উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তেন্ডুলকর। ৪৪.৫৯ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ৭৭ রান। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি শতরান ও ১৫টি অর্ধশতরান। আর টেস্টে ৩৯টি ম্যাচে অজি বোলারদের তুলোধোনা করে ৩ হাজার ৬৩০ রান ঝুলিতে ভরেন মাস্টার ব্লাস্টার। গড় ৫৫। এই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১টি শতরান ও ১৬টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। বহু ম্যাচেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেছেন ব্রেট লি ও শচীন। সেই সোনালি দিনগুলি আজও ভোলেননি অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারটি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘শচীন তেন্ডুলকরের মতো বড় ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করার সময় শরীরে শিহরণ জাগত। বেশ উত্তেজিত থাকতাম। মনে মনে ভাবতাম, আমিই সেরা। সেটা ওকে আউট করে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাই শচীনের বিরুদ্ধে বল করার সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতাম। বলা ভালো, সামনে যখন তেন্ডুলকরের মতো ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে থাকত, তখন সেরা বোলিং করতে বাধ্য হতাম আমি। তা নাহলে পরিণতি খুব খারাপ হত।’ উল্লেখ্য, শচীনকে ওয়ান ডে ফরম্যাটে ৯ বার ও টেস্টে ৫ বার আউট করেছিলেন ব্রেট লি। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তনঅজি পেসারটি বলেন, ‘শচীনের বিরুদ্ধে আমার রেকর্ড বেশ ভালো। তবে আমার বোলিংয়ে প্রচুর রানও করেছে সে। আমাদের লড়াইটা ট্রেডমার্ক হয়ে গিয়েছিল, যা আমরা উভয়েই দারুণ উপভোগ করতাম।’
শচীন ছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভিভিএস লক্ষ্মণকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছেন ব্রেট লি। তবে মজার ব্যাপার হল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কিন্তু লক্ষ্মণের রেকর্ড বেশ ভালো। লি বলেন, ‘লক্ষ্মণকে আউট করা সবচেয়ে কঠিন ছিল। তবে বাউন্সারে ওকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করতাম। তবে বীরেন্দ্র সেওয়াগকে যত ভালো বলই করি না কেন, ও ছক্কা মেরে দিত। এছাড়া ব্রায়ান লারার বিরুদ্ধে বল করেও মজা পেতাম।’
ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলিরা চারটি টেস্ট খেলবেন স্টিভ স্মিথদের বিরুদ্ধে। তার আগে ভারতীয় পেস আক্রমণের আক্রমণের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে ব্রেট লি’র কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় পেসাররা ধারাবাহিকভাবে দেশে-বিদেশে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। মহম্মদ সামির বোলিং দেখে আমি মুগ্ধ। বল নতুন হোক বা পুরানো, খুব সুন্দরভাবে সেটার ব্যবহার করতে পারে ও। আমি মনে করি, সামি হল ভারতীয় দলের সম্পদ। আর গত কয়েকটি মরশুমের বিচারে ভারতীয় পেস আক্রমণের সেরা আবিষ্কার যদি বাছতে বলেন, তাহলে যশপ্রীত বুমরাহর কথা বলব। অল্প দৌড়েও যে জোরে বল করা যায়, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে বুমরাহ। ইশান্ত দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলছে। ও যেভাবে ফিটনেস ধরে রেখেছে, তার জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। ভুবনেশ্বর কুমারের স্যুইং মারাত্মক। উমেশ যাদবও ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতের পেস আক্রমণ যে কোনও দলকে বেগ দিতে পারে।’