বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তা সত্ত্বেও সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় প্রায় ২৯ লক্ষ শ্রমিককে ১৬৩০ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ফের নয়া দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, গোটা জানুয়ারি মাস জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলাকালীন মেলাতেও বেশ কিছু শ্রমিককে সহায়তা দেওয়া হবে। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে মালদহের ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার শ্রমিককে ২৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এখানে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৫৮ জন শ্রমিক ১৪৬ কোটি ৮২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা পেয়েছেন। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরে ২ লক্ষ ৩ হাজার শ্রমিক প্রায় ১২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২ লক্ষ ৪৩ হাজার শ্রমিক ১৪০ কোটি টাকা পেয়েছেন।
এভাবে বীরভূমের ১ লক্ষ ৮ হাজার শ্রমিক ৬০ কোটি টাকা পেয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার ১ লক্ষ ৪১ হাজার শ্রমিককে ৮৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এভাবে সব জেলাতেই বহু শ্রমিক উপকৃত হয়েছেন। সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভবিষ্যনিধি, মৃত্যু এবং দুর্ঘটনার জন্য শ্রমিকরা সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে রাজমিস্ত্রি, জোগাড়ে, মুটে, রিকশ চালক, পরিচারিকরা, বিড়ি শ্রমিকরাও সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকী এখন অনলাইনেও এই প্রকল্পে নাম রেজিস্ট্রেশন করা যায়। সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় নাম নথিভুক্ত থাকলে শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনাতে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে। এই প্রকল্পে দুর্ঘটনাগ্রস্ত শ্রমিক সব রকম সুবিধা পেয়ে থাকেন।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ রয়েছেন যাঁদের বয়ঃসীমা ১৫-২৪ বছরের মধ্যে। ’১৭ সালের একটি হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে, রাজ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই নির্মাণকর্মী। সুতরাং, এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই রাজ্য সরকার দরাজ হস্তে তাঁদের সুরক্ষিত করার চিন্তাভাবনা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা, দীর্ঘদিন ধরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিলেন। দিন আনা দিন খাওয়া দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ এই নাগরিকদের জন্য রাজ্যের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি মহতী পদক্ষেপ।