বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
তবে একটা ম্যাচের ব্যর্থতা দিয়ে ভারতীয় দলের শক্তি যাচাই করতে যাওয়া ঠিক হবে না। কারণ, অতীতে বারবার দেখা গিয়েছে প্রথম ম্যাচে হেরেও দারুণ কামব্যাক করেছে ‘মেন ইন ব্লু’। তবে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম খেলা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়া যেহেতু ১-০ ব্যবধ্যানে এগিয়ে, তাই রাজকোটে শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাড়তি চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হবে কোহলি বাহিনীকে। আর তাই কঠিন সময়ে বিরাটদের মনোবল বাড়াতে আসরে নামলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাকি দু’টি একদিনের ম্যাচ ফাটাফাটি হবে। ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী দল। অফিসে একটা দিন খারাপ যেতেই পারে। অতীতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। বছর দুয়েক আগে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও আমরা সিরিজে দারুণ কামব্যাক করেছি। কোহলিদের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’
বিশ্বকাপের পর একের পর এক সিরিজ জিতেছে ‘টিম ইন্ডিয়া’। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর অনেকেরই মনে হয়েছিল ভারতীয় দল অপ্রতিরোধ্য। পাশাপাশি দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝুঁকি নেওয়ার নেশা চেপে বসেছিল টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে। কিন্তু কোচ রবি শাস্ত্রী হয়তো এটা ভুলে গিয়েছিলেন যে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি ক্লাস এইট পাস হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়া মাস্টার্স। একের পর এক সিরিজ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মতুষ্টিও থাবা বসিয়েছিল। যার ফল ভুগতে হয়েছে ওয়াংখেড়েতে। প্রথম একাদশ চয়ন কিংবা ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিনজন ওপেনারকে খেলাতে গিয়ে কোহলিকে চার নম্বরে নামতে হয়েছে। যাতে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে ব্যাটিং অর্ডারে। ভারত অধিনায়কের চার নম্বরে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণও। তিনি বলেছেন, ‘তিন নম্বরেই বিরাটের ব্যাট করা উচিত। শচীনও চার নম্বরে ব্যাটিং উপভোগ করতেন না।’
তার উপর চোটের কারণে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে খেলতে পারবেন না ঋষভ পন্থ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় অজি পেসার প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে তিনি মাথায় চোট পেয়েছিলেন। ফিল্ডিং করতে পারেননি। তাঁর জায়গায় উইকেটকিপিং করেছিলেন লোকেশ রাহুল। রাজকোটে ঋষভ খেলতে না পারায় মণীশ পাণ্ডে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে পারেন। ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন কোহলি। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তাঁকে ফের তিন নম্বরে ব্যাট করতে দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকেশ রাহুলকে হয়তো চার কিংবা পাঁচে নামানো হবে। একই সঙ্গে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন কিং কোহলি। দলের এই দুর্দিনেও তিনি বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন। বুধবার এক বহুজাতিক সংস্থার অনুষ্ঠানেও তাঁকে খোশ মেজাজেই দেখা গিয়েছে। আসলে বিরাট বহু লড়াইয়ের পোড় খাওয়া সৈনিক। তিনি জানেন, একটা ম্যাচ হারলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি প্রচণ্ড আশাবাদী।
তবে মুখে বলা যতটা সহজ, কাজে করে দেখানো ততটাই কঠিন। আর দলটার নাম যে অস্ট্রেলিয়া। শিকারি বাঘের মতো রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন ওয়ার্নার, ফিনচরা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে অজি ব্রিগেড সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করবেন। তাই ‘টিম ইন্ডিয়া’র কাছে লড়াইটা এখন খুবই কঠিন।