ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
অভিভাবকদের কথা এমনভাবে ফলে যাবে তা হয়তো ভাবেননি কাইল জেমিসন। শুক্রবার বেসিন রিজার্ভে টেস্ট অভিষেক লগ্নে উচ্চতাকে কাজে লাগিয়েই টিম ইন্ডিয়ার মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন ২৫ বছর বয়সী এই কিউয়ি পেসার। তুলে নিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারার উইকেট। একটা সময় বাস্কেটবলের প্রতি টান থাকলেও, ১৬ বছর বয়সে পেশাদার ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন কাইল, সেটা চোখের সামনে পূর্ণ হতে দেখে এদিন বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তাঁর বাবা মাইকেল জেমিসন।
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা বললেন, ‘আজ কাইল যেভাবে টেস্ট ক্রিকেটে শুরু করল, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। কারণ একটা সময় ওর এই উচ্চতার জন্য বেশ অস্বস্তি বোধ করত। স্কুলে পড়াকালীন সহপাঠীরা ওর দিকে এমন ভাবে তাকাত, যা দেখে ও লজ্জা পেত। তবে আমি ওকে বলতাম, আজ সবাই যখন তোমায় এভাবে দেখছে, একদিন তুমি নিশ্চই বিখ্যাত হবে।’
তাঁর বাবার এই ভবিষ্যদ্বাণী যে খুব একটা ভুল ছিল না, সেটা এদিন কাইল প্রমাণ করলেন। একটা সময় যে উচ্চতার জন্য তাঁকে লজ্জা পেতে হতো, সেই উচ্চতাকে কাজে লাগিয়েই এদিন দেশের হয়ে প্রথম টেস্টটা স্মরণীয় করে রাখলেন। ঠিক যেমন একদিনের ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচটা রেখেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে একদিনের সিরিজে অভিষেক ম্যাচেই প্রথম ওডিআইয়ে দু’উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ম্যাচের সেরা পুরস্কারও। এবার টেস্ট ক্রিকেটেও শুরুতেই ছাপ ফেললেন কাইল জেমিসন।
স্বাভাবিকভাবেই ছেলের অভিষেক ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবানও বলছেন সিনিয়র জেমসন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী শেরিল আজ আসতে পারেনি। তবে আমি ভাগ্যবান যে মাঠে বসে ছেলের খেলা দেখতে পারলাম। আমি আশা করছি, এভাবেই ও দেশের জার্সিতে নিজের কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করবে। ওর সব থেকে বড় গুণ হল, মাঠে সবসময় নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করে।’