পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ফাইনাল খেলায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে, সিএবি অ্যাপেক্স কমিটির সদস্য গৌতম গোস্বামী সহ স্থানীয় প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। সকাল থেকেই ওই ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলা দেখতে মাঠে হাজির ছিল খুদে ক্রিকেটাররাও। তারা রীতিমতো ভারতের পতাকা নিয়ে, বাজনা বাজিয়ে মাঠ মাতিয়ে রাখে।
ফাইনাল খেলায় কলকাতার দল টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ রয়েল রাকো ১৭.২ ওভার ১০ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে এ অ্যান্ড এস ক্রিকেট অ্যাকাডেমি কলকাতা ৪.৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৭৩ রান সংগ্রহ করে নেয়। বাংলাদেশ দলের কানন ২৩ রান করার পাশাপাশি অভিষেক ১১ রান করেন। অন্যদিকে, কলকাতার এঅ্যান্ডএস ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পক্ষে বিজয় ভারতী ৩৪ রান ও নাজিম সিদ্দিক ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। অখিল কোহার চার ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট, রাহুল রেড্ডি চার ওভার বল করে আট রান দিয়ে দুই উইকেট, রাজীব সিং তিন ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট সংগ্রহ করেন। ১০ উইকেটে জিতে যায় এঅ্যান্ডএস ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। ইনিংসের শুরু থেকেই কলকাতার দলের ব্যাটসম্যানরা তাঁদের সামনে বাংলাদেশ দলের কোনও বোলারকে দাঁড়াতে দেননি। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন অখিল কোহার। পাশাপাশি নাজিম সিদ্দিককে ম্যান অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত করা হয়েছে।
ওই টি-২০ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টিমের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বিখ্যাত তাঁতের সামগ্রী উপহার দেওয়া হয় আয়োজকদের। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের উদ্যোক্তাদের আতিথেয়তার প্রশংসাও করেন বাংলাদেশ থেকে আগত খেলোয়াড়রা। জেলার প্রাক্তন খেলোয়াড় তরুণ দাশগুপ্ত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম গোস্বামীকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে সিএবির অ্যাপেক্স কমিটির সদস্য তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম গোস্বামী বলেন, জেলা প্লেয়ারস অ্যাসোসিয়েশন ও ডেকোরেটার্স কল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে ইলা সরকার মেমোরিয়াল এবং জিডি হোন্ডা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি সহ নগদ ষাট হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রানার্স টিমকে ট্রফি সহ চল্লিশ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আগামীতে আমাদের জেলায় আরও এই ধরনের খেলার আয়োজন করা হবে।