সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
সুকান্ত বেরা কলকাতা : অস্তমিত সূর্যের কিরণের মতোই শাহবাজ আহমেদের দুরন্ত বোলিং মঙ্গলবার শেষ লগ্নে আলো ছড়াল ইডেনে। দ্বিতীয় দিনের অন্তিম দু’টি ডেলিভারিতে দিল্লির দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বাংলাকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন শাহবাজই। তাঁর প্রথম শিকার খিতিজ শর্মা। বাংলার বাঁহাতি স্পিনারটির ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে খিতিজ ক্যাচ তোলেন স্লিপে। বল মাটি স্পর্শ করার আগেই বাজপাখির মতো শরীর শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করে নেন অনুষ্টুপ মজুমদার। পরের বলে সিমরজিৎ সিংকে সাজঘরে ফেরান শাহবাজ। শর্ট ফরোয়ার্ড লেগে কাজী জুনেইদ সইফি দু’বারের চেষ্টায় দিনের সেরা ক্যাচটি ধরে সতীর্থকে হাটট্রিকের সুযোগ করে দিয়েছেন। পরপর দু’টি উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় দিল্লি। ঠিক তখনই দিনের খেলায় যবনিকা পড়ে। আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে বেশ বিরক্তই দেখিয়েছে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, খেলা তিন মিনিটের কম সময় বাকি ছিল। আম্পায়াররা কোনও ভুল করেননি।
মঙ্গলবারের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলার। ৫ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে খেলতে নামেন অনুষ্টুপ মজুমদার (অপরাজিত ৯৪) ও শাহবাজ আহমেদ (অপরাজিত ৩৭)। কিন্তু মাত্র চার রান যোগ করেই আউট হয়ে যান অনুষ্টুপ। নার্ভাস নাইনটির শিকার হন তিনি। শতরান হাতছাড়া করায় বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল তাঁকে। ক্ষোভে তিনি হেলমেট শূন্যে ছুঁড়ে দেন। ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে অনুষ্টুপের সংগ্রহ ৯৯ রান। তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কড়া সমালোচনা করে কোচ অরুণ লাল বলেন, ‘এই ব্যাপারে ওকে আরও সতর্ক হতে হবে। অনুষ্টুপ এভাবে আউট না হলে আমরা আরও বেশি রান তুলতে পারতাম।’ মাত্র ৩২ রানে বাংলার শেষ ৫টি উইকেটের পতন ঘটে। মূলত তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই আউট হয়েছেন শাহবাজ (৪৬), অয়ন ভট্টাচার্যরা (০)। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩১৮ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ওপেনার চান্ডিলার উইকেট তুলে নেন প্রথম রনজি ম্যাচ খেলতে নামা বাংলার পেসার নীলকণ্ঠ দাস। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দিল্লি দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসে। হিতেন দালাল ও ধ্রুব শোরে ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। বাংলার হয়ে দ্বিতীয় উইকেটটিও নেন নীলকণ্ঠ। আউট করেন হিতেনকে (৪০)। অন্তিম সেশনে ভুলত্রুটি শুধরে মুকেশ কুমার দিল্লির দুই তারকা ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সফল হন। নীতিশ রানা ২৪ রানে মুকেশের বলে কট বিহাইন্ড হন। ক্যাপ্টেন ধ্রুব শোরেও একইভাবে উইকেট ছুঁড়ে দেন ব্যক্তিগত ৬৫ রানে। জন্টি সিধু ৩২ রানে ক্রিজে আছেন। ম্যাচের এখনও দু’দিন বাকি। দিল্লি পিছিয়ে ১২৬ রানে। বাংলা কিছুটা এগিয়ে থাকলেও কোচ অরুণ লাল কিন্তু সরাসরি জেতার থেকেও তিন পয়েন্টে টার্গেট করেছেন। রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফয়সালা হওয়ার সম্ভাবনা আরও কমবে। তাই প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারলে মনোজ তিওয়ারিরা মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলে নিতে পারবেন।