বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
চুনী গোস্বামী: মোহন বাগানের সঙ্গে এটিকের সংযুক্তিকরণে আমি হতাশ। তবে ক্লাবে অর্থাভাব চলছে। কী আর করা যাবে? ক্লাবের ভালো হলেই ভালো। আমি অসুস্থ। পায়ের নার্ভের সমস্যায় ভুগছি। তবে এটিকে-মোহন বাগান চুক্তির বিস্তারিত জানতে পারলে ভালো হত।
সুব্রত ভট্টাচার্য: ক্লাব চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যা প্রকট হয়েছে দুই বড় ক্লাবেই। তার সুযোগ নিচ্ছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। গোয়েঙ্কাদের হাতে ক্লাবটাকে বেচে দিলেন বর্তমান কর্তারা। গত ২৫ বছর এই কর্তাদের নির্বুদ্ধিতার ফসল আজকের এই চুক্তি। সামঞ্জস্য রেখে এই চুক্তি হতে পারত। এটিকে-মোহন বাগান হওয়ায় লাভজনক কিছু হবে বলে মনে হয় না। মোহন বাগান কিংবা এটিকে, কোনও দলই নতুন প্রজন্মের ফুটবলার তৈরি করতে পারেনি। যার ফলে দ্বিতীয় সুরজিৎ সেনগুপ্ত, প্রসুন ব্যানার্জি, কৃশানু দে, সুদীপ চ্যাটার্জি, ভাস্কর গাঙ্গুলি তৈরি হয়নি। যাদের দেখে ক্লাবে অনেকেই টাকা ঢালতে তৈরি ছিলেন। এখন সেই মুখ কোথায়? কাদের দেখে মোহন বাগানের শুভানুধ্যায়ী, প্রথিতযশা ব্যবসায়ী, সদস্যরা টাকা দেবেন? ফলে কর্পোরেটদের হাতে ক্লাব বেচে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
প্রশান্ত ব্যানার্জি: মোহন বাগানের ব্র্যান্ড নেম, লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে গোয়েঙ্কারা নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিপত্তি বাড়াবে। এই চুক্তি তো পুরোপুরি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। ফুটবলের উন্নতি করা এদের লক্ষ্য নয়। আর এই মোহন বাগান কর্তারা বছরের পর বছরের পর ক্লাব চালিয়ে বিশ্ব জুড়ে সদস্য-সমর্থক থাকা সত্ত্বেও ফুটবলটা নিয়ে ব্যবসাই করতে পারলেন না। বরং একচ্ছত্র মৌরসিপাট্টা চালিয়ে ক্লাবটার সর্বনাশ করলেন। এই চুক্তির ফলে মোহন বাগান সদস্যদের আর কোনও মূল্য রইল না। সবশেষে একটা কথা বলি, এমন একটা চুক্তি রবিবার ডার্বির পরে হলেই ভালো হত। এতে মোহন বাগান ফুটবলারদের ফোকাস নষ্ট হতে পারে।
বাইচুং ভুটিয়া: মোহন বাগান-এটিকে যুক্ত হয়েছে ভালো কথা। সংযুক্তির পর এই ক্লাবের নাম কেন এটিকে-মোহন বাগান হবে? এটা ঠিক হল না। অর্থাৎ ঠিকঠাক ব্র্যান্ডিংই হয়নি। এই চুক্তির ফলে ক্লাবের যাবতীয় পরিচিতি ও ইতিহাস বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সারা বিশ্বে মোহন বাগানের সমর্থক রয়েছে। তাঁদের কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। এটিকে’র বয়স মাত্র পাঁচ-ছ’বছর। বেশি পুরানোও নয়। এটিকে’র সঠিক পরিচিতিই এখনও তৈরি হল না। এটিকে তাদের পরিচিতি হারালে সেটা তাদের বড় ক্ষতি। মোহন বাগানের পরিচিতি মুছে যাওয়ার নয়।