নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার গোটা দেশের সার্চ লাইট ছিল অযোধ্যার উপর। কিন্তু অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছেন, গত বছর ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৫(এ) এবং ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছিল। বুধবার সেই প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা মেহরাজউদ্দিন বলছিলেন, ‘খেলোয়াড়ি জীবনের টপ ফর্মে মোহন বাগান-ইস্ট বেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে খেলেছিলাম। জাতীয় দলের জার্সি পরার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওই সময়ের উপার্জিত অর্থেই তো গত এক বছর সংসার চলছে। অল্পবয়সী ছেলেদের বিপথে যাওয়া রুখতে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন রোল মডেল করেছিল জম্মু কাশ্মীরকে। তিন বছর আগে প্রায়ই শ্রীনগরে আসতেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত। তখনই উঠে আসে রিয়াল কাশ্মীর। তার আগে লোনস্টার কাশ্মীর আর জম্মু কাশ্মীর ব্যাঙ্ক উপত্যকায় ফুটবল কালচার তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। রিয়াল কাশ্মীর আর লোন স্টার কাশ্মীরের অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচিং ক্যাম্পগুলি গত ১২-১৪ মাস বন্ধ। কবে খুলবে কেউ জানে না। গত বছর শ্রীনগরে রিয়াল কাশ্মীর মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিল। দলটি ‘রিগ্রুপ’ হয়েছিল কল্যাণীতে ডুরান্ড কাপের আগে। তারপর চলে যায় মুম্বইতে। দুই প্রধান শ্রীনগরে খেললেও ফুটবলাররা ছিলেন সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বলয়ে। এভাবে শ্রীনগরে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গলকে খেলিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছিল যে, শ্রীনগরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। আসলে প্রদীপের নীচে ছিল অন্ধকার। তাই তো আমার মনে হয়, ফুটবল তথা খেলাধূলা বন্ধ থাকায় উপত্যকার যুব সমাজ ক্রমশ পঙ্গু হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে।’
কাশ্মীর থেকে উঠে আসা অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারটি বলছিলেন, ‘দেশবাসী গত সাড়ের চার মাসের লকডাউনে অস্থির হয়ে উঠছে। তাহলে ভাবুন, ১৪ মাস লকডাউনে থেকে আমাদের কী দুরবস্থা?’