বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ওয়াংখেড়েতে বল গড়ানোর আগেই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ব্যাট করতে নামবেন চার নম্বরে। তিন নম্বরে পাঠানো হবে লোকেশ রাহুলকে। কোহলির সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরল। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কোহলি ১৬ রানে ফেরেন। মিডল ওভারে একের পর এক উইকেট হারানোর ফলে রানের গতি বাড়াতে পারেনি দল। পুরো পঞ্চাশ ওভারও খেলতে পারেনি ‘টিম ইন্ডিয়া’। ব্যাটিং নিয়ে কোহলির পরীক্ষা নিরীক্ষায় খুশি নন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তাঁর মতে, ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে চার নম্বরে নামিয়ে নিয়ে গিয়ে বড় ভুল করেছেন কোহলি। কারণ দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে বেশি বল খেলার সুযোগ দিতে হয়। লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘শচীন তেন্ডুলকর বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। শচীনও চার নম্বরে ব্যাট করতে পছন্দ করত না। দল সেটা চাইত না। আসলে ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণের সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হয় যে, দলের সেরা ব্যাটসম্যান যেন যথাসম্ভব বেশি বল খেলার সুযোগ পায়। অস্ট্রেলিয়ার মতো দারুণ বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত হয়নি।’
লক্ষ্মণের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আর এক প্রাক্তন তারকা সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলেন, ‘ভালো ফর্মে রয়েছে বলেই হয়তো রাহুলকে তিনে পাঠানো হয়েছিল। আর অভিজ্ঞতার জন্য ধাওয়ান ওপেন করেছে। তবু বলব, একদিনের ম্যাচে রাহুলকে চার নম্বরে পাঠিয়ে কোহলিরই তিনে নামা উচিত। তিনে নেমে কোহলি যেমন ইনিংস গড়তে পারে, তেমনই আবার রানের গতিও বাড়াতে পারে। তাছাড়া ওটা ওর অভ্যস্ত পজিশনও বটে।’
কোহলির নির্ধারিত নতুন ব্যাটিং অর্ডারকেই ভারতের হারের জন্য দায়ী করেছেন শোয়েব আখতার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ জানিয়েছেন, দলের সেরা ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং অর্ডার কোনওভাবেই পালটানো উচিত নয়। শোয়েবের কথায়, ‘ভারতের এমন হার অত্যন্ত হতাশাজনক। ওদের উচিত এটা নিয়ে কাটাছেঁড়া করা। আমি তো বলব, কোহলির কোনওভাবেই ২৮তম ওভারে ব্যাটিং করতে নামা উচিত নয়। আরও আগে ওর ক্রিজে নামা উচিত ছিল। চার নম্বরে নিজেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার চরম খেসারত দিতে হয়েছে ওকে এবং ওর দলকে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাজনক ভাবে হারল ভারত।’ পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার জয়কে দলগত সাফল্য হিসেবেও বর্ণনা করেছেন তিনি। আখতার বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দুরন্ত খেলেছে। ভারত যদি মরিয়া মনোভাব না দেখাতে পারে, তাহলে ওদের কপালে দুঃখ রয়েছে। তবে আমার মনে হয়, পরের ম্যাচেই কোহলিরা ঘুরে দাঁড়াবে।’