পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
একাধিক বহুজাতিক সংস্থা ক্রোড়পতি লিগের স্পনসর হওয়ার দৌড়ে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বাবা রামদেবের পতঞ্জলি গ্রুপও। সংস্থার মুখপাত্র এসকে তিজারাওয়ালা বলেছেন, ‘এবারের আইপিএলে মূল স্পনসর হতে চাই আমরা। গোটা বিশ্বে পতঞ্জলি ব্র্যান্ডের বাজার তৈরি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বাবা রামদেবের সংস্থা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে। এক, ভারতীয় ক্রিকেটের তথা আইপিএলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে তোলা। দুই, লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর চীনা পণ্য বয়কট নিয়ে দেশ জুড়ে যে জনমত তৈরি হয়েছে, তাতে অক্সিজেন জুগিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তির বিকাশ ঘটানো।
তবে বিসিসিআই কর্তারা আইপিএলের স্পনসরশিপ নিয়ে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে। এমনিতে ভিভো যে ৪৪০ কোটি টাকা করে প্রতি বছর দিয়ে এসেছে, সেই পরিমাণ অর্থ নতুন স্পনসরের থেকে পাওয়া যাবে না, সেটা ধরেই নিয়েছেন বোর্ড কর্তারা। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন টার্গেট ২০০ কোটি টাকা। তবে সমস্যা হল, এক বছরের জন্য কোনও সংস্থা কি আদৌ ২০০ কোটি টাকা দিতে রাজি হবে? তাছাড়া পতঞ্জলির মতো সংস্থাকে নিয়ে বিসিসিআই খুব একটা আগ্রহী নয়। বরং অ্যামাজন, জিও, টাটা গ্রুপ, আদানি গ্রুপ, ড্রিম ইলেভেন কিংবা বাইজুসের মতো সংস্থাকে স্পনসর হিসেবে পেতে বেশি আগ্রহী বোর্ড। তাতে সুদূর প্রসারী লাভ অনেক বেশি হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, ২০২২ পর্যন্ত বোর্ডের সঙ্গে ভিভোর চুক্তি রয়েছে। অর্থাৎ দু’বছর পর আইপিএলের নতুন স্পনসর খুঁজতে তখন আর কোনও সমস্যা হবে না বোর্ডের। তাই পতঞ্জলি নিয়ে বোর্ড কর্তারা আপাতত জল মাপছেন। একান্তই যদি নয়া টাইটেল স্পনসর পেতে সমস্যা হয়, তখন হয়তো পতঞ্জলিকে নিয়ে মুখরক্ষার করতে চাইবে বিসিসিআই।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ত্রয়োদশ আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে গেল বিসিসিআই। ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফাইনাল হবে ১০ নভেম্বর। দুবাই, আবু ধাবি এবং শারজায় খেলা হবে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আগেই মৌখিক অনুমতি আমরা পেয়েছিলাম। লিখিত সম্মতিও আজ পেয়ে গিয়েছি। তাই এখন দ্রুত গতিতে সব কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্পনশরশিপের ব্যাপারটিও আমরা ১৮ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছি। ভিভো সরে গেলেও নতুন স্পনসর পেতে কোনও সমস্যা হবে না।’