কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
ভাবুন সময়টা! করোনা ভাইরাসের জালে আটকে দেশের অর্থনীতির এখন টালমাটাল। রাজকোষে টান। শুধু রক্ষাকর্তারাই নন, এই প্রশ্নের উত্তরে ঘুম ছুটেছে দেশের আমজনতারও। সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাণিজ্য মহলও। নগদের খোঁজে বিকল্প রাস্তা হাতড়াচ্ছে অধিকাংশ রাজ্য। আর এরই মধ্যে এক ভয়ঙ্কর সংবাদ প্রকাশ্যে আনল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। শুনলে অবাক হবেন, আর্থিক তছরুপ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে মোট ৫১ জন। ১৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেই দেশ ছেড়েছে তারা। গত ডিসেম্বরে সংসদে এমনটাই তথ্য জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সিবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬৬টি প্রতারণা মামলায় ৫১ জন অভিযুক্ত প্রায় ১৭,৯৪৭.১১ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছে। বস্তুত ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণই হল এই কর্পোরেট মহলের অন্তহীন ঋণ ফাঁকি। তাহলে কেন্দ্রের ভূমিকা কী? কেন সেই বেলাগাম অনাদায়ী ঋণের বিপুল টাকা উদ্ধার করতে পারছে না? কিংফিশার এয়ারলাইন্সের নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যান সংস্থার তৎকালীন কর্ণধার বিজয় মালিয়া। বিজয় মালিয়ার মতো পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে কার্যত লুট করেছেন নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি। সেই ঘটনা এখনও স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি। সেই লুট হয়েছিল ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবার অপব্যবহার করেই। রামদেব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের বাসমতী রাইস প্রস্তুতকারী সংস্থার ক্ষেত্রেও তছরুপ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ফাঁক গলেই হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানতেও পারেনি, কীভাবে অনাদায়ী ঋণের পাহাড় জমছে, এবং কীভাবে এই কেলেঙ্কারি ঢাকা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেমন নজরদারি করে যে, এক বার চোর পালাবার পরেও তাদের বুদ্ধি বাড়ে না? কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নজরদারির প্রক্রিয়াটিকে অবিলম্বে স্বচ্ছতর করা বিধেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যদি নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তবে তা ভারতীয় অর্থব্যবস্থার পক্ষে গভীর চিন্তার কারণ হবে। ব্যাঙ্ক নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আমজনতার বিশ্বাস ভাঙবে।