কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
সেই ধোনিই আজ ক্রিকেট জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে। তিনি কবে অবসর নেবেন তা স্পষ্ট করছে না কেউই। না ধোনি , না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সবার মুখে কলুপ। এতে ভীষণ বিরক্ত প্রণব রায়। তিনি বলেন, ‘সুনীল গাভাসকর, শচীন তেন্ডুলকর কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি— এরা অতি মানব হতে পারে। কিন্তু ভগবান নয়। বয়স বাড়লে খেলায় তার ছাপ পড়ে। রিফ্লেক্স কমে যায়। সানি গাভাসকর খুব বেশি প্র্যাকটিস করতেন না। তাই ৩৫ বছর বয়সেই খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন। শচীন লড়াই করেছিল ৪০ বছর পর্যন্ত। ধোনিরও তো কম বয়স হল না! ও হয়তো বাকিদের থেকে একটু বেশি ফিট। কিন্তু বয়সকে উপেক্ষা করবে কী করে? সেটা ওকে বুঝতে হবে। ও আর ক্রিকেট খেলতে পারবে না বলছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে টক্কর দিতে সমস্যা হবে। হয়তো দু-একটা ম্যাচে রান করে দেবে। কিন্তু সেটা দলের ভবিষ্যতের পক্ষে ভালো হবে না। তার চেয়ে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। বিশ্বকাপের পর নির্বাচকরা ঋষভ পন্থকে তুলে আনার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচে ব্যর্থ হতেই শুরু হয়ে গেল ধোনির সঙ্গে তুলনা। আরে বাবা, ১৫ বছর আগে ধোনি কি ধোনি ছিল?’
বাংলার প্রাক্তন তারকাটি সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমার মতে ধোনির অবসর নিয়ে ছবিটা এবার স্পষ্ট হওয়া দরকার। বিসিসিআই কী করছে? বোর্ড কর্তারা তো ধোনির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। নির্বাচকদের জানা উচিত, ধোনি কী চায়। ও যদি বলে খেলা চালিয়ে যাবে, তাহলে তো ভালো। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওকে বাকিদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। এক বছর হয়ে গেল একজন ক্রিকেটার কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। হঠাৎ করে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামিয়ে দেওয়া সম্ভব কি? ও যদি দেশের হয়ে ফের খেলতে চায় তাহলে ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে ওকে পারফর্ম করে দেখাতে হবে। ধোনি বলে তো নিয়ম আলাদা হতে পারে না! তবে এমএসডি দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। তাই একটা রুপোর স্মারক তুলে দিয়ে ওকে বাই বাই করে দেওয়া ঠিক হবে না। ওকে প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।’