেন, ‘ভোটের আগে রামনবমী করব। নরেন্দ্র মোদি আসবেন। রাজ্যকে বিজেপির হাতে তুলে দিতে হবে। তৃণমূলকে বিদায় করতে হবে।’... বাংলার মানুষ মেলাতে পারছে না। একটা অস্বস্তি কাজ করে। যা দিলীপ ঘোষের বক্তৃতায় হয় না। মানুষ জানে, এই নেতা আদর্শগতভাবে বিজেপি তথা সঙ্ঘের অনুগত। তিনি বিরোধী আসনে বছর বছর বসে আছেন। শাসকের মুণ্ডপাত করছেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভোটের মরশুমে দলবদলের গামছা গলায় দিয়ে কেউ যদি সেই বুলি আওড়াতে শুরু করেন, তা ঠিক হজম হয় না। বিজেপি যতই আসন্ন পালাবদলের দাবি তুলুক না কেন, সমীকরণটা মোটেও অত সহজ নয়। কারণ, তাঁদের পথের কাঁটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক চরিত্র। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তিনি আবার একটু বেশিই ভয়ঙ্কর। বিজেপি তাঁকে তেমনই একটা জায়গায় ঠেলার চেষ্টা শুরু করেছে। আর মমতাও পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছেন। বিজেপিকে... দলবদলুদেরও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেও লড়বেন তিনি। ভবানীপুরের পাশাপাশি। এটা অবশ্যই মাস্টারস্ট্রোক। কেন? নিন্দুকে তো বলছে, একটি আসনে জয়ের নিশ্চয়তা নেই বলেই তিনি ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রামকে বেছে নিয়েছেন। একটায় হেরে গেলে যাতে আর একটা অপশন হাতে থাকে। ঠিক যেমনটা রাহুল গান্ধী গত লোকসভা ভোটে করেছিলেন। সেখানে তিনি ‘পরিবারের’ সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে হেরে আমেথি খুইয়েছেন। কংগ্রেসও সার্বিকভাবে বিজেপির অশ্বমেধের দৌড়ে দাঁত ফোটাতে পারেনি। প্রকট বিরোধীরা খোঁচা দিতে শুরু করেছেন, মমতারও একই হাল হবে না তো? তঁারা অবশ্য নরেন্দ্র মোদির প্রথম ইনিংসের কথা ভুলে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে মোদি দু’টি আসনে লড়েছিলেন। ফল? ইতিহাসের পাতায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নয়... মানুষ বলছে, মমতার ভবিষ্যৎ রাহুল গান্ধীর মতো হবে না। কারণ, তৃণমূল (বি) দলকে ভোট দেওয়ার থেকে অবশ্যই তৃণমূলে আস্থা রাখা ‘বেটার’। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। মমতা আছেন বলেই দলটার নাম তৃণমূল। বাকি নেতানেত্রীরা তাঁরই জার্সি পরে ভোটের ময়দান কাঁপাতে নামেন। সেই জার্সি খুলে দিলে কী হতে পারে, তা আগামী ভোটের ফলে বোঝা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জার্সি বদলেছিলেন, কিন্তু অন্য কোনও দলে যোগ দিয়ে নয়। নিজের দল গড়ে। সেই দল আজও শুধু তাঁকেই সামনে রেখে চলে। ২৯৪টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও ভোটাররা শুধু একটিই নাম মাথায় রেখে ইভিএমের বোতামে চাপ দেন—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম একটি ছাতার নীচ থেকে বেরিয়ে পালাবদলের স্বপ্ন দেখা ভালো। কিন্তু ওভার কনফিডেন্স? ধৃষ্টতা। ভোট এবং কামাইয়ের গন্ধে জেলায় জেলায় বহু নেতাই আজ দলবদলু। কিন্তু তাঁদের দেখে কতজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বা জেলা কর্মাধ্যক্ষ বিজেপিতে লাইন দিয়েছেন? কতজন সাধারণ কর্মী মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর পারবেন না? সংখ্যাটা বিন্দুতে সিন্ধুর সমতুল। ভোট কিন্তু নেতাদের দিয়ে হয় না! ভোট হয় সংগঠনে, কর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায়। বিশ্বাসে। সেই বিশ্বাস কি দলবদলুরা তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন? সেই গ্যারান্টি স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও দিতে পারছেন না। হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! কেন্দ্রের সরকারে থেকেই বা বাংলার মানুষের জন্য বিজেপি কী করেছে? দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। তারপরও হাওয়া চলছে। বিজেপি ক্যাডার ভিত্তিক পার্টি। সঙ্ঘের বিরাট ছাতার তলায় তাদের দিন গুজরান। সেই অনুশাসন, একাগ্রতা এবং লক্ষ্যে স্থির মানসিকতাই এ ধরনের প্রচারে সঙ্ঘ পরিবার তথা বিজেপির পালে হাওয়া দিচ্ছে। লড়াই এবার কঠিন... সে ব্যাপারে সংশয় নেই। কিন্তু মমতাও যে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ফেলেছেন! ঠিক যেভাবে নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। জয় হয়েছিল মহসিনা কিদোয়াইয়ের। পেরেছিলেন ইন্দিরা। ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছিল ইন্দিরা কংগ্রেস। আর শেষমেশ তাঁর দলকেই ‘আসল’ কংগ্রেসের মান্যতা দিতে বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এই ‘হার না মানা’ লড়াইয়ে আজমগড় ছিল তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর জমি। সেই ১৯৭৮... সেই উপনির্বাচন। নন্দীগ্রামের আন্দোলন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে জমি দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই মাটিকেই আরও একবার বেছে নিয়েছেন তিনি। গত ভোটে এই আসনে জিতে আসা তৃণমূল প্রার্থীর নাম? শুভেন্দু অধিকারী। এবারও চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। লড়বেন তিনি তৃণমূল (বি) দলের হয়ে। মমতার বিরুদ্ধে... নন্দীগ্রাম থেকেই। উপায়ও ছিল না তঁার। জিততে পারলে রাজনৈতিক অস্তিত্ব থাকবে। আর হারলে? ইতিহাসের পাতায়। এই ‘যুদ্ধে’ প্রতি পদে তঁার সঙ্গী হবে একটা অনুভূতি... মাথার উপর একটা ছাতা কিন্তু আজ আর নেই। সেই ছাতার নামটাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
19th  January, 2021
এবারের ২৩ জানুয়ারির শিক্ষা
হিমাংশু সিংহ 

পরাক্রমতার সঙ্গে অনন্ত দেশপ্রেম আর তার বিশ্বজোড়া ব্যাপ্তি মিশলে তবেই নেতাজির নাগাল পাওয়া যায়। এই সার সত্যটা বুঝতেই পারলেন না অমিত শাহরা। বাংলার মনন ও সংস্কৃতির আসল সুরটাকে ধরতে না পারার সমস্যাটা এখানেই। দেশপ্রেম দিবস কিংবা দেশনায়ক দিবসই নেতাজিকে সম্মান জানানোর পক্ষে যথার্থ। বিশদ

অপরাজেয় সুভাষ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র। পরদিন গোমো থেকে ফ্রন্টিয়ার মেলে চড়ে পৌঁছে গেলেন পেশোয়ার। সম্পূর্ণ একা। ওখানে দেখা হল আবিদ হাসান ও অন্যান্যদের সঙ্গে এবং অবশ্যই ভগৎরাম তলোয়ারের সঙ্গে। বিশদ

23rd  January, 2021
ইতিহাস গড়ার মুখে
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মমতার
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের রাজ্যে আসা-যাওয়া, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘অঘটন’ হচ্ছে না। ভোট হবে কমিশনের তত্ত্বাবধানেই। অর্থাৎ বঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির সম্ভাবনা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। অতএব বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোট করানোর দাবিটা ছিল দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কৌশল। বিশদ

23rd  January, 2021
সুভাষচন্দ্র: বাঙালি, ভারতীয়
ও আন্তর্জাতিক নেতা
অমিত শাহ

সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে বাস করেন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা নেতাজিকে সেই আমলেও সম্মান দেয়নি, আজও দেয় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিজি সুভাষবাবুর স্বপ্ন এবং বিচার দিয়ে গড়া এক আত্মনির্ভর ও  শক্তিশালী ভারত নির্মাণের সঙ্কল্প নিয়েছেন। বাংলা ও সারা ভারতের লোক তাঁকে সমর্থন করছেন। বিশদ

23rd  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

22nd  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
একনজরে
শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...

কালনা ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারের ভাড়ার (পারানি) রসিদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মহকুমা শাসক। এছাড়াও ভাড়ার অতিরিক্ত মাঝিদের বকশিসের বিষয়টি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দেখার নির্দেশ দেন। ...

শারীরিক অবস্থার অবনতি হল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। তাঁকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাঁচির হাসপাতালে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ...

প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণেই রাজ্যে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। শনিবার আইসিএমআর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যকে জানিয়ে দিলেন দ্রুত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM